হারা ম্যাচে জয় পেল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ
প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে শিরোপার জোর দাবীদার শেখ জামাল। তাদেরকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। মিরপুরে যেমন শেখ জামাল হারতে হারতে ম্যাচ জিতেছে। তেমনি বিকেএসপির ৪ নম্বারে মাঠেও প্রাইম ব্যাংকের কাছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ নিশ্চিত হারা ম্যাচ নিজেদের করে নিয়েছে। ১৫২ রান অতিক্রমে করতে নেমে ৮৪ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে শিরোপা লড়াই থেকে ছিটকে পড়ার অপেক্ষায়ি ছিল। কিন্তু অষ্টম উইকেট জুটিতে তানভীর হায়দার ও মুক্তার আলীর অবিচ্ছিন্ন ৭০ রান লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে ২ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেটে জয় এনে দেয়। ১২ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৮, প্রাইম ব্যাংকের ১২।
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ও প্রাইম ব্যাংকের ম্যাচের দিকে সবারই দৃষ্টি ছিল। এর কারণ ছিল দুই দলের হয়ে প্রথমবারের মতো খেলতে নামা লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের সাকিব আল হাসান ও প্রাইম ব্যাংকের তামিম ইকবালের দিকে। তামিম ইকবাল ব্যর্থ হলেও সাকিব ব্যাটে-বলে নিজের মান রেখেছেন। তামিম ইকবাল ৮ রান করে আউট হন। সাকিব ব্যাট হাতে ২১ রানের পাশাপাশি বল হাতে ১৯ রানে নেন ২ উইকেট।
বৃষ্টির কারণে ম্যাচে আয়ু নেমে এসেছিল ৩৩ ওভারে। টস হেরে ব্যাটে করতে নেমে প্রাইম ব্যাংকের একমাত্র ইনফর্ম ব্যাটসমান এনামুল হক বিজয় ছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যানই রান করতে পারেননি। এনামুল হক বিজয় আরো একটি হাফ সেঞ্চুরি করেন। ৯১ বলে ১ ছক্কা ও ৬ চারে তিনি ৭৩ রান করে আল আমিনের বলে ইরফান শুক্কুরের হাতে ধরা পড়েন। লিগে এটি ছিল তার ষষ্ট হাফ সেঞ্চুরি। এই ইনিংস খেলার পথে তিনি লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ড গড়েন। তিনি পিছনে ফেলে দেন সাইফ হাসানের ৮১৪ রানকে। বর্তমানে বিজয়ের রান ৮৭৮। তার সামনে হাজার রান র্স্পশ করার হাতছানি। এই আসরে প্রথম ক্রিকেটারের হিসেবে এক মৌসুমে হাজার রান করেছিলেন গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। তিনি করেছিলেন ১০০৭ রান। এনামুল ছাড়া আজকের ম্যাচে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল ইয়াসির আলীর ৩৯। এ ছাড়া মুমিনুল হক ১৩ রান করেন আর কোনো ব্যাটসম্যান দুই অংকের রান করতে পারেননি। দুইটি করে উইকেট নেন সাকিব, চেরাগ জানি ও মাশরাফি।
১৫২ রান অতিক্রম করার লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৮৪ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বিপদেই ছিল। একে একে আউট জন ইরফান শুক্কুর ৫, মো. রকিবুল হাসান নয়ন ৩, সাব্বির রহমান ২৬, নাঈম ইসলাম ৫, সাকিব আল হাসান ২১, চিরাগ জানি ১৪ ও মাশরাফি ৬ রান করে। এ সময় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জে হার ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। এই ম্যাচ হারা মানে তাদের শিরোপা লড়াইয়ে টিকে থাকার শেষ আশা বিলীন। কিন্তু অষ্টম উইকেট জুটিতে তানভীর ও মুক্তার আলী হাল ছাড়তে রাজি ছিলেন না। দুই জনে প্রথমে টিকে থেকে পরে ধীরে ধীরে দলকে জয়ের পথে এনে দেন শেষ পর্যন্ত বিজয়ী করেই মাঠ ছাড়েন। দুই জনে অবিচ্ছন্ন থেকে ১২.২ ওভারে যোগ করেন ৭০ রান। তানভীর ৩৯ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৩১ ও মুক্তার আলী ৪৫ বলে ২টি করে চার ও ছয় মেরে ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচ সেরা হন মুক্তার আলী।
এমপি