পোর্ট এলিজাবেথ টেস্ট
বাংলাদেশের হতাশার প্রথম সেশন
প্রথম টেস্টে আম্পায়ারিং বেশ ভুগিয়েছিল বাংলাদেশ দলকে। আউটের বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত আম্পায়াররা না দিলে অধিনায়ক মুমিনুল রিভিউ নিয়ে তা পক্ষে এনেছিলেন। এর সঙ্গে ছিল রিভিউ নেবেন, কি নেবেন এ রকম দোদুল্যমনতা। শেষ পর্যন্ত রিভিউ না নেওয়াতে নিশ্চিত উইকেট পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছিল বাংলাদেশ দলকে।
ডারবান টেস্টের পর পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টেও আম্পায়ারদের ভুল সিদ্ধান্ত অব্যাহত রয়েছে। ম্যাচের তৃতীয় ওভারেই খালেদের বলে এরউইর পরিষ্কার এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। মুমিনুল রিভিউ নেবেন, কি নেবেন না- এই রকম দোদুল্যমনতায় শেষ পর্যন্ত সিদ্ধন্ত নিতে বিলম্ব হওয়াতে পরে আর রিভিউ নেওয়া সম্ভব হয়নি। হকআইয়ে দেখা যায় বল স্ট্যাম্পে লাগতো। ফলে নিশ্চিত আউট হওয়ার থেকে বেঁচে না এরউই। তখন তার রান ছিল মাত্র ৪, আর দলের ৯। সেই এরউইকে পরে খালেদই আউট করেন। তবে অনেক পরে, যখন দলের রান ৫০ পার হয়ে ৫২ আর তার রান ২৪। অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে জমা পড়ে। লাঞ্চের আগে এই ১ উইকেট হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সংগ্রহ করেছে ২৮ ওভারে ১০৭ রান। দলপতি এলগার টানা তৃতীয় ফিফটি করে ৫৯ রানে অপরাজিত। তার সঙ্গে ২৪ রানে অপরাজিত পিটারসন।
পোর্ট এলিজাবেথে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটিং বেছে নেয়। বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টেরও টস জিতলে সে রকম চিন্তা-ভাবনা ছিল। উইকেট যে ব্যাটিং বান্ধব তা স্বাগতিকদের রান সংগ্রহরে গতির দিকে দৃষ্টি ফেরালেই বুঝা যায়। লাঞ্চের আগে দুই ঘণ্টায় রান সংগৃহীত হয়েছে ১০৭ রান। উইকেট থেকে বোলাররা তেমন কোনো ফায়দা নিতে পারেননি প্রথম দুই ঘণ্টায়। ব্যাটসম্যানদের বিভ্রান্ত করতে মুমিনুল খালেদের সঙ্গে মিরাজকে দিয়ে আক্রমণ শুরু করেন। যদিও মিরাজকে প্রথম ওভার পরই আক্রমণ থেকে সরিয়ে নেন। এরপর এবাদত ও খালেদ মিলে চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর মিরাজের সঙ্গে তাইজুলকেও আক্রমণে নিয়ে আসেন। তবে লাঞ্চের শেষ দুই ওভার আগে মুমিনুল দুই প্রান্ত থেকে এক সঙ্গে স্পিন আক্রমণ করাননি। এক প্রান্তে পেসার থাকলে, অপরপ্রান্তে স্পিনার ছিল আক্রমণে। খালেদ ও তাইজুল সর্বোচ্চ ৯ ওভার করে এবং এবাদত ও মিরাজ ৭ ওভার করে বোলিং করেন।
এই টেস্টে স্বাগতিকরা অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামলেও বাংলাদেশের সেরা একাদশে দুটি পরিবর্তন ছিল। দীর্ঘ প্রায় এক বছর পর আবার সাদা পোষাকে ফিরেছেন ওপেনার তামিম ইকবাল। ডারবান টেস্টেই তার ফেরার কথা ছিল। কিন্তু ম্যাচ শুরুর দিন হঠাৎ করে পেটের পীড়ার কারণে তার আর খেলা হয়নি। একাদশে অপর পরিবর্তন ছিল পেসার তাসকিনের জায়গায় বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের সুযোগ পাওয়া।
এমপি/আরএ/