তৌহিদের ব্যাটে রান, সিলেট গড়ল ১৯২ রানের পুঁজি
নবম বিপিএলের চমক ছিলেন তৌহিদ হৃদয়। তার ব্যাটের দ্যুতিতে আলোকিত হয়ে উঠেছিল বিপিএলের নবম আসর। সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে প্রথম ম্যাচে ব্যাট করার সুযোগ পাননি।
পরের তিন ম্যাচেই তিনি দ্যুতি ছড়ান। রব উঠে তৌহিদ হৃদয়, তৌহিদ হৃদয়। কিন্তু এরপরই ঘটে ছন্দ পতন। ঢাকার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৮৪ রানের ইনিংস খেলার পর ফিল্ডিং করতে গিয়ে আহত হয়ে ছিটকে যান।
দুই ম্যাচ পর ফিরে আসলেও তার ব্যাট আর হাসেনি। আজ আবার তার ব্যাট হেসেছে। তার ব্যাটে ভর করেই ৭৪ রানের ইনিংসের সঙ্গে জাকির হাসানের ৫৩ রানে সিলেট নিজেদের মাঠে শেষ ম্যাচ খেলতে নেমে জেতার মতো স্কোর গড়েছে ৪ উইকেটে ১৯২ রান।
সিলেটের গত দুই ম্যাচের জয়ের নায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আজ আর পারেননি ইনিংস লম্বা করতে। দলীয় ২৫ ও ব্যাক্তিগত ৬ রানে মার্ক ডিয়ালের বলে সাই হোপের হাতে ধরা পড়েন। এরপর ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন তৌহিদ হৃদয় ও জাকির হাসান।
ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরে আসালেও তৌহিদ হৃদয় নিজেকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। ঢাকায় ৫৫,৫৬ ও ৮৪ রানের তিনটি ইনিংস খেলার পর ফিরে এসে তিনি খেলেন ৪, ০ এবং ১৫ রানের ইনিংস। রানে ফেরাতে থাকে তিন থেকে ওপেনিংয়ে নিয়ে আসা হয়। অবশেষে আজ ওপেনিংয়ে তিনি সফল হন। খেলেন ৪৯ বলে ৯ বাউন্ডারিতে ৭৪ রানের ইনিংস।
ইনিংসের যবনিকা ঘটে নাহিদ রানার বলে ইয়াসির আলীর হাতে ধরা পড়ে। বিপিএলে চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ৩৪ বলে ৬ বাউন্ডারিতে। জাকিরের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১০.৫ ওভারে যোগ করেন ১১৪ রান।
জাকিরের অবস্থা ছিল আরও খারাপ। চট্টগ্রাম থেকে শুরু হয় তার রান খরা। এ সময় ৪ ইনিংসে তিনি দুই অংকের ঘরেই যেতে পারেননি। ১ ৯,০,০। আজ তিনি ৩৮ বলে ৫৪ রান করে নাহিদুলের বলে বোল্ড হন। বিপিএলে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ৩৬ বলে ৪ ছক্কা ও ২ চারে।
জাকির আউট হওয়ার পরপরই মুশফিকুর রহিমও দ্রুত ৭ বলে ৭ রান করে আউট হওয়ার পর রায়ান বার্ল ও থিসারা পেরেরা শেষ ১০ বলে করেন ৩০ রান। পেরেরা ৭ বলে ১ ছক্কা ও ২ চারে ১৭ ও রায়ান বার্ল ১১ বলে ২ ছক্কা ও ১ চারে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন। মার্ক ডিয়াল ৪০ রানে নেন ২ উইকেট।
এমপি/এমএমএ/