জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস পালিত
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে বুধবার (৬ এপ্রিল) যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস পালিত হয়েছে। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘সবাই মিলে খেলা করি, মাদকমুক্ত সমাজ গড়ি।’
জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক ক্রীড়া দিবস উপলক্ষে আজ সকালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামস্থ শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্স থেকে এনএসসি টাওয়ার পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। এসময়ে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন। শোভাযাত্রায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর, সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ, ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠকরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় জাতীয় পাতাকা উত্তোলন করা হয়। বেলুন উড়ানো হয়।
শোভাযাত্রা শেষে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে শেখ কামাল অডিটরিয়ামে দিবসটি উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী সকল ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া সংগঠক, প্রশিক্ষক, কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক ক্রীড়া দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশের ক্রীড়া অন্তঃপ্রাণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে, যিনি সারাবিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিতে ৬ এপ্রিলকে জাতীয় ক্রীড়া দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অকুণ্ঠ সর্মথন, সার্বিক সহযোগিতা ও সুনিপুণ দিকনির্দেশনায় অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গন।’
দিবসটি প্রতিপাদ্য ব্যাখ্যা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সমাজে এখন মাদকের প্রভাব ব্যাপক। মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে হলে ক্রীড়াঙ্গনকে বড় ভূমিকা রাখতে হবে৷ একজন ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক মাদক থেকে দূরে থাকেন। কোনো ক্রীড়াবিদ মাদক গ্রহণ করতে পারে না। ক্রীড়াবান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে মাদকমুক্ত সমাজ উপহার দিয়ে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত করব ইনশাল্লাহ।’
দিবসটি উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্রও প্রকাশিত হয়েছে।
এমপি/এসএন