এক সেঞ্চুরিতেই র্যাঙ্কিংয়ে মাহমুদুলের ৩৭ ধাপ উন্নতি
টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে ছিলেন একশ জনের বাইরে। সেখানে ডারবানে রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি (১৩৭) করে মাহমুদুল হাসান জয় ঢুকে পড়েছেন একশর ভেতর। শুধুই ডুকেনই নি, হাই জাম্পের মতো লাফ দিয়ে উন্নতি ঘটেছে ৩৭ ধাপ।
যা তাকে নিয়ে এসেছে ৬৬তম স্থানে। বুধবার আইসিসি ছেলেদের গত সপ্তাহের হালনাগাদ র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে। আর সেখানেই জয়ের এই উন্নতি। বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজ, ইবাদত হোসেন ও তাসকিন আহমেদের।
ডারবানে মাহমুদুল হাসান জয় ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে এসে আউট হন শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ১৩৭ রান করে। এটি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে কোনো প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি। এই সেঞ্চুরি করার পথে তিনি দিয়েছেন অসীম ধৈর্য্যের পরিচয়।৪৪২ মিনিট ব্যাাটিং করে বল খেলেছিলেন ৩২৬টি। ২ ছয়ের সঙ্গে ছিল ১৫টি চার। এটি ছিল তার ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট। মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ০ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ৬ রান। এরপর নিউ জিল্যান্ডের মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে আবার খেলতে নেমে প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ৭৮ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে আর ব্যাট করতে পারেননি ইনজুরির কারণে। কিন্তু বাংলাদেশ টেস্ট জিতেছিল ৮ উইকেটে। ইনজুরির কারণে মিস করেন ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট। ইনজুরি থেকে সেরে উঠে তিনি আবার খেলতে নামেন ডারবান টেস্ট। ১৩৭ রানের ইনিংস খেলে নিজের ব্যক্তিগত অবস্থানের উন্নতি ঘটলেও বাংলাদেশ হেরে যায় ২২০ রানে। মূলত দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতার ভয়াবহতায় বাংলাদেশকে এমন হার মেনে নিতে হয়েছিল। দ্বিতয়ি ইনিংসে মাহমুদুল হাসান জয় করেছিলেন ৪ রান।
র্যাঙ্কিংয়ে জয়ের হাই জাম্পের দিন অবনতি ঘটেছে কাপ্তান মুমিনুল, মুশফিক, লিটন দাসের। ডারবান টেস্টের উভয় ইনিংসে মুমিনুল রান করতে ব্যর্থ হন। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেছিলেন ২ রান। তার ৭ ধাপ অবনতি ঘটে অবস্থান করছেন ৪৪তম স্থানে। ডারবান টেস্টে মুশকিুর রহিমও ব্যর্থ হন ৭ ও ০ রান রান করে। তারও অবনতি ঘটেছে ৭ ধাপ। তিনি আছেন ২৮তম স্থানে। দারুন ছন্দে থাকা লিটন দাসও নিজেকে মেলে ধরতে পারেনিনি ডারবান টেস্টে। প্রথম ইনিংসে ৪১ রান করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে করেন মাত্র ২ রান। তার অবনতি ঘটেছে ২ ধাপ। তিনি আছেন ১৭তম স্থানে। তারপরও তিনিই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মাঝে সবার উপরে।
বোলিংয়ে উন্নতি ঘটেছে বাংলাদেশের বোলারদের। এবাদত উভয় ইনিংসে উইকটে নিয়েছেন ৫টি। প্রথম ইনিংসে ২টি, দ্বিতীয় ইনিংসে ৩টি। তার উন্নতি ঘটেছে ৯ ধাপ। তিনি আছেন ৭৯ নম্বার অবস্থানে। প্রথম ইনিংসে কোনো উইকেট না পেলেও দ্বিতীয় ইনিংসে কাঁধের চোট নিয়ে বোলিং করে তাসকিন উইকেট পেয়েছিলেন ২টি। তার উন্নতিও হয়েছে২ ধাপ। যা তাকে নিয়ে এসেছে ৯১তম স্থনে। উভয় ইনিংসে ৩টি করে উইকেট নিয়ে মেহেদি হাসান মিরাজ নিজের উন্নতি ঘটিয়েছেন ৫ ধাপ। তিনি উঠে এসেছেন ৩১তম স্থানে। তার সঙ্গে আছেন ক্রিস ওকসও। বোলিংয়ে সবার উপরে আছেন ডারবান টেস্ট না খেলা তাইজুল। না খেলেও তার উন্নতি হয়েছে একধাপ। তিনি আছেন ২৪তম স্থানে।এরপর আছেন আরেক না খেলা ক্রিকেটার সাকিব। তিনি আছেন ২৯তম স্থানে। তবে তিনি এক ধাপ নিচে নেমে গেছেন।
এমপি/এমএমএ/