রংপুরের বোলিং সামলে বরিশালের সংগ্রহ ১৭০
রংপুর রাইডার্স সেরা একাদশে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বিশ্বমানের ৪ নতুন ক্রিকেটারকে নিয়ে খেলতে নামে। যেখানে ছিলেন মজিবুর রহমানের মতো বোলার। আরও ছিলেন ডুয়াইন ব্রাভো, দাসুন শানাকা। তারাও হাত ঘুরিয়ে থাকেন। যে কারণে ফরচুন বরিশালকে অল্প রানে আটকে রাখতে টস জিতে বোলারদের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। কিন্তু তারা তা পারেননি। বরিশাল সংগ্রহ করেছে ৩ উইকেটে ১৭০ রান।
বরিশালের ইনিংস মেরামতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ। আন্দ্রে ফ্লেচারকে নিয়ে জুটি খুব বড় করতে না পারলেও তিনি এক প্রান্ত আগলে রেখে দলের সংগ্রহ বাড়িয়ে নিয়ে যান। খেলেন ১ ছক্কা ৯ চারে ৪৮ বলে ৬৯ রানের ইনিংস।
উদ্বোধনী জুটিতে ৫.৫ ওভারে রান আসে ৪৬। বরিশালের প্রত্যাশার বেলুন ফুটো করে দিয়ে ১৬ বলে ১২ রান করে রকিবুলের বলে রনি তালুকদারের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন। এরপরই মাহমুদুল্লাহ-মিরাজের সমন্বয়ে বরিশালের সফল ও মূল্যবান জুটি। জুটিতে তারা যোগ করেন ৭.৪ ওভারে ৬৯ রান। দুই জনেই হাত খুলে খেলতেন থাকেন। মিরাজ মাহমুদ হাসানকে বাউন্ডারি মেরে ৩৫ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি।
ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে যেখানে রান ছিল ১ উউকেটে ৪৬, সেখানে ১০০ রানে আসে ১১.৫ ওভারে। অর্থাৎ ৫.৫ ওভারে আসে ৫৪ রান। জুটি ভাঙে মাহমুদউল্লাহ ১ ছক্কা ৪ চারে ২১ বলে ৩৫ রান করে বোল্ড হলে।
মাহমুদউল্লাহ আউট হওয়ার পর বরিশাল চমক দেখায় চারে করিম জানাতকে পাঠিয়ে। বিপিএলে তিনি আরও নিচে ব্যাটিং করেন। সেখানে তার ছোট্ট ইনিংসগুলো ছিল আগ্রাসী আর কার্যকর। আজ আরও বেশি অর্থবহ করে তুলতে চারে পাঠানো হয়। কিন্তু মিরাজের সঙ্গে তার জুটি জমে উঠার আগেই মিরাজ আউট হয়ে যান। দলের রানের চাকা আরও গতিশীল করতে দাসুন শানাকাকে ছক্কা মারতে গিয়ে হাসান মাহমুদের হাতে ধরা পড়েন দলীয় ১২৬ ও ব্যাক্তিগত ৬৯ রানে। বরিশালের ইনিংসের সেরা দুই উইকেট তুলে নেন শানাকা পরপর দুই ওভারে।
মিরাজ আউট হওয়ার পর বরিশালের রানের গতি কমে যায়। করিম জানাতও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারেননি। ১ ছক্কা ও ৩ চারে ২৫ বলে ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। ভানুকা রাজাপাকসে ১০ বলে ১টি করে ছক্কা ও চার মেরে ১৭ রাম করে তিনিও অপরাজিত থাকেন। শেষ ৫ ওভারে তারা সংগ্রহ করে ৪,৫,১৪,৬ ও ১৫ করে ৪৪ রান। দুইজনে পঞ্চম উউকেট জুটিতে ৪.৫ ওভারে ৪৪ রান যোগ করেন।
দাসুন শানাকা ২৩ রানে ২টি ও রকিবুল ৩২ রানে নেন ১টি উইকেট।
এমপি/এসএন