উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে শাইনপুকুর-সিটি ক্লাব জয়ী
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে মাত্র ১৫৭ রানে অলআউট করে ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। তারা মাত্র ২৬.১ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান করে। তবে দিনের অপর দুটি ম্যাচ ছিল টানটান উত্তেজনায় ভরা। দুটি ম্যাচেরই ফলাফল হয়েছে ১ উইকেটের ব্যবধানে যথাক্রমে ২ বল ও ১ বল বাকি থাকতে।
মিরপুরের ম্যাচটিও ছিল লো-স্কোরিং। রূপগঞ্জ টাইগার্সকে ১৭২ রানে অলআউট করেও শাইন পুকুর ক্রিকেটার ক্লাব ম্যাচ জিতে ২ বল বাকি থাকতে মাত্র ১ উইকেটে। বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠের ম্যাচটিও ছিল একই রকম উত্তেজনায় ঠাসা। ১ বল বাকি থাকতে খেলাঘরের বিপক্ষে ১ উইকেটে জয়লাভ করে সিটি ক্লাব।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মৃত্যুঞ্জয় ও জিয়াউরের মারাত্বক বোলিংয়ে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ৩৬ ওভারে মাত্র ১৫৭ রান করে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন আল আমিন। এ ছাড়া ফরহাদ হোসেন ২৩, মাহমুদুল হাসান ২০ রান করেন। জিয়াউর ১২ ও মৃত্যুঞ্জয় ৩৩ রানে নেন ৩টি করে উইকেট। জবাব দিতে নেমে শেখ জামালের দুই ওপনার সৈকত আলী ও সাইফ হাসানের ৯৯ রানে জুটিতেই বড় জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। সাইফ হাসান ৫৪ বলে ৯ চারে ৫২ রান করে ফিরে এলেও সৈকত আলী ফিরেন ম্যাচ শেষ করে অপরাজিত ৭৭ রানের ইনিংস খেলে। তার ৭৯ বলের ইনিংসে ছিল ৩টি ছক্কা ও ৭টি চার। দলপতি ইমরুল কায়েস অপরাজিত থাকেন ২৬ বলে ২৬ রান করে। ম্যাচ সেরা হন জিয়াউর রহমান।
এ আর রহমানের কনর্সাটের কারণে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম থেকে ক্রিকেট নির্বাসত হওয়ার পর আবার ফিরে আসে রূপগঞ্জ টাইগার্স ও শাইনপুকুরের ম্যাচ দিয়ে। টস জিতে বোালিং করতে নেমে পুরো ফায়দা তুলে নেয় শাইনপুকুরের বোলাররা। ৪৮.৩ ওভারে ১৭২ রানে অলআউট করে রূপগঞ্জ টাইগার্সকে। দলের পক্ষে ফজল মাহমুদ ৫২, জাকির হাসান ৩১, ফরহাদ রেজা ৩০ রান করেন্ শাইনপুকুরের রিপান মাহমুদ ৩০ রানে ৩টি এবং আলাউদ্দিন বাবু, সিকান্দার রাজা ও হাসান মুরাদ ২টি করে উইকেট নেন।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নাসুম আহমেদের মারাত্বক বোলিংয়ে ১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ভয়াবহ বিপদে পড়ে শাইনপুকুর। এক পর্যায়ে ৩৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে হারের প্রহর গুনতে শুরু করে। সেখান থেকে দলকে প্রাথমিকভাবে উদ্ধার করেন সিকান্দার রাজা ও সাজ্জাদুল হক ৫৫ রান যোগ করে। ২৭ রানে করে সাজ্জাদুল আউট হওয়ার পরপরই নাঈম হাসানও আউট হলে আবারো বিপদে পড়ে শাইনপুকুর। তাদের রান তখন ৭ উইকেটে ১০০। একটু পর দলীয় ১০৯ রানে সিকান্দার রাজাও আউট হয়ে যান ব্যক্তিগত ৪৮ রানে। নিশ্চিত হার সামনে। সেখান থেকে সফল ৩ বোলার আলাউদ্দিন বাবু, হাসান মুরাদ এবং রিপন মাহমুদ মিলে দলকে জয়ের পথে নিয়ে গিয়ে শেষ পর্যন্ত জয়ী করান। আলাউদ্দিন বাবু ও রিপন মাহমুদ মিলে ৩৩ রান যোগ করেন। আলাউদ্দিন বাবু ২২ রান করে আউট হওয়ার পর তখনো দলের জয়ের জন্য প্রয়োজন ৩৩ রানের। উইকেটে শেষ জুটি রিপন মাহমুদ ও হাসান মুরাদ। ওভার বাকি ১০.২টি। রূপগঞ্জ টাইগার্সের জয় সময়ের ব্যাপার। কিন্তু শেষ জুটিকে আর আউট করা সম্ভব না হলে ২ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেয় শাইনপুকুর। রিপন ৬৫ বলে ২৮ ও হাসান মুরাদ ২১ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচ সেরা হন রিপন মাহমুদ।
বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সংঘ ৭ উইকেটে ২৪১ রান করে। অমিত হাসান সর্বোচ্চ ৮৫ ও সালমান হোসেন ৬৬ রান করেন। এই দুই জনে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১১২ রান যোগ করেন। শাহরিয়ার আলম ৭৪ রানে নেন ৩ উইকটে। জবাব দিতে নেমে সিটি ক্লাব জাকিরুল আহমেদের ৭২, আশিক-উল-আলম নাঈমের ৭৪ রানের ইনিংসে ভর করে জয়ের পথেই ছিল। এক পর্যায়ে তাদের রান ছিল ৭ উইকেটে ২৩৯। কিন্তু ১ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলে খেলাঘর। শেষ পর্যন্ত ওসমান খালিদ (১৪*) ও শাহরিয়ার আলম (৬*) মিলে আর কোনো উইকেটের পতন না দিয়ে দলকে ১ বল বাকি থাকতে ১ উইকেটে জয় এনে দেন। মাসুম খান ৪১ রানে নেন ৪ উইকেট। ২ উইকেট নেন টিপু সুলতান। ম্যাচ সেরা হন জাকিরুল আহমেদ।
এমপি/আরএ/