বরিশালকে ফণা তুলতে দেয়নি কুমিল্লা
বিদেশি খেলোয়াড় সংগ্রহে অন্য দলগুলোর তুলনায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এমনিতেই এগিয়ে ছিল। সেখানে আজ তারা নতুন করে যোগ করে সুনিল নারিন ও আন্দ্রে রাসেলের মতো ক্রিকেটারদের। এতে করে তাদের শক্তির পাল্লা আরও বেড়ে যায়। সেই শক্তি কী পরিমাণ বেড়েছে তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে ফরচুন বরিশাল।
টস জিতে বোলিং বেছে নিয়েছিলেন কুমিল্লার কাপ্তান ইমরুল কায়েস। সেখানে তিনি শতভাগ সফল। তার বোলাররা বরিশালের ব্যাটারদের ফণা তুলে দাঁড়াতে দেননি। বিশেষ করে মুকিদুল। চলতি আসরে প্রথম বোলার হিসেবে ২৩ রানে ৫ উইকেট তুলে নিলে বরিশাল ২০ ওভারই টিকতে পারেনি। ১৯.১ ওভারে মাত্র ১২১ রানে অলআউট হয়ে যায়।
বিপিএলের পরিচিত মুখ সুনিল নারিন আর আন্দ্রে রাসেলকে নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। তাদের যোগ্যতা প্রমাণিত। বরিশালের ভয় ছিল এই দুই জনকে নিয়ে। কিন্তু এই দুইজন আতঙ্ক ছড়াতে পারেননি। রাসেল ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে নেন এক উইকেট। সুনিল ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। কিন্তু সেই কাজটিই সারেন ডানহাতি পেসার মুকিদুল ইসলাম। তার শিকার ছিলেন ইনিংসের দুই সর্বোচ্চ সংগ্রাহক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৩৬) ও করিম জানাত (৩২) থেকে শুরু করে সাকিব আল হাসান (৬), চাতুরাঙ্গা ডি সিলভা (২) এবং মোহাম্মদ ওয়াসিম (০)।
মুকিদুলের মতো অন্য বোলাররা উইকেট না পেলেও রান নিয়ন্ত্রণ করেন। ফাঁকে ফাঁকে নিতে থাকেন উইকেট। এসবের ফাঁকে যখনই বরিশালের কোনো ব্যাটার ফণা তোলার চেষ্ঠা করেছেন, তখন মুকিদুল আঘাত হেনেছেন।
এই যেমন মাহমুদউল্লাহ। কুমিল্লার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মাঝেও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছিলেন তিনি। তখনই মুকিদুল ২৬ বলে ১ ছক্কা ও ৩ চারে ৩৬ রান করা মাহমুদউল্লাহকে ফিরিয়ে দেন। কিংবা করিম জানাত। তিনিও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিলেন ২৬ বলে ১ ছক্কা ৪ চারে ৩২ রান করে। তখনই মুকিদুলের আঘাত। এই দুইজন ছাড়া দুই অঙ্কের রান করেন মেহেদি হাসান মিরাজ ১৮ বলে একটি করে চার-ছক্কা মেরে ১৭ করে। তাকে শিকার করেন মোস্তাফিজুর রহমান। ব্যস এতেই কাবু বরিশালের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন।
এমপি/এসজি