বিপিএল ট্রেন ফিরেছে রাজধানীতে
দুটি কুঁড়ি একটি পাতার দেশ সিলেট থেকে মুগ্ধতা ছড়িয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ট্রেন আবার ফিরেছে রাজধানী ঢাকায়। ঢাকায় দুই দফা ও চট্টগ্রামের পর সিলেটেই বিপিএল জমেছিল দারুণভাবে। ৮টি ম্যাচের প্রতিটিতে দর্শক ছিল পরিপূর্ণ। যেখানে অপূর্ণতা ছিল ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
দুই দিন বিরতি দিয়ে ঢাকায় বিপিএলের শেষ পর্ব শুরু হবে ৩ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) থেকে। শুক্রবার প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে ফরচুন বরিশাল ও খুলনা টাইগার্স। দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে ঢাকা ডমিনেটরস ও রংপুর রাইডার্স।
ঢাকায় দ্বিতীয় দফায় ২৩ ফেব্রুয়ারি খেলা শেষ হওয়ার পর বিপিএল সিলেটে অবস্থান করেছিল ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। কিন্তু খেলা হয়েছে ৪ দিন। এই ৪ দিনে মোট খেলা হয়েছে ৮টি। আসরের শুরু থেকেই শীর্ষে থাকা সিলেট স্ট্রাইকার্স নিজেদের হোম গ্রাউন্ডেও শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। যদিও তারা প্রথম দিন প্রথম ম্যাচেই হেরেছিল রংপুর রাইডার্সের কাছে ৬ উইকেটে। কিন্তু এরপরই ঘুরে দাঁড়িয়ে পরের দুই ম্যাচ জিতে ১০ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান আরও মজবুত করে। একইসঙ্গে প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফে খেলাও নিশ্চিত করে।
সিলেটের পাশাপাশি ফরচুন বরিশাল ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সও প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে। দুই দলেরই ৯ ম্যাচে পয়েন্ট ১২ করে। শেষ স্থানটির জন্য লড়াই করছে রংপুর রাইডার্স ও নিভু নিভু সম্ভাবনা নিয়ে খুলনা টাইগার্স। ৮ ম্যাচে রংপুরের পয়েন্ট ১০। তারা আর একটি ম্যাচ জিতলেই প্লে-অফ নিশ্চিত করবে। খুলনার পয়েন্ট ৯ ম্যাচে মাত্র ৪। তারা আছে পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে। ১০ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে থাকা ঢাকা ডমিনেটরস আসর থেকে বিদায় নিয়েছে। বিদায় নেওয়ার তালিকায় আছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সও। তাদের পয়েন্ট ৯ ম্যাচে ৪।
সিলেট পর্বে অপরাজিত ছিল রংপুর রাইডার্স। তারা দুই ম্যাচ খেলে দুইটিতেই জয় পায়। ঢাকা পর্বে অপরাজিত ছিল সিলেট। ঢাকায় প্রথম পর্বে সিলেট টানা ৪ ম্যাচ জিতে অপরাজিত থেকে গিয়েছিল চট্টগ্রামে। সেখানে গিয়ে তারা প্রথম হারের স্বাদ নিয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে। চট্টগ্রামে আবার বরিশাল ছিল অপরাজিত। এখানে তারা জিতে টানা ৪ ম্যাচ।
দ্বিতীয় দফায় রাজধানীতে বিপিএল ফেরার পর ঢাকা দুটি ম্যাচ খেললেও বাকি ছয় দল খেলেছিল একটি করে ম্যাচ। ঢাকা একটিতে জয় ও অপরটিতে হারের স্বাদ পেয়েছিল। সিলেট, কুমিল্লা ও রংপুর নিজ নিজ ম্যাচ জিতে দ্বিতীয় দফায় ছিল অপরাজিত।
এমপি/এসজি