বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ | ১১ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র: নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা

জাতীয় নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই। সবকিছু ঠিক থাকলে ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির প্রথম দিকে দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এ অবস্থায় এখনই বাড়ছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার। এ সব আগ্নেয়াস্ত্র সীমাস্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে।

জানা যায়, রাজধানীসহ সারাদেশে এখন অপরাধীদের হাতে হাতে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র। শীর্ষ সন্ত্রাসী, রাজনৈতিক দলের ক্যাডার, জঙ্গি থেকে শুরু করে পাড়ার ছিঁচকে মাস্তানরাও এ সব ব্যবহার করছে। নিয়মিত অভিযানে মাঝে মধ্যেই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারও করছে র‌্যাব–পুলিশ।

অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ সব অবৈধ অস্ত্র যদি নিয়ন্ত্রণে রাখা না যায়, তাহলে দিন দিন এর ব্যবহার বাড়বে এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।

সূত্র জানায়, দেশের প্রায় ৩০টি রুট দিয়ে অবৈধ অস্ত্র দেশে প্রবেশ করছে। বৈধ অস্ত্রের আড়ালেও আসছে অবৈধ অস্ত্র। এ ছাড়া দেশেও অস্ত্র তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত প্রায় ৫ শতাধিত সহস্রাধিক অস্ত্র উদ্ধার করেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। গোয়েন্দা তথ্য বলছে, এ সব ঘটনায় সারাদেশে প্রায় ৪ হাজারেরও বেশি মামলা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে দেশে আসছে অত্যাধুনিক অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র। তবে বেশি আসছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইয়াবা দেশের অভ্যন্তরে এলেও বর্তমানে সেখান থেকেও অস্ত্র কিনছে চোরকারবারীরা।

অতিসম্প্রতি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর খোদ রাজধানীতে মাদক উদ্ধার করতে গিয়ে অস্ত্রও জব্দ করেছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর সূত্র জানায়, অস্ত্রগুলো রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে রাজধানীতে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) অভিযানে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনাও বেড়েছে।

সূত্র বলছে, চোরাকারবারীরা এ সব অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র কৌশলে সীমান্ত দিয়ে দেশে ঢোকাচ্ছে। এরপর হাত ঘুরে অ্যাম্বুলেন্স কিংবা জরুরি যানবাহনে ঢাকাসহ চাহিদা মোতাবেক ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সারাদেশে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র বলছে, সামনে জাতীয় নির্বাচন। এক শ্রেণির চক্র আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে অস্ত্র মজুতের চেষ্টা করছে। তবে নজরদারির কারণে ধরাও পড়ছে।

গত ৮ মে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ‘ইলিশ’ বাস কাউন্টারের সামনে থেকে মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে অত্যাধুনিক দুটি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন এবং ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মতিঝিল সার্কেল।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক জাফরুল্ল্যাহ কাজল এ প্রসঙ্গে ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির কাছে ব্যাগভর্তি ইয়াবা রয়েছে। কিন্তু ব্যাগ খুলতেই বেরিয়ে আসে লোডেড দুটি আধুনিক বিদেশি পিস্তল।

গ্রেপ্তাররা রতনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, অস্ত্রগুলো রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে আনা হয়েছে। অস্ত্রের গন্তব্য কোথায় তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ ছাড়াও চট্টগ্রাম, লক্ষীপুর, সাতক্ষীরা, রাজশাহী, যশোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া, নারায়নগঞ্জ, গাজীপুরসহ আরও কয়েকটি এলাকা থেকে অতিসম্প্রতি অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা রয়েছে। সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় বিজিবির অভিযানেও নিয়মিত ধরা পড়ছে অস্ত্র।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে সীমান্ত পথে ভারত থেকে খুব সহজেই অবৈধ অস্ত্র ঢুকছে। নির্বাচনকালে হওয়ার কারণে বর্তমানে তা আগের চেয়ে বেড়েছে। ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী দরিদ্র কৃষক ও দিনমজুরদের অস্ত্র বহনে বাহক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভারতীয় অস্ত্র ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বাংলাদেশি অস্ত্র ব্যবসায়ীরা এই অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছে। দেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসা অস্ত্র যাচ্ছে রাজনৈতিক দলের ক্যাডার, ভূমিদস্যু এবং সন্ত্রাসীদের হাতে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবির) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুনুর অর রশিদ জানান, বিভিন্ন সময়ে একাধিক অস্ত্রের চালান জব্দ করেছে ডিবির টিম। এসব ঘটনায় একাধিক অস্ত্র ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার হয়েছে। অবৈধ অস্ত্রৈর ব্যবসা, চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ওপর নজরদারির পাশাপাশি তাদের গ্রেপ্তারে সবসময় ডিবি কাজ করে যাচ্ছে।

পুলিশের একটি সূত্র বলছে, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবির গুলশান বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমানের তত্ত্বাবধায়নে দুজন অতিরিক্ত উপকমিশনারের টিম অস্ত্রের চালানটি আটক করার পাশপাশি পাঁচ অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে। ওই চক্রের দলনেতা আকুল হোসেন। এ চক্রের শেকড় খুঁজে পেতে ৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে অনুসন্ধান চালানো হয়। অবশেষে আকুলের গ্রুপের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হলেও এ চক্রের কাছে অস্ত্র বিক্রি করা মেহেদীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি ভারতে অবস্থান করার কারণে।

গত ৭ বছরে আকুল যেসব ব্যক্তির কাছে অস্ত্র বিক্রি করেছে, তার মধ্যে ২৫ জনের নাম পেয়েছে আইনশৃঙ্কলা বাহিনী। এসব ব্যক্তির কাছে আকুলের কাছ থেকে কেনা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে। পাশাপাশি গত কয়েক বছরে আকুলের সবরাহ করা আড়াইশ অস্ত্র কাদের হাতে গেছে, তাও খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

ডিএমপি গোয়েন্দা বিভাগের (লালবাগ) উপ কমিশনার মশিউর রহমান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সামনে যেহেতু নির্বাচন একটি চক্র চাচ্ছে দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে। তারাই অস্ত্র আনছে। আমরা সজাগ রয়েছি।

ডিবির কর্মকর্তারা বলছেন, শুধু এক চক্রের হাত দিয়েই যদি আড়াইশ অবৈধ অস্ত্র বাংলাদেশে প্রবেশ করে তাহলে এমন আরও একাধিক চক্র রয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। সীমান্ত এলাকায় দুর্বল নজরদারি থাকার কারণে অবৈধ অস্ত্র সহজে ভারত সীমান্ত ব্যবহার করে বাংলাদেশে আসছে। এ অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে রাজনৈতিক দলের কতিপয় নেতাদেরও সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

এ সব কর্মকর্তা বলছেন, মূলত অবৈধ অস্ত্রের হাতবদল একেক সময় একেক ধরনের কৌশল নেওয়া হয়। অবৈধ অস্ত্রের মজুদ নানা প্রয়োজনে গড়ে তোলা হয়। জাতীয় নির্বাচন, স্থানীয় নির্বাচনকে ঘিরেও অবৈধ অস্ত্রৈর চালান আসতে থাকে ভারত থেকে। এ ছাড়া জমি দখল, চাঁদাবাজি, আধিপত্য নিয়ন্ত্রণেও অবৈধ অস্ত্রের মজুদ গড়ে উঠছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘বছরজুড়েই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে র‌্যাব। যেহেতু নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাই সীমান্তসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, র‌্যাবের ১৫টি ব্যাটালিয়ন অবৈধ অস্ত্রৈর মালিক, ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে নজরদারি শুরু করেছে। অবৈধ অস্ত্র পাচার ও বিক্রির সঙ্গে যুক্ত চক্রকে গ্রেপ্তারও করেছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কেউ চেষ্টা করলে সেটি প্রতিহত করা হবে।

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্যমতে, ২০২২ সালে দেশে ৪৭৫টি রাজনৈতিক সহিংসতায় ৭০ জন মারা গেছেন। আর চলতি বছরে প্রথম তিন মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় একাধিক খুনের ঘটনা ঘটেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক তৌহিদুল হক বলেন, নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার হয়। তবে জাতীয় নির্বাচনের আগে ভোটের মাঠের নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষমতা ধরে রাখতে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার হয়।

আরইউ/আরএ/

Header Ad
Header Ad

পাবনায় ইজিবাইক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ২ এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত

নিহত দুই শিক্ষার্থী। ছবি: সংগৃহীত

পাবনার আমিনপুরে ইজিবাইক ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে কাশীনাথপুর-আমিনপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের লালের মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো- আমিনপুর থানার ঢালারচর ইউনিয়নের গোয়ালনগর গ্রামের করিম কারীর ছেলে আসাদ (১৭) ও সাঁথিয়ার বনগ্রাম এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে জুবায়ের (১৮)। তারা দুজনই এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কাজিরহাট এলাকায় যাচ্ছিল দুই শিক্ষার্থী। মহাসড়কের লালের মোড় থেকে একটি ইজিবাইক মূল সড়কে ওঠার সময়, দ্রুতগতির মোটরসাইকেলটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ভয়াবহ ওই ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা যান আসাদ ও জুবায়ের।

এ বিষয়ে আমিনপুর থানার ওসি নুরুস সালাম সিদ্দিকী বলেন, “দুর্ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। আমরা ধারণা করছি, অতিরিক্ত গতির কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানের আকাশে ঢুকতে পারবে না ভারতীয় বিমান, নতুন চাপে মোদি

ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। ভারতের তরফ থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানোর একদিন পরেই পাল্টা জবাব দিয়েছে ইসলামাবাদ। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) পাকিস্তান সরকার একগুচ্ছ কঠোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে, যা দুই দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কে বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে—ভারতীয় মালিকানাধীন বা পরিচালিত সব ধরনের বিমান পাকিস্তানের আকাশসীমায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ। এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ার আকাশপথে বড় ধরনের জটিলতা তৈরি হতে পারে।

এছাড়া, ঐতিহাসিক সিমলা চুক্তি বাতিল ও ওয়াঘাহ সীমান্ত বন্ধের ঘোষণাও এসেছে একই দিনে। পাকিস্তান আরও জানিয়েছে, ভারতের সঙ্গে সব ধরনের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য স্থগিত করা হয়েছে। এমনকি তৃতীয় কোনো দেশের পণ্যও পাকিস্তান হয়ে ভারতে যেতে পারবে না।

বিতর্কিত সিদ্ধান্তগুলোর তালিকায় রয়েছে সার্কভুক্ত দেশগুলোর জন্য দেওয়া বিশেষ ভিসা সুবিধা বাতিল করা। যেসব ভারতীয় নাগরিক বর্তমানে এই ভিসার আওতায় পাকিস্তানে অবস্থান করছেন, তাদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ইসলামাবাদে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের সামরিক উপদেষ্টাদের ‘অবাঞ্ছিত ব্যক্তি’ ঘোষণা করে ভারতীয় কূটনীতিকদের সংখ্যা কমিয়ে ৩০ জনে নামিয়ে আনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে ৩০ এপ্রিল থেকে।

এইসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে। বৈঠকে ভারতের সিন্ধু নদ চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে পাকিস্তান হুঁশিয়ারি দেয়—পানি প্রবাহে বিঘ্ন ঘটালে তা যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে বিবেচিত হবে।

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে এক সশস্ত্র হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। ভারত এই হামলার পেছনে পাকিস্তানি নাগরিকদের জড়িত থাকার দাবি করলেও, পাকিস্তান তা ‘ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।

Header Ad
Header Ad

টানা ৫ দিন চুয়াডাঙ্গায় বইছে তাপপ্রবাহ, বিপর্যস্ত জনজীবন

টানা ৫ দিন চুয়াডাঙ্গায় বইছে তাপপ্রবাহ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা জেলায় টানা পাঁচদিন ধরে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার তাপপ্রবাহ। এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন জেলার সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে খেটে খাওয়া দিনমজুর ও কৃষকরা। রোদের প্রচণ্ডতা ও গরমের তীব্রতায় একপ্রকার অচল হয়ে পড়েছে জনজীবন।

সকাল থেকেই সূর্যের তেজ বাড়তে থাকে এবং দুপুর গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা চরমে পৌঁছায়। রাস্তাঘাটে দেখা যাচ্ছে ফাঁকা পরিবেশ, ছায়া বা ঠান্ডা জায়গা ছাড়া কেউই বের হচ্ছেন না প্রয়োজন ছাড়া। কর্মক্ষেত্রে বিশেষত খোলা আকাশের নিচে যাদের কাজ করতে হয়, তাদের কষ্ট যেন দ্বিগুণ হয়ে গেছে। রিকশাচালক, ভ্যানচালক, নির্মাণ শ্রমিকদের দিন কাটছে রোদ আর ঘামের সঙ্গে যুদ্ধ করে।

এদিকে, জেলায় চলছে আউশ ধান কাটার মৌসুম। কিন্তু তীব্র রোদ ও ভ্যাপসা গরমে মাঠে কাজ করতেও হিমশিম খাচ্ছেন কৃষকরা। দিনের বেলা কৃষিকাজ প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার ঊর্ধ্বগতি শুরু হয় ২১ এপ্রিল থেকে। ওই দিন ছিল ৩৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর ২২ এপ্রিল বেড়ে দাঁড়ায় ৩৬.৩ ডিগ্রি, আর ২৩ এপ্রিল ছুঁয়ে ফেলে ৩৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ ২৪ এপ্রিল দুপুরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৫ ডিগ্রি, যা বিকেলে বেড়ে ৩৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়ায়। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৪৬ শতাংশ, যা গরমের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে তোলে।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, আগামী তিন থেকে চার দিন এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। তবে ২৭ বা ২৮ এপ্রিলের দিকে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, তখন কিছুটা স্বস্তি পেতে পারে অঞ্চলটি।

গরমজনিত অসুস্থতা এড়াতে স্বাস্থ্য বিভাগ সতর্কতা জারি করেছে। প্রচুর পানি পান, হালকা খাবার গ্রহণ এবং সূর্যের প্রখরতা কমার আগে বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

পাবনায় ইজিবাইক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ২ এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
পাকিস্তানের আকাশে ঢুকতে পারবে না ভারতীয় বিমান, নতুন চাপে মোদি
টানা ৫ দিন চুয়াডাঙ্গায় বইছে তাপপ্রবাহ, বিপর্যস্ত জনজীবন
বাংলাদেশ সফর স্থগিত করলেন পাকিস্তান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আমাদের নিয়ত পরিষ্কার, যা কমিটমেন্ট করেছি তা বাস্তবায়ন করবো: তারেক রহমান
টাইমস হায়ার এডুকেশন র‍্যাঙ্কিং: দেশের শীর্ষে বুয়েট ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়
অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে ডা. জাহাঙ্গীর কবির-তাসনিম জারার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ (ভিডিও)
তন্ময়সহ শেখ পরিবারের ৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
চলতি বছরে দেশে আরো ৩০ লাখ মানুষ দরিদ্র হতে পারে: বিশ্বব্যাংক
৮ দিন পর মুক্তি পেলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী
পাকিস্তানের সঙ্গে কখনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে না ভারত
৮ দিনের নোটিশে সরকারি কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা যাবে তদন্ত ছাড়াই
ভেঙে গেল সামিরা খান মাহির ৪ বছরের প্রেম
বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া
বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের বৈষম্য নিরসনের দাবি জানিয়ে রাবিতে বিক্ষোভ
কাশ্মিরে উগ্রপন্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতীয় সেনা নিহত
সিঙ্গাপুর ম্যাচেই অভিষেক হতে পারে ফাহমিদুলের
বাবার ঠিকাদারি ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কুয়েটের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য
গোল্ডেন ভিসায় দুবাইয়ে সম্পদের পাহাড়, ৭০ জনকে চিহ্নিত করেছে দুদক