বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বৈশাখ ও ঈদ সামনে রেখে জঙ্গিদের বিষয়ে সতর্ক গোয়েন্দারা

পহেলা বৈশাখ ও ঈদ সামনে রেখে জঙ্গিদের নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের মনে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, আপাতত জঙ্গিদের হামলা চালানোর সক্ষমতা নেই। কিংবা হামলার কোনো পরিকল্পনাও তাদের নেই। আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জঙ্গিদের বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অবশ্য জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও সতর্ক রয়েছেন। সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তরের এক বৈঠকে পুলিশ প্রধান এসব বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। বৈঠকে উপস্থিত থাকা একাধিক দায়িত্বশীল কমকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন একাধিক কর্মকর্তারা বলেন, উৎসব এলে অনলাইন ও বিভিন্ন মাধ্যমে জঙ্গিদের কার্যক্রম বা তৎপরতা বেড়ে যায়। এজন্য মনিটরিং করা হচ্ছে। পাশাপাশি জঙ্গিদের ধরতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

গত বছরের ২০ নভেম্বর ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের চোখে-মুখে পিপার স্প্রে প্রয়োগ করে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয় তাদের সহযোগীরা। এদের কাউকেই এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি। ইতোমধ্যে ৫ মাস পার হয়ে গেছে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যদি জঙ্গিদের নিয়মিত মনিটরিং না করে এবং তাদের হামলা করার সক্ষমতা ভেঙে না দেয় তাহলে তারা আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে যেতে পারে। আদালতের ঘটনা তার প্রমাণ। বিশ্লেষকদের দাবি, জঙ্গিদের নিয়মিত নজরদারিতে রাখতে হবে। নজরদারি কমে গেলে জঙ্গিরা সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে চাইবে।

এদিকে পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, চলমান রমজান, বাংলা নববর্ষ ও ঈদকে মাথায় রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যেকোনো ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে।

জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) মো. মনজুর রহমান বলেন, জঙ্গিদের কাযর্ক্রম মনিটরিং করা হচ্ছে। তাদের বিভিন্ন পরিকল্পনা শক্ত হাতে দমন করা হবে। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটকে নির্দেশনা দেওয়া আছে, জঙ্গিরা যাতে দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে, সেই বিষয়ে লক্ষ রাখতে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতারা অনেকেই বর্তমানে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। বাইরে থাকা জঙ্গিরা হলেন- সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক (মেজর জিয়া), আমীর আনিসুর রহমান ওরফে মাহমুদ, দাওয়াতী শাখার প্রধান মায়মুন, অর্থ ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান রাকিব, রাজীব, বাশারুজ্জামান, রিপন, খালেদসহ অনেকেই এখনো ধরা পড়েনি। তাদের নিয়ে অনেকটা উদ্বেগে আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

র‌্যাবের দেওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, বর্তমানে জঙ্গিরা পাহাড়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে এবং তারা বয়সে অনেক ছোট। এজন্য জঙ্গি সংগঠনের নেতারা তাদের কোথাও হামলার চেষ্টা করতে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। এসব কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে র‌্যাবের গোয়েন্দারা তৎপর রয়েছে।

র‌্যাবের গোয়েন্দা তথ্য মতে, সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক জঙ্গি নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কিয়ায় যোগদান করেছে এবং তারা সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। র‌্যাব ইতোমধ্যে তাদের ১০ জনকে গ্রেপ্তার করছে। তবে, এখনো বাইরে রয়েছে ৪৫ জন জঙ্গি। বাইরে থাকা জঙ্গিরা পাহাড়ের ভেতরে ও বাইরে বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। মূলত তারাই বিভিন্ন জায়গায় হামলার পরিকল্পনা করতে পারে বলে ধারণা করছেন গোয়েন্দারা।

জানতে চাইলে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, জঙ্গিদের আমরা কঠোর নজরদারির মধ্যে রেখেছি। র‌্যাবের প্রতিটি সদস্য সম্মিলিতভাবে জঙ্গি দমন বা অন্যান্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণে যেকোনো স্থানে যেকোনো ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে নিয়োজিত। তিনি আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন অভিযানে অসংখ্য জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি এবং তাদের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছি। তবে নতুন কিছু জঙ্গি সংগঠনের প্রশিক্ষিত যুবকরা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তাদের হামলার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এসব বিষয় মাথায় রেখে ও বিভিন্ন উৎসব মাথায় রেখে আমরা সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদারে কাজ করছি।

কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি)তথ্য মতে, হলি আর্টিজান হামলার ৮ বছর পর এসে অনলাইনে কিছু জঙ্গি সংগঠন এখনও সক্রিয়। বর্তমানে তারা দেশের বিভিন্ন পাহাড়কে বেছে নিচ্ছে এবং অনলাইনে নতুন নতুন কর্মীদের সংখা বাড়িয়ে বিভিন্ন অপরাধের ট্রেনিং করাচ্ছে।

জানতে চাইলে সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আদলত থেকে জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার পর সম্প্রতি দেশে জঙ্গিবাদী প্রত্যক্ষ কোনো অপতৎপরতা লক্ষ্য করা না গেলেও অনলাইনে তাদের তৎপরতা আগের তুলনায় বেড়েছে। অফলাইনে জঙ্গিদের তৎপরতা নেই, তবে তারা অনলাইনে সক্রিয়। এজন্য নগরবাসীর উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কোনো ঘটনা ঘটার আগেই জঙ্গিদের আমরা গ্রেপ্তার করছি।

তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে জঙ্গি বা অন্যান্য সন্ত্রাসীদের হামলা চালানোর কোনো ক্ষমতা নেই। এ ছাড়া কোনো জঙ্গি সংগঠন পূর্ব বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কোথাও হামলা করে না। বিভিন্ন উৎসব এলে তারা সক্রিয় হতে চায়, তবে তাদের মেরুদণ্ড আমরা বারবার ভেঙে দিচ্ছি এবং এসব বিষয়ে আমরা অতিরিক্ত সতর্ক রয়েছি।

তিনি বলেন, উৎসবকে সামনে রেখে কোনো জঙ্গিগোষ্ঠী যাতে কোনো ধরনের নাশকতা সৃষ্টির সুযোগ না পায় সেজন্য সিটিটিসির গোয়েন্দা তৎপর রয়েছে।

এই বিষয়ে জনাতে চাইলে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (আব) আব্দুর রশীদ বলেন, জঙ্গিদের যদি সরকারি বাহিনীর সদস্যরা মনিটরিং বা চাপের মুখে না রাখে তাহলে তারা অনেক ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করবে। তবে সম্প্রতি আদালত থেকে ২ জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি মানুষ স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। মানুষের মনে আরেকটা ধারণা তৈরি হয়েছে ১৩৩ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো জঙ্গিদের কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি। এর দায়ভার তারা আইনের লোকের উপর যায় এবং সরকারি বাহিনী এটা এড়িয়ে যেতে পারে না।

এনএইচবি/এসএন

 

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া