নাদালের চোখে ফেবারিট জোকোভিচ
রাত পোহালেই শুরু হবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। টুর্নামেন্টে ছেলেদের এককে হট-ফেবারিট নোভাক জোকোভিচ। শিরোপার শক্ত ভাগিদার রাফায়েল নাদালও। বলা হচ্ছে, বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লামে দুজনের মধ্যে হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। তবে নাদালের চোখে ফেবারিট জোকোভিচ।
টেনিসের নতুন মৌসুমে প্রথম মেজর টুর্নামেন্টে ফাইনালের আগে দেখা হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের এমন ড্রয়ের পর টুর্নামেন্টের ১১১তম সংস্করণে অনেকেই ফাইনালে জোকোভিচ-নাদালকে দেখছেন। যদি এমন কিছুই হয়, সেক্ষেত্রে শিরোপা জয়ের দৌড়ে চিরশত্রুকে এগিয়ে রাখলেন স্প্যানিয়ার্ড।
নাদাল বলেছেন, ‘জোকোভিচ খুব ভালোভাবে প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে। বছরের শেষ দিকে সে দারুণ ফল পেয়েছে এবং এ বছরটাও জিতে শুরু করেছে। এটি এমন একটি টুর্নামেন্ট যেখানে সে সবসময়ই ফেবারিট। যদি আমরা ফেবারিটদের কথা বলি, তবে এটা নিঃসন্দেহে জোকোভিচ।’
ভুল কিছু বলেননি নাদাল। অস্ট্রেলিয়ার ওপেনের রাজা জোকোভিচ: সর্বোচ্চ নয়বারের চ্যাম্পিয়ন এবং টুর্নামেন্টের দশম শিরোপা জয়ের আগে প্রস্তুতিতে হেসেছেন জয়ের হাসি। অস্ট্রেলিয়ায় কয়েক সপ্তাহ আগে ওয়ার্ম-আপ টুর্নামেন্টে অ্যাডিলেড ইন্টারন্যাশনালে ৯২তম ক্যারিয়ার শিরোপা জিতেছেন জোকোভিচ।
টিকা না নেওয়ায় গত বছর মেলবোর্নে খেলা হয়নি সার্ব তারকার। তার অনুপস্থিতিতে দ্বিতীয়বারের মতো অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে শিরোপা উল্লাস করেন নাদাল। গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের সংখ্যায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে এগিয়ে তিনি: নাদাল ২২, জোকোভিচ ২১।
টেনিসের উন্মুক্ত যুগে মেজর টুর্নামেন্টে ছেলেদের মধ্যে সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ের রেকর্ড নাদালের দখলে। কিন্তু গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইউএস ওপেনের পর একটি মাত্র ম্যাচে জয়ের স্বাদ পেয়েছেন এই স্প্যানিয়ার্ড। এমনকি মৌসুম শুরু করেছেন হার দিয়ে।
সিডনিতে মিক্সড টিম ইউনাইটেড কাপে নাদাল তার মৌসুমের উদ্বোধনী ম্যাচে হারেন ১২তম র্র্যাঙ্কেও ক্যামেরুন নরির কাছে। এরপর বিধ্বস্ত হন অস্ট্রেলিয়ার অ্যালেক্স ডি মিনাউরের বিপক্ষে। সেই ব্যর্থতা ভুলে জোকোভিচের ফেবারিট টুর্নামেন্টের জন্য নিজেকে প্রস্তুত বলেই দাবি করেছেন নাদাল।
স্প্যানিশ তারকা বলেছেন, ‘সত্য বলতে আমি নিজেকে প্রস্তুত মনে করছি। আমার পক্ষে যেটা আসেনি তা হলো জয়। তবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের জন্য প্রস্তুত হতে যা প্রয়োজন সেগুলো আমি করেছি। ইউনাইটেড কাপে কিছু জয় চেয়েছিলাম, কিন্তু পাইনি। তাই যা আছে তা নিয়েই আমাকে বাঁচতে হবে।’
এমএমএ/