শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র: নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা

জাতীয় নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই। সবকিছু ঠিক থাকলে ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির প্রথম দিকে দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এ অবস্থায় এখনই বাড়ছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার। এ সব আগ্নেয়াস্ত্র সীমাস্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে।

জানা যায়, রাজধানীসহ সারাদেশে এখন অপরাধীদের হাতে হাতে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র। শীর্ষ সন্ত্রাসী, রাজনৈতিক দলের ক্যাডার, জঙ্গি থেকে শুরু করে পাড়ার ছিঁচকে মাস্তানরাও এ সব ব্যবহার করছে। নিয়মিত অভিযানে মাঝে মধ্যেই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারও করছে র‌্যাব–পুলিশ।

অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সব অবৈধ অস্ত্র যদি নিয়ন্ত্রণে রাখা না যায়, তাহলে দিন দিন এর ব্যবহার বাড়বে এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।

সূত্র জানায়, দেশের প্রায় ৩০টি রুট দিয়ে অবৈধ অস্ত্র দেশে প্রবেশ করছে। বৈধ অস্ত্রের আড়ালেও আসছে অবৈধ অস্ত্র। এ ছাড়া দেশেও অস্ত্র তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত প্রায় ৫ শতাধিত সহস্রাধিক অস্ত্র উদ্ধার করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। গোয়েন্দা তথ্য বলছে, এ সব ঘটনায় সারাদেশে প্রায় ৪ হাজারেরও বেশি মামলা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে দেশে আসছে অত্যাধুনিক অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র। তবে বেশি আসছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইয়াবা দেশের অভ্যন্তরে এলেও বর্তমানে সেখান থেকেও অস্ত্র কিনছে চোরকারবারীরা।

অতিসম্প্রতি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর খোদ রাজধানীতে মাদক উদ্ধার করতে গিয়ে অস্ত্রও জব্দ করেছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর সূত্র জানায়, অস্ত্রগুলো রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে রাজধানীতে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) অভিযানে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনাও বেড়েছে।

সূত্র বলছে, চোরাকারবারীরা এ সব অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র কৌশলে সীমান্ত দিয়ে দেশে ঢোকাচ্ছে। এরপর হাত ঘুরে অ্যাম্বুলেন্স কিংবা জরুরি যানবাহনে ঢাকাসহ চাহিদা মোতাবেক ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সারাদেশে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র বলছে, সামনে জাতীয় নির্বাচন। এক শ্রেণির চক্র আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে অস্ত্র মজুতের চেষ্টা করছে। তবে নজরদারির কারণে ধরাও পড়ছে।

গত ৮ মে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ‘ইলিশ’ বাস কাউন্টারের সামনে থেকে মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে অত্যাধুনিক দুটি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন এবং ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মতিঝিল সার্কেল।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক জাফরুল্ল্যাহ কাজল এ প্রসঙ্গে ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির কাছে ব্যাগভর্তি ইয়াবা রয়েছে। কিন্তু ব্যাগ খুলতেই বেরিয়ে আসে লোডেড দুটি আধুনিক বিদেশি পিস্তল।

গ্রেপ্তাররা রতনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, অস্ত্রগুলো রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আনা হয়েছে। অস্ত্রের গন্তব্য কোথায় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ ছাড়াও চট্টগ্রাম, লক্ষীপুর, সাতক্ষীরা, রাজশাহী, যশোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া, নারায়নগঞ্জ, গাজীপুরসহ আরও কয়েকটি এলাকা থেকে অতিসম্প্রতি অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা রয়েছে। সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় বিজিবির অভিযানেও নিয়মিত ধরা পড়ছে অস্ত্র।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে সীমান্ত পথে ভারত থেকে খুব সহজেই অবৈধ অস্ত্র ঢুকছে। নির্বাচনকালে হওয়ার কারণে বর্তমানে তা আগের চেয়ে বেড়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী দরিদ্র কৃষক ও দিনমজুরদের অস্ত্র বহনে বাহক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভারতীয় অস্ত্র ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বাংলাদেশি অস্ত্র ব্যবসায়ীরা এই অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে। দেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসা অস্ত্র যাচ্ছে রাজনৈতিক দলের ক্যাডার, ভূমিদস্যু এবং সন্ত্রাসীদের হাতে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবির) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুনুর অর রশিদ জানান, বিভিন্ন সময়ে একাধিক অস্ত্রের চালান জব্দ করেছে ডিবির টিম। এসব ঘটনায় একাধিক অস্ত্র ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার হয়েছে। অবৈধ অস্ত্রৈর ব্যবসা, চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ওপর নজরদারির পাশাপাশি তাদের গ্রেপ্তারে সবসময় ডিবি কাজ করে যাচ্ছে।

পুলিশের একটি সূত্র বলছে, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমানের তত্ত্বাবধায়নে দুজন অতিরিক্ত উপকমিশনারের টিম অস্ত্রের চালানটি আটক করার পাশপাশি পাঁচ অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে। ওই চক্রের দলনেতা আকুল হোসেন। এ চক্রের শেকড় খুঁজে পেতে ৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে অনুসন্ধান চালানো হয়। অবশেষে আকুলের গ্রুপের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হলেও এ চক্রের কাছে অস্ত্র বিক্রি করা মেহেদীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি ভারতে অবস্থান করার কারণে।

গত ৭ বছরে আকুল যেসব ব্যক্তির কাছে অস্ত্র বিক্রি করেছে, তার মধ্যে ২৫ জনের নাম পেয়েছে আইনশৃঙ্কলা বাহিনী। এসব ব্যক্তির কাছে আকুলের কাছ থেকে কেনা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে। পাশাপাশি গত কয়েক বছরে আকুলের সবরাহ করা আড়াইশ অস্ত্র কাদের হাতে গেছে, তাও খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

ডিএমপি গোয়েন্দা বিভাগের (লালবাগ) উপ কমিশনার মশিউর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সামনে যেহেতু নির্বাচন একটি চক্র চাচ্ছে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে। তারাই অস্ত্র আনছে। আমরা সজাগ রয়েছি।

ডিবির কর্মকর্তারা বলছেন, শুধু এক চক্রের হাত দিয়েই যদি আড়াইশ অবৈধ অস্ত্র বাংলাদেশে প্রবেশ করে তাহলে এমন আরও একাধিক চক্র রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। সীমান্ত এলাকায় দুর্বল নজরদারি থাকার কারণে অবৈধ অস্ত্র সহজে ভারত সীমান্ত ব্যবহার করে বাংলাদেশে আসছে। এ অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে রাজনৈতিক দলের কতিপয় নেতাদেরও সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

এ সব কর্মকর্তা বলছেন, মূলত অবৈধ অস্ত্রের হাতবদল একেক সময় একেক ধরনের কৌশল নেওয়া হয়। অবৈধ অস্ত্রের মজুদ নানা প্রয়োজনে গড়ে তোলা হয়। জাতীয় নির্বাচন, স্থানীয় নির্বাচনকে ঘিরেও অবৈধ অস্ত্রৈর চালান আসতে থাকে ভারত থেকে। এ ছাড়া জমি দখল, চাঁদাবাজি, আধিপত্য নিয়ন্ত্রণেও অবৈধ অস্ত্রের মজুদ গড়ে উঠছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘বছরজুড়েই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে র‌্যাব। যেহেতু নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাই সীমান্তসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, র‌্যাবের ১৫টি ব্যাটালিয়ন অবৈধ অস্ত্রৈর মালিক, ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে নজরদারি শুরু করেছে। অবৈধ অস্ত্র পাচার ও বিক্রির সঙ্গে যুক্ত চক্রকে গ্রেপ্তারও করেছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কেউ চেষ্টা করলে সেটি প্রতিহত করা হবে।

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্যমতে, ২০২২ সালে দেশে ৪৭৫টি রাজনৈতিক সহিংসতায় ৭০ জন মারা গেছেন। আর চলতি বছরে প্রথম তিন মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় একাধিক খুনের ঘটনা ঘটেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার হয়। তবে জাতীয় নির্বাচনের আগে ভোটের মাঠের নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষমতা ধরে রাখতে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার হয়।

আরইউ/আরএ/

Header Ad
Header Ad

চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটি থেকে ধারে চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ড ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার হামজা চৌধুরী। তবে নতুন দলে এসেই তিনি হয়েছেন সর্বোচ্চ বেতনের খেলোয়াড়।

মার্চে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা হামজা চৌধুরী শেফিল্ড থেকে বছরে ২৬ লাখ পাউন্ড বেতন পাবেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা। মাসিক হিসাবে তার বেতন প্রায় ৩.৩ কোটি টাকা। তবে আপাতত জুন পর্যন্ত ধারে থাকার কারণে তিনি চলতি মৌসুমের বাকি সময় পর্যন্ত এই বেতনই পাবেন।

শেফিল্ড ইউনাইটেড বর্তমানে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে, যা তাদের আগামী মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছে। ক্লাবটি চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপাও জিততে পারে। হামজার ধারের মেয়াদ শেষ হলে শেফিল্ড ইউনাইটেড তার সঙ্গে স্থায়ী চুক্তি করার পরিকল্পনাও করছে।

শেফিল্ডে হামজার পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া খেলোয়াড় হলেন ডিফেন্ডার রব হোল্ডিং, যিনি বছরে ২৩ লাখ ৪০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা) বেতন পান। তৃতীয় সর্বোচ্চ বেতন পাওয়া খেলোয়াড়রা হলেন আনেল আহমেদহোডজিক, গুস্তাভো হার্মার, টম ডেভিস ও ভিনিসিয়াস সৌজা, যারা প্রত্যেকে বছরে ১৫ লাখ ৬০ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা) বেতন পান।

শেফিল্ড ইউনাইটেডে যোগ দিয়ে হামজা চৌধুরী শুধু মাঠের খেলায় নয়, বেতনের ক্ষেত্রেও শীর্ষস্থানে উঠে এসেছেন। এখন দেখার বিষয়, তিনি নতুন দলে কতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারেন।

Header Ad
Header Ad

পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম

ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) থেকে শেখ পরিবারের নামে থাকা সব আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি আবাসিক হলের নতুন নামকরণের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলামের অনুমোদনক্রমে এবং রেজিস্ট্রার (অ.দা.) অধ্যাপক ড. ইকতিয়ার উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ও নাম পরিবর্তন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে উপাচার্যের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হলগুলোর নতুন নাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন নামকরণের ফলে শের-ই-বাংলা হল-১ এখন শহীদ জিয়াউর রহমান হল-১, শের-ই-বাংলা হল-২ হয়েছে শহীদ জিয়াউর রহমান হল-২, কবি বেগম সুফিয়া কামাল হল হয়েছে চাঁদ সুলতানা হল, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল হয়েছে কবি বেগম সুফিয়া কামাল হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল হয়েছে বিজয় ২৪ হল এবং বরিশাল ক্যাম্পাসের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল হয়েছে জুলাই ৩৬ হল। এছাড়া, নির্মাণাধীন নতুন ছাত্র হলের নাম রাখা হয়েছে শের-ই-বাংলা হল, আর নির্মাণাধীন নতুন ছাত্রী হলের নাম হবে তাপসী রাবেয়া হল। তবে এম. কেরামত আলী হলের নাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরও জানিয়েছে, পরবর্তী রিজেন্ট বোর্ড সভায় আনুষ্ঠানিক অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত নতুন নামগুলো বহাল থাকবে।

Header Ad
Header Ad

ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের তেল আবিব শহরতলির ব্যাট ইয়াম ও হোলোন এলাকায় পার্কিং লটে থাকা তিনটি বাসে পরপর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির পুলিশ একে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলা বলে মনে করছে।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, আরও দুটি বাসে বিস্ফোরক রাখা হলেও তা বিস্ফোরিত হয়নি। বিস্ফোরণের পরপরই বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে এবং সন্দেহভাজনদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

পুলিশ ধারণা করছে, বিস্ফোরণ ঘটানোর সময় নির্ধারণে ভুল হওয়ার কারণে বড় ধরনের প্রাণহানির ঘটনা এড়ানো গেছে। এ ঘটনার পর ইসরায়েলজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হয়েছে এবং জনগণকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের পরিবহনমন্ত্রী মিরি রেগেভ সব বাস, ট্রেন ও লাইট রেল পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিস্ফোরক খুঁজে বের করার জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি বাস পার্কিং লটে আগুনে পুড়ছে এবং কালো ধোঁয়া আকাশে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

পুলিশের মুখপাত্র আরিয়ে দোরন চ্যানেল ১২-কে জানিয়েছেন, "আমরা তেল আবিবের বিভিন্ন স্থানে আরও বিস্ফোরক আছে কিনা, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যে কোনো সন্দেহজনক ব্যাগ বা বস্তু দেখলেই আমাদের জানান।’"

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, একটি অবিস্ফোরিত ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত একটি বার্তায় লেখা ছিল, ‘তুলকারেম থেকে প্রতিশোধ’। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানের জবাবে ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের তুলকারেম শহর থেকে এই হামলার পরিকল্পনা করা হয়ে থাকতে পারে।

বিস্ফোরণের ঘটনার পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ পশ্চিম তীরের শরণার্থী শিবিরে সামরিক অভিযান আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য নিয়মিত জানানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে মাসে ৪০ কোটি টাকা বেতন পাবেন হামজা চৌধুরী
পবিপ্রবিতে আবাসিক হলগুলোর নাম পরিবর্তন, মুছে ফেলা হলো শেখ পরিবারের নাম
ইসরায়েলের তেল আবিবে তিনটি বাসে বিস্ফোরণ
বিয়ের ছবি ভাইরাল, বললেন শুভকামনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ
বাংলা ভাষায় মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানালেন সৌদি রাষ্ট্রদূত
বিমানবন্দর থেকে ৪৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠালো মালয়েশিয়া
স্বামীর বন্ধু পরিচয়ে পদ্মার চরে নিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ৩
১ মার্চ রোজা শুরু হলে ৩৩ বছর পর ঘটতে পারে এক বিরল ঘটনা
ফ্যাসিবাদ যতোই ফিরে আসার চেষ্টা করুক, প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না: জামায়াত আমির
এফবিআই প্রধান হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কাশ প্যাটেল
ভেঙে গেল চাহাল-ধনশ্রীর সংসার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত উন্মুক্ত কনসার্ট স্থগিত
জনগণের পক্ষের কোনো রাজনীতিবিদ কখনও পালায় না: রিজভী
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগবে না, কারণ আমি এসে গেছি: ট্রাম্প
ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে আগামীর বাংলাদেশ গড়বে: সারজিস আলম
শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা জানানোর সময় ‘গো ব্যাক চুপ্পু’ স্লোগান
ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের ঢল
শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শ্রদ্ধা
গাজায় ধ্বংসস্তূপে মিলল আরও ২২ লাশ, মৃতের সংখ্যা ৪৮ হাজার ৩০০ ছাড়াল
একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা