খুলনাকে দর্শক বানিয়ে শীর্ষে উঠার লড়াইয়ে বরিশাল
প্লে-অফে যাওয়ার লড়াইয়ে খুলনা টাইগার্সের শেষ প্রদীপটাও নিভে গেল। আজ (৩ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ম্যাচে খুলনার প্রয়োজন ছিল অত্যাবশ্যকীয় জয়। তাহলেই তারা টিকে থাকতে পারত প্লে-অফে যাওয়ার লড়াইয়ে। সেখানে খুলনা কোনো লড়াই-ই করতে পারেনি। হেরেছে বিনা বাধায় ৩৭ রানে।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বরিশাল ৫ উইকেটে করে ১৯৪ রানের বিশাল সংগ্রহ। জবাব দিতে নেমে খুলনা ৮ উইকেটে ১৫৭ রান সংগ্রহ করে। ১০ ম্যাচে বরিশালের পয়েন্ট ১৪। পয়েন্ট টেবিলে তারা ধরে রেখেছে দ্বিতীয় স্থান। সমান ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে আছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। খুলনার পয়েন্ট ১০ ম্যাচে মাত্র ৪। পয়েন্ট টেবিলে তারা আছে নিচের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে।
রান অতিক্রমে ১৯৪ অনেক বড় টার্গেট। কঠিনও বটে। সচরাচর এত বড় টার্গেট অতিক্রম করার ঘটনা সহজে দৃষ্টিগোচর হয় না। তাই আজও হয়নি।
যেহেতু খুলনার টিকে থাকার মিশন। আগের ম্যাচে কুমিল্লার বিপক্ষে তারা করেছিল ২ উইকেটে ২১০ রান। যদিও সেই রান পরে তারা ধরে রাখতে পারেনি। কুমিল্লা অতিক্রম করে গিয়েছিল ৩ উইকেট হারিয়ে। তারপরও তারা যেহেতু ২১০ রান করতে পেরেছিল আর আজকের ম্যাচটি যেখানে অস্তিত্বের লড়াই তাই খুলনাকে নিয়ে অনেকেই আশাবাদী ছিলেন। তবে সেখানে পানি ঢেলে দেন খুলনার ব্যাটাররা।
পানি ঢালার এই কাজটি শুরু হয় আগের ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করা তামিম ইকবালকে দিয়ে। ১ রানেই ফিরে যান তিনি। এরপর দ্রুতই ফিরে যান অ্যান্ড্রু বালবির্নি ও মাহমুদুল হাসান জয়। অধিনায়ক শাই হোপও ৩৪ রান করে দলীয় ৫৪ রানে ফিরে গেলে খুলনার আকাশে বেলা শেষ হওয়ার অনেক আগেই অন্ধকার নেমে আসে।
সেই অন্ধকার ভেদ করে আবার আলোর দেখা পাওয়ার চেষ্টা করেন নাহিদুলকে নিয়ে ইয়াসির আলী। জুটিতে তারা ৭৯ রানও যোগ করেন ৯.২ ওভারে। তখন দলের রান ১৩৫। খুলনার জয়ের জন্য প্রয়োজন ৩ ওভারে ৫০ রানের। অনেক কঠিনই। তারপরও যেহেতু ইয়াসির আলী ও নাহিদুল উইকেটে সেট হয়ে গেছেন তাই মিরাকল কিছু ঘটতেও পারে। কিন্তু করিম জানাতের এক ওভারেই ৪ বলের ব্যবধানে দুইজনই আউট হয়ে গেলে অবিশ্বাস্য কিছু ঘটার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়।
প্রথমে নাহিদুল ২৪ বলে ২৪ ও ইয়াসির ৩৮ বলে ৩ ছক্কা ৫ চারে ৬০ রান করেন। করিম জানাত ২৯ রানে নেন ৪ উইকেট। ২১ বলে ২৯ রানের পাশাপাশি বল হাতে ২৫ রানে ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন সাকিব আল হাসান।
এমপি/এসজি