লিড বাড়িয়ে চলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা
স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রমেই লিড বাড়িয়ে চলেছে। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে ছিল ৬৯ রানে। তৃতীয় দিনে বৃষ্টি ও আলো স্বল্পতার কারণে খেলা আগেই শেষ হওয়ার সময় লিড ছিল ৭৫ রানের। আজ প্রথম সেশনে সেই লিড তারা বাড়িয়ে নিয়েছে ১৭৪ রানে। লাঞ্চ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে সংগ্রহ ১ উইকেটে ১০৫ রান। ডিন এলগার ৬২, কিগান পিটারসেন ২১ রানে ব্যাট করছেন। এই সেশনে তারা সংগ্রহ করে ২৯ ওভারে ৯৯ রান।
প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা করেছিল ৩৬৭ রান। বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল প্রথম ইনিংসে ২৯৮ রান। উইকেটে যেভাবে স্পিন ধরছে আর আফ্রিকার উইকেট নেওয়া যেখানে সম্ভব হচ্ছে না, সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার লিড বেড়ে অনেক হওয়ার পথেই। তাদের লিড যতো বাড়বে, বাংলাদেশের জন্য টেনশন ততোই বাড়তে থাকবে। কারণ উইকেটে যেভাবে স্পিন ধরছে, তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই স্পিনার হার্মার ও মহারাজকে চতুর্থ ইনিংসে মোকাবিলা করা বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন হবে।
চতুর্থ দিনের প্রথম সেশন ছিল সব দিক দিয়েই বাংলাদেশের জন্য হতাশার। যেমন তারা উইকেট নিতে পারেনি, তেমনি আবার বেশ কয়েকটি ক্যাচও হাতছাড়া হয়েছে। এক অধিনায়ক ডিন এলগারের ক্যাচই পড়েছে ২টি। একবার ৩৪ ও আরেকবার ৪৩ রানে। প্রথমে মিরাজের বলে প্রথম স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্ত, পরে এবাদতের বলে দ্বিতীয় স্লিলে ইয়াসির আলীর মাথার উপর দিয়ে হাত ফসকে বের হয়ে যায়। জীবন পেয়ে এলগার ৭৩ বলে তুলে নেন অর্ধশত রান। প্রথম ইনিংসে তিনি করেছিলেন ৬৭ রান।
৭৫ রানের লিড নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ দিন যখন ব্যাট করতে নামে, তখন তাদের সামনে পূর্ণ ২ দিন। ফলাফল নিজেদের পক্ষে আনতে হলে দ্রুত রান করে লিড নিরাপদ স্থানে বাড়িয়ে নেওয়ার পাশাপাশি প্রতিপক্ষকে আবার সেই রানের ভেতর অলআউট করার পর্যাপ্ত সময়ও রাখতে হবে। এই পরিকল্পনায় এলগার তৎপর থাকলেও আরেক ওপেনার এরউই ছিলেন নিষ্প্রভ। জুটিতে ৪৮ রান আসে, সেখানে তার অবদান ছিল মাত্র ৮। তারচেয়েও বড় বিষয় ছিল তিনি বল খেলেন ৫১টি। এবাদতের বলে এলডিবব্লিউর শিকার হন আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পরিনবর্তনের কারণে। প্রথমে আম্পায়ার আউট দেননি। পরে বাংলাদেশ রিভিউ নেয়। তাতে সফল হয়। এরউই আউট হওয়ার পর পিটারসেনও কিন্তু একইভাবে ধীরগতিতে ব্যাট করতে থাকেন। যে কারণে রানের গতি বাড়েনি। সেই ওভার প্রতি তিনের সামান্য উপরে করে সংগ্রহ হয়। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এলগার ও পিটারসেন ৫৭ রান যোগ করেন।
চতুর্থ দিন বাংলাদেশের একমাত্র সফল বোলার এবাদত হলেও অধিনায়ক মুমিনুল দলের একমাত্র স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজকে দিয়েই সফল হতে চেয়েছিলেন। তাকে দিয়েই একপ্রান্ত থেকে বোলিং করিয়ে গেছেন। মিরাজ সফল হতে পারেনি। তারপরও মুমিনুল নিজে বল হাতে তুলে নিয়েছেন। নাজমুল হোসেন শান্তকে দিয়েও বোলিং করিয়েছেন। এই সেশনে দলের মূল স্ট্রাইক বোলার তাসকিনকে আক্রমণে নিয়ে আসেন ষষ্ট বোলার হিসেবে। তাকে দিয়ে মাত্র ১ ওভার বোলিং করান। মিরাজের উপর অধিনায়কের নির্ভরতা দেখে দলে আরেকজন স্পিনারের অভাব খুব বেশিভাবে ফুটে উঠেছে। মিরাজের বলে তারা রানই নিতে পারছেন না। অথচ পেসারদের খেলছেন সহজেই।
এমপি/আরএ/