মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১২ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ইরফানের সঙ্গে ছবি তোলার হিড়িক মুশফিকদের

বিপিএলের নবম আসরের চমক সিলেট স্ট্রাইকার্স। মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বে আসরের শুরু থেকেই দলটি আছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। যেভাবে দাপুটে খেলে একটির পর একটি দলকে হারিয়ে চলেছে, সেরকম শক্তিশালী দল কিন্তু তারা গড়েনি। মালিকপক্ষের নিঃস্বার্থ নিবেদন, প্রধান কোচ রাজিন সালেহের তত্ত্বাবধানে দেশীয় কোাচিং স্টাফদের আন্তরিকতা আর মাশরাফির নেতৃত্বে ২২ গজে দারুণ লড়ছে সিলেট। সব মিলিয়ে সিলেট হয়ে উঠেছে বিনে সুঁতোয় গাঁথা একটি মালার মতো। সেই সিলেট এবার নতুন চমক দেখিয়েছে পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার মোহাম্মদ ইরফানকে দলে ভিড়িয়ে।

২২ গজে ইরফান আহামরি কোনো বোলার নন। পাকিস্তানের হয়ে ৪টি টেস্ট, ৬০টি ওয়ানডে ও ২২টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ইরফান। উইকেট যথাক্রমে ১০টি, ৮৩টি ও ১৬টি। পাকিস্তানের হয়ে সর্বশেষ মাঠে নেমেছেন ২০১৯ সালে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ক্যানবেরায়। তাকে দলে নেওয়ার বড় চমক তার উচ্চতা। ইরফানের উচ্চতা ৭ ফুট ১ ইঞ্চি।

পিএসএল খেলার জন্য বিপিএলে খেলা পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা চলে যেতে শুরু করেছেন। সিলেটের হয়ে খেলা মোহাম্মদ আমির ও ইমাদ ওয়াসিম চলে গেছেন। তাদের জায়গায় সিলেট যে দুই ক্রিকেটারকে নিয়ে এসেছে তাদের একজন মোহাম্মদ ইরফান।

সিলেট স্ট্রাইকার্সে যোগ দেওয়ার পর আজই (২ ফেব্রুয়ারি) তিনি প্রথম মিরপুর একাডেমি মাঠে অনুশীলন করতে আসেন। তিনি অনুশীলনে আসার পর তার সঙ্গে ছবি তোলার ধুম পড়ে যায়। শুধু সিলেটের ক্রিকেটাররাই নন, অন্য দলের ক্রিকেটাররাও মোহাম্মদ ইরফানের সঙ্গে ছবি তুলতে চলে আসেন।

ইরফানের উচ্চতা দেখে সিলেটের মুশফিকুর রহিম, রাজিন সালেহ, জাকির হাসানসহ অনেকেই হাসি-তামাশায় মেতে উঠেন। কম যাননি মোহাম্মদ ইরফানও। ইরফানকে দেখেই মুশফিক ছবি তোলার জন্য হাসতে হাসতে তার দিকে ছুটে যান। এসময় ইরফানও এগিয়ে আসেন। দুইজন মুখোমুখি হতেই ইরফান মুশফিকের সামনে হাঁটু গেড়ে বসে পড়েন। এসময় মুশফিক তাকে উঠে দাঁড়াতে বললে ইরফান আর উঠে দাঁড়াননি। দেখা যায় তিনি হাঁটু গেড়ে বসার পর উচ্চতায় মুশফিক তার সমান হন। মুশফিকের উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি।

ইরফানের সঙ্গে মুশফিক ছবি তোলার পর রাজিব সালেহ ও জাকির হাসানও ছুবি তুলতে দাঁড়িয়ে পড়েন। সঙ্গে ছিলেন মুশফিক। তাদের পেছনে দাঁড়ান ইরফান। এসময় মুশফিক ঠাট্টা করে রাজিন সালেহের মাথায় থাকা ক্যাপ সরিয়ে ফেলেন। তারা ছবি তোলার সময় মনে হবে মুশফিক-রাজিন-জাকিরের পেছনে দাঁড়ানো ইরফান কোনো কিছুর উপর দাঁড়িয়ে আছেন।

মুশফিক-রাজিন-জাকির ছুবি তোলার পর ফরচুন বরিশালের পেসার এবাদত হোসেনও চলে আসেন ছুবি তুলতে। এসেই তিনি ইরফানের দিকে মাথা উঁচু করে তাকিয়ে হাসি-ঠাট্টা করতে থাকেন। একবার লাফ দিয়ে ইরফানের উচ্চতার সমান হওয়ার চেষ্টা করেন।

এমপি/এসজি

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় যৌথ বাহিনীর টহল সন্দেহ হলেই করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নিরাপত্তা জোরদার করতে নওগাঁয় যৌথ বাহিনীর টহল শুরু হয়েছে। সন্দেহ হলে করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে সদর থানা থেকে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আনসারের সমন্বয়ে যৌথ বাহিনীর এই টহল শুরু করা হয়।

জানা যায়, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে আজ রাত ৮টা থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে যৌথ বাহিনীর টহল শুরু করা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, সিএনজি, মোটরসাইকেল ও বাস থামিয়ে কাগজপত্র যাচাই ও তল্লাশি করা হচ্ছে। এছাড়া, সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান বলেন, ‘ছিনতাই, ডাকাতি ও চাঁদাবাজি রোধে আমরা সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন উপজেলায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছি। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে যৌথ টহল অভিযান শুরু করা হয়েছে। মানুষ যাতে আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে নিশ্চিন্তে চলাফেরা করতে পারে, তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এছাড়া প্রকৃত দুষ্কৃতকারী আইনের আওতায় আনা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নওগাঁ ধান ও চালের জন্য বিখ্যাত। প্রতিদিন বিভিন্ন ট্রাকে করে ধান ও চাল বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এ সময় কেউ অনিরাপদ মনে করলে, আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে তাদেরকে শতভাগ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।’

Header Ad
Header Ad

সরকারের কারও কারও বক্তব্যে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু ব্যক্তির বক্তব্যে দেশে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। তিনি প্রশাসনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অস্থিতিশীলতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানান।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কুমিল্লা টাউনহল মাঠে মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, "আমরা কোনো অস্থিতিশীলতা দেখতে চাই না। সরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে পারবে। নির্বাচন বিলম্ব হলে যাদের সুবিধা হবে, তারাই ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপি শক্তিশালী হলে তৃণমূলে আরও দৃঢ় হবে, তাই অনেকে ষড়যন্ত্র করছে।"

তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশে গণতন্ত্রের চর্চা থাকলে ষড়যন্ত্রকারীদের হাত থেকে দেশ ও জনগণকে রক্ষা করা সম্ভব। গণতন্ত্র যত বেশি চর্চিত হবে, ততবেশি দেশ নিরাপদ থাকবে।"

তারেক রহমান দাবি করেন, "আমরা চাই অন্তর্বর্তী সরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেবে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমরা দেখছি, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন কথা বলছেন। আমরা বাংলাদেশে অস্থিরতা চাই না। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই এই অস্থিরতা দূর করা সম্ভব।"

বিএনপির চলমান আন্দোলনের প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, "গত ১৫-১৬ বছর ধরে বিএনপি গুম, খুন, হামলা, মামলা ও নির্যাতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তবে বিএনপি জনগণের দল, জনগণের কথা বলে। আমরা মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন চালিয়ে যাব।"

তিনি আরও বলেন, "মত পার্থক্য থাকা স্বাভাবিক, কিন্তু সেটি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত। বিভেদ সৃষ্টি করা উচিত নয়। আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে দেশের জন্য কাজ করতে চাই।"

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। তিনি বলেন, "শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। কিন্তু জনগণের বিজয় সুনিশ্চিত।"

বুলু নোবেল বিজয়ী ড. ইউনুসের প্রসঙ্গে বলেন, "হাসিনা আপনাকে হয়রানি করেছেন, বিএনপি তার প্রতিবাদ করেছে। তারেক রহমান আপনাকে সম্মান করেন। দ্রুত নির্বাচন দিয়ে জনগণের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকুন।"

সম্মেলনে মহানগর বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। আগামী দুই বছরের জন্য সভাপতি হয়েছেন উদবাতুল বারী আবু, সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন রাজিউর রহমান রাজিব।

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোশতাক মিয়া, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন, সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুজ্জামান আমিরসহ অন্যান্য নেতারা।

Header Ad
Header Ad

বারিন্দ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ, আটক ৪

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর বারিন্দ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চাঁদাবাজির অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীরা তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে উপস্থিত সবার সামনে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয় এবং পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, অভিযুক্তরা ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ রাজশাহী জেলা কমিটির পরিচয় দিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে চাঁদা দাবি করছিলেন। এদের মধ্যে রয়েছেন সংগঠনটির মুখ্য সংগঠক সোহাগ সরদার, যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ বারি এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয়ক মিসকাতুল মিশু।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বারিন্দ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানান, তারা বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে অর্থ দাবি করছিলেন। সন্দেহজনক আচরণের কারণে তাদের আটক করা হয় এবং পরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁয় যৌথ বাহিনীর টহল সন্দেহ হলেই করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ
সরকারের কারও কারও বক্তব্যে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে: তারেক রহমান
বারিন্দ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ, আটক ৪
জুলাইয়ে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ঢাকায় আসবে পাকিস্তান
টাঙ্গাইল পৌরসভায় দুদকের অভিযান
ডিআইজি-এসপিসহ পুলিশের ৮২ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ওএসডি
অনির্দিষ্টকালের জন্য কুয়েট বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
পদোন্নতি পেয়ে সচিব হলেন ৭ জন অতিরিক্ত সচিব
দেশজুড়ে ডেভিল হান্টে আরও ৬৩৯ জন গ্রেপ্তার
এআই প্ল্যাটফর্ম সালামা: ২০ সেকেন্ডে মিলবে দুবাইয়ের ভিসা
অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ পণ্ড হওয়ায় যেমন দাঁড়ালো ‘বি’ গ্রুপের সমীকরণ
চুয়াডাঙ্গায় নবদম্পতিকে কুপিয়ে লুট, ৪৫ হাজার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪
রমজানে ব্যাংক লেনদেন চলবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত
হস্তান্তরের আগেই ফাঁটল রামগঞ্জের মডেল মসজিদে, স্থানীয়দের অসন্তোষ
৫০৪ জন নিয়োগ দেবে ডাক বিভাগ, আবেদন অনলাইনে
‘আল্লাহ জানেন, একদিন নাহিদ হয়তো দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন’
বাসে ডাকাতি ও নারীদের শ্লীলতাহানির ঘটনায় মূলহোতাসহ আরও ২ জন গ্রেফতার
ভারতে ১৬৮ বছরের পুরনো মসজিদ গুঁড়িয়ে দিল যোগী সরকার
সরকারে থাকার চেয়ে রাজপথে থাকা বেশি প্রয়োজন, তাই পদত্যাগ করেছি: নাহিদ
নদীদূষণ রোধে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত