শীর্ষস্থান ধরে রেখেই কোয়ালিফায়ার-১ খেলবে সিলেট
খুলনা টাইগার্সকে সহজেই ৬ উইকেটে হারিয়ে সিলেট টাইগার্স নিজেদের শীর্ষস্থান ধরে রেখেই কোয়ালিফায়ার-১ খেলার সুযোগ করে নিয়েছে। আজ (৮ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের প্রথম খেলায় সিলেটের বোলারদের তোপে পড়ে ৯ উইকেটে মাত্র ১১৩ রান করে খুলনা। সেই রান সিলেট তাড়া করে ১৭.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১১৪ রান করে।
এই জয়ে সিলেট লিগপর্বের খেলা শেষ করে ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট পেয়ে। ১১ ম্যাচে খুলনার পয়েন্ট ৪। তারা যথারীতি আছে পয়েন্ট টেবিলের সবার নিচে। খুলনার শেষ ম্যাচ ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ১০ ফেব্রুয়ারি।
সিলেটের জয়ের কাজটা আসলে করে রাখেন বোলাররা। সিলেটের বোলিং আক্রমণের সেরা তিন অস্ত্র অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং দুই পাকিস্তানি মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিম রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে খেলেননি। যে কারণে সিলেট ২ উইকেটে ১৭০ রান করেও বিনা লড়াইয়ে হার মেনেছিল ৭ উইকেটে। আজ শীর্ষস্থান ধরে রাখার মিশনে ফিরেন তিন বোলারই। সঙ্গে তানজিম হাসান সাকিবও। রুবেল হোসেন ছিলেন আগে থেকেই। পূর্ণাঙ্গ বোলিং শক্তি ফিরে পেয়ে সিলেট হয়ে উঠে দুর্ধর্ষ। যা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়া খুলনা। ৮ উইকেটে তারা করে মাত্র ১১৩ রান। আর সেখানেই অনেকটা রচিত হয়ে যায় সিলেটের শীর্ষে থাকা।
ব্যাট হাতে সিলেটকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন জাকির হাসান ও মুশফিকুর রহিম। তারা তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৩.২ ওভারে ৯০ রান যোগ করেন। জিতলেই শীর্ষস্থান নিশ্চিত। পাশাপাশি কোয়ালিফায়ার-১। যে কারণে জাকির কিংবা মুশফিক কেউই তেমন আগ্রাসী ছিলেন না।
জাকির তো এবারের বিপিএলে ছোট-বড় যে ইনিংসই খেলেছেন, তা ছিল মারমুখী। আজ ততটা মারমুখী ছিলেন না। ৪৬ বলে ১ ছক্কা ও ৫ চারে ৫০ রান করে আউট হয়ে যান। বিপিএলে নিজের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ৪৪ বলে। এরপর আর কোনো রান যোগ করতে পারেননি। মুশফিক ৩৫ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৩৯ রান করে দুভার্গ্যজনকভাবে রানআউট হয়ে যান। তাদের এরকম কিছুটা ধীরলয়ে ব্যাটিং করার আরেকটা কারণ হতে পারে আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তৌহিদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্তর শুরুতেই ফিরে যাওয়া। তৌহিদ ৫ রান করে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে এবং নাজমুল ৩ রান করে নাহিদুলেরে বলে উইকেটের পেছনে অধিনায়ক শাই হোপের হাতে ধরা পড়েন যথাক্রমে দলীয় ৮ ও ২১ রানে। এরপরই জাকির-মুশফিক জুটির ৯০ রান দলের জয়ের পথ তৈরি করে দেয় সহজেই।
চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে মুশফিক আউট হওয়ার পর জয়ের বাকি কাজ সারেন রায়ান বার্ল ও গুলবাদিন নাইব। বার্ল ৬ বলে ১টি করে চার ও ছক্কা মেরে ১২ ও গুলবাদিন ৫ বলে ২ রান করে অপরাজিত থাকেন। খুলনার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, নাহিদুল ও হাসান মুরাদ ১টি করে উইকেট নেন।
৪ ওভারে ১০ রান নিয়ে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন সিলেটের ইমাদ ওয়াসিম।
এমপি/এসজি