সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতে প্লে অফে রংপুর

শূন্য রানে নেই প্রথম উইকেট ৯ রানে নেই দ্বিতীয় উইকেট। তাহলে কী খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ঢাকা ডমিনেটরস যে রকম ১০৮ রান করেও ম্যাচ জিতেছিল, আজ রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষেও ১৩০ রান করে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাবে? রংপুরের প্লে অফে যাওয়া বিলম্বিত করে তুলবে? দিয়েছিল মরণ কামড়। কিন্তু না।
শেষ পর্যন্ত ঢাকার পক্ষে পুনরাবৃত্তি ঘটানো আর সম্ভব হয়নি। ঢাকার বোলারদের প্রতিরোধ ভেঙে রংপুর ম্যাচ বের করে নেয় ২ উইকেটে জিতে। যে জয়ে তাদের জায়গা করে দেয় চতুর্থ দল হিসেবে প্লে অফে। ঢাকার ১৩০ রান রংপুর টপকায় ৩ বল হাতে রেখে ১৩৩ রান করে।
রংপুরকে জয় এনে দেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ও রনি তালুকদার। শরিফুল পরপর দুই ওভারে মোহাম্মদ নাঈম (০) ও মাহেদি হাসানকে (৪) আউট করার পর রনি ও নুরুল হাসান ১০.২ ওভারে ৯৩ রান যোগ করে দলের সহজ জয়ের পথ তৈরি করে দেন। কিন্তু দলীয় ১০২ রানেই ৩ বলের ব্যবধানে দুই জনেই ফিরে যান।
প্রথমে নাসির হোসেন ৩৪ রান করা রনি তালুকদারকে আউট করার পর নুরুল হাসানকে আউট করেন শরিফুল ৩১ বলে এবারের বিপিএলে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেওয়ার পর নুরুল আউট হন ৬০ রান করে। তার ৩৩ বলের ইনিংসে ছিল ৩ ছক্কা ও ৭ বাউন্ডারি।
এই দুই ব্যাটসম্যান ফিরে যাওয়ার সময় রংপুরের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৪১ বলে ৬ উইকেটে ২৯ রানের। হাতের নাগালে জয়। কিন্তু সেই হাতের নাগালকে কঠিন করে তুলেন ঢাকার অধিনায়ক নাসির। পটাপট তুলে নেন ৩ উইকেট। অপরদিকে।
তার শিকার ছিলেন একে একে শোয়েব মালিক (৭), শামীম হোসেন (৮) ও রকিবুল হাসান ( ০)। অপরদিকে, মোহাম্মদ নেওয়াজকে (১) ফিরিয়ে দেন আমির হামজা। এর ফলে রংপুরের রান ৪ উইকেটে ১০২ থেকে দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ১২৪।
জয়ের টার্গেট আর বেশি দূরে না থাকায় শেষ পর্যন্ত রংপুরের আর বড় কোনও বিপদ ঘটেনি। হারিস উফকে নিয়ে আজমতউল্লাহ ওমরজাই বাকি ৭ রান তুলে নেন ৬ বলে। আজমতউল্লাহ ৭ ও হারিস ৭ রানে অপরাজিত থাকেন। নাসির ২০ রানে ৪টি ও শরিফুল ১৮ রানে ৩ উইকেট নেন
এমপি/এমএমএ/
