বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ভাঙ্গা-বেনাপোল চার লেন প্রকল্প

দৈর্ঘ্য কমলেও ব্যয় বেড়েছে ১২১৬ কোটি টাকা

ভাঙ্গা থেকে যশোর মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পে দৈর্ঘ্য চার কিলোমিটার কমিয়েও ব্যয় কমানো যায়নি। বরং ব্যয় বেড়েছে ১ হাজার ২১৬ কোটি টাকা। আগে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ২০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এখন প্রকল্পটির ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলি স্থানান্তর সংশোধিত প্রস্তাবে চূড়ান্ত অনুমোদনের আগেই এই ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে সর্বমোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২৩৭ কোটি টাকা। পদ্মা সেতুর সুফল কাজে লাগাতে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয় ২০২০ সালে। পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় যাচাইবাছাই শেষে বিভিন্ন অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তাই জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে ব্যয় প্রাক্কলনের তালিকা অনুযায়ী ভূমি অধিগ্রহণ ব্যয় নির্ধারণ ও ক্ষতিপূরণ ব্যয় আলাদা করাসহ কিছু সিদ্ধান্ত প্রতিপালন সাপেক্ষে প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করে প্রস্তাবটি ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু দীর্ঘ দুই বছর পর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সংশোধিত ডিপিপি সম্প্রতি কমিশনে পাঠালেও কোনো সুপারিশই আমলে নেওয়া হয়নি। বরং সংশোধিত প্রস্তাবে ভূমি অধিগ্রহণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২৩৭ কোটি টাকা। এই ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত।

সংশোধিত প্রস্তাব যাচাই-বাচাই করতে পরিকল্পনা কমিশনে গত ৫ মার্চ দ্বিতীয় পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভা থেকেও প্রকল্পটির প্রস্তাব সংশোধন করার কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, প্রকল্পের স্বার্থে যেটুকু জমি দরকার সেটুকুই অধিগ্রহণ করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন বাধ্যতামূলক প্রতিপালন করতে হবে। এ ছাড়াও খরচের বিভিন্ন জায়গায় সংশোধন করতে হবে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে প্রথম ডিপিপিতে চার লেনের সড়কের সঙ্গে ধীরগতির পৃথক লেনসহ মোট ছয় লেনের সড়কের এর দৈর্ঘ্য ধরা হয়েছিল ১৩৩ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার। তাতে ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব করা হয়েছিলো ৮১৬ একর। এজন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩ হাজার ২০ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আর সংশোধিত ডিপিপিতে চার কিলোমিটার কমিয়ে ১২৯ কিলোমিটার করার প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণের পরিমাণ ৪৫০ বিঘা বাড়িয়ে ৯৬৭ একর বা ২ হাজার ৯০১ বিঘা নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ১ হাজার ২১৬ কোটি টাকা বাড়িয়ে মোট ৪ হাজার ২৩৭ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এভাবে সিদ্ধান্ত না মানা অত্যন্ত দুঃখজনক। কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে সব কিছুর খরচ কমাচ্ছে সরকার।

পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সাবেক সদস্য (সচিব) আরস্ত খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, দেখেন, সরকার প্রধান যা বলেন তা করতে হয়। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কেউ না করলে খুবই দুঃখজনক। কারণ বৈশ্বিক কারণে সব ক্ষেত্রে সরকার ব্যয় কমাচ্ছে। যেহেতু আমি বিস্তারিত কিছু জানি না। তবে এই প্রকল্পে কেন ব্যয় বাড়ছে তা আমার কাছে বোধগম্য নয়।

জানা গেছে, পিইসি সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল, জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে ব্যয় প্রাক্কলন সংগ্রহ করে সে অনুযায়ী ভূমি অধিগ্রহণের ব্যয় নির্ধারণ করতে হবে। একই সঙ্গে ভূমি অধিগ্রহণ ও ক্রয় অঙ্গের পরিবর্তে শুধু ভূমি অধিগ্রহণ উল্লেখ করতে হবে। একইসঙ্গে ক্ষতিপূরণ ব্যয় জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করে ব্যয় প্রাক্কলনসহ ক্ষতিপূরণ অঙ্গটি আলাদাভাবে উল্লেখ করতে হবে।

কিন্তু সংশোধিত ডিপিপিতে ক্ষতিপুরণ ও ভূমি অধিগ্রহণ একই সঙ্গে দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট সংস্থা থেকে ইউটিলিটি অপসারণের চাহিদা সংগ্রহ করে ব্যয় প্রাক্কলণের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও ইউটিলিটি স্থানান্তরে থোক ২১৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এ ছাড়া ১৩০ কিলোমিটার সীমানা পিলার স্থাপনে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫ লাখ টাকা, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও বৃক্ষরোপণে ২০ লাখ টাকা।

পিইসি সভায় আরও অনেক ক্ষেত্রে অসঙ্গতি তুলে ধরে সেগুলো সংশোধন করতে বলা হয়। এরমধ্যে মুদ্রণ ও বাঁধাই অঙ্গে ব্যয় কমিয়ে ৪ লাখ টাকা, স্টেশনারিতে ৮ লাখ, পিইসি, পিআইসিসহ বিভিন্ন কমিটির সম্মানির জন্য ৪ লাখ টাকা প্রাক্কলন করতে বলা হয়। প্রকল্পে পরামর্শক সেবা ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৪ কোটি টাকা।

সওজ সূত্র জানায়, ১২৯ দশমিক ১৭ কিলোমিটার সড়কটি ছয় লেনে নির্মিত হলে বেনাপোল হয়ে ভারতের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে বছরে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। একই সঙ্গে বেনাপোল হয়ে কলকাতা ও ঢাকার মধ্যে দূরত্ব ও সময় কমবে। বেনাপোল থেকে ঢাকার দূরত্ব কমবে ৮৬ কিলোমিটার। কিন্তু একনেক সভায় অনুমোদনের আগেই কেটে গেছে কয়েক বছর।

গুরুত্ত্বপূর্ণ এই প্রকল্পের সংশোধিত প্রস্তাব সম্পর্কে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. ইসহাক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, কনসালটেন্টের ডিজাইন অনুযায়ী ডিসি অফিসে একটা ধারণা চাওয়া হয়েছিলো। সেটাই পিডিপিতে উল্লেখ করা হয়েছিলো। কিন্তু এটা অধিগ্রহণকৃত দাম না। এটা করা হয়নি। কোনোক্রমেই বাড়তি জায়গা নেওয়া হবে না। ডিসি অফিস থেকে রেটটা বলে দিয়েছে। এটা কমতে পারে, আবার বাড়তেও পারে। কারণ সিস্টেম অনুযায়ী অধিগ্রহণ করার সময় তাদের অর্থ পরিশোধ করতে হবে। ৭ ধারার নোটিশ অনুয়ায়ী তারা মৌজার রেট দেয়। ভূমি অধিগ্রহণের টাকা পরিশোধ করার ক্ষমতা আমাদের হাতে নেই। আমরা ডিসি অফিসকে টাকা পরিশোধ করব। তারপর ক্ষতিগ্রস্তরা সেই অর্থ পাবে। পরিকল্পনা কমিশনের পিইসি সভায় রিকাস্ট (সংশোধন) করতে বলা হয়েছে। জমির রেট ২ থেকে ৩টা মৌজার গড় ধরে দাম নির্ধারণ করা হয়। কাজেই বলা যায় বর্তমানে যেটা মূল্য ধরা হয়েছে তা থাকবে না।

এনএইচবি/এসএন 

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া