বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ | ১১ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বৈশাখ ও ঈদ সামনে রেখে জঙ্গিদের বিষয়ে সতর্ক গোয়েন্দারা

পহেলা বৈশাখ ও ঈদ সামনে রেখে জঙ্গিদের নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের মনে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, আপাতত জঙ্গিদের হামলা চালানোর সক্ষমতা নেই। কিংবা হামলার কোনো পরিকল্পনাও তাদের নেই। আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জঙ্গিদের বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অবশ্য জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও সতর্ক রয়েছেন। সম্প্রতি পুলিশ সদর দপ্তরের এক বৈঠকে পুলিশ প্রধান এসব বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। বৈঠকে উপস্থিত থাকা একাধিক দায়িত্বশীল কমকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন একাধিক কর্মকর্তারা বলেন, উৎসব এলে অনলাইন ও বিভিন্ন মাধ্যমে জঙ্গিদের কার্যক্রম বা তৎপরতা বেড়ে যায়। এজন্য মনিটরিং করা হচ্ছে। পাশাপাশি জঙ্গিদের ধরতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

গত বছরের ২০ নভেম্বর ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের চোখে-মুখে পিপার স্প্রে প্রয়োগ করে প্রকাশক দীপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয় তাদের সহযোগীরা। এদের কাউকেই এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি। ইতোমধ্যে ৫ মাস পার হয়ে গেছে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যদি জঙ্গিদের নিয়মিত মনিটরিং না করে এবং তাদের হামলা করার সক্ষমতা ভেঙে না দেয় তাহলে তারা আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে যেতে পারে। আদালতের ঘটনা তার প্রমাণ। বিশ্লেষকদের দাবি, জঙ্গিদের নিয়মিত নজরদারিতে রাখতে হবে। নজরদারি কমে গেলে জঙ্গিরা সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে চাইবে।

এদিকে পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, চলমান রমজান, বাংলা নববর্ষ ও ঈদকে মাথায় রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যেকোনো ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে।

জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) মো. মনজুর রহমান বলেন, জঙ্গিদের কাযর্ক্রম মনিটরিং করা হচ্ছে। তাদের বিভিন্ন পরিকল্পনা শক্ত হাতে দমন করা হবে। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটকে নির্দেশনা দেওয়া আছে, জঙ্গিরা যাতে দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে না পারে, সেই বিষয়ে লক্ষ রাখতে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতারা অনেকেই বর্তমানে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। বাইরে থাকা জঙ্গিরা হলেন- সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক (মেজর জিয়া), আমীর আনিসুর রহমান ওরফে মাহমুদ, দাওয়াতী শাখার প্রধান মায়মুন, অর্থ ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান রাকিব, রাজীব, বাশারুজ্জামান, রিপন, খালেদসহ অনেকেই এখনো ধরা পড়েনি। তাদের নিয়ে অনেকটা উদ্বেগে আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

র‌্যাবের দেওয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, বর্তমানে জঙ্গিরা পাহাড়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে এবং তারা বয়সে অনেক ছোট। এজন্য জঙ্গি সংগঠনের নেতারা তাদের কোথাও হামলার চেষ্টা করতে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। এসব কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে র‌্যাবের গোয়েন্দারা তৎপর রয়েছে।

র‌্যাবের গোয়েন্দা তথ্য মতে, সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক জঙ্গি নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কিয়ায় যোগদান করেছে এবং তারা সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। র‌্যাব ইতোমধ্যে তাদের ১০ জনকে গ্রেপ্তার করছে। তবে, এখনো বাইরে রয়েছে ৪৫ জন জঙ্গি। বাইরে থাকা জঙ্গিরা পাহাড়ের ভেতরে ও বাইরে বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। মূলত তারাই বিভিন্ন জায়গায় হামলার পরিকল্পনা করতে পারে বলে ধারণা করছেন গোয়েন্দারা।

জানতে চাইলে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, জঙ্গিদের আমরা কঠোর নজরদারির মধ্যে রেখেছি। র‌্যাবের প্রতিটি সদস্য সম্মিলিতভাবে জঙ্গি দমন বা অন্যান্য অপরাধ নিয়ন্ত্রণে যেকোনো স্থানে যেকোনো ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে নিয়োজিত। তিনি আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন অভিযানে অসংখ্য জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি এবং তাদের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছি। তবে নতুন কিছু জঙ্গি সংগঠনের প্রশিক্ষিত যুবকরা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তাদের হামলার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এসব বিষয় মাথায় রেখে ও বিভিন্ন উৎসব মাথায় রেখে আমরা সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদারে কাজ করছি।

কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি)তথ্য মতে, হলি আর্টিজান হামলার ৮ বছর পর এসে অনলাইনে কিছু জঙ্গি সংগঠন এখনও সক্রিয়। বর্তমানে তারা দেশের বিভিন্ন পাহাড়কে বেছে নিচ্ছে এবং অনলাইনে নতুন নতুন কর্মীদের সংখা বাড়িয়ে বিভিন্ন অপরাধের ট্রেনিং করাচ্ছে।

জানতে চাইলে সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আদলত থেকে জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার পর সম্প্রতি দেশে জঙ্গিবাদী প্রত্যক্ষ কোনো অপতৎপরতা লক্ষ্য করা না গেলেও অনলাইনে তাদের তৎপরতা আগের তুলনায় বেড়েছে। অফলাইনে জঙ্গিদের তৎপরতা নেই, তবে তারা অনলাইনে সক্রিয়। এজন্য নগরবাসীর উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কোনো ঘটনা ঘটার আগেই জঙ্গিদের আমরা গ্রেপ্তার করছি।

তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে জঙ্গি বা অন্যান্য সন্ত্রাসীদের হামলা চালানোর কোনো ক্ষমতা নেই। এ ছাড়া কোনো জঙ্গি সংগঠন পূর্ব বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কোথাও হামলা করে না। বিভিন্ন উৎসব এলে তারা সক্রিয় হতে চায়, তবে তাদের মেরুদণ্ড আমরা বারবার ভেঙে দিচ্ছি এবং এসব বিষয়ে আমরা অতিরিক্ত সতর্ক রয়েছি।

তিনি বলেন, উৎসবকে সামনে রেখে কোনো জঙ্গিগোষ্ঠী যাতে কোনো ধরনের নাশকতা সৃষ্টির সুযোগ না পায় সেজন্য সিটিটিসির গোয়েন্দা তৎপর রয়েছে।

এই বিষয়ে জনাতে চাইলে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (আব) আব্দুর রশীদ বলেন, জঙ্গিদের যদি সরকারি বাহিনীর সদস্যরা মনিটরিং বা চাপের মুখে না রাখে তাহলে তারা অনেক ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করবে। তবে সম্প্রতি আদালত থেকে ২ জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি মানুষ স্বাভাবিকভাবে নেয়নি। মানুষের মনে আরেকটা ধারণা তৈরি হয়েছে ১৩৩ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো জঙ্গিদের কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি। এর দায়ভার তারা আইনের লোকের উপর যায় এবং সরকারি বাহিনী এটা এড়িয়ে যেতে পারে না।

এনএইচবি/এসএন

 

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশ সফর স্থগিত করলেন পাকিস্তান পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসাক দার। ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মির ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশ সফর স্থগিত করেছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসাক দার। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।

বার্তায় উল্লেখ করা হয়, অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির কারণে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগামী ২৭-২৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সফর করতে পারছেন না। পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সফরের নতুন তারিখ চূড়ান্ত করা হবে।

সম্প্রতি কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের সঙ্গে সৃষ্ট উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এ মন্ত্রীর সফরটি স্থগিত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বন্দুকধারীদের গুলিতে কমপক্ষে ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। এ ঘটনায় ভারত পাকিস্তানকে দোষারোপ করছে। তারা বলছে, পাকিস্তান থেকে আসা সন্ত্রাসীরা এ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। যদিও পাকিস্তান হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে এজন্য ইসলামাবাদকে দোষারোপ করারও প্রতিবাদ করেছে।

পহেলগাঁওয়ের ঘটনাটির পর বুধবার (২৩ এপ্রিল) সিন্ধু নদীর পানি চুক্তি বাতিলসহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড়সড় পাঁচটি পদক্ষেপ নেয় দিল্লি। এর মধ্যে আছে পাকিস্তানের কোনো নাগরিককে ‘সার্ক ভিসা’ না দেওয়া; পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত বন্ধ রাখা, পাকিস্তানে ভারতের হাইকমিশন থেকে কর্মকর্তাদের ফিরিয়ে নেওয়া; পাকিস্তানের নাগরিকদের দেওয়া ভারতের ভিসা বাতিল এবং তাদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ।

এর প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার পাকিস্তানও ভারতের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে। এর মধ্যে আছে ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তি সাময়িক স্থগিত; ভারতীয় নাগরিকদের জন্য সার্ক ভিসা বাতিল (শিখ তীর্থযাত্রীরা এর বাইরে থাকবেন); ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা; ৩০ এপ্রিলের মধ্যে ভারত থেকে আগতদের ফিরে যাওয়ার নির্দেশ; ভারতে পাকিস্তানি প্রতিরক্ষা, নৌ ও বিমান উপদেষ্টাদের ‘পারসনা নন গ্রাটা’ ঘোষণা; ইসলামাবাদে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মী সংখ্যা ত্রিশে নামিয়ে আনা; ভারতীয় এয়ারলাইনের জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ ও ভারতের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও তৃতীয় দেশের মাধ্যমে যেকোনো ধরনের বাণিজ্য স্থগিত।

এমন উত্তেজনার মধ্যে সীমান্তে ভারতের অস্ত্রশস্ত্র জড়ো করা এবং দেশটির নৌবাহিনীর মিসাইল বিধ্বংসের পরীক্ষার খবরেও মিলছে গণমাধ্যমে।

Header Ad
Header Ad

আমাদের নিয়ত পরিষ্কার, যা কমিটমেন্ট করেছি তা বাস্তবায়ন করবো: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্র সংস্কার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, দলের দেওয়া ৩১ দফা কর্মসূচি কোনো জাঁকজমকপূর্ণ রাজনৈতিক স্টান্ট নয়, বরং একটি সুপরিকল্পিত সংস্কার-রোডম্যাপ, যা বাস্তবায়নে দলের সদিচ্ছা রয়েছে। আমাদের নিয়ত পরিষ্কার। আমরা যা যা কমিটমেন্ট করেছি তা বাস্তবায়ন করবো।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, “আমরা যখন ৩১ দফা দিয়েছি, তখন দলের মহাসচিব কারাগারে ছিলেন, চেয়ারপারসন ছিলেন বন্দি। সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই আমরা এই রূপরেখা দিয়েছি। তাই এটা নিছক রাজনৈতিক বক্তব্য নয়, আমাদের অঙ্গীকার। আমাদের নিয়ত পরিষ্কার। যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তা বাস্তবায়ন করবো।”

তিনি স্বীকার করেন, সবকিছু একসাথে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, তবে এটিকে তিনি একটি "চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া" হিসেবে অভিহিত করেন। “যা পারবো করবো, যা এখন সম্ভব নয়, তা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম করবে” বলেও জানান তিনি।

রাজনৈতিক সহিংসতা প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, “আমরা যে সংগ্রামের জন্য রাজপথে নেমেছিলাম, তার জন্য বহু প্রাণ গেছে। যুদ্ধ ছাড়া শিশু হত্যা হয় না। তাই আমরা প্রতিজ্ঞা করছি—যেকোনো মূল্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবো।”

তিনি নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন ৩১ দফার বার্তা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে। শুধু সমর্থকদের মধ্যেই নয়, যারা বিএনপির আদর্শে বিশ্বাস করে না, তাদের মধ্যেও ৩১ দফার গুরুত্ব তুলে ধরার আহ্বান জানান।

শেষে তিনি বলেন, “সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হলে জনগণের পাশে যেতে হবে, জনগণকে পাশে রাখতে হবে। ভোট আনতে হলে মানুষের কাছে যেতে হবে। এই প্রতিজ্ঞা আজ সবাইকে নিতে হবে—জনগণের পাশে থাকবো, জনগণকেই আপন করে নেবো।”

Header Ad
Header Ad

টাইমস হায়ার এডুকেশন র‍্যাঙ্কিং: দেশের শীর্ষে বুয়েট ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যভিত্তিক খ্যাতনামা শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন (THE) প্রকাশ করেছে ২০২৪ সালের এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিং। এবারের তালিকায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে বাংলাদেশের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে, যা দেশের উচ্চশিক্ষা খাতে একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন হিসেবে দেখা হচ্ছে।

তালিকায় বাংলাদেশের শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)। তারা যৌথভাবে র‍্যাংকিংয়ের ৩০১ থেকে ৩৫০ অবস্থানে রয়েছে।

‎বুধবার (২৩ এপ্রিল) যুক্তরাজ্যভিত্তিক টাইমস হায়ার এডুকেশন এ বছরের তালিকা তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। তালিকায় এশিয়ার ৩৫টি অঞ্চলের ৮৫৩টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাংকিংয়ে এটি ১৩ তম সংস্করণ।

‎তালিকায় ৩৫১-৪০০ এর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে দেশের ৩টি বিশ্ববিদ্যালয়। সেগুলো হলো গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।

‎৪০১-৫০০ এর মধ্যে অবস্থান করছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

‎৫০১-৬০০ এর মধ্যে অবস্থান করছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

এছাড়াও তালিকায় স্থান পেয়েছে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ ও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশ সফর স্থগিত করলেন পাকিস্তান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আমাদের নিয়ত পরিষ্কার, যা কমিটমেন্ট করেছি তা বাস্তবায়ন করবো: তারেক রহমান
টাইমস হায়ার এডুকেশন র‍্যাঙ্কিং: দেশের শীর্ষে বুয়েট ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়
অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে ডা. জাহাঙ্গীর কবির-তাসনিম জারার বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ
তন্ময়সহ শেখ পরিবারের ৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
চলতি বছরে দেশে আরো ৩০ লাখ মানুষ দরিদ্র হতে পারে: বিশ্বব্যাংক
৮ দিন পর মুক্তি পেলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপহৃত ৫ শিক্ষার্থী
পাকিস্তানের সঙ্গে কখনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে না ভারত
৮ দিনের নোটিশে সরকারি কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা যাবে তদন্ত ছাড়াই
ভেঙে গেল সামিরা খান মাহির ৪ বছরের প্রেম
বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া
বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের বৈষম্য নিরসনের দাবি জানিয়ে রাবিতে বিক্ষোভ
কাশ্মিরে উগ্রপন্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতীয় সেনা নিহত
সিঙ্গাপুর ম্যাচেই অভিষেক হতে পারে ফাহমিদুলের
বাবার ঠিকাদারি ইস্যুতে ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কুয়েটের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য
গোল্ডেন ভিসায় দুবাইয়ে সম্পদের পাহাড়, ৭০ জনকে চিহ্নিত করেছে দুদক
রাজধানীতে বাড়তে পারে তাপমাত্রা, বৃষ্টির সম্ভাবনা কম
গাজায় একদিনে আরও নিহত ৪৫, আহত শতাধিক
কাতারের বিনিয়োগকারীদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার