সুজনের সেই বক্তব্যের ব্যাখ্যা চাইবেন পাপন
খালেদ মাহমুদ সুজন বিসিবিতে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন খেলোয়াড়দের কোটা থেকে। যেখানে তিনি নিজেও কাউন্সিলর হয়েছেন। বিসিবির ‘সি’ ক্যাটাগরিতে মোট কাউন্সিলরের ১৫ জনই ক্রিকেটার। আবার তিনি ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবের সহ-সভাপতিও। কিন্তু ক্রিকেটারদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাকে কখনো জোরালো কোনো ভূমিকা রাখতে দেখা যায় না। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে আবার সোচ্চার থাকেন। ইদানীং এই ভূমিকায় সুজনকে আবার বেশি দেখা যায়। সর্বশেষ জিম্বাবুয়ের কাছে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ হারের পর তিনি সব দোষ সম্পূর্ণ ক্রিকেটারদের বলে চাপিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিসিবির সভা শেষে সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন শুরুতে জিম্বাবুয়ে সফর নিয়ে কোনো কথা বলতে চাননি। এর কারণ হিসেবে তিনি জানান, এখনো সিরিজ চলছে। টি-টোয়েন্টি দলের অধিকাংশ ক্রিকেটারই আছেন ওয়ানডে দলে। দেশে আসার পর তিনি কথা বলবেন।
এখানে পাপন কোনো কিছু না বলে অভিভাবকের ভূমিকা পালন করেছেন। কিন্তু আগের দিন দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টরের ভূমিকায় থাকা সুজনের আক্রমণাত্মক কথা নিয়ে বিসিবির সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি এখানে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘সুজন কী বলেছে আমি জানি না। তার সঙ্গে কথা না বলে আমার কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’ তিনি বলেন, জিম্বাবুয়ের কাছে হারবে এটা আমিও আশা করিনি। এটা হতাশারই।’
এ সময় বিসিবি সভাপতিকে দেশ ছাড়ার আগে খালেদ মাহমুদ সুজনের বলা কথা (তিনি বলেছিলেন ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হারলেও কিছু হবে না। আমরা তরুণদের পরীক্ষা করে দেখব) মনে করিয়ে দিলে বিসিবি সভাপতি কিছুটা এগিয়ে জানান, দেশে আসার পর কথা বলে বিষয়টি দেখবেন তিনি।
এমপি/এসজি/