বিপিএলে শুক্রবারের ম্যাচে ভাষা দিবস নিয়ে বিশেষ আয়োজন
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রফিক-জব্বার-সালাম-বরকতসহ নাম না জানা অসংখ্য মানুষের বুকের তাজা রক্তে রাজপথ রঞ্জিত করে মায়ের ভাষা মাতৃভাষা বাংলাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সময়ের পরিক্রমায় সেই ২১ ফেব্রুয়ারি এখন আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। ২১ ফেব্রুয়ারি তাই এখন আর শুধু বাংলাদেশের ভাষা দিবস নয়, গোটা বিশ্বের মানব জাতির আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হেসেবে পালন করা হয়।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবস উদযাপন করে থাকে। কিন্তু সেখানে ভাষা দিবস ছিল উপেক্ষিত। এবার সেখানে বিসিবি আগেভাগেই মাতৃভাষা দিবস পালন করতে যাচ্ছে। বিপিএলে শেষ হবে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি ফাইনাল খেলার মধ্য দিয়ে। কিন্তু শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিপিএলের লিগপর্বের শেষ খেলায় বিশেষ আয়োজন করেছে বিসিবি। বলা যায় শেষ ম্যাচকে সম্পূর্ণ বাংলায় সাজানো হয়েছে। একান্ত প্রয়োজন না হলে সবকিছুই হবে বাংলায়।
বিপিএলে ধারাভাষ্য সাধারণত ইংরেজিতে হয়ে থাকে। পাশাপাশি টস ও খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী হয়ে থাকে ইংরেজিতে। আজ সেখানে থাকবে শুধু বাংলার ব্যবহার। ম্যাচ সেরা কোনো বিদেশি ক্রিকেটার হলে সেক্ষেত্রে ইংরেজি ব্যবহার করা হবে। বিদেশি ধারাভাষ্যকাররা ইংরেজিতে ধারাভাষ্য দেওয়ার পাশাপাশি বাংলায় কিছু শব্দ ব্যবহার করবেন। একইসঙ্গে তারা মাতৃভাষা নিয়ে বাংলা ও ইংরেজিতে আলোচনা করবেন। ধারাভাষ্যকার ও উপস্থাপকরা ব্যবহার করবেন বাংলা বর্ণমালা লেখা বিশেষ পোশাক। ম্যাচ সংশ্লিষ্ট সবাই বাংলা লেখা বিশেষ বাহু বন্ধনী ব্যবহার করবেন।
মাঠের এলইডি পর্দায় ভেসে উঠবে ২১ ফেব্রুয়ারির বিশেষ কিছু উক্তি। এরকম ৭টি নির্দেশনা দিয়ে বিসিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।
১০ ফেব্রুয়ারির ম্যাচে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও ভাষার মাসের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গৃহীত বিশেষ কার্যক্রম:
১) ধারাভাষ্যকার ও উপস্থাপকরা বাংলা বর্ণমালা সম্বলিত বিশেষ পোশাক পরবেন।
২) ধারাভাষ্যকাররা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ইতিহাস ও গুরুত্ব নিয়ে খেলা চলাকালীন আলোচনা করবেন (ইংরেজি ও বাংলায়)।
৩) বাংলাদেশি ধারাভাষ্যকাররা বাংলায় ধারাভাষ্য দেবেন এবং বিদেশি ধারাভাষ্যকাররাও তাদের ধারাভাষ্যের সময় কিছু বাংলা শব্দ ব্যবহার করবেন।
৪) খেলা শুরুর আগে খেলোয়াড়দের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে বাংলায়।
৫) ম্যাচ-পরবর্তী উপস্থাপনা ও সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে বাংলায় (প্রয়োজন ভেদে ইংরেজিতে- শুধুমাত্র বিদেশি খেলোয়াড়দের জন্য যদি তাদের কেউ ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হন)।
৬) সব দলের প্রতিটি খেলোয়াড়, খেলা পরিচালনাকারী কর্মকর্তা, ধারাভাষ্যকার ও উপস্থাপক বাংলা বর্ণমালা সম্বলিত বিশেষ বাহু বন্ধনী পরবেন।
৭) মাঠে অবস্থিত এলইডি পর্দায় ভাষার মাসের কিছু উক্তি প্রদর্শিত হবে।
এমপি/এসজি