ডারবান টেস্ট জিততে বাংলাদেশের দরকার ২৭৪
ডারবান টেস্টের চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনে ঘূর্ণি জাদু দেখিয়েছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। মিরাজ, তাসকিন ও এবাদতের বোলিং তোপের মুখে দিন পার করতে পারেননি প্রোটিয়ারা। সেই সঙ্গে রয়েছে রান আউট। ফলে ২০৪ রানেই গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংস। বাংলাদেশের জিততে হলে করতে হবে ২৭৪ রান।
এদিন লাঞ্চের পরপরই উইকেট পাওয়ার আনন্দে মেতে উঠেন বাংলাদেশের বোলাররা। শুরুটা করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। দুইবার ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়ে যাওয়া উইয়ান মাল্ডারকে আউট করেন মিরাজ। ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন তাসকিনও। মাল্ডারের বিদায়ের পর রায়ান রিকেল্টন ও কেশভ মহারাজকে উইকেটে লম্বা সময় স্থায়ী হতে দেননি তিনি। ইনিংসের ৬৬তম ওভারের চতুর্থ বলে মহারাজকে ফেরান এই ফাস্ট বোলার। বিদায়ের আগে মহারাজ করেন মাত্র ৫ রান।
মাল্ডার ও মহারাজের বিদায়ের পর লিড বড় করতে পারেননি সিমন হারমার ও লিজার্ড উইলিয়ামস। তারা দুজনেই রান আউট হয়ে যান। তাদের বিদায়ের পর অলিভিয়ারকে রানের খাতা খুলতেই দেননি এবাদত। ফলে প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় ইনিংস ২০৪ রানে গুটিয়ে যায়।
রবিবার ম্যাচের চতুর্থ দিনে ৬৯ রানে এগিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনিং দুই ব্যাটসম্যান। ওপেনিং জুটিতে ৪৮ রান আসতেই এরুইয়াকে (৮) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন এবাদত। এতে রানের চাকা ঘোরা বন্ধ হয়নি। ৭৩ বলে অর্ধশত রান তুলে নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগার। কিগ্যান পিটারসেনকে নিয়ে এগুতে থাকনে তিনি। অবশ্য এ সফর লম্বা করতে দেননি তাসকিন। নিজের তৃতীয় ওভার করতে এসে ৬৪ রান করা এলগারকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান তিনি। এরপর তৃতীয় আঘাত এনে প্রোটিয়াদের ভরকে দেন মেহেদি মিরাজ। দলীয় ১২৬ রানে তার ঘূর্ণি জাদুতে ক্যাচ আউট হন কিগ্যান পিটারসেন (৩৬)। ফলে তিন উইকেট হারিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় প্রোটিয়ারা।
এসআইএইচ