চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালের হার
এক ম্যাচ হাতে রেখেই শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে প্রথমবারের মতো শিরোপা নিশ্চিত করে নিয়েছিল। রানার্সআপ লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে তাদের শেষ ম্যাচ ছিল শুধুই আনুষ্ঠানিকতার। তাই গোটা লিগে শিরোপার জন্য দৌাড়াতে থাকা শেখ শেষ ম্যাচে ছিল অনেকআ আয়েসি মুডে। লিগে যারা নিয়মিত খেলার সুযোগ পাননি তাদের সেই সুযোগ দেওয়া হয়। যে কারণে সেরা একাদশে ঘটে অনেক পরিবর্তন।
ওপেনার সাইফ হাসান, মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান রবিউল ইসলাম রবি, স্পিনার সানজামুল ইসলাম, অলরাউন্ডার জিয়াউর রহমান পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীকে সেরা একাদশের বাইরে রেখে জহুরুল ইসলাম অমি, তাইবুর রহমান, মেহরাব হোসেন জোসি, আরিফ আহমেদ, মিনহাজুল আবেদীন আফ্রিদীকে সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু এতো পরিবর্তনে শক্তির যে পাথর্ক্য ঘটে, তা আর লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে পেরে উঠেনি শেখ জামাল। তাইতো মাত্র ১১৬ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচ হেরেছে ৮ উইকেটে।
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ২ উইকেট হারিয়ে ১২০ রান করে। আর ১০০ ওভার খেলার আুয়ু নেমে আসে ৫৯.৫ ওভারে। শেখ জামাল ৩৪.৪ ও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ২৫.১ ওভার খেলে। ১৫ ম্যাচে শেখ জামালের পয়েন্ট ২৪, ও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের ২২। খেলা শেষে শেখ জামালের অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের হাতে ট্রফি তুলে দেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
সাইফ হাসান না থাকায় অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ওপেনিংয়ে নামেন সৈকত আলীর সঙ্গে। নুরুল হাসান সোহান একাদশে থাকলেও উইকেট কিপিং করেন জহুরুল ইসলাম অমি। টস হেরে ব্যাট করতে নামা শেখ জামাল পড়ে আল আমিনের তোপে।
কোনো রান যোগ করার আগই হাারয় ২ উইকেট। দ্বিতীয় বলে সৈকত আলী ও জহুরুল প্রথম বলেই ফিরে যান। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ও মুশফিকুর রহিম ধস সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। জুটিতে ৬৪ রান যোগ করে কিছুটা সফলও হন। ৪৮ বলে ২৫ রান করে মাশরাফির শিকার হয়ে মুশফিক ফিরে যাওয়ার পর ইমরুল কায়েস তাদের গত ২ ম্যাচে জয়ের নায়ক নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে আরেকচি প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন।
কিন্তু এখানে খুব বেশি সফল হতে পারেননি তিনি। ২০ রান যোগ করার পর ইমরুল কায়েস নিজেই রানআউট হয়ে যান। তার নামের পাশে তখস ৭৫ বলে ১ ছক্কা ও ৬ চারে ৫০ রান। ইমরুলের এই বিদায় যেন শেখ জামালে জন্য কাল হয়ে উঠে। পরবর্তিতে আর কোনো ব্যাটসম্যানই উইকেটে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেননি। শুরুর মতো এই সময় আবারো আঘাত হানেন আল আমিন। যে কারণে তাদের শেষ ৬ উইকেট পড়ে মাত্র ২১ রান। আল আমিন ৩১ রানে নেন ৬ উইকেট।
ছোট টার্গেটের পেছনে ছুটে জয় পেতে খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে। ২ উইকেট হারিয়ে ২৫.১ ওভারেই তারা লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। নয়ন অপরাজিত ৪০, রুমান ৩৬, অধিনায়ক নাঈম ইসলাম অপরাজিত ২৩, ও ইরফান শুক্কুর ১৪ রান করেন। পারভেজ রাসুল ২০ রানে নেন ২ উইকেট। ম্যাচ সেরা হন আল আমিন।
এমপি/এমএমএ/