আজও কি রিয়াল মাদ্রিদ অসাধ্য সাধন করবে?
উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের এবারের আসরের নক আউট পর্ব যেন রিয়াল মাদ্রিদের জন্য অসাধ্য সাদন করার মঞ্চ হয়ে উঠেছে। গ্রুপ পর্ব নির্বিঘ্নে উতরে যাওয়ার পর নক আউট পর্বে এসে আগ্নেগিরির মুখে পড়ে। প্রতিটি ক্লাবই শিরোপার র্জো দাবীদার। প্রবল বাঁধা টপকে উত্তাল সাগর পাড়ি দিয়ে তারা এক একটি বৈতরণী পার হয়েছে । যেমন শেষ ষোলোতে তারা পেয়েছিল মেসি-নেইমার-এমবাপের পিএসজিকে। তাদের মাঠে ১-০ গোলে হেরে রিয়াল মাদ্রিদ ছিল ব্যাকফুটে। কিন্তু সান্তিয়া
বার্নাবোতে নিজেদের মাঠে ঘুরে দাঁড়ায়। ৩-১ গোলে ম্যাচ জিতে বৈতরনি পার হয়। এরপর কোয়ার্টার ফাইনালে পায় চেলসিকে। স্টাম্পফোর্ড ব্রিজে চেলসির মাঠ থেকে তারা করিম বেনজামার হ্যাটট্রিকে ৩-১ গোলে ম্যাচ জিতে সেমির পথে এক পা দিয়ে রেখেই নিজেদের মাঠে চেলসিকে আথিতেয়তা দেয়। শেষ ষোলোতে পিএসজির মাঠে পিপিয়ে থেকেও নিজেদের মাঠে সেই ব্যবধান গুছিয়ে ছিল। এবারতো চেলসির বিপক্ষে এগিয়ে থেকেই নামবে। চোখ বুঝে সেমির কথা ভাবাই যায়।
কারণ, চেলসিকে শুধু জিতলেই চলবে না, ৩-১ গোলের ব্যবধানও টপকােত হবে? জিততে হবে ৩-০ গোলে। যা এক কথায় দুর্দান্ত ফর্মে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে অসম্ভব! কী আশ্চর্য? সেই অসম্ভবকে সম্ভব করেই ফেলছিল চেলসি। ৩-০ গোলে তারা এগিয়ে ছিল তারা। ৮০ মিনিটে রিয়াল একটি গোল পরিশোধ করলেও তখনো চেলসির বাদ পড়ার সম্ভাবনা ছিল না। রেফারির শেষ বাাঁশি বাজার অপেক্ষায় সবাই। চলছে ইনজুরির টাইমের খেলা। খন ঘটে বিপত্তি। রিয়াল আরও একটি গোল পরিশোধ করে দেয়। সেই সঙ্গে ৩-২ গোলে ম্যাচ হেরেও তারা সেমির টিকিটি নিশ্চিত করে দুই লিগ মিলে ৫-৪ ব্যবধান এগিয়ে থেকে। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১ টায়।
আজ ইংলিশ আরেকটি ক্লাব ম্যান সিটির বিপক্ষেও রিয়াল মাদ্রিদদ পিএসজির মতো ব্যাকফুটে। ম্যানসিটির ইত্তেহাতে রিয়াল হেরে এসেছে ৪-৩ গোলে। আজ তাদের জিততে হবে এবং দুই গোলের ব্যবধানে। কিন্তু আবও কী তারা আগের মতো তরেই সেই উত্তাল সাগর পাড়ি দিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে পারবে? আবারও কী দেখাবে তারা সেই যাদুকরি খেলা? কোচ আনচেলত্তি সেই রকমটিই আশা করছেন।
তিনি রিয়াল মাদ্রিদের দর্শকদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনারা (দর্শকরা) সবাই প্রস্তুত থাকবেন। আমরা আরেকটি যাদুকরি রাত উপহার দেবো আপনাদের। আমরা সেভাবেই লড়বো।’ আনচেলত্তির শিষ্যরা ইতিমধ্যে তাকে লা লিগার শিরোপা উপহার দিয়েছে। এখন আরেকটু যাদুকরি রাত উপহার দেওয়ার পালা? কিন্তু ম্যানসিটির কেচা গার্দিওয়ালা কী আনচেলত্তির সেই আশা পূরণ হতে দেবেন। তিনি শিষ্যদের কাছে ইত্তেহাদে যে খেলা খেলেছে, সেই খেলাটাই আবার প্রত্যাশা করছেন।
তিনি বলেন, ‘ইত্তেহাদে এক সপ্তাহ আগে আমরা যে ফুটবল খেলেছিলাম, সেই খেলাটা আবার খেলতে পারলেই আমদের ফাইনালে উঠে যাব।’
ফলাফল যাই হোক আরেকটি ধ্রুপদি ম্যাচ দেখার অপেক্ষায় ফুটবল বিশ্ব।
এমপি/এমএমএ/