মুকিদুল-রাসেলে কুমিল্লার বরিশাল বৈতরণি পার
এবারের বিপিএলের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো রান ফোয়ারা। হাতেগোনা কয়েকটি ম্যাচ বাদ দিলে অবশিষ্ট ম্যাচগুলোই ছিল হাই-স্কোরিং। একই দিনে দুইটি ম্যাচই লো-স্কোরিং হয়েছে এমনটি এবার হয়নি। কিন্ত সেই না হওয়া ঘটনাটিই ঘটেছে আজ। দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকা ডমিনেটরসের বিপক্ষে ১১৮ রান করেও ১৫ রানে ম্যাচ জিতেছে চট্টগ্রাম চ্যালেন্জার্স।
এবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচও হয়েছে লো-স্কোরিং। যেখানে বরিশাল টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৯.১ ওভারে ১২১ রান করে অলআউট হয়ে যায়। সেই রান টপকাতে গিয়ে কুমিল্লাও ভালো প্রতিরোধের মুখে পড়েছিল। শেষ পর্যন্ত দুই বিদেশি আন্দ্র রাসেল ও খুশদিল শাহর মারমুখি ব্যাটিংয়ে কুমিল্লা আর বিপদে পড়েনি। ১.৩ ওভার হাতে রেখেই কুমিল্লা ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় ৫ উইকেটে। রাসেল ও খুশদিল ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৪.২ ওভারে অবিচ্ছিন্ন থেকে ৪৮ রান যোগ করেন। রাসেল ১৬ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারে ৩০ ও খুশদিল ১ ছক্কা ও ৩ চারে ১৯ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন।
এই জয়ে কুমিল্লা ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে বরিশালকে টপকে দুইয়ে উঠে এসেছে। সিলেটেরও পয়েন্ট ১৬। নেট রান রেটে সিলেট শীর্ষ। হেরে গিয়ে বরিশালের শীর্ষ দুই থাকা কঠিন হয়ে গেলো? ১১ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৪। এই ৩ দলেরই একটি করে খেলা বাকি।
টার্গেট কম থাকায় কুমিল্লার প্রথম তিন ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান, লিটন দাস ও জাকের আলীর ব্যাটে সহজ জয়ের পথে ছিল। ৬ বলে ১১ রান করে মোহাম্মদ রিজওয়ান আউট হয়ে যান মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে প্রথম স্লিপে ফজলে রাব্বির হাতে অসাধারণ ক্যাচে পরিণত হয়ে। ১৬ বলে ১০ রান করা জাকের আলীকে সাকিব ফিরিয়ে দেয়ার পর কুমিল্লা দ্রুত অধিনায়ক ইমরুল কায়েস(৫) ও মোসাদ্দেককে(১) হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায়। এই চাপ আরও ঘনীভূত হয় দলীয় ৭৪ রানে লিটন দাস ফিরে গেলে। ৩৯ বলে ৫ চারে ৩৬ রান করে এবাদতের বলে লিটন ফিরে যাওয়ার সময় কুমিল্লার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৫ উইকেটে ৩৫ বলে ৪৮ রানের।
দিনের প্রথম ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও বরিশাল নিজেদের অল্প সংগ্রহ রক্ষা করে ম্যাচ জিতে নেয় কি না এ রকম দৃশ্য ভেসে উঠতে থাকে। কিন্তু এ রকম ভাবনা ছিল ক্ষণিকের। খুশদিল ও প্রথমবারের মতো খেলতে নামা আন্দ্রে রাসেল জুটি গড়ার পর অংকের জটিল হিসেবে কাউকে যেতে দেননি। রাসেল ও খুশদিল জুটি বাঁধার পর যাকে পেয়েছেন, তাকেই বেধড়ক পিটিয়েছেন৷
এবাদতের ওভারে লিটন আউট হওয়ার পর সেই ওভারের বাকি ৫ বল দুই জনে সম্মান করে খেলে ১ রান নেন। এরপর ওয়াসিমের ওভারে ৩ চারে ১৩,খালেদের ওভারে চার-ছক্কায় ১১, সাকিবের ওভারে ২ ছক্কা ১ চারে ১৭ রান আসার পর মোহাম্মদ ওয়াসিমের ওভারে ছক্কা মেরে রাসেল জয়সূচক রান করেন।
রাসেল ৩ ছক্কা ২ চারে ১৬ বলে ৩০ ও খুশদিল ১৯ বলে ১ ছক্কা ও ৩ চারে ২৩ রান করে অপরজিত থাকেন
এবাদত ১৬ রানে নেন ২ উইকেট। ১টি করেন উইকেট নেন মোহাম্মদ ওয়াসিম, সাকিব ও খালেদ।
বরিশালের ইনিংসে ৩.১ ওভারে ২৩ রান দিয়ে এবারের বিপিএলে প্রথম বোলার হিসেবে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন পেসার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ।
এমপি/আরএ/