সিলেটের বোলিং তোপে কোণঠাসা খুলনা
সিলেটের বোলিং আক্রমণের তিন সেরা অস্ত্র অধিনায়ক মাশরাফি এবং দুই পাকিস্তানি মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিম রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে খেলেননি। যে কারণে সিলেট ২ উইকেটে ১৭০ রান করেও বিনা লড়াইয়ে হার মেনেছিল ৭ উইকেটে। আজ শীর্ষ স্থান ধরে রাখার মিশনে ফিরেন তিন বোলারই। সঙ্গে তানজিম হাসান সাকিবও। রুবেল হোসেন ছিলেন আগে থেকেই। পূর্ণাঙ্গ বোলিং শক্তি ফিরে পেয়ে সিলেট হয়ে উঠে দুর্ধর্ষ। যা হাড়ে হড়ে টের পেয়েছে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়া খুলনা টাইগার্স। ৮ উইকেটে করেছে মাত্র ১১৩।
সিলেটের বোলাররা আজ এতেটাই আঁটেসাঁট বোলিং করেছেন যে একমাত্র মোহাম্মদ আমির ছাড়া আর সবাই রান দিয়েছেন ছয়ের নিচে। এর মাঝে মাশরাফি বোলিংই করেননি। পাঁচ বোলার মিলে ২০ ওভারের কোটা পূরণ করেন। পঞ্চম বোলার ছিলেন প্রথমবারের মত খেলতে নামা আফগান গুলবাদিন নাইব। একমাত্র তিনিই ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। সবচেয়ে ইকোনমি ছিলেন ইমাদ ওয়াসিম। ৪ ওভারে মাত্র ১০ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। সবচেয়ে সফল ছিলেন তানজিম হাসান সাকিব। তিনি ২২ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। রুবেল হোসেন ২৪ রানে নেন ২ উইকেট। মোহাম্মদ আমির ১ উইকেট নিতে সবচেয়ে বেশি ৩২ রান দেন।
এমন বোলিংয়ের সামনে পড়ে খুলনা ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে উইকেট হারায় ৩টি। রান উঠে ৩১। এক প্রান্তে মাহমুদুল হাসান জয় আগলে রাখলেও অপরপ্রান্তে নিয়মিত উইকেট পড়তে থাকে।
সিলেটের বোলিং তোপ উপেক্ষা করে মাহমুদুল হাসান জয় ৪১ বলে ২ ছক্কা ও ৩ চারে ৪১ রান করে তানজিম সাকিবের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে তৌহিদ হৃদয়ের হাতে ধরা পড়েন। এ ছাড়া নাহিদুল ১৭ বলে ৩ চারে ২২ রান করেন। এই দুইজন ছাড়া দুই অংকের রান করেন ইয়াসির আলী ১২।
এমপি/এসএন