শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নিত্যপণ্যের চেয়েও লাগামহীন ‍ওষুধের দাম

ওষুধের দাম নাগালের বাইরে চলে গেছে নীরবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়লে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হলেও এক্ষেত্রে ওষুধ যেন ব্যতিক্রম। একটু একটু করে নাগালের বাইরে চলে গেছে ওষুধ কেনার সামর্থ্য।

যেন-তেন কোম্পানির চেয়ে নামীদামি ওষুধ কোম্পানিগুলো ইচ্ছামতো দাম বাড়াচ্ছে। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের ছোটখাট ফার্মেসি থেকে শুরু করে রাজধানীর বড় বড় ফার্মেসিতে জ্বর-ঠান্ডা থেকে শুরু করে প্রেসার, ভিটামিন, অ্যান্টিবায়োটিকসহ প্রায় ওষুধের দামে একেবারে লাগামহীন হয়ে পড়েছে। কোনো কোনো ওষুধের দাম ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। ক্রেতাদের অভিযোগ, নিত্যপণ্যের দাম যেভাবে না বাড়ছে মানুষের জীবন-মরণ নির্ভর করা ওষুধের দাম তার চেয়ে বেশি বাড়ছে। বিভিন্ন বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে ওষুধের বাড়তি দামের এমনই ভয়াবহ চিত্র পাওয়া গেছে।

কোন কোন ওষুধের দাম বাড়ছে জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর থানার বনগাঁও বাজারের জনি ফার্মেসির নাইমুল হক মালি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ধান, চাল, সবজির চেয়ে ওষুধের দাম ইচ্ছামতো বাড়াচ্ছে কোম্পানি। করোনার পর থেকেই এভাবে কয়েক মাস যেতে না যেতে বেড়েই যাচ্ছে ওষুধের দাম। রোগীরা খুবই অসহায় অবস্থার মধ্যে পড়েছে।

এ ব্যাপারে মোহাম্মদপুর বাসস্টান্ডে তাজ ফার্মেসির আব্দুর রহিম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, কয়েক মাস পর পরই বিভিন্ন ওষুধের দাম বাড়ছে। দেখা গেছে আগের লটের ওষুধ শেষ না হতেই নতুন করে বাড়তি দামের ওষুধ বাজারে ছেড়ে দিচ্ছে কোম্পানিগুলো।

সোলাইম্যান নামে এক ক্রেতা ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, আগে তিন চার পাতা ওষুধ কিনতে ৩০০ টাকা লাগত। বর্তমানে ৪০০ টাকাতেও জুটে না। এতো বেশি দাম কেন? কি হয়েছে যে ওষুধের দাম এত বেশি বাড়ছে? এটা কি দেখার কেউ নেই?

শুধু এই ফার্মেসিতে নয়, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনে ঠাকুরগাঁও ফার্মেসিসহ অন্যান্য ফার্মেসির বিক্রেতাদেরও অভিযোগ করোনার পর থেকে ওষুধের দাম বাড়ছেই। কোম্পানিগুলো ইচ্ছামতো দাম বাড়াচ্ছে।

বিভিন্ন ফার্মেসিতে খোজ নিয়ে জানা যায়, প্রেসারের (উচ্চ রক্তচাপ) ওষুধের দাম খুবই বেড়েছে। ওসারটিলের দাম আগে ছিল ৮০ টাকা পাতা, বর্তমানে ১০০ টাকা হয়ে গেছে। এভাবে ৮০ টাকার নজেলক ১০০ টাকা, ৬০ টাকার লোসারভা ৮০ টাকা, ৬০ টাকার ফিক্সকার্ড ৮০ টাকা, ৯৮ টাকার সিলডিপ-৫ হয়েছে ১১২ টাকা, ১২৬ টাকার সিলডিপ-১০ হয়েছে ১৪০ টাকা। এক পাতা বিসলল (৫ এমজি) ট্যাবলেট ১৩০ থেকে ১৬০টা হয়েছে। এভাবে অরবাপিনসহ প্রেসারের প্রায় সব ওষুধের দাম বেড়েই যাচ্ছে।

অধিকাংশ মানুষের গ্যাস্ট্রিকের জন্য ওষুধের দরকার হয়। দাম বাড়ার দিক থেকে পিছিয়ে নেই। প্রতি পিস ফিনিক্স (২০ এমজি) ট্যাবলেট ৫ থেকে ৭ টাকা, ওমিডন (১০ এমজি) ট্যাবলেট ৩ থেকে ৪ টাকা, ৫ টাকার ওমেফ ৬ টাকা ও ৬ টাকার প্যান্টোনিক্স ৭ টাকা হয়েছে। ব্যথা ও গ্যাস্ট্রিকের চিকিৎসায় ন্যাপ্রোসিন প্লাস ২০ এমজি+ ৩৭৫ এমজি ট্যাবলেট ১৬ টাকা থেকে ২০ টাকা হয়েছে।

বিক্রেতারা বলেন, ক্যালসিয়ামের দামও বহুগুণ বেড়ে গেছে। আগে ২১০ টাকা ক্যালবোডি বিক্রি করা হলেও বর্তমানে ২৪০ টাকা, ২৪০ টাকার রেনোভিট হয়ে গেছে ২৭০ টাকা, ২৪০ টাকার বোস্ট ২৭০ টাকা, ৩০০ টাকার ক্যালবোরাল-ডি ৩৩০ টাকা হয়ে গেছে। ক্যালসিয়ামের এক কৌটা নিউরো-বি ট্যাবলেটের দাম ২৭০ থেকে ৩০০ টাকা হয়েছে। এসব ওষুধের কমিশনও কম। তাই লাভও কম হচ্ছে। কিন্তু ক্রেতাদের ক্ষোভের কথা শুনতে হচ্ছে।

ফার্মেসি মালিকরা আরও জানান, অপারেশনের পর পরই অ্যান্টিবায়োটিক দরকার হয়। এই ওষুধের দামও লাগামহীন হয়ে পড়েছে। অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেফোটিল প্লাস (৫০০ এমজি) ৫০ থেকে বেড়ে ৬০ টাকা পিস হয়ে গেছে। ৫০ টাকার সেকোক্লাব ৬০ টাকা, ৩৫ টাকার অ্যাজিথ্রোমাইসিন ৪৫ টাকা, ৩৫ টাকা জিম্যাক্স ৪০ টাকা, ৫০ টাকা সেফথ্রি ৬০ টাকা পিস হয়ে গেছে। মক্সাসিলিন (১০০ মিলি) সিরাপ ৪৭ থেকে ৭০ টাকা হয়েছে।

তারা আরও বলেন, শিশুদের নাকের অ্যান্টাজল ০০. ৫% ড্রপ ১১ থেকে ১৯ টাকা ও প্রাপ্তবয়স্কদের নাকের অ্যান্টাজল ০.১% ড্রপ ১১ থেকে ২০ টাকা করা হয়েছে। আমাশয় রোগীদের পেটের সমস্যায় ব্যবহৃত প্রতি পিস প্রোবায়ো ক্যাপসুল ১৪ থেকে ২৫ টাকা হয়েছে।

শুধু তাই নয়, ডায়াবেটিসের জন্য প্রতি পিস কমপ্রিট (৪০ এমজি) ট্যাবলেট ৭ থেকে ৮ টাকা হয়েছে। কাশির তুসকা প্লাস (১০০ মিলি) সিরাপ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা এবং ফেক্সো (৫০ মিলি) সিরাপ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা করা হয়েছে।

জ্বর, ব্যথার জন্য অতি সাধারণ নাম নাপার দামও ১০ থেকে ১২ টাকা পাতা হয়ে গেছে। এ ছাড়া শিশুদের জ্বরের চিকিৎসায় ব্যবহৃত নাপা ড্রপ ১৫ থেকে ২০ টাকা করা হয়েছে। নাপা সিরাপ (৬০ মিলি) ২০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা হয়েছে।

এ ছাড়া এলার্জির প্রতি পিস ফেনাডিন (১২০ এমজি) ট্যাবলেট ৮ থেকে ৯ টাকা করা হয়েছে। শিশুদের জিংক সিরাপ (১০০ মিলি) ৩৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা ও শিশুদের পেটফাপা ও হজমশক্তির চিকিৎসায় ব্যবহৃত নও-নেহাল সিরাপ ৬০ টাকা ৭৫ টাকা হয়েছে।

শুধু তাই নয়, শ্বাসকষ্টের চিকিৎসায় মোনাস ১০ ট্যাবলেট ১২ টাকা থেকে ১৬ টাকা হয়েছে। ২০০ এমজির ডপজিবা ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা পাতা, ৪০০ এমজি ৮০ থেকে ১২০ টাকা হয়ে গেছে। একইভাবে ডকোপার দামও ৬০ থেকে বেড়ে ৮০ টাকা ও ৮০ থেকে ১২০ টাকা হয়ে গেছে।

শুধু ওষুধের দামই নয় জরুরি অস্ত্রোপচার কক্ষে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম, হৃৎপিণ্ডের ভাল্ব ও পেসমেকারসহ বিভিন্ন মেডিকেল ডিভাইসের দামও অনেক বেড়ে গেছে।

সার্বিক ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প মালিক সমিতির উপদেষ্টা ও জেনারেল ফামাসিউটিক্যালস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মোমেনুল হক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ডলারের কারণে সব ওষুধের দাম বাড়ছে। কারণ দেখা গেছে ৮৭ টাকা ডলার ১১০ টাকা হয়ে গেছে। আমাদের সব কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। এ ছাড়া অন্যান্য জিনিসের দামও বেড়েছে। তাই আমাদের ওষুধের দাম বাড়াতে হচ্ছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে ডা. মোমেনুল হক বলেন, আমরা ইচ্ছামতো ওষুধের দাম বাড়াই না। আমরা যুক্তি দেখিয়ে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করি। ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা নিত্যপণ্যের দাম ঠিক করে। আর ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে ওষুধের দাম নির্ধারণ করে দেয়। কাজেই আমরা বলব ইচ্ছামতো বাড়ানো হচ্ছে না। বাজারে চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই নির্ধারিত দামে ভোক্তাদের কাছে ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে।

দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে জানতে চাইলে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও উপপরিচালক ডা. আইয়ুব হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ১১৭টি ওষুধের এমআরপি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন কারণে ওষুধ কোম্পানি দাম বৃদ্ধির জন্য আবেদন করলে ৫৩টি পণ্যের দাম বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বাজারে ওষুধের দাম লাগামহীন হয়ে গেছে এমন প্রশ্নের জবাবে আইয়ুব হোসেন বলেন, দাম নির্ধারণে সরকারের দুইটি কমিটি করা হয়েছে। তারা প্যাকেজিং মূল্যসহ সব দিক বিবেচনা করে মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সচিবের নেতৃত্বে সরকার নিয়ন্ত্রিত টেকনিক্যাল কমিটি দাম নির্ধারণ করে। তা হিসাব নিকাশ করেই করা হয়। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা বিশেষ পণ্য। তাই আলোচনা সভা করে দাম নির্ধারণ করা হয় না। সংশ্লিষ্টদের নিয়েই টেকনিক্যাল কমিটি দাম নির্ধারণ করে।

আরইউ/এসএন

 

Header Ad

৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি

ছবি: সংগৃহীত

তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৮ ক্রিকেটারসহ মোট ৯ জনকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। নিয়ম অমান্য করায় এই ক্রিকেটারদের প্রত্যেককে ১ বছরের নিষেধাজ্ঞা এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে বিসিবি।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের পক্ষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৮ ক্রিকেটার ও এক ক্লাব কর্তাকে ১ বছরের জন্য নিষিদ্ধ এবং সবাইকে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা গুনতে হবে।

এতে আরও বলা হয়েছে, ঘরোয়া ক্রিকেটের কোনো পর্যায়েই শৃঙ্খলাভঙ্গের কোনো ধরনের ঘটনায় নমনীয় হবে না বিসিবি। তাই এটিকে ক্রিকেটার ও কর্মকর্তাদের প্রতি বার্তা হিসেবে নেওয়া যায় যে, আচরণবিধি ভঙ্গের ঘটনায় বোর্ড কঠোর পদক্ষেপ নেবে।

ওই ৮ ক্রিকেটার হলেন, তেজগাঁও একাডেমির ইয়াসিন আরাফাত, রিফাত আল ইমন (অনিক), তাসিন আহমেদ রনবি, রাব্বি হাসান, পারভেজ আহমেদ জয়। স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাবের রানা খান, সাইফুল ইসলাম শাওন ও মোহাম্মদ হৃদয়। আর তেজগাঁও ক্লাবের কর্মকর্তা রবিন।

জানা গেছে, গত সোমবার পিকেএসফ ১ নম্বর মাঠে হওয়া সুপার লিগের ম্যাচে তেজগাঁও ক্রিকেট একাডেমি ও স্যাফায়ার স্পোর্টিং ক্লাবের ক্রিকেটাররা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের টেকনিক্যাল কমিটি ঘটনার প্রমাণ সাপেক্ষে তাদের শাস্তি দেয়।

Header Ad

উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী

বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনগণের দুর্ভোগের মধ্যে উপদেষ্টাদের অযাচিত কার্যকলাপ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে সতর্ক করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে শ্রমিক সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, জনগণের দুর্ভোগ আগের মতোই রয়ে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। উপদেষ্টারা চাকরিজীবীর মতো কাজ করছেন। তাদের কাজে বিপ্লবের গতিশীলতা নেই।

তিনি বলেন, বিদেশে বসে শেখ হাসিনা গুজব ছড়িয়ে দুর্বৃত্তদের উসকানি দিচ্ছে। ক্ষমতা নিশ্চিত করার জন্যই গত ১৫ বছর পুলিশ দিয়ে হত্যা ও নির্যাতন চালানো হয়েছে।

বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, কারাগারের সালমান এফ রহমান বহাল তবিয়তে রয়েছেন। সেখানে সে খুব তৎপরতা চালাচ্ছে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এখনও বঞ্চিত হচ্ছে। আন্দোলনে ছিল এমন পরিচয়ে কিছু মানুষ সব পদ দখল করে নিচ্ছে।

এ সময় আন্দোলনে হতাহতদের মাসিক ভাতা ও ভরণপোষণের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে বলেও জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।

Header Ad

ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ

ছবি: সংগৃহীত

ভূমি এবং বেসামরিক বিমান, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ জানিয়েছেন, ভারত বাংলাদেশিদের জন্য কবে থেকে ভিসা উন্মুক্ত করে দিবে, তা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার, এটা নিয়ে সরকারের কোনো বক্তব্য দেয়ার কিছু নেই।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) গাজীপুরের কালিয়াকৈরের সফিপুর নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন কালে এসব কথা বলেন তিনি।

হাসান আরিফ বলেন, দেশের পর্যটন বিকাশে তার মন্ত্রণালয় বিশদ পরিকল্পনা নিয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে সাংবাদিকদের জানানো হবে।

এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের দানকৃত জমিতে গড়ে তোলা হবে হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সমাজে অবস্থার কারণে বিভিন্নভাবে রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। ওয়ামী তাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি। তবে শিক্ষার পাশাপাশি যুব সমাজকে এগিয়ে নিতে ওয়ামি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। অন্যতম মুসলিম দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি উপস্থিত সৌদি রাষ্ট্রদূতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান,ওয়ামী সচিবালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর ড. আব্দুল হামিদ ইউসুফ আল মাজরু, ওয়ামী কার্যালয়ের বৈদেশিক অফিস ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ডিরেক্টর সাআ’দ আব্দুল্লাহ বিন জাবর ও ত্রাণ বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুল মালেক আল আমের প্রমুখ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন, জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহামেদ, উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার দিল আফরোজ।

এর আগে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের পর ভ্রাতৃপ্রতিম বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। নবনির্মিত ওয়ামি কমপ্লেক্স ভবনে রয়েছে দ্বিতল বিশিষ্ট সুপরিসর মসজিদ, ১০০ জন এতিম শিশুর জন্য উন্নত মানসম্পন্ন আবাসন ব্যবস্থা, ১টি ক্যাডেট মাদ্রাসা, ১টি নুরানী ও হিফজ মাদরাসা, ১টি লাইব্রেরি হল, ১টি হলরুম ও কনফারেন্স রুম, তরুণ শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল লার্নিং জন্য একটি আইটি প্রশিক্ষণ সেন্টার ও ডাইনিং হল। এ ছাড়াও কমপ্লেক্স এর অবশিষ্ট পরিকল্পনার মধ্যে একটি হাসপাতাল, স্কুল, ভোকেশনাল সেন্টার, প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য ডরমিটরি ও প্লে গ্রাউন্ড নির্মাণের বিষয় তিনি উল্লেখ করেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
তামিমকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ