সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ | ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

শেখ কামাল যুব গেমসের লোগো এবং মাসকট উন্মোচন

সেনাবাহিনী প্রধান ও বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, পিএইচডি প্রধান অথিতি হিসেবে শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসস্থ আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের তত্ত্বাবধানে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত শেখ কামাল ২য় বাংলাদেশ যুব গেমস-২০২৩ এর লোগো এবং মাসকট উন্মোচন করেন।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের ক্রীড়াঙ্গন। দেশের বিভিন্ন স্থান হতে প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের খুঁজে বের করাই এ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য এবং নতুন প্রতিভার সমন্বয়ে আমরা জাতীয় দলগুলোকে সমৃদ্ধ করতে পারব।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল ছিলেন দেশের অন্যতম ক্রীড়া সংগঠক ও তারুণ্যের প্রতীক। তার যৌবন দীপ্ত ক্রীড়াশৈলী দেশের তরুণদের প্রতিনিয়ত অনুপ্রাণিত করে। এ প্রজন্মের তরুণরাও খেলাধুলার বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের প্রতিভা ও ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করে আগামীতে হয়ে উঠবে অনন্য সাধারণ ক্রীড়াবিদ, যোগ করেন তিনি।

এ কারণেই শেখ কামাল ২য় বাংলাদেশ যুব গেমস-২০২৩ এর লোগোতে রয়েছে তারুণ্যের প্রতীক শেখ কামালের প্রতিকৃতি এবং মাসকটে ব্যবহার করা হয়েছে বাবুই পাখী, যা প্রাণ চঞ্চলতার প্রতীক এবং শত প্রতিকূলতার মাঝেও সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়।

‘শেখ কামাল যুব গেমস’ এর মূল লক্ষ্য হল দেশব্যাপী উদীয়মান তরুণ-তরুণীদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করা এবং প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দেশের ভাবমূর্তিকে সমুন্নত করা। উল্লেখ্য, গত বছরের ন্যায় এ বছরও বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সহযোগী হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

শেখ কামাল যুব গেমস-২০২৩ এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রয়েছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, চেয়ারম্যান হিসেবে জনাব আহম মোস্তফা কামাল, মন্ত্রী, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং কো-চেয়ারম্যান হিসেবে সম্মানিত সেনাবাহিনী প্রধান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করবেন।

অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী প্রধানের স্ত্রী নুরজাহান আহমেদ; চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান, পিএইচডি সস্ত্রীক এবং কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. সাইফুল আলম, পিএইচডি সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া, সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব, অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ, সম্মানিত স্পন্সররা, গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, লোগো এবং মাসকট উন্মোচনের আমন্ত্রিত অথিতিদের সম্মানে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং থিম সং বাজিয়ে শোনানো হয়। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে আগামী ০২ হতে ১০ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত প্রথম পর্বে আন্তঃউপজেলা, ১৬ হতে ২২ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্বে আন্তঃজেলা এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি হতে ০৪ মার্চ ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত জাতীয় পর্যায়ে এই গেমস অনুষ্ঠিত হবে।

এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

সমন্বয়ক পরিচয়ে আ’লীগ নেতার বাড়ী দখলের অভিযোগে সেই মিস্টি গ্রেফতার

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

ছাত্র প্রতিনিধি ও সমন্বয়ক পরিচয়ে টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলামের ৫ তলা বিশিষ্ট একটি ভবন দখল, ভাঙচুর, লুটপাট ও ১০ কোটি টাকার চাঁদা দাবির অভিযোগে মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রবিবার (০৯ মার্চ) রাতে টাঙ্গাইল পৌর শহরের পশ্চিম আকুর-টাকুরপাড়া (হাউজিং) এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশ।

এরআগে রবিবার (০৮ মার্চ) অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলামের স্ত্রী রওশন আরা খান নারী সমন্বয়ক মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টির বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করে।

অভিযোগ তিনি উল্লেখ করেন- টাঙ্গাইল সদর থানাধীন আকুর টাকুর পাড়া (ছোট কালী বাড়ি রোড) সাকিনস্থ বাদী বাসার ৫ম তলাবিশিষ্ট বিল্ডিংয়ের কেচি গেটের ৬ষ্ঠ তালা ভেঙে মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টিসহ আরও অজ্ঞতনামা ৮/৯ জন ৫ লাখ টাকা এবং ১০ ভরি স্বর্ণালংকার (যার মূল্য অনুমান ১২ লাখ টাকা) চুরি করে নিয়ে যায়।

এছাড়াও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে আনুমানিক ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে। পূর্বপরিকল্পিতভাবে ১৭ জন মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষ নিয়ে তালা ভেঙে ১৭ জন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে রুমে প্রবেশ করায়।  এ বিষয়ে মিস্টির কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি রেগে গিয়ে বলেন, এই বাড়িতে বসবাস করতে হলে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দিতে হবে। অন্যথায় আগামী ৭ দিনের মধ্যে বাড়িটি পুড়িয়ে ফেলা হবে।

এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভীর আহম্মেদ জানান, বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট, দখল ও চাঁদাদাবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে টাঙ্গাইল সদর থানার একটি মামলা রুজু করা হয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামি মারইয়াম মুকাদ্দাস মিষ্টিকে গ্রেফতার করা হয়। জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত।

উল্লেখ্য, গত শনিবার ৮ মার্চ সকালে টাঙ্গাইল জেলা ছাত্র প্রতিনিধি ও সমন্বয়ক পরিচয়ে মারইয়াম মুকাদ্দাস মিস্টি টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলামের (ভিপি জোয়াহের) ৫ তলা বিশিষ্ট একটি বাসার তালা ভেঙে ১৭ জন নারী-পুরুষ ভারসাম্যহীন রোগী নিয়ে বাসা দখল করে।

এরপর জেলা জুড়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এতে নড়চড়ে বসে প্রশাসন। এদিন রাত সাড়ে ১০ টার দিকে টাঙ্গাইল পৌর শহরের ছোট কালিবাড়ীতে অবস্থিত ৫তলা বিশিষ্ট ভবনটি যৌথবাহিনীর অভিযানে দখলমুক্ত করা হয়। এতে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা সহকারী কমিমনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন শরিফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অপরদিকে, একদিন ওই নারী সমন্বয়ক মারইয়াম মুকাদ্দাস মিস্টিকে আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর সদস্যরা তাকে হেফাজতে নেন। পরে অভিযুক্ত এই নারী এ ধরণের কর্মকাণ্ড করে অপরাধ করেছেন মর্মে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের অপরাধ করবেন না মর্মে প্রত্যয়ন দেন। মুচলেকায় তার স্বামীসহ মোট ৫ জন সাক্ষী স্বাক্ষর করেন। বিশ্ব নারী দিবস ও আত্মশুদ্ধির মাস রমজান বিবেচনায় ভুল শুধরে নেওয়ার একটি সুযোগ দিতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

রংপুরে মশাল মিছিল: ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি ফাঁসি কার্যকরের দাবি

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি এবং তা প্রকাশ্যে কার্যকরের দাবিতে রংপুরে মশাল মিছিল ও সমাবেশ করেছে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতা।

রবিবার (৯ মার্চ) রাত সাড়ে ৭টায় নগরীর টাউন হলের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে সিটি ভবন, সুপার মার্কেট মোড়, পায়রা চত্বর, প্রেসক্লাব হয়ে জাহাজ কোম্পানি মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

এ সময় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ ধর্ষণবিরোধী নানা স্লোগান দেয় এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।

পরে জাহাজ কোম্পানি মোড়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, ধর্ষণের শাস্তি অবশ্যই প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের আহ্বান জানান তারা।

এর আগে, দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে এবং বিকেলে কারমাইকেল কলেজে একই দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।

Header Ad
Header Ad

সাবেক ৬৪ সচিবের আমলনামা যাচাই করবে সরকার  

ছবিঃ সংগৃহীত

করোনা মহামারির সময় ৬৪ জেলায় দায়িত্ব পালন করা সচিবদের কর্মকাণ্ড পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ত্রাণ বিতরণে অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অভিযোগে তাদের কার্যক্রমের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সচিবরা ইতোমধ্যে অবসর গ্রহণ করলেও কয়েকজনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতারসহ তদন্ত চলছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এই যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া পরিচালিত হচ্ছে।

জানা গেছে, বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালে সারা দেশে কয়েক দফায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়। সে সময় জরুরি সেবা ছাড়া বাকি সবাইকে ঘরে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। এ সময় মানুষকে সহায়তার জন্য ৬৪ জেলায় ৬৪ জন সচিবকে দায়িত্ব দেয় সরকার। অভিযোগ উঠেছে, ৬৪ জেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবেক এই সচিবরা দায়িত্ব নিয়ে নিজেদের ইচ্ছামতো সাহায্য কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। তাদের মাধ্যমে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। তাদের ইচ্ছায় সবকিছু পরিচালিত হয়েছে। অনেকেই সহায়তার অর্থ ঠিকমতো পায়নি।

গ্রামে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তালিকা করা এবং তাদের কাছে সরকারি সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করতে গিয়ে সচিবরা শত শত কোটি টাকা লোপাট করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের কাজ আমলাদের দিয়ে করানোয় সংসদে বিতর্ক তোলা হলেও পদ-পদবি হারানোর ভয়ে মন্ত্রী-এমপিদের প্রতিবাদ বেশি দূর এগোয়নি। করোনার ওই সময় যে ৬৪ সচিব সরকারি ত্রাণ বিলি-বণ্টন এবং দুর্গতদের তালিকা করার দায়িত্বে ছিলেন, তাদের ভূমিকা অনুসন্ধান করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, তারা ‘কট্টর আওয়ামী সমর্থক’ হিসেবে পরিচিত। ওই সচিবদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেও জানা গেছে।

করোনার সময় বিভিন্ন এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তালিকা করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তবে জনপ্রতিনিধিদের করা সেই তালিকাকে অনেকাংশে গুরুত্ব না দিয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিজেদের করা তালিকা অনুযায়ী সরকারি সহায়তার অর্থসহ নানা ধরনের সুবিধাদি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হচ্ছে। অভিযোগকারীরা বলছেন, এতে লাখ লাখ প্রান্তিক অসহায় জনগোষ্ঠী সহায়তার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এমন অভিযোগ তৎকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে করা হলেও বিষয়টি আমলে আনা হয়নি। পরবর্তী সময়ে করোনাকালে সরকারি সহায়তার নামে শত শত কোটি টাকা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২ কোটি মানুষকে তথা ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে নগদ সহায়তা প্রদানের উদ্যোগ নেয় তখনকার সরকার। এ জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। কিন্তু ১৫ লাখ পরিবারের কাছে টাকা পৌঁছানো যায়নি যথাযথ তথ্যভাণ্ডারের অভাবে। পরে ক্ষতিগ্রস্ত ১ লাখ কৃষককে এককালীন ৫ হাজার টাকা করে নগদের মাধ্যমে প্রদান করা হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণ কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য প্রতি জেলায় একজন করে সচিবকে দায়িত্ব দিয়ে আদেশ জারি করেছিল তৎকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জারি করা ওই অফিস আদেশে বলা হয়, দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব বা সচিবরা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণ কার্যক্রম সমন্বয় কাজে তার মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বা দপ্তর সংস্থার উপযুক্ত সংখ্যক কর্মকর্তাকে সম্পৃক্ত করতে পারবেন। নিয়োগ করা কর্মকর্তারা জেলার সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় গণমাধ্যম ব্যক্তি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন করে কোডিড-১৯ সংক্রান্ত স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা ও সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনার কাজ তত্ত্বাবধান ও পরিবীক্ষণ করবেন। পাশাপাশি জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পরিবীক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সমন্বয় সাধন করবেন। সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত সমস্যা বা চ্যালেঞ্জ বা অন্য বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বা দপ্তর বা সংস্থাকে লিখিত আকারে জানাবেন এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে নিয়মিত অবহিত করবেন। আরো বলা হয়, অবসর বা বদলির কারণে সিনিয়র সচিব বা সচিবের দপ্তর পরিবর্তন বা পদ শূন্য হলে সেখানে নিযুক্ত সিনিয়র সচিব বা সচিব দায়িত্ব পালন করবেন।

আদেশে উল্লেখ করা দায়িত্ব পালন করা সচিবরা ছিলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম (মুন্সীগঞ্জ), আইসিটি বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম (কুমিল্লা), অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম (সিরাজগঞ্জ), জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন (চট্টগ্রাম), স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ (কক্সবাজার), জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব এবং নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান (শরীয়তপুর), পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার (মানিকগঞ্জ), প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল (যশোর), কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম (লালমনিরহাট), গণপূর্ত সাবেক সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার (গোপালগঞ্জ), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান (রাঙামাটি), প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের সাবেক সচিব পবন চৌধুরী (লক্ষ্মীপুর), সড়ক বিভাগের সাবেক সচিব মো. নজরুল ইসলাম (শেরপুর), ট্যারিফ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমেদ (ফরিদপুর), জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অ্যাকাডেমির সাবেক মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবুল কাশেম (রাজশাহী), কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের সাবেক মহাপরিচালক সত্যব্রত সাহা (গাজীপুর), শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব কে এম আলী আজম (বরিশাল), সেতু বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন (বান্দরবান), জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শেখ ইউসুফ হারুন (সাতক্ষীরা), বিপিএটিসির রেক্টর মো. রকিব হোসেন (নারায়ণগঞ্জ), যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. আখতার হোসেন (মাদারীপুর), রেল সচিব সেলিম রেজা (পাবনা), পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া (সিলেট), সমবায় সচিব রেজাউল আহসান (রংপুর), মুক্তিযুদ্ধ সচিব তপন কান্তি ঘোষ (বি.বাড়িয়া), খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম (চুয়াডাঙ্গা), শিক্ষা সচিব মো. মাহবুব হোসেন (জামালপুর), মৎস্য সচিব রওনক মাহমুদ (পটুয়াখালী), স্বাস্থ্যশিক্ষা সচিব মো. আলী নূর (ঢাকা), পরিকল্পনা সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারী (সুনামগঞ্জ), মো. নুরুল ইসলাম (দিনাজপুর) ও বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর বদরুন নেছা (নরসিংদী)।

এছাড়াও দায়িত্ব পালন করেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া (পিরোজপুর), পরিবেশ সচিব জিয়াউল হাসান (কুড়িগ্রাম), স্বাস্থ্য সচিব মো. আবদুল মান্নান (কিশোরগঞ্জ), প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব গোলাম মো. হাসিবুল আলম (নীলফামারী), কারিগরি ও মাদরাসা সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান (মৌলভীবাজার), ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন (বগুড়া), নৌসচিব মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন চৌধুরী (ফেনী), মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের (সমন্বয়) সচিব মো. কামাল হোসেন (খুলনা), পিপিপির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা আফরোজ (কুষ্টিয়া), শ্রম সচিব একেএম আবদুস সালাম (নওগাঁ), আইএমইডি সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী (নোয়াখালী), পরিসংখ্যান সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী (নাটোর), পিএসসি সচিব মোছা. আছিয়া খাতুন (রাজবাড়ী), দুর্যোগ সচিব মোহাম্মদ মোহসীন (চাঁদপুর), সংস্কৃতি সচিব মো. বদরুল আরেফীন (খাগড়াছড়ি), পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মো. মামুন আল রশীদ (হবিগঞ্জ), পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মোছাম্মৎ নাসিমা বেগম (মাগুরা), পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের চেয়ারম্যান আবু বকর ছিদ্দীক (চাঁপাইনবাবগঞ্জ), জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান দুলাল কৃষ্ণ সাহা (গাইবান্ধা), বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান (বরগুনা), তথ্য সচিব খাজা মিয়া (নড়াইল), পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস (টাঙ্গাইল), ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল (ঝিনাইদহ), বিমান সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন (মেহেরপুর), ভূমি সচিব মোস্তাফিজুর রহমান (পঞ্চগড়), জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান জাকিয়া সুলতানা (নেত্রকোনা), সমাজকল্যাণ সচিব মাহফুজা আখতার (বাগেরহাট), ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার (ঝালকাঠি), পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শরিফা খান (ঠাকুরগাঁও), পার্বত্য সচিব মোছাম্মৎ হামিদা বেগম (ময়মনসিংহ), ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান মোকাব্বির হোসেন (ভোলা) এবং মহিলা ও শিশুসচিব সায়েদুল ইসলাম (জয়পুরহাট)।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান জানিয়েছেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কোভিড-১৯-এর সময় ত্রাণ ও টাকা বিতরণের অনিয়মগুলো খতিয়ে দেখা হবে। সেই সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিবরা কী কী দায়িত্ব পালন করেছেন, সেসব তথ্য জানতে চাওয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সমন্বয়ক পরিচয়ে আ’লীগ নেতার বাড়ী দখলের অভিযোগে সেই মিস্টি গ্রেফতার
রংপুরে মশাল মিছিল: ধর্ষণের একমাত্র শাস্তি ফাঁসি কার্যকরের দাবি
সাবেক ৬৪ সচিবের আমলনামা যাচাই করবে সরকার  
আছিয়ার ধর্ষকের মৃত্যুদন্ডের দাবিতে উত্তাল কুবি
কুয়েতকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জয় করল ভারত
বায়ুত্যাগের শব্দ শুনে আ. লীগ নেতাকে ধরল পুলিশ
কাল থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে ইউরোপের নয়টি দেশের ভিসা প্রসেসিং
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মাস শেষের আগেই বেতন পাবেন সরকারি কর্মচারীরা
অবশেষে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাবাসী পেল ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি
পাকিস্তানকে বড় ধরনের সুখবর দিল চীন
টাঙ্গাইলে যৌথ সংবাদ সম্মেলন: চার দফা দাবিতে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
সামরিক বাহিনীর ৮ সংস্থা ও স্থাপনার নাম পরিবর্তন
কৃষি গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় বৈষম্যের অভিযোগ
ঈদযাত্রার ট্রেনের আগাম টিকিট ১৪ মার্চ থেকে, শতভাগ অনলাইনে
ছাত্রদলের কর্মসূচির প্রশংসা করলেন শিবির সভাপতি
আমার কাছে শাকিবই শাহরুখ খান: অপু বিশ্বাস
মব জাস্টিস যেখানে, গ্রেপ্তার সেখানেই: তথ্য উপদেষ্টা
মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেলেন সাবেক এমপি’র বাসা দখল করা ‘সমন্বয়ক’
ধর্ষণ মামলার তদন্ত ১৫ দিনে, বিচার শেষ করতে হবে ৯০ দিনের মধ্যে: আইন উপদেষ্টা