মোহামেডানের ছাড়পত্র পেয়ে মুশফিক-মিরাজ শেখ জামালে
কবি সুকান্তের ছাড়পত্র নয়, মোহমেডান ক্লাবের ছাড়পত্র পেয়েছেন মুশফিক-মিরাজ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আজ সকালে মোহমেডান ক্লাব এই দুই ক্রিকেটারকে ছাড়পত্র প্রদান করে। জানা গেছে মোহামেডান ক্লাব থেকে অগ্রিম হিসেবে নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়া সাপেক্ষে দুই ক্রিকেটারকে ছাড়পত্র দেয়া হয়।
এর ফলে মুশফিক ও মিরাজ প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের সুপার লিগে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে অংশ নেবেন। আগামীকাল সোমবার (১৮ এপ্রিল) সুপার লিগ শুরু হবে। আগামীকালই এই দুই ক্রিকেটারকে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে মাঠে নামতে দেখা যাবে।
মুশফিক ও মিরাজকে গত মৌসুম শেষ হওয়ার পরই মোহামেডান ক্লাব চলতি মৌসুমে খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধ করে অগ্রিম টাকাও প্রদান করেছিল। কিন্তু জার্তীয় দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের কারণে এই দুই ক্রিকেটার আর মোহামেডানের হয়ে একটি ম্যাচও খেলার সুযোগ পাননি। এই না পাওয়ার অন্যতম কারণ ছিল মোহামেডানের সুপার লিগে উঠতে না পারা। যে কারণে দুই ক্রিকেটারের সামনে সুযোগ হয়ে যায় অন্য ক্লাবে খেলার।
দুই ক্রিকেটারের ব্যাপারে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব আগ্রহ প্রকাশ করে। মুশফিক-মিরাজও সম্মত হন। পরে মূল বিষয় দাঁড়ায় মোহামেডান ক্লাবের ছাড়পত্র। সেই ছাড়পত্রের জন্য শেখ জামালের পক্ষ থেকে গতকাল শনিবারই চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু কাল আর ছাড়পত্র পাওয়া হয়ে উঠেনি মুশফিক-মিরাজকে মোহামেডান ক্লাব যে অগ্রিম দিয়েছিল সেই টাকার বিষয়ে একটি সমঝোতা না হওয়াতে। পরে সমঝোতা হওয়াতে আজ সকালে মোহামেডান ক্লাব গিয়ে ছাড়পত্র নিয়ে আসেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ম্যানেজার টিপু সুলতান মাহমুদ।
এ ব্যাপারে শেখ জামালের ম্যানেজার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘মোহামেডান ক্লাবের সঙ্গে আমাদের টাকার কোনো সর্ম্পক নেই। এটি দুই ক্রিকেটার ও মোহামেডানের বিষয়। তারাই এটি নিষ্পত্তি করেছেন। কীভাবে করেছেন সেটি আমি বলতে পারব না। মোহামেডানের ক্রিকেট কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এজিএম সাব্বির বলেন, ‘দুই পক্ষের বুঝাপড়ার মাধ্যমে বিষয়টি সুন্দরভাবে শেষ হয়েছে। এখানে টাকার বিষয়টি খুবই গৌন্য। এর চেয়ে বেশি কিছু আর বলা সম্ভব নয়।’
মোহামেডান ক্লাবের ছাড়পত্র পাওয়ার পর দুই ক্রিকেটারের সিসিডিএমের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করা হয়। শেখ জামালে নাম লেখাতে মুশফিক-মিরাজ কাউকে আসতে হয়নি। ছাড়পত্রের সঙ্গে দুই ক্রিকেটার শেখ জামালে খেলতে চেয়ে একটি আবেদন পত্র সিসিডিএমে জমা দিতে হয়েছে।
এমপি/এমএমএ/