জিতেও সুপার লিগে যেতে পারল না মোহামেডান

জেতার জন্য যা যা করার তার সবই করে রেখেছিল মোহামেডান। আগে ব্যাট করে ভান্ডারে ৩০৭ রান জমা। পরে প্রতিপক্ষ লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে মাত্র ২২৭ রানে অলআউট করে ম্যাচ ৮০ রানে জেতা। এতে করে মোহামেডানের পয়েন্ট হয় ১০। সমান পয়েন্ট আরও দুই দল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ও রূপগঞ্জ টাইগাস ক্রিকেট ক্লাবেরও। তিন দলের পয়েন্টই সমান হয়ে যাওয়াতে অনুসরণ করতে হয় বাইলজ। আর এখানেই পিছিয়ে পড়ে মোহামেডান।
বাইলজ অনুসারে পয়েন্ট সমান হলে সবচেয়ে বেশি জয় দেখা হয়। তিন দলেরই সমান পাঁচটি করে জয় হওয়াতে এখানে ব্যবচ্ছেদ করা যায়নি। পরে দুই নম্বর ধারা অনুসরণ করা হয়। যেখানে আছে হেড টু হেড। এখানেই পিছিয়ে পড়ে মোহামেডান। তারা এই দুই প্রতিপক্ষের কাছেই হেরেছিল। যে কারণে মোহামেডানের সুপার লিগে আর যাওয়া হয়ে উঠেনি তারকা সমৃদ্ধ দল গড়ার পরও।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে মোহামেডান কুশাল মেন্ডিসের সেঞ্চুরির সঙ্গে পারভেজ হোসেন ইমনের ৭৬ ও মাহমুদউল্লাহর ঝড়ো ৭০ রানের ইনিংসে ৪৭.৫ ওভারে ৩০৭ রান করে অলআউট হয়। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ভালোই সূচনা করে। উদ্বোধনী জুটিতে রনি তালুকদার ও পারভেজ হোসেন ইমনের ৫৪ রানের জুটির পর ইমন ও কুশাল মেন্ডিস ১১৫ রান যোগ করে দলের বড় সংগ্রহরে ভীত গড়ে দেন। ইমন ৬৮ বলে ৪ ছক্কা ও ৭ বাউন্ডারিতে ৭৬ রান করে আউট হলেও কুশাল ফেরেন সেঞ্চুরি করেই। তবে সেঞ্চুরি করার পর তিনি আর বেশি দূর যেতেই পারেননি। ৪ ছক্কা ও ৭ চারে ৯১ বলে ১০১ রান করে তানভীরের বলে সাব্বিরের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেওয়ার পর মাহমুদউল্লাহ খেলেন ঝড়ো ইনিংস। এক প্রান্তে উইকেট পড়তে থাকে, আর অপর প্রান্তে তিনি ঝড়ো গতিতে রান করে যেতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত ৪ ছক্কা ও ৫ চারে ৭০ রান করে মেহেদি হাসান রানার বলে তানভীরের হাতে ধরা পড়েন। এ সময় অপরপ্রান্তে তার সঙ্গে থাকা ব্যাটসম্যানরা কেউই দুই অংকের রান করতে পারেননি। মেহেদি হাসান রানা ৫০ রানে নেন ৪ উইকটে। ২টি উইকেট নেন তানভীর হায়দার
বিশাল টার্গেটের পেছনে ছুটে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ নাজমুল ইসলাম অপুর ঘূর্ণি বলের ফাঁদে পড়ে মোটেই সুবিধা করতে পারেনি। শুরুতেই দলীয় ১ রান হারায় প্রথম উইকেট। শতরানের আগেই হারায় ৫ উইকেট। সেখান থেকে তারা শেষ পর্যন্ত ৪৯.১ ওভারে ২২৭ রান পর্যন্ত যেতে পেরেছে চলতি মৌসুমে দারুণ ফর্মে থাকা নাঈম ইসলামের ব্যাটে। তিনি সর্বোচ্চ ৮০ রান করেন। শেষ উইকেট জুটিতে তিনি আল আমিনকে নিয়ে ৫৯ রান যোগ করেন। যেখানে আল আমিনের অবদান ছিল মাত্র ১৮ রানের। নাঈম আউট হন সৌম্য সরকারের করা ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে মজিদের হাতে ধরা পড়ে। তার ১১৮ বলের ইনিংসে ছিল ৮টি চারের মার। এ ছাড়া ওপেনার রবিউল ইসলাম নয়ন ৩৩, মাশরাফি ১৬ বলে ৪ ছক্কা ও ১ চারে ৩০ ও সাব্বির ২১ রান করেন। নাজমুল ইসলাম অপু ৩৫ রানে নেন ৫ উইকটে। ২টি উইকেট নেন শুভাগত হোম। ম্যাচ সেরা হন নাজমুল ইসলাম অপু।
এমপি/আরএ/
