টিকে থাকার ছাড়পত্র পেতে মুখোমুখি বরিশাল-রংপুর
এবারের বিপিএলে শুরু থেকেই একটি বিষয় ছিল বেশ লক্ষণীয়। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে সিলেট স্ট্রাইকার্স। তাদের অনুসরণ করছে ফরচুন বরিশাল। লিগের দশম রাউন্ড পর্যন্ত এই দুই দলের অবস্থান ছিল অনেকটা সে রকমই। কিন্তু ১১তম ম্যাচে গিয়ে সব ওলট-পালট হয়ে যায়। এই রাউন্ড শেষে প্লে অফের চার দল নিশ্চিত হয়ে যায়। পাশাপাশি চার দলই শীর্ষে যাওয়ার লড়াইয়ে শামিল হয়। কিন্তু তখনই ছন্দ-পতন ঘটে সাকিবের বরিশালের। প্রথমে তারা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের কাছে ৫ উইকেটে হেরে দুই থেকে তিনে নেমে যায়। একই সঙ্গে সুযোগ হারায় শীর্ষ দুই থাকারও। তখনই নিশ্চিত হয়ে যায় তাদের এলিমিনেটর রাউন্ডে খেলা।
পয়েন্ট টেবিলে সবার নিচে থাকা খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে তাদের নিয়ম রক্ষার ম্যাচেও বরিশাল হেরে যায় ৬ উইকেটে। চলতি আসরে তারা সর্বমোট চার ম্যাচে হারলেও পরপর দুই ম্যাচে হার ছিল না। এবারই তারা পরপর দুই ম্যাচে হার মানে। এখন তারা প্লে অফে চার দলের মাঝে সবার নিচে। হারের এই বৃত্ত ভাঙতে তাদের আজ এলিমিনেটরে খেলতে হবে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে। যে জয় তাদের বাঁচিয়ে রাখবে ফাইনালে যাওয়ার লড়ইয়ে। একই সমীকরণ রংপুরের জন্যও।
আজকের ম্যাচে বরিশাল একটি দিক দিয়ে রংপুরের চেয়ে এগিয়ে থাকবে। তাহলো লিগ পর্বে দুই দুইবারই রংপুরের বিপক্ষে তাদের জয়। প্রথমবার মিরপুরে ৬ উইকেটে জেতার পর দ্বিতীয়বার চট্টগ্রামে জিতেছিল ৬৭ রানে। বরিশাল যদি তাদের জয়ের ধারা ধরে রাখতে পারে, তাহলে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার-২ খেলার ছাড়পত্র পাবে। আর রংপুর যদি জিততে পারে তাহলে তাদরে সেই জয় হবে তাদের বিপক্ষ বরিশালের দুই জয়ের সমান। কারণ তখন তারা পাবে কোয়ারিফায়ার-২ খেলার ছাড়পত্র। বাজবে বিদায় ঘণ্টা বরিশালের।
প্লে অফে কিন্তু দুই দলেরই শক্তির ব্যাপক তারতম্য ঘটেছে। এই তারতম্য ঘটেছে পিসিএল খেলতে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা চলে যাওয়ায়। ফরচুন বরিশাল হারিয়েছে ইফতেখার আহমেদ, মোহাম্মদ ওয়াসিম ও হায়দার আলীকে। হায়দার আলী দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন না। ১১ ম্যাচের ১১ ইনিংসে ১০০ রানের অপরাজিত একটি ইনিংস খেলে ইফতেখার ৩৫১ রান কর দলের হয়ে তিনি সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী। তিনি বরিশালের জন্য অপরিহার্য ছিলেন। তার শূন্যস্থান পূরণ করতে দক্ষিণ আফ্রিকার ডোয়াইন পিটোরিয়াসকে উড়িয়ে এনে একটি ম্যাচ খেলিয়েছে। সেখানে তিনি তার যোগ্য প্রতিদান দিয়েছেন ২৯ বলে ৪৮ রান করে। বল হাতেও ৩ ওভারে ২৮ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। প্লে অফের জন্য তারা নতুন নিয়ে এসেছে শ্রীলঙ্কার ভানুকা রাজাপাকসে ও উইন্ডিজের আন্দ্রে ফ্লেচারকে। এ ছাড়া লিগের শুরু থেকেই ঘুরে-ফিরে খেলা ইব্রাহিম জাদরান, করিম জানাত, চাতুরাঙ্গা ডি সিলভা দলের সঙ্গেই আছেন।
পাকিস্তানের ক্রিকেটরদের শূন্য স্থান পূরণে রংপুর রাইডার্স বেশ কৃতিত্ব দেখিয়েছে। শোয়েব মালিক ও মোহাম্মদ নেওয়াজের মতো ক্রিকেটারর সার্ভিস না পেলেও তাদের বিকল্প হিসেবে আফগানিস্তানের মজিবুর রহমান ও শ্রীলঙ্কার দাসুন শানাকাকে নিয়ে এসেছে। দলের সঙ্গে রয়ে গেছেন রহমাতউল্লাহ গুরবাজ, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, নাভীন-উল-হক, অ্যারন জোনস ও টম কোহলার।
এমপি/এসএন