বিজয়ের ১৮৪
আবাহনীর জয়ে আম্পায়ারিং বিতর্ক
প্রায় তিন বছর ধরে জাতীয় দলের বাইরে এনামুল হক বিজয়। সর্বশেষ খেলেছেন ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে। তাকে ছাড়াই বাংলাদেশের ওয়ানডে দলটা এখন প্রায় থিতু হয়ে গেছে। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে নিজেকে প্রমাণের চেষ্টা ছেড়ে দেননি বিজয়। ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের এবার দুরন্ত ফর্মে আছেন তিনি। ইতিমধ্যে প্রিমিয়ার লিগের ছয় ম্যাচে দুটি সেঞ্চুরি ও দুটি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনি।
রবিবার (২৭ মার্চ) বিকেএসপিতে প্রিমিয়ার লিগে শাইনপুকুরের বিপক্ষে ঝড় তুলেছেন বিজয়। ক্যারিয়ার সেরা ১৮৪ রানের ইনিংস খেলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে আজ বিজয় লিস্ট-এ ক্রিকেটের ১৪তম সেঞ্চুরি করেন তিনি। তার সেঞ্চুরিতে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ১১১ রানে হারিয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে।
দিনের আরেক ম্যাচে বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিকে ২০ রানে হারায় আবাহনী। তবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের জয়ে জড়িয়ে আছে আম্পায়ারিং বিতর্ক। খেলাঘরের ওপেনার হাসানুজ্জামান ভুল সিদ্ধান্তের বলি হন। আরাফাত সানির বলে আম্পায়ার তাকে এলবিডব্লিউ দেন। যদিও বোলার, কিপার কেউই আউটের আবেদন করেননি। আম্পায়ার ছিলেন মুজাহিদুজ্জামান।
প্রাইম ব্যাংকের হয়ে বিজয়ের বিশাল ইনিংসই মূলত ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছিল। তার সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ৩৮৮ রানের বড় স্কোর গড়ে প্রাইম ব্যাংক। ১৪২ বলে ১৮৪ রানের ইনিংস খেলেন বিজয়। ১৮টি চার ও ৮টি ছক্কা ছিল তার ইনিংসে। নাসির ৩২ বলে অপরাজিত ৬১, মিঠুন ৩৮, অভিমন্ন্যু ঈশ্বরন ৩০, শাহাদাত দিপু ৪৭ রান করেন। শাইনপুকুরের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন সিকান্দার রাজা ও পায়েল।
জবাবে ৮ উইকেটে ২৭৭ রানের বেশি করতে পারেনি শাইনপুকুর। সিকান্দার রাজা ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন। এ ছাড়া সাজ্জাদুল হক ৫৬, অঙ্কন ২৭, রাহাতুল ফেরদৌস অপরাজিত ২৮ রান করেন। প্রাইম ব্যাংকের রকিবুল ৪ উইকেট পান। ম্যাচ সেরা হন বিজয়।
আরেক ম্যাচে আবাহনী ৯ উইকেটে ২৬১ রান তুলেছিল। নাঈম শেখ ৮৪, মোসাদ্দেক ৬৩, শামীম ৪২, আফিফ ২৩, জাকের আলী ২০ রান করেন। পরে ৯ উইকেটে ২৪১ রানের বেশি তুলতে পারেনি খেলাঘর। অমিত মজুমদার ৭৯, অমিত হাসান ৫৪ রান করেন। আবাহনীর আরাফাত সানি, তানজিম সাকিব ৩টি করে এবং সাইফউদ্দিন ২টি উইকেট পান। নাঈম শেখ ম্যাচ সেরা হন।
এমপি/এসআইএইচ