বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৬ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিএনপির লক্ষ্য আগামী সেপ্টেম্বর!

সরকার পতনের আন্দোলনে কোনো গতি না আসলেও আগামী সেপ্টেম্বরকে লক্ষ্য নির্ধারণ করে চূড়ান্ত আন্দোলনের কথা ভাবছে বিএনপি। ওই সময়েই সর্বশক্তি নিয়ে দলটি মাঠে নামবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগেই সরকারের পতন ঘটবে বলে সাম্প্রতিক সভা-সমাবেশে জোর দাবি করছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে ভোট-জোটের রাজনীতি। নির্বচানকে সামনে রেখে একদিকে চলছে বিএনপির সরকার বিরোধী আন্দোলন। অপরদিকে সরকারি দল আওয়ামী লীগ ইতিমধ্যেই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে। আওয়ামী লীগের দাবি, আন্দোলনের নামে বিএনপির নৈরাজ্য সৃষ্টির বিরুদ্ধে শান্তি সমাবেশ করছে তারা।

এসব শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, সংবিধান অনুযায়ী দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন হবে। এখন এক চুলও নড়ার সুযোগ নেই। অপরদিকে, বিরোধী দল বিএনপি নেতারা বলছেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না।

বিএনপি নেতারা বলছেন, বিএনপি এমন একটি রাজনৈতিক দল যার নির্বাচনের জন্য ঢাকঢোল পিটিয়ে আলাদা করে প্রস্তুতির প্রয়োজন হয় না। এই অবস্থায় বিএনপি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায়ে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করে চূড়ান্ত আন্দোলনের পথে হাঁটছে। বিএনপির নীতিনির্ধারণী একাধিক নেতা ঢাকাপ্রকাশ-কে এসব কথা জানান।

সংশ্লিষ্ট নেতাদের ভাষ্য মতে, সরকারের কৌশল ও পদক্ষেপ ব্যর্থ করতেও ভিন্ন কৌশলে সংঘাত এড়িয়ে চলার পরিকল্পনা করছে বিএনপি হাইকমান্ড। সেক্ষেত্রে সব কৌশল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ না করে ভেতরে ভেতরে ‘ডু অর ডাই’ প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দলটির দায়িত্বশীল নেতাদের চূড়ান্ত আন্দোলন নিয়ে কথাবার্তায় অতিউৎসাহী না হয়ে উঠতে সতর্ক করা হয়েছে। মূল লক্ষ্য সরকারকে অপ্রস্তুত রেখে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে বড় ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির। এবার নির্বাচনি তফসিল ঘোষণার আরও আগেই আন্দোলনকে সফলতার দিকে পৌঁছাতে মনোযোগ দিচ্ছেন নেতারা। নেতারা মনে করছেন, আন্দোলন কখন ও কীভাবে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেবে তা আগে থেকে বলা যায় না। তবে এবার আন্দোলনে জনগণের অংশগ্রহণ দেখে মনে হচ্ছে, খুব শিগগির গণঅভ্যুত্থান হবে, এই সরকার বিদায় নিতে বাধ্য হবে।

এদিকে বিএনপি ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন বয়কট করবে; নাকি শেষ সময়ে এসে ২০১৮ সালের মতো অংশ নেবে তাও এখনো স্পষ্ট নয়। আগামী নির্বচানের প্রস্তুতি ও প্রচারণায় দুই প্রধান দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী বিএনপির অবস্থান এখনো ঠিক বিপরীতমুখী। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচারণার বিপরীতে বিএনপি ব্যস্ত সময় পার করছেন যুগপৎ আন্দোলনে চলমান কর্মসূচি পালনে।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, জনগণের অধিকার আদায়ে চলমান আন্দোলনকে
‘চূড়ান্ত রূপ’ দিতে কাজ করছে বিএনপি। কোনো স্বৈরশাসক ক্ষমতা ছেড়ে দেয় না; ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়। এই অনির্বাচিত আওয়ামী লীগও ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হবে। কবে, কখন সেই দিনক্ষণ হয়তো বলা যাচ্ছে না। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ সকল পরিবেশ বলে দিচ্ছে এদের সময় খুব বেশিদিন নাই। বিদায় নিতেই হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি তার নিজস্ব গতিপথে রাজনীতি করছে। ধারাবাহিক কর্মসূচি থাকছে। কোন পথে এগোচ্ছে সেটা বলে দেওয়া উচিত নয়। রাজনৈতিক অনেক মেরুকরণ ঘটে, অতীতেও ঘটেছে। সংকট উত্তোরণে রাজনৈতিক দলগুলোর কমবেশি দায়িত্ব থাকে, আর যারা ক্ষমতায় থাকে তাদের দায়িত্বটা একটু বেশি থাকে। সেই অর্থে সংকট সমাধানে তাদেরকে এগিয়ে আসার উদ্যোগ নিতে হবে। তবে এতটুকু আশ্বস্ত করতে পারি; বিএনপি হুটহাট এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না যা দেশ ও দেশের মানুষের জন্য ক্ষতি হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ নানা ষড়যন্ত্রের ফাঁদ আঁকছে।

এদিকে, বিএনপি সূত্র বলছে, ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, মহানগরে ধারাবহিকভাবে কর্মসূচির পাশাপাশি একসঙ্গে সারা দেশে একদিনে কর্মসূচিতে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা। ঢাকায় একটি মহাসমাবেশ করতে ঢাকামুখী বড় ধরনের কর্মসূচি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে দলটি। চূড়ান্ত কর্মসূচিতে সফলতার ব্যাপারেও আশাবাদী বিএনপি নেতারা।

বিএনপি নেতারা জানান, দল ও আন্দোলন পরিচালনায় দলের বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে লন্ডনে অবস্থানরত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন।

এদিকে চলতি মাসজুড়েই জনগণকে আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে নানা কর্মসূচি টেনে নেওয়া হবে পরবর্তী মাসে। তবে আসছে রমজানে কোনো বড় ধরনের কর্মসূচি থাকবে কি না সে বিষয়ে এখনো নীতিগতভাবেও সিদ্ধান্ত হয়নি। সংকট নিরসনে সংলাপ বা সমঝোতার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না ধরে নিয়ে সেপ্টেম্বরেই সর্বশক্তি প্রয়োগ করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপির হাইকমান্ড।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আন্দোলন অনেক সময় উপরে উঠে যায়, আবার নিচে নামে, আবার ওপরে উঠে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। নদীর ঢেউয়ের মতো আন্দোলনের গতি। এই মুহূর্তে আমরা অতীত আন্দোলনে কোথায় কোথায় ঘাটতি ছিল সেগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। বিএনপি ব্যস্ত দলের সাংগঠনিক অবস্থা ঠিক রেখে জনগণের আস্থা অর্জনে। তাই দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বিএনপি। দাবি দাওয়া আদায়ের পথেই হাঁটছে দল।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ভোটের এখনো যথেষ্ট সময় রয়েছে। এর মধ্যেই ফয়সাল হবে কোনো পথে কোনো উপায়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন আদায় এবং আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় দিতে সরকারবিরোধী সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছে। সেই চলমান আন্দোলন কর্মসূচিতে নেতা-কর্মী ছাড়াও দেশের সাধারণ মানুষ একাত্ম প্রকাশ করে অংশ নিচ্ছেন। ফলে চূড়ান্ত আন্দোলনে যেতে নেতা-কর্মীদের সক্রিয় রাখাতেই কর্মসূচিতে ভিন্নতা আনা হচ্ছে। বিএনপি কোনো ফাঁদে পা দেবে না, অবৈধপথে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসতেও চায় না। বিএনপি জনগণের দল, আগামীতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে লক্ষ্য নির্ধারণ করবে।

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

অবশেষে সরিয়ে দেওয়া হলো মাউশির বিতর্কিত ডিজিকে

অধ্যাপক ড. এহতেসাম উল হক ও মাউশির লোগো। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষক নেতাদের আন্দোলন ও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) পদ থেকে অধ্যাপক ড. এহতেসাম উল হককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি শিক্ষা ক্যাডারের ১৪তম বিসিএসের কর্মকর্তা এবং পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যাপক ছিলেন।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সম্প্রতি তার বিতর্কিত কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর তাকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করে মাউশিতে সংযুক্ত করা হয়েছে। এদিকে, নতুন মহাপরিচালক হিসেবে অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানকে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানের এই দায়িত্ব কেবল সাময়িক, যা পদোন্নতি হিসেবে গণ্য হবে না। পরবর্তীতে নিয়মিত নিয়োগের মাধ্যমে মহাপরিচালক নিয়োগ হলে এই চলতি দায়িত্ব বাতিল হয়ে যাবে।

অধ্যাপক এহতেসাম উল হকের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এর আগে তিনি বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালীন শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ন চালানোর অভিযোগে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন। অভিযোগ রয়েছে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তথ্য তিনি পুলিশের কাছে সরবরাহ করেছিলেন।

২০২৩ সালের ৫ আগস্ট তার অপসারণের দাবিতে কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার অপসারণের দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ২০২১ সালের জুন মাসে বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে যোগদানের পর থেকে তিনি নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যান। তিনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন মেয়র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয় সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

অভিযোগ রয়েছে, অধ্যক্ষ থাকাকালীন তিনি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন এবং আন্দোলনে অসহযোগিতা করতেন। এমনকি কলেজের গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতেন, যা তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনও ব্যবহার করতেন। তিনি কলেজের বিদ্যুৎ ব্যবহার করে নিজের বাসায় গ্রিল নির্মাণসহ অন্যান্য কাজ করিয়েছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকি দিতেন এবং বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন (এসিআর) খারাপ করে দেওয়ার ভয় দেখাতেন। এছাড়া, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন না দিয়ে বিদায় করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ডিজি পদ থেকে এহতেসাম উল হককে অপসারণের খবরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, একজন বিতর্কিত ব্যক্তি শিক্ষাখাতের এত বড় দায়িত্বে থাকতে পারেন না। তার অপসারণের মাধ্যমে প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রতি সরকারের সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে।

Header Ad
Header Ad

২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ ডিসি ওএসডি

ছবি: সংগৃহীত

২০১৮ সালের বিতর্কিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ জন জেলা প্রশাসককে (ডিসি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত ছয়টি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিতর্কিত নির্বাচনে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনের কারণে এই কর্মকর্তাদের ওএসডি করা হয়েছে। এর আগে একই কারণে আরও ১২ জন কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছিল।

ওএসডি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের পরিচালক (যুগ্মসচিব) কবীর মাহমুদ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. মাহমুদুল আলম, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. আবুল ফজল মীর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের সদস্য-পরিচালক (যুগ্মসচিব) মঈনউল ইসলাম, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (যুগ্মসচিব) মো. ওয়াহিদুজ্জামান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (সংযুক্ত) এ কে এম মামুনুর রশিদ এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বাপবিবো) সদস্য (যুগ্মসচিব) ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম।

এছাড়া তালিকায় রয়েছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কাজী আবু তাহের, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সদস্য (যুগ্মসচিব) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (সংযুক্ত) আনার কলি মাহবুব, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য (যুগ্মসচিব) সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব সাবিনা ইয়াসমিন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আতাউল গনি এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (সংযুক্ত) আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন।

এছাড়া, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব এ জেড এম নুরুল হক, বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) এস এম আজিয়র রহমান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সচিব (যুগ্ম-সচিব) মো. মাসুদ আলম সিদ্দিক এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম-সচিব গোপাল চন্দ্র দাশসহ আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, বিতর্কিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই ওই সময়ের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এবার সেই নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের পর্যায়ক্রমে ওএসডি করা হচ্ছে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক বিশ্লেষকরা।

Header Ad
Header Ad

ট্রাম্পের বিস্ফোরক দাবি: চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনকেই দায়ী করে নতুন বিতর্ক উসকে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন রাজনীতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে পরিচিত ট্রাম্প এবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল।

মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) ফ্লোরিডার মার-আ-লাগোতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রতি কঠোর মনোভাব প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনে একটি নতুন নির্বাচন হওয়া উচিত। বিশ্লেষকদের মতে, এটি জেলেনস্কিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনারই ইঙ্গিত।

ট্রাম্প আরও বলেন, ইউক্রেনে দীর্ঘদিন ধরে কোনো নির্বাচন হয়নি এবং সেখানে সামরিক আইন চলছে। তার দাবি, জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা মাত্র চার শতাংশে নেমে গেছে, আর দেশটি ধ্বংসের পথে। যদিও যুদ্ধকালীন সময়ে নির্ভরযোগ্য জনমত জরিপ পাওয়া কঠিন, তবে বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা ট্রাম্পের দাবির মতো এতটা কমেনি।

এছাড়া, ইউক্রেনের নির্বাচন প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, "তারা কি জনগণের মতামত নিয়েছে? তারা আলোচনার টেবিলে বসতে চায়, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেখানে কোনো নির্বাচন হয়নি।"

প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে ২০২৪ সালের এপ্রিলে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, যুদ্ধকালীন সময়ে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই মন্তব্য কৌতুকপূর্ণ, কারণ তিনি নিজেই ২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।

ট্রাম্প আরও দাবি করেন, ইউক্রেন চাইলে যুদ্ধ বন্ধ করতে পারতো এবং তাদের উচিত ছিল রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতায় যাওয়া। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর অর্থ হলো—ইউক্রেনকে হয় রাশিয়ার মিত্র সরকার গঠনের প্রস্তাবে রাজি হতে হতো, নয়তো প্রতিরোধ ছেড়ে দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে হতো।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের সাম্প্রতিক অবস্থান ইঙ্গিত দেয় যে, তিনি পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ইউক্রেনকে সমর্থন না দিয়ে বরং রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি বিতর্কিত শান্তিচুক্তির দিকে এগোতে পারেন, যা পুতিনের জন্য বড় ধরনের কূটনৈতিক জয় হিসেবে বিবেচিত হবে।

সূত্র: সিএনএন

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অবশেষে সরিয়ে দেওয়া হলো মাউশির বিতর্কিত ডিজিকে
২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ ডিসি ওএসডি
ট্রাম্পের বিস্ফোরক দাবি: চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল
ডিবির সাবেক প্রধান হারুনের ১০০ বিঘা জমি, ৫ ভবন ও ২ ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেখা গুপ্তা, বিজেপির সিদ্ধান্তে চমক
একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতির শহীদ মিনারে না যাওয়ার আহ্বান
নামাজি জীবনসঙ্গী খুঁজছেন আইশা খান
গাইবান্ধায় গাঁজাসহ আটক এএসআইকে কারাগারে প্রেরণ
উপদেষ্টাদের মিটিংয়ে কোন প্রটোকলে গিয়েছিলেন হাসনাত-পাটোয়ারী: ছাত্রদল সেক্রেটারি
সরকারে থেকে ‘নতুন দল’ গঠন করলে মেনে নেওয়া হবে না: মির্জা ফখরুল
হোস্টিং সামিট ২০২৫ অনুষ্ঠিত
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে পাকিস্তানকে ৩২১ রানের বড় লক্ষ্য দিলো নিউজিল্যান্ড
বৈষম্যবিরোধী নামধারী শীর্ষ নেতার নির্দেশে কুয়েটে ছাত্রদলের ওপর হামলা: রাকিব
যান্ত্রিক ত্রুটিতে আবারও বন্ধ বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
কুবিতে ছাত্র সংসদের দাবিতে মানববন্ধন ও সন্ত্রাসবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল
২২০ জনকে নিয়োগ দেবে সমরাস্ত্র কারখানা, এসএসসি পাসেও আবেদন
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ২ দিনব্যাপি খামারি প্রশিক্ষণ
সবার সাত দিন কারাগারে থাকা উচিত: আদালতে পলক
বিপ্লবী সরকারের ডাক থেকে সরে এলেন কাফি  
নাঈম ভাই হেনা কোথায়?: ‘তুই অনেক দেরি করে ফেলেছিস বাপ্পা’