বিপিএল শুরু ২০ জানুয়ারি
ঘরোয়া আসর বিপিএল আয়োজনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে বিসিবি। এ সময় জাতীয় দলের কোনও খেলা রাখা হয় না। আরেক অর্থে জাতীয় দলের ফাঁকা সিডিউলে বিপিএল আয়োজন করে থাকে বিসিবি। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে গতবার এই আসর আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। চলতি বছরও অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। কিন্তু আগামী বছরের শুরুতেই বিপিএল আয়োজন করতে যাচ্ছে বিসিবি।
দিন-তারিখ চুড়ান্ত করে গণমাধ্যমে ঘোষণাও এসেছে। সব কিছু ঠিক থাকলে নতুন বছরের জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখ থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে এই জমজমাট আসর। এটি হবে বিপিএলের অষ্টম আসর। সর্বশেষ আসর বসেছিল ২০১৯ সালে।
এ ব্যাপারে আজ বৃহস্পতিবার(০২ ডিসেম্বর) বিসিবির প্রধান নির্বাহি নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত যেটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ২০ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিপিএলের স্লট রাখা আছে। এর মধ্যে আমরা শেষ করব।’
অষ্টম আসরের জন্য ইতিম্যধ্যে নতুন করে ফ্রাঞ্চাইজি চেয়ে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ৫ ডিসেম্বর শেষ হবে আবেদনের তারিখ। ছয় দল নিয়ে আসর আয়োজন করবে বিসিবি।
গতবারের আসরে ছিল না কোনও ফ্রাঞ্চাইজি। মুজিববর্ষে নিজ উদ্যোগে পৃষ্ঠপোষক জোগাড় করে দলগুলোকে মাঠে নামিয়েছিল বিসিবি। শিরোপা জিতেছিল রাজশাহী রয়্যালস। কিন্তু বিসিবির এবারের আয়োজনে পথের কাঁটা হয়ে উঠতে পারে সেই করোনা! করোনার তৃতীয় ঢেউ ‘অমিক্রন’ ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আঘাত হেনেছে। যদিও বাংলাদেশে এর কোনও প্রভাব এখন পর্যন্ত নেই। কিন্তু তারপরও বিদেশি ক্রিকেটার বিশেষ করে আফ্রিকা মহাদেশের ক্রিকেটারদের পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে বিসিবির।
এ ছাড়াও ইউরোপ বা অস্ট্রেলিয়াতে ছড়িয়ে পড়লে একই সমস্যা সৃষ্টি হবে। এই নতুন ধরনের কারণে নারীদের বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব মাঝপথে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিল আইসিসি। তবে এ বিষয়ে বিসিবি সরকারের দিক নির্দেশনা অনুসরণ করবে বলে জানান প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে স্বাভাবিকভাবে চলছে। ওটার(অমিক্রন) প্রভাব সেভাবে পড়ে নাই। যদি সরকারের কাছ থেকে বিদেশি দলের ভ্রমণের ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা আসে তখন হয়তো কিছু ফাইন টিউনিং করতে হবে।’
এমপি/এসআইএইচ