কুমিল্লার টানা সপ্তম জয়
চট্টগ্রাম চ্যালেন্জার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স শীর্ষে উঠার লড়াইয়ে বেশ ভালোভাবেই টিকে থাকল। ১০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৪। পয়েন্ট টেবিল নেট রান রেটে তারা তিনেই আছে।
সবার উপরে ১০ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে নেট রান রেটে দুইয়ে ফরচুন বরিশাল।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে করে ১৫৬ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমে কুমিল্লা ১৯ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য অতিক্রম করে। কুমিল্লার এটি ছিল টানা সপ্তম জয়। ১০ ম্যাচে চট্টগ্রামের ছিল অষ্টম পরাজয়।
খুলনার বিপক্ষে ২১০ রান তাড়া করতে নেমে মোহাম্মদ রিজওয়ান মাত্র ৩৯ বলে ৪ ছক্কা ও ৮ চারে ৭৩ রানের ইনিংস খেলে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন। সেই ম্যাচে জনসন চার্লস খেলেছিলেন অপরাজিত ১০৭ রানের ইনিংস।
আজকের ম্যাচে চার্লস পারেননি। ৯ রান করে তিনি আউট হয়ে যান। কিন্তু মোহাম্মদ রিজওয়ান ছিলেন যথারীতি সফল। তার ব্যাট থেকে এসেছে যথারীতি আরেকটি হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস। ৪৭ বলে করেন ৬১ রান। ছক্কা ছিল দুটি, বাউন্ডারি পাঁচটি। আউট হন মৃত্যুন্জয় চৌধুরীর বলে উইকেটের পেছনে ওসমান খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে। তার এই ইনিংসের কারণে ৫৭ রানে ৩ উইকেট হারানোর পরও কুমিল্লার জয় পেতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। রিজওয়ান ৩৮ বলে তুলে নেন বিপিএলের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি। তার আগের তিনটি ইনিংস ছিল অপরাজিত ৫৫, অপরাজিত ৫৪ ও ৭৩ রান৷ মোসাদ্দেককে নিয়ে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৭.৫ ওভারে যোগ করেন ৭৬ রান।
রিজওয়ান যখন আউট হন, তখন কুমিল্লার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৬ উইকেটে ২৬ বলে ২৭ রানের। মোসাদ্দেক জাকের আলীকে নিয়ে সেই কাজ সারেন আর কোনো উইকেট না হারিয়ে। ২৭ বলে ১ ছক্কা ও ৩ চারে ৩৭ রান করে মোসাদ্দেক ও ১০ রান করে জাকের আলী অপরাজিত থাকেন। জিয়াউর ২৭ ও মৃত্যুন্জয় চৌধুরী ৩৫ রানে নেন ২টি করেন উইকেট।
এমপি/এমএমএ/