সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

নিত্যপণ্যের চেয়েও লাগামহীন ‍ওষুধের দাম

ওষুধের দাম নাগালের বাইরে চলে গেছে নীরবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়লে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হলেও এক্ষেত্রে ওষুধ যেন ব্যতিক্রম। একটু একটু করে নাগালের বাইরে চলে গেছে ওষুধ কেনার সামর্থ্য।

যেন-তেন কোম্পানির চেয়ে নামীদামি ওষুধ কোম্পানিগুলো ইচ্ছামতো দাম বাড়াচ্ছে। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের ছোটখাট ফার্মেসি থেকে শুরু করে রাজধানীর বড় বড় ফার্মেসিতে জ্বর-ঠান্ডা থেকে শুরু করে প্রেসার, ভিটামিন, অ্যান্টিবায়োটিকসহ প্রায় ওষুধের দামে একেবারে লাগামহীন হয়ে পড়েছে। কোনো কোনো ওষুধের দাম ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, নিত্যপণ্যের দাম যেভাবে না বাড়ছে মানুষের জীবন-মরণ নির্ভর করা ওষুধের দাম তার চেয়ে বেশি বাড়ছে। বিভিন্ন বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে ওষুধের বাড়তি দামের এমনই ভয়াবহ চিত্র পাওয়া গেছে।

কোন কোন ওষুধের দাম বাড়ছে জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর থানার বনগাঁও বাজারের জনি ফার্মেসির নাইমুল হক মালি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ধান, চাল, সবজির চেয়ে ওষুধের দাম ইচ্ছামতো বাড়াচ্ছে কোম্পানি। করোনার পর থেকেই এভাবে কয়েক মাস যেতে না যেতে বেড়েই যাচ্ছে ওষুধের দাম। রোগীরা খুবই অসহায় অবস্থার মধ্যে পড়েছে।

এ ব্যাপারে মোহাম্মদপুর বাসস্টান্ডে তাজ ফার্মেসির আব্দুর রহিম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, কয়েক মাস পর পরই বিভিন্ন ওষুধের দাম বাড়ছে। দেখা গেছে আগের লটের ওষুধ শেষ না হতেই নতুন করে বাড়তি দামের ওষুধ বাজারে ছেড়ে দিচ্ছে কোম্পানিগুলো।

সোলাইম্যান নামে এক ক্রেতা ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, আগে তিন চার পাতা ওষুধ কিনতে ৩০০ টাকা লাগত। বর্তমানে ৪০০ টাকাতেও জুটে না। এতো বেশি দাম কেন? কি হয়েছে যে ওষুধের দাম এত বেশি বাড়ছে? এটা কি দেখার কেউ নেই?

শুধু এই ফার্মেসিতে নয়, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনে ঠাকুরগাঁও ফার্মেসিসহ অন্যান্য ফার্মেসির বিক্রেতাদেরও অভিযোগ করোনার পর থেকে ওষুধের দাম বাড়ছেই। কোম্পানিগুলো ইচ্ছামতো দাম বাড়াচ্ছে।

বিভিন্ন ফার্মেসিতে খোজ নিয়ে জানা যায়, প্রেসারের (উচ্চ রক্তচাপ) ওষুধের দাম খুবই বেড়েছে। ওসারটিলের দাম আগে ছিল ৮০ টাকা পাতা, বর্তমানে ১০০ টাকা হয়ে গেছে। এভাবে ৮০ টাকার নজেলক ১০০ টাকা, ৬০ টাকার লোসারভা ৮০ টাকা, ৬০ টাকার ফিক্সকার্ড ৮০ টাকা, ৯৮ টাকার সিলডিপ-৫ হয়েছে ১১২ টাকা, ১২৬ টাকার সিলডিপ-১০ হয়েছে ১৪০ টাকা। এক পাতা বিসলল (৫ এমজি) ট্যাবলেট ১৩০ থেকে ১৬০টা হয়েছে। এভাবে অরবাপিনসহ প্রেসারের প্রায় সব ওষুধের দাম বেড়েই যাচ্ছে।

অধিকাংশ মানুষের গ্যাস্ট্রিকের জন্য ওষুধের দরকার হয়। দাম বাড়ার দিক থেকে পিছিয়ে নেই। প্রতি পিস ফিনিক্স (২০ এমজি) ট্যাবলেট ৫ থেকে ৭ টাকা, ওমিডন (১০ এমজি) ট্যাবলেট ৩ থেকে ৪ টাকা, ৫ টাকার ওমেফ ৬ টাকা ও ৬ টাকার প্যান্টোনিক্স ৭ টাকা হয়েছে। ব্যথা ও গ্যাস্ট্রিকের চিকিৎসায় ন্যাপ্রোসিন প্লাস ২০ এমজি+ ৩৭৫ এমজি ট্যাবলেট ১৬ টাকা থেকে ২০ টাকা হয়েছে।

বিক্রেতারা বলেন, ক্যালসিয়ামের দামও বহুগুণ বেড়ে গেছে। আগে ২১০ টাকা ক্যালবোডি বিক্রি করা হলেও বর্তমানে ২৪০ টাকা, ২৪০ টাকার রেনোভিট হয়ে গেছে ২৭০ টাকা, ২৪০ টাকার বোস্ট ২৭০ টাকা, ৩০০ টাকার ক্যালবোরাল-ডি ৩৩০ টাকা হয়ে গেছে। ক্যালসিয়ামের এক কৌটা নিউরো-বি ট্যাবলেটের দাম ২৭০ থেকে ৩০০ টাকা হয়েছে। এসব ওষুধের কমিশনও কম। তাই লাভও কম হচ্ছে। কিন্তু ক্রেতাদের ক্ষোভের কথা শুনতে হচ্ছে।

ফার্মেসি মালিকরা আরও জানান, অপারেশনের পর পরই অ্যান্টিবায়োটিক দরকার হয়। এই ওষুধের দামও লাগামহীন হয়ে পড়েছে। অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেফোটিল প্লাস (৫০০ এমজি) ৫০ থেকে বেড়ে ৬০ টাকা পিস হয়ে গেছে। ৫০ টাকার সেকোক্লাব ৬০ টাকা, ৩৫ টাকার অ্যাজিথ্রোমাইসিন ৪৫ টাকা, ৩৫ টাকা জিম্যাক্স ৪০ টাকা, ৫০ টাকা সেফথ্রি ৬০ টাকা পিস হয়ে গেছে। মক্সাসিলিন (১০০ মিলি) সিরাপ ৪৭ থেকে ৭০ টাকা হয়েছে।

তারা আরও বলেন, শিশুদের নাকের অ্যান্টাজল ০০. ৫% ড্রপ ১১ থেকে ১৯ টাকা ও প্রাপ্তবয়স্কদের নাকের অ্যান্টাজল ০.১% ড্রপ ১১ থেকে ২০ টাকা করা হয়েছে। আমাশয় রোগীদের পেটের সমস্যায় ব্যবহৃত প্রতি পিস প্রোবায়ো ক্যাপসুল ১৪ থেকে ২৫ টাকা হয়েছে।

শুধু তাই নয়, ডায়াবেটিসের জন্য প্রতি পিস কমপ্রিট (৪০ এমজি) ট্যাবলেট ৭ থেকে ৮ টাকা হয়েছে। কাশির তুসকা প্লাস (১০০ মিলি) সিরাপ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা এবং ফেক্সো (৫০ মিলি) সিরাপ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা করা হয়েছে।

জ্বর, ব্যথার জন্য অতি সাধারণ নাম নাপার দামও ১০ থেকে ১২ টাকা পাতা হয়ে গেছে। এ ছাড়া শিশুদের জ্বরের চিকিৎসায় ব্যবহৃত নাপা ড্রপ ১৫ থেকে ২০ টাকা করা হয়েছে। নাপা সিরাপ (৬০ মিলি) ২০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা হয়েছে।

এ ছাড়া এলার্জির প্রতি পিস ফেনাডিন (১২০ এমজি) ট্যাবলেট ৮ থেকে ৯ টাকা করা হয়েছে। শিশুদের জিংক সিরাপ (১০০ মিলি) ৩৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা ও শিশুদের পেটফাপা ও হজমশক্তির চিকিৎসায় ব্যবহৃত নও-নেহাল সিরাপ ৬০ টাকা ৭৫ টাকা হয়েছে।

শুধু তাই নয়, শ্বাসকষ্টের চিকিৎসায় মোনাস ১০ ট্যাবলেট ১২ টাকা থেকে ১৬ টাকা হয়েছে। ২০০ এমজির ডপজিবা ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা পাতা, ৪০০ এমজি ৮০ থেকে ১২০ টাকা হয়ে গেছে। একইভাবে ডকোপার দামও ৬০ থেকে বেড়ে ৮০ টাকা ও ৮০ থেকে ১২০ টাকা হয়ে গেছে।

শুধু ওষুধের দামই নয় জরুরি অস্ত্রোপচার কক্ষে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম, হৃৎপিণ্ডের ভাল্ব ও পেসমেকারসহ বিভিন্ন মেডিকেল ডিভাইসের দামও অনেক বেড়ে গেছে।

সার্বিক ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প মালিক সমিতির উপদেষ্টা ও জেনারেল ফামাসিউটিক্যালস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মোমেনুল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ডলারের কারণে সব ওষুধের দাম বাড়ছে। কারণ দেখা গেছে ৮৭ টাকা ডলার ১১০ টাকা হয়ে গেছে। আমাদের সব কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। এ ছাড়া অন্যান্য জিনিসের দামও বেড়েছে। তাই আমাদের ওষুধের দাম বাড়াতে হচ্ছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ডা. মোমেনুল হক বলেন, আমরা ইচ্ছামতো ওষুধের দাম বাড়াই না। আমরা যুক্তি দেখিয়ে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করি। ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা নিত্যপণ্যের দাম ঠিক করে। আর ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে ওষুধের দাম নির্ধারণ করে দেয়। কাজেই আমরা বলব ইচ্ছামতো বাড়ানো হচ্ছে না। বাজারে চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই নির্ধারিত দামে ভোক্তাদের কাছে ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে।

দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে জানতে চাইলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও উপপরিচালক ডা. আইয়ুব হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ১১৭টি ওষুধের এমআরপি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন কারণে ওষুধ কোম্পানি দাম বৃদ্ধির জন্য আবেদন করলে ৫৩টি পণ্যের দাম বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বাজারে ওষুধের দাম লাগামহীন হয়ে গেছে এমন প্রশ্নের জবাবে আইয়ুব হোসেন বলেন, দাম নির্ধারণে সরকারের দুইটি কমিটি করা হয়েছে। তারা প্যাকেজিং মূল্যসহ সব দিক বিবেচনা করে মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সচিবের নেতৃত্বে সরকার নিয়ন্ত্রিত টেকনিক্যাল কমিটি দাম নির্ধারণ করে। তা হিসাব নিকাশ করেই করা হয়। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা বিশেষ পণ্য। তাই আলোচনা সভা করে দাম নির্ধারণ করা হয় না। সংশ্লিষ্টদের নিয়েই টেকনিক্যাল কমিটি দাম নির্ধারণ করে।

আরইউ/এসএন

 

Header Ad
Header Ad

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট গণঅভুত্থানে গণহত্যার মামলায় আগামী মাসের শুরুতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে-আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আলজাজিরার বৈশ্বিক নেতাদের সাক্ষাৎকারমূলক অনুষ্ঠান ‘টক টু আল–জাজিরা’য় এ কথা বলেন তিনি।
আগামী ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে ফের জানিয়েছেন তিনি

এ সময় তিনি আরও বলেন, শুধু মানবিক সহায়তা নয়, নিরাপদ প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান।

বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন উপহার দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচনের আগে সংস্কারের তালিকা ছোট হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং তালিকা বড় হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা এখনও তুঙ্গে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান।

আলজাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।

আলজাজিরার উপস্থাপক ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করেন, এটা কি বলা ঠিক যে, শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অনেকে রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে।

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক, বাংলাদেশের মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সরাসরি চলে যেতে এখনও বলছে না। বরং একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সরকারই নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে। জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা এখনও বলছে না।

লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারবে?

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। তারা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া যাতে তৈরি হয়।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হবে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন,
এ প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে–তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কিনা। তারা এখনও কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ নানা বিষয় সামনে আসতে পারে।

তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তা নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে, যারা বলতে পারে যে, এ আইনের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের প্রসঙ্গ ওঠে। ড. ইউনূস জানান,
তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। জবাবে মোদি বলেছিলেন, এটা তার জন্য সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে, সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, একসঙ্গে কাজ করার নীতি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা একসঙ্গেই পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিতে চাই।

Header Ad
Header Ad

ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর পাশাপাশি কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা। এছাড়া আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ।

সারাদেশের সকাল ৬ টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপামাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

আরও বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুরের ডিমলাতে সর্বোচ্চ ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার অংশ হিসেবে আলোচনা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আলী রীয়াজ বলেন, চর্চা, ঐক্যে এবং সম্মিলিতভাবে জাতীয় সনদ তৈরি করতে সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। যাতে করে ক্ষমতার বিন্যাসে পরিবর্তন ঘটে। বাংলাদেশ যাতে সমস্ত সম্ভাবনা নিয়ে জাগ্রত হতে পারে। গত ৫৩ বছর মানুষ যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করছে, সেই আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করা যায়, পথ উন্মুক্ত করা যায়, যেন সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি। তারাই অংশ হিসেবে এ আলোচনা।

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন, মতামত ও সুপারিশই যথেষ্ট নয়। সব রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর জনমানুষের ঐক্যের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে নতুন বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর করতে পারব। কাজে কি লিখছি তা নয়, চর্চার মধ্য দিয়ে, অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে, প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে আমাদের এ কাজে অগ্রসর হতে হবে। আমরা সেই প্রচেষ্টায় আছি।

ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তরুণদের নেতৃত্বে প্রাণ দিয়ে যে সম্ভাবনা তৈরি করেছে, সবাই মিলে সে সম্ভাবনাকে বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হতে হবে। সেই পথ ও প্রচেষ্টায় সবাই একত্রিত আছি, থাকব। একত্রিত থাকার তাগিদ জারি রাখব।

রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি দলের কাছে মতামত চেয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর মধ্যে ৩৫টি দল মতামত জমা দিয়েছে বলে জানান আলী রীয়াজ। রোববার পর্যন্ত কমিশন ১৯টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে। ২০তম দল হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে কমিশন সংলাপ করছে বলে জানান আলী রীয়াজ।

২০১৮ সালে বর্তমান গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কোটা সংস্কার আন্দোলনের কথা তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, তাদের অকুতোভয় সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের নতুন পর্যায় সূচনা হয়েছিল। যার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী পর্যায়ে একটি অভূতপূর্ব ও অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু