আইপিএলে মোস্তাফিজের আগুন ঝরানো বোলিং
দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে চলতি মৌসুমে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই আগুন ঝরানো বোলিং করেছেন মোস্তাফিজ। ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ২৩ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন প্রতিপক্ষ গুজরাট টাইটানসের ৩ উইকেট। তারপরও গুজরাট ২০ ওভারে রান করেছে ৬ উইকেটে ১৭৬।
পুনেতে টস জিতে দিল্লি ক্যাপিটালসের কাপ্তান রিশাভ পান্থ বোলিং বেছে নেন আর বল তুলে দেন মোস্তাফিজের হাতে। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই ম্যাথু ওয়েডকে ফিরিয়ে দেন ১ রানে। মোস্তাফিজের পরের ২ উইকেট ছিল তার নিজের ও ইনিংসের শেষ ওভারে। সেই ওভারের দ্বিতীয় ও পঞ্চম বলে পান উইকেট। প্রথমে রাহুল তেওয়াটিয়াকে ১৪ রানে আউট করেন। ক্যাচ ধরেন শার্দুল ঠাকুর। অভিনাভ মানোহরকে ১ রানে ফিরিয়ে দেন অক্ষয় প্যাটেল ক্যাচ ধরলে। শেষ ওভারে তিনি রান দেন মাত্র ৩টি।
মোস্তাফিজের ৪ ওভারের মাঝে ডট বল ছিল ৭টি। গুজরাটের রান ফোয়ারর ইনিংসে ব্যাটসম্যানরা বাউন্ডারি মারতে পেরেছেন মাত্র ১টি। যেখানে গোটা ইনিংসে চার ছিল ১৪টি ও ছক্কা ৫টি। মোস্তাফিজ ওয়াইড দেন ১টি। তিনি ৪ ওভার করেন ৪ স্পেলে। প্রথম স্পেলে ৭ রান দিয়ে তুলে নেন ১ উইকেট। এই ওভারেই তিনি একমাত্র বাউন্ডারি হজম করেন। দ্বিতীয় স্পেল করেন ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে। ওভারে ৪টি সিঙ্গেলসের সঙ্গে ছিল ২টি লেগ বাই রান। তৃতীয় স্পেল ১৭ নম্বর ওভারে। একটি ওয়াইডসহ রান দেন ৯। এটিই ছিল এক ওভারে তার সর্বোচ্চ রান। এরপর করেন ইনিংসের শেষ ওভারে। এই ওভারে ২ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি তিনটি সিঙ্গেলস ও একটি লেগ বাই রান ছিল।
দিল্লি ক্যাপিটালস ইনিংসে ৫ জন বোলার ব্যবহার করে। একমাত্র মোস্তাফিজের ওভার প্রতি রান ছিল ছয়ের নিচে ৫ দশমিক ৭৫। বাকি ৪ জনেরই ছিল আটের উপরে। কুলদ্বিপ জাদব ৩২ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। ওভার প্রতি রান ছিল ৮ করে। খালেদ আহমেদ ৩৪ রান নেন ২ উইকটে। তার ওভার প্রতি রান ছিল ৮ দশমিক ৫০। অক্ষয় প্যাটেল ৩৭ রান দিয়ে উইকেট শূন্য থাকেন ওভার প্রতি ৯ দশমিক ২৫ রানে। সবচেয়ে বেশি খরুচে বোলার ছিলেন শার্দুল ঠাকুর। তিনি ৪২ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। ওভার প্রতি খরচ করেন ১০ দশমিক ৫০ রান।
এমপি/টিটি