শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ | ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্লে অফে পাকিস্তানিদের বিকল্প কেমন হবেন নতুন বিদেশিরা

আজ শুরু হচ্ছে বিপএলের প্লে অফ রাউন্ড। এবারের বিপিএলে অনেকে আগেই চার দলের প্লে অফ খেলা নিশ্চিত হয়ে যায়। চার দল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর তাদের মাঝে চলে শীর্ষ স্থানের লড়াই। সেই লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জয় হয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের। এই দুই দল খেলবে কোয়ালিফায়ার-১। এলিমেনেটর খেলবে রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশাল।

যে শক্তি নিয়ে চার দল প্লে অফে এসেছে, দেখছে শিরোপার স্বপ্ন, সেখানে ব্যাপক ছন্দ-পতন ঘটেছে। কারণ নবম বিপিএলের প্রাণ ভোমরা পাকিস্তানি সব ক্রিকেটার চলে গেছেন তাদের পিসিএল খেলার জন্য। এবারের বিপিএলে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা আলো ছড়িয়ে সবার মন জয় করে নিয়েছেন। আর দলগুলোর কাছে হয়ে উঠেছিলেন আস্থার প্রতীক। তাদের গুরুত্ব এতটাই অপরিসীম ছিল চলে যাওয়ার পরও যে মাত্র একটি ম্যাচ খেলার জন্য সিলেট মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিমকে এবং বরিশাল ইফতেখার আহমেদকে ফিরিয়ে এনেছিল। এক ম্যাচ খেলে তাার আবার চলে গেছেন। পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা সর্বশেষ বিপিএলে খেলেছেন লিগ পর্বের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত (১০ ফেব্রুয়ারি)। প্লে অফের তিনটি ও ফাইনাল ম্যাচে তাদের আর পাওয়া যাবে না।

পৃথিবীতে কারো জন্যই কোনো কিছু থেমে থাকে না। হয়তো বিকল্প পাওয়া যায় না। পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা চলে যাওয়ায় দলগুলোও বসে থাকেনি। তারা নিজ নিজ সাধ্যমতো নিয়ে এসেছেন নতুন করে বিদেশি ক্রিকেটার। এই সব বিদেশি ক্রিকেটাররা কিন্তু আবার বিশ্ব ক্রিকেটোর পরিচিত মুখ। ম্যাচের গতিপথ পরিবর্তন করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন তারা। তারপরও প্রশ্ন থেকে যায় পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা এবারের বিপিএলে যে রকম দ্যুতি ছড়িয়েছেন, নতুন আসা বিদেশি ক্রিকেটাররা কি তার যোগ্য প্রতিদান দিতে পারবেন?

পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা সিলেটের কথাই ধরা যাক। চলে গেছেন মোহাম্মদ আমির, ইমাদ ওয়াসিম ও মোহাম্মদ হারিস। প্রথম দুই জন ছিলেন দলের সেরা একাদশের নিয়মিত সদস্য। দুইজনই দলের হয়ে সর্বাধিক উইকেট শিকারির তালিকায় আছেন সেরা তিনে। মোহাম্মদ আমির ১১ ম্যাচ খেলে উইকেট নিয়েছেন ১৪টি। ইমাদ ওয়াসিমও সমান ম্যাচ খেলে শিকার করেন ১২টি। এই দুইজনের মাঝে দেশি তরুণ পেসার রেজাউর রহমান রাজ ১৩টি ও মাশরাফি ১২টি উইকেট নিয়েছেন।

১০ ম্যাচ খেলে মোাহম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিম চলে যাওয়ার পর সিলেট নিয়ে আসে পাকিস্তানের মোহাম্মদ ইরফান ও আফগানিস্তানের গুলবাদিন নাইবকে। কিন্তু এই দুই জন তার যোগ্য প্রতিদান দিতে পারেননি। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে খেলতে নেমে মোহাম্মদ ইরফান ৪ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ১ উইকেট। সেই ম্যাচ আবার গুলবাদিন নাইব খেলেননি। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে আবার তাকে নামানো হয়। ইরফানকে সেরা একাদশ রাখা হয়নি। এই ম্যাচ আবার খেলেতে আবার পাকিস্তান থেকে উড়িয়ে আনা হয়েছিল মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিমকে। ৪ ওভারে ১০ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন ইমাদ ওয়াসিম। মোাহম্মদ আমির ৪ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ১ উইকেট। গুলবাদিন ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন।

প্লে অফের জন্য সিলেট নতুন করে উড়িয়ে এনেছে প্লে অফের জন্য নতুন করে নিয়ে এসেছে জর্জ লিন্ডে ও শ্রীলঙ্কান ইসুরু উদানোকে। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে জর্জ লিন্ডে ১৪ ম্যাচ খেলে ১৫ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাত রান করেছেন ১১১। উদানা ৩৫ ম্যাচ খেলে ২৫৬ রান ও ২৭ উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া আগে থেকে আছেন জিম্বাবুয়ের রায়ান বার্ল, টম মরিস, অ্যাকারম্যান, শ্রীলঙ্কার থিসারা পেরেরা। এ ছাড়া মোহাম্মদ ইরফান ও গুলবাদিন নাইবতো আছেনই।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের চলে গেছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান, খুশদিল শাহ, নাসিম শাহ ও হাসান আলী। মোাহম্মদ রিজওয়ান ১০ ম্যাচে ৪ হাফ সেঞ্চুরিতে ৩৫১ ও খুশদিল শাহ ১১ ম্যাচে ২৩৯ রান করেছেন। উইকেটও নিয়েছেন ৮টি।নাসিম শাহ ৩ ম্যাচে ৭টি ও হাসান আলী ৫ ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছেন। সুনিল নারিন ও আন্দ্রে রাসেলকে ইতোমধ্যে এনে দুইটি ম্যাচ খেলানো হয়েছে।

বরিশালের বিপক্ষে আন্দ্রে রাসেলতো খেলেন ১৬ বলে ৩০ রানের অপরাজিত ঝড়ো ইনিংস। তার এই ইনিংসই দলের জয়কে তরান্বিত করে। নতুন করে তারা নিয়ে এসেছে ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার মঈন আলী। দক্ষিণ আফ্রিকার ডু প্লেসিও আসার কথা রয়েছে। এ ছাড়া আগে থেকেই খেলছেন এই আসরের চার সেঞ্চুরিয়ানের একজন উইন্ডিজের জনসন চার্লস, চাদ ওয়ালটন।

ফরচুন বরিশাল হারিয়েছে ইফতেখার আহমেদ, মোহাম্মদ ওয়াসিম ও হায়দার আলীকে। হায়দার আলী দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন না। ১১ ম্যাচের ১১ ইনিংসে ১০০ রানের অপরাজিত একটি ইনিংস খেলে ইফতেখার ৩৫১ রান কর দলের হয়ে তিনি সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী। তিনি বরিশালের জন্য অপরিহার্য ছিলেন। তার শূন্যস্থান পূরণ করতে দক্ষিণ আফ্রিকার ডোয়াইন পিটোরিয়াসকে উড়িয়ে এনে একটি ম্যাচ খেলিয়েছে। সেখানে তিনি তার যোগ্য প্রতিদান দিয়েছেন ২৯ বলে ৪৮ রান করে। বল হাতেও ৩ ওভারে ২৮ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। প্লে অফের জন্য তারা নতুন নিয়ে এসেছে শ্রীলঙ্কার ভানুকা রাজাপাকসে ও উইন্ডিজের আন্দ্রে ফ্লেচারকে। ভানুকা ৩৭ ম্যাচ খেলে রান করেছেন ৬৭৮। ফ্লেচার ৫৪ ম্যাচে রান করেছেন ৯৫০। এ ছাড়া লিগের শুরু থেকেই ঘুরে-ফিরে খেলা ইব্রাহিম জাদরান, করিম জানাত, চাতুরাঙ্গা ডি সিলভা দলের সঙ্গেই আছেন।

পাকিস্তানের ক্রিকেটরদের শূন্যস্থান পূরণে রংপুর রাইডার্স বেশ কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। শোয়েব মালিক ও মোহাম্মদ নেওয়াজের মতো ক্রিকেটারর সার্ভিস না পেলেও তাদের বিকল্প হিসেবে আফগানিস্তানের মজিবুর রহমান ও শ্রীলঙ্কার দাসুন শানাকাকে নিয়ে এসেছে। আফগান বোলিং অস্ত্রের অন্যতম ধারালো বোলার অফ স্পিনার মজিবুর রহমান ৩৬ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন ৪৯টি। দাসুন শানাকা ৮৫ ম্যাচে ১৩২৮ রান করেছেন। উইকেট নিয়েছেন ২৩টি। নিকোলাস পুরান এবং ডোয়াইন ব্রাভোকেও তারা নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। দলের সঙ্গে রয়ে গেছেন রহমাতউল্লাহ গুরবাজ, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, নাভীন-উল-হক, অ্যারন জোনস ও টম কোহলার।

এমপি/এসএন

Header Ad

চুয়াডাঙ্গায় সেনা অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী মিল্টন অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

চুয়াডাঙ্গায় সেনা অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী মিল্টন অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার শীর্ষ সন্ত্রাসী সেলিম মাহফুজ মিল্টনকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। এ সময় তার কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। মিল্টন দর্শনা পৌর যুবদল নেতা ছিলেন।

জানা গেছে, মিল্টন এর বিরুদ্ধে স্বর্ণ/মাদক চোরাকারবারি, অবৈধ অস্ত্র, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গত ২৭ নভেম্বর ( বুধবার) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চুয়াডাঙ্গা আর্মি ক্যাম্পের একটি টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে সেলিম মাহফুজ মিল্টনকে দর্শনা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে তার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে চাইনিজ কুড়াল, রামদা, চাপাতিসহ বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।

গ্রেপ্তারকৃত মিল্টনকে প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ ও আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য দর্শনা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময় মিল্টন দর্শনায় ত্রাস হিসেবে পরিচিত লাভ করেছে। তার গ্রেপ্তারে এলাকায় স্বস্তি ফেলে এসেছে। চুয়াডাঙ্গা আর্মি ক্যাম্প বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

Header Ad

সরকার পতনের পর থেকে অনুপস্থিত কুবি কর্মকর্তা, তদন্ত কমিটি গঠন

মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদ। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন না। কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃ মজিবুর রহমান মজুমদার।

রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ০৬ আগস্ট থেকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রায় ১০০ দিনের মত নিজ কর্মস্থলে বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত রেজিস্ট্রার দপ্তরের সেকশন অফিসার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদ। অনুপস্থিত থাকার জবাব চেয়ে গত ২৩ অক্টোবর কর্মক্ষেত্রে যোগদানের জন্য নোটিশ দেওয়া হয় তাকে। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও মাজেদ জবাব দেননি। পরবর্তীতে গত ০৩ নভেম্বর কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কোনো জবাব না পেয়ে গত ২৭ নভেম্বর তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে আছেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান, সদস্য হিসেবে আছেন ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আহসান উল্যাহ এবং সদস্য সচিব হিসেবে আছেন অর্থ ও হিসাব দপ্তরের উপ-পরিচালক এস. এম. মাহমুদুল হক।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৮ মে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হন মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদ। কমিটির পাওয়ার আগেও পরে অসংখ্য ছাত্রছাত্রীদের মারধরের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংগঠনের কাজে হস্তক্ষেপ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষকদের কটূক্তি, টেন্ডারবাজি, উপাচার্যের গাড়ি রোধসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। সেই সাথে ২০১৬ সালে কাজী নজরুল ইসলাম হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহর হত্যার মামলায় এজাহারেও রয়েছে তার নাম। গত ৫ আগস্টের পর সর্বশেষ গত ১৩ আগস্ট শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেখা যায় তাকে। তবে এয়ারপোর্ট পুলিশের তৎপরতায় তিনি দেশ ছেড়ে পালাতে পারেননি বলে জানা গেছে। কিন্তু এখন কোথায় আছেন এসব বিষয়ে কোন তথ্য জানা যায়নি।

এই ব্যাপারে মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদের নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান বলেন, 'গতকাল তদন্ত কমিটি সম্পর্কে জানতে পেয়েছি। ইতিমধ্যে সদস্য সচিবকে দায়িত্ব দিয়েছি অভিযুক্তের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য। সম্ভাব্য আগামী রবিবার কমিটির সবাই মিলে মিটিং করা হবে।'

এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার মো: মজিবুর রহমান মুজদার বলেন, 'এর আগে তাকে কর্মস্থলে যোগদানের জন্য চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু এরপরও কর্মস্থলে যোগদান না দেওয়ায় তাকে কারণ দরশানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার পরও কোন জবাব না আসায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'

Header Ad

জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমে হেফাজতের বিক্ষোভ

জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমে হেফাজতের বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসাসনেস বা ইসকন নিষিদ্ধের দাবি এবং চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যার প্রতিবাদে আজ শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ সমাবেশ ডেকেছে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) জামিয়া রাহমিয়া আরাবিয়া মোহাম্মদপুরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগরের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব।

এ সময় মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, মাওলানা জালালুদ্দীন, মুফতি বশিরুল্লাহ, মুফতি মুনির হুসাইন কাসেমী, মুফতি কেফায়াতুল্লাহ আজহারী, মাওলানা লোকমান মাজহারী, মাওলানা মহিউদ্দিন মাসুম, মাওলানা জুবায়ের আহমাদ, মুফতি আজহারুল ইসলাম, মাওলানা ফয়সাল আহমদ, মাওলানা এনামুল হক মুসা, মুফতী কামাল উদ্দীন, মাওলানা আফসার মাহমুদ, মাওলানা আব্দুল মালেক, মাওলানা শরিফ উল্লাহ, মুফতী আমিনুল ইসলাম কাসেমী, মাওলানা সানাউল্লাহ খান, মাওলানা শরিফ হোসাইন, মাওলানা বশিরুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ২৫ নভেম্বর রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে ২৬ নভেম্বর তাকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হয়। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালতে পাঠানোর পথে তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আটকে দেয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীরা। তাদের সরিয়ে দিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণকে কারাগারে নেয়ার পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহত হন।

আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি চলমান। এসব কর্মসূচি থেকে ইসকনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চুয়াডাঙ্গায় সেনা অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী মিল্টন অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
সরকার পতনের পর থেকে অনুপস্থিত কুবি কর্মকর্তা, তদন্ত কমিটি গঠন
জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমে হেফাজতের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৪২ ফিলিস্তিনি
যুগ্মসচিব নিশাত রাসুলকে ওএসডি
সমন্বয়কদের ওপর হামলা হালকাভাবে দেখছে না সরকার: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
এক সপ্তাহ পর বেনাপোল থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু
আমাকে রংপুরের একজন উপদেষ্টা ভাববেন: ড. ইউনূস
দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে, এখন গড়ার পালা: তারেক রহমান
রেলের নতুন মহাপরিচালক হলেন আফজাল হোসেন
২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছাপিয়ে ৬ ব্যাংককে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক
বিচারককে ডিম ছুড়ে মারা আইনজীবীদের সনদ বাতিল হবে: খোকন
নাম থেকে ‘বচ্চন’ উপাধি ফেলে দিলেন ঐশ্বরিয়া, তবে কি বিচ্ছেদ চূড়ান্ত
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের পক্ষে নেই বিএনপি: মাহমুদুর রহমান মান্না
সংসদ সদস্য হিসেবে প্রথমবার সংসদে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, নিলেন শপথ
ইউক্রেনকে লক্ষ্য করে ১৮৮ মিসাইল-ড্রোন ছুড়ল রাশিয়া
৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, ক্যাডার পদ ৩ হাজার ৪৮৭
রাষ্ট্র সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ইসকন নিষিদ্ধের বিষয়টি দেখছে
৯ দফা দাবিতে সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের দায় নিতে অস্বীকার ইসকনের