সবার আগে শেষ চারে সিলেট
হার দিয়ে নিজেদের মাঠে সিলেট স্ট্রাইকার্স খেলা শুরু করেছিল। কিন্তু শেষ করেছে সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটিয়ে। টানা দুই ম্যাচ জিতে শেষ করেছে সিলেট পর্ব। আজ খুলনা টাইগার্সের শেষ চারে যাওয়ার সম্ভাবনাকে ঝুঁকিতে ফেলে সিলেট সবার আগে শেষ চারে খেলা নিশ্চিত করেছে ৩১ রানে ম্যাচ জিতে। ব্যাট হাতে ম্যাচ সেরা তৌহিদ হৃদয়ের ৭৩ ও জাকির হাসানের ৫৪ রানে ভর করে সিলেট ৪ উইকেটে ১৯২ রান করে। পরে বল হাতে রুবেল হোসেনের ৩৭ রানে ৪, মোহাম্মদ আমিরের ২৮ ও রেজাউর রহমান রাজার ২৯ রানে ২ উইকেট খুলনা ৯ উইকেটে ১৬১ রান করলে সিলেট জয় পায় ৩১ রানে। ৯ ম্যাচে ৭ জয়ে সিলেটের পয়েন্ট ১৪। খুলনার পয়েন্ট ৮ ম্যাচে মাত্র ৪।
বিপিএলে এবার নিয়মিত খেলার সুযোগ পাননি জাতীয় দলের পেসার রুবেল হোসেন। দুটি ম্যাচ খেলে উইকেট পেয়েছিলেন ২টি। সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছিলেন ১৭ জানুয়ারি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে। আজ আবার খেলার সুযোগ পেয়ে যথাযথভাবে কাজে লাগান নিজের প্রথম ওভারের প্রথম ও ষষ্ঠ বলে তামিম ইকবাল (১২) ও অ্যান্ডি বালর্বিনিকে (৭) আউট করে।
সাই হোপ ও মাহমুদুল হাসান জয় জুটি মারমুখি ব্যাটিং করে একই ওভারে উদ্বোধনী জুটি হারানো ক্ষত পুষিয়ে দেন মাত্র ৫.৫ ওভারে ৫৪ রান যোগ করে। বেশি অবদান ছিল সাই হোপের। তিনি ২২ বলে ২টি করে চার ও ছয় মেরে ৩০ রান করে রেজাউর রহমান রেজার বলে রায়ান বার্লের হাতে ধরা পড়েন।
মাহমুদুল হাসান জয় ও আজম খান জুটি বাধার পর বলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শুরুতে রান সংগ্রহ করতে পারছিলেন না। ফলে খুলনার রান রেটে বেড়ে যেতে থাকে। ১০ ওভার শেষে তাদের রান ছিল ৭৯। এ সময় মাহমুদুলের রান ছিল ১৬ বলে ১৭, আজম খানের ৫ বলে ৩ রান।
১১ ওভার পর থেকেই দুই জনেই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে থাকেন। বেশি ছিলেন আজম খান। কিন্তু খুব বেশি দূর যেতে পারেননি দুই জনেই। ২০ রান করে মোহাম্মদ আমিরের বলে রেজাউরের হাতে ধরা বিদায় নিলেও আজম খান আক্রমণাত্মক ধারা ধরে রাখেন। ২ ছক্কা ও ৪ চারে ১৭ বলে ৩৩ রান করার পর ইমাদ ওয়াসিমের শিকার হয়ে তিনিও ফিরে এলে খুলনার আর ম্যাচে ফিরে আাসা হয়নি। অধিনায়ক ইয়াসির আলী (৪)ও মার্ক ডিয়েল (৩) দ্রুত ফিরে গেলে খুলনার বড় হার নিশ্চিত হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত তারা ৯ উইকেটো ১৬১ রান পর্যন্ত যেতে পেরেছিল মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ১৩ ও নাসুম আহমেদ অপরাজিত ১৩ রান করলে।
এমপি/আরএ/