মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রশ্নবিদ্ধ সাংবাদিকতা: উত্তরণের পথ (২)

স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন

ঢাকাপ্রকাশ

অক্ষরের পাশে অক্ষর বসানো সমাচার দর্পণ থেকে আজকের ঝকঝকে চার রঙে ছাপা প্রতিদিনের অজস্র সংবাদপত্র। সাদা-কালো যুগ পেরিয়ে স্যাটেলাইটের হাত ধরে দেশ-মহাদেশের সীমানা পেরিয়ে যায় টেলিভিশন। এককালের ছুটে চলা প্রান্তিক সাংবাদিকতা থেকে আজকের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগ। সঙ্গে যোগ হয়েছে প্রযুক্তির নানা মাত্রা।

এত কথা যে সংবাদমাধ্যম নিয়ে, বর্তমানে তার গতিপথ কোন দিকে? মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে শুরু করে নতুন শতকের প্রথম দুই দশক পেরিয়ে আজ কোন জায়গায় আমাদের সাংবাদিকতা? তার মানই বা কী?

প্রশ্ন অনেক, উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছি আমরা। ঠিক সে কারণেই ঢাকা প্রকাশের পক্ষ থেকে মুখোমুখি হওয়া গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের।

বর্তমান সাংবাদিকতার নানা সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ থাকছে দ্বিতীয় পর্ব।

গণমাধ্যম জনগণের মাধ্যম। জনগণের সঙ্গে সরকারের সেতুবন্ধন। এর মাধ্যমে সমাজের সঠিক অবস্থান এবং জনগণ কী চায়–সেটি যেমন সরকার জানতে পারে, ঠিক তেমনি জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে তার মতামতও প্রকাশ করতে পারে।

দায়িত্বশীল ও সৎ সাংবাদিকতার অন্যতম প্রধান ভিত্তি বস্তুনিষ্ঠতা। গণমাধ্যমে যদি বস্তুনিষ্ঠতা না থাকে, তাহলে গণমাধ্যমের আর কোনো অর্থ থাকে না। তবে সরকারি নিয়ন্ত্রণ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছু ধারার অপব্যবহার, গণমাধ্যম মালিকদের চাপ এবং সাংবাদিকদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার অভাবসহ নানা সমস্যার কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পেশাদারিত্ব ও দায়িত্বশীলতা। সেই সঙ্গে রয়েছে সাংবাদিকদের বিভক্তি ও নিষ্ক্রিয়তা।

স্বাধীন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেশকিছু ধারাকেই সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা মনে করছেন সাংবাদিক, গণমাধ্যম বিষেশজ্ঞ ও গবেষকেরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘একজন সাংবাদিক সৎ থেকে সাংবাদিকতা করলে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা হওয়ার কথা নয়। অথচ আমরা দেখি, অনেক সাংবাদিক এ আইনের ভুক্তভোগী হচ্ছেন। এটি আমরা দেখতে চাই না। বাংলাদেশের সংবিধানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও ব্যক্তি স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে। সাংবাদিকদের কাজের ক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন যেন কোনো বাধা না হয়, সেদিকে সরকারের নজর দেওয়া দরকার।’

ডিজিটাল নিরাপত্তার অপব্যবহারের বিষয়ে সাহিত্যিক ও অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন জায়গায় ওঁৎ পেতে থাকা দুর্নীতিবাজ ও লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে সংবাদ করলে, তাদের কিছুই হয় না। কিন্তু যারা এটা প্রকাশ করছেন তাদের নিগৃহীত হতে হয়। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’

তিনি বলেন, “ইংরেজিতে একটি কথা আছে, ‘শুটিং দ্য মেসেঞ্জার’। বার্তাবাহককে মেরে ফেললে তো বার্তার কোনো হেরফের হচ্ছে না। আসলে বার্তাটাকে দেখতে হবে।”

তবে সাংবাদিকদের কাজের ক্ষেত্রে কিছুটা প্রতিবন্ধকতা থাকা উচিৎ বলেও মনে করেন এ গবেষক ও সাহিত্যিক।

তিনি বলেন, ‘মুক্ত সাংবাদিকতা কখনো ছিল না। সেটা হবে বলে আশা করাও ভুল। তবে সাংবাদিকদের কিছু প্রতিবন্ধকতাও থাকা উচিৎ। তাদের কিছুটা প্রতিবন্ধকতা না থাকলে, তারা প্রতিবাদি হন না। জনগণের কণ্ঠকে ধারণ করেন না।’

বর্তমানে ভিন্নমত প্রচার-প্রকাশও কঠিন আবার কোনো অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরাও কঠিন হয়ে পড়েছে। যথাযথ বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষণ না করেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস করা হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ডিবিসি নিউজের সম্পাদক ও গণমাধ্যম গবেষক জায়েদুল আহসান পিন্টু।

তিনি বলেন, এ আইনের কিছু কিছু ধারায় প্রশাসনকে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। যেমন–বিনা ওয়ারেন্ট অ্যারেস্ট করবে, জাজমেন্ট দেওয়ার আগেই কন্টেন্ট সরিয়ে দেবে, কথা বলতে গেলেই কথার ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ধরে নিয়ে যেতে পারে। কোন কথার কী ব্যাখ্যা করবে, তার সিদ্ধান্ত দেবে একজন পুলিশ ইনস্পেক্টর!’

‘কোনটা শ্লীল, কোনটা অশ্লীল, কোনটা সমাজে অস্থিরতা তৈরি করবে, কোনটা তৈরি করবে না–এসবের সংজ্ঞা নির্ধারণ না করেই এ আইন পাস করে ফেলল। যারা প্রকৃত অপরাধী বা অভিযুক্ত হতে পারে, তাদের চেয়ে নিরাপরাধ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। এ আশঙ্কা আমাদের ২০১৮ সালেও ছিল, এখনো পরিপূর্ণভাবে রয়ে গেছে‘–যোগ করেন ডিবিসি সম্পাদক।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যেসব ধারা স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থি বলে মনে হচ্ছে সেগুলো বাতিল বা সংশোধনের জন্য সাংবাদিকরা কী ভূমিকা পালন করেছেন–এমন প্রশ্নের জবাবে এ গণমাধ্যম গবেষক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বলেন, ‘আমারাও রাজনৈতিকভাবে বিভাজিত। সে জায়গাটায় আমরা এক হতে পারছি না। ২০১৮ সালে একই দিনে সংসদে সড়ক পরিবহন আইন পাস হলে, দেশের স্টেকহোল্ডাররা সবাই সমর্থন দিলেন। কিন্তু শ্রমকি-মালিকরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আইনটি রুখে দিলেন। কিন্তু আমরা পারিনি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের উচিৎ ছিল প্রফেশনাল চিন্তা করে এ আইনের কোন কোন ধারার অপব্যবহার হতে পারে বা হচ্ছে, যেগুলোর সংশোধন দরকার, সে বিষয়ে সবাই এক হয়ে সরকারের সঙ্গে বসা।’

সাংবাদিকরা নির্যাতনের শিকার হলে প্রতিবাদের ক্ষেত্রেও দেখা গেছে ভিন্নতা। এ ছাড়া সাংবাদিকদের মধ্যেও ছোট প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধিরা নির্যাতনের শিকার হলে খুব জোরাল প্রতিবাদ দেখা যায়নি।

এ বিষয়ে জায়েদুল আহসান পিন্টু বলেন, ‘এটি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির সমস্যা। এটা হওয়া উচিৎ ছিল না। আমরা যদি প্রফেশনালি (পেশাগত) ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এগুলো ডিল করতাম, প্রতিবাদটা একই রকম হতো। এটি সাংবাদিকতার একটি বিচ্যুতি।’

এসব সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে পেশাদারিত্বকে উন্নত করার পরামর্শ দেন তিনি। সাংবাদিক নেতাদের শুধু রুটি-রুজি নয়, সাংবাদিকতার মান উন্নয়ন থেকে শুরু করে সবকিছুতেই তাদের ভূমিকা রাখতে হবে বলেও মন্তব্য করেন এ গণমাধ্যম গবেষক।

শুধু ডিজিটাল নিরাপত্তা নয়, সরকারের বিভিন্ন বাহিনী থেকেও চাপ আসে বলে জানান জায়েদুল আহসান পিন্টু। তিনি বলেন, ‘এক সময় সরকারের পক্ষ থেকে অনুরোধ আসত, এখন আদেশ হিসেবে আসে। সরাসরি বলে না এটা করবেন না, কিন্তু এমন পরিবেশ তৈরি করা হয়, যাতে আপনি নিজেই এটা করতে চাইবেন না।’

এ গণমাধ্যম গবেষক বলেন, ‘আইন, বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে চাপ সৃষ্টি করা হয়। এ ছাড়া মিডিয়ার মালিকেরা সরকারের লোক। পত্রিকার লোকগুলো সরকারের লোক নাহলেও সরকারের সঙ্গে একটা আন্ডাস্ট্যান্ডিংয়ের মধ্যে দিয়ে চলতে হয়। যারা চলে না তাদের ওপর নানাভাবে চাপ সৃষ্টি হয়। তবে এর মধ্যে দিয়েও সাংবাদিকরা তার কাজ বের করে নিচ্ছেন। আমি যে কথাগুলো বললাম, সে পরিবেশ যদি থাকত, তাহলে হয়তো ১০০ ভাগ মুক্ত গণমাধ্যম হতো। সেটার জন্য আরো লড়াই-সংগ্রাম করতে হবে।’

সাংবাদিকদের আইনি সুরক্ষা দিতে না পারলে স্বাধীন সাংবাদিকতা সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির সুযোগ নিয়ে অনেকে নানা ধরনের অপপ্রচার করছে। এসব থেকে মুক্তি পেতে হলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন রয়েছে। তবে এ আইনের কারণে স্বাধীন সাংবাদিকতা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।

এক্ষেত্রে সাংবাদিক সংগঠনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন সাংবাদিকতার এ অধ্যাপক।

তিনি বলেন, ‘এ আইনের আওতায় কোনো সাংবাদিকের নামে যদি অভিযোগ ওঠে, তাহলে তা সঠিক কি না, সেটি দেখার জন্য সাংবাদিকদের সংগঠনগুলোকে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। যেমন–সাংবাদিক ইউনিয়ন, প্রেস কাউন্সিল, রিপোর্টারস ইউনিটি। দায়িত্বশীল সংগঠন থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পর সেই সাংবাদিককে অভিযোগ থেকে রেহাই দেওয়া বা আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।’

সাংবাদিকদের সুরক্ষার বিষয়ে লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক আফসান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ মিডিয়া মালিকদের স্বার্থ রক্ষার কাজ করে। এমন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে, যাতে প্রতিষ্ঠান নিজেই চলতে পারে। এ ছাড়া সাংবাদিকদের দক্ষতা উন্নয়ন করতে হবে। মালিকসহ গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট সবার জন্য আচরণবিধি প্রণয়ন করতে হবে এবং গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমেই মনিটর করতে হবে। নিজস্ব ব্যবসায়িক মডেলসহ বিশেষায়িত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে।

দায়িত্বশীল ও সৎ সাংবাদিকতার প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘উন্নত দেশ চাইলে, উন্নত সাংবাদিতকতা থাকতে হবে। উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা চাইলে মুক্তচিন্তার ক্ষেত্র উন্মুক্ত করতে হবে। সার্বিকভাবে বাংলাদেশের সাংবাদিকতা যে পর্যায়ে যাওয়া উচিৎ ছিল, সেখানে পৌঁছাতে পারেনি।’

এসএন/এসএ/

Header Ad
Header Ad

বিদ্যুৎ খাতে ১৫ বছরে ৭২ হাজার কোটি টাকার লুটপাট

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিদ্যুৎ খাতকে কেন্দ্র করে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দ্রুত সরবরাহ আইন (কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট আইন) প্রণয়ন করে দায়মুক্তি দেওয়ার মাধ্যমে এই খাতে লুটপাটের মডেল তৈরি হয়। গত ১৫ বছরে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনায় ঘুষ, কমিশন, এবং অপ্রয়োজনীয় সক্ষমতার কারণে জনগণের ওপর ৭২ হাজার কোটি টাকার বোঝা চাপানো হয়েছে।

২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ৫,৭০০ মেগাওয়াট থেকে বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৩২,০০০ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে। এ সময়ে শতাধিক বিদ্যুৎকেন্দ্র অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে বেশিরভাগ প্রকল্প দ্রুত সরবরাহ আইনের আওতায় অনুমোদন পাওয়ায় উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার সুযোগ বন্ধ ছিল।

বিশ্লেষণ থেকে জানা যায়, বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে ৩০ থেকে ৩৩ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার দুর্নীতির মাধ্যমে লুট হয়েছে।

মহাপরিকল্পনায় ২০৩০ সালের মধ্যে বিদ্যুতের চাহিদা ৩০,০০০ মেগাওয়াট ধরা হলেও, পরে এই লক্ষ্যমাত্রা ৪০,০০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হয়। চাহিদার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করায় অপ্রয়োজনীয় সক্ষমতা তৈরি হয়। এই অতিরিক্ত সক্ষমতার জন্য ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বাবদ প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার অপচয় হয়েছে।

বিশেষজ্ঞ ম. তামিম বলেছেন, “উচ্চমাত্রার লক্ষ্য নির্ধারণ করে নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এর ফলে জনগণের কাঁধে ভাড়া ও অন্যান্য ব্যয়ের বোঝা চেপেছে।”

শতভাগ বিদ্যুতায়নের লক্ষ্যে সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন নির্মাণ এবং মিটার কেনাকাটায় বিপুল অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। তবে এসব খাতে দুর্নীতির বিস্তারিত চিত্র এখনও স্পষ্ট নয়।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিদ্যুৎ খাতে এ ধরনের দুর্নীতি অর্থনীতিতে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। সরকারের উচ্চাভিলাষী প্রকল্পের ফলে জনগণকে অযৌক্তিকভাবে অতিরিক্ত ব্যয় বহন করতে হয়েছে।

প্রস্তাবিত সমাধান:

- বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি কমাতে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে প্রকল্প অনুমোদন।
- দায়মুক্তি আইন বাতিল করে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
- শ্বেতপত্রে বিস্তারিত তদন্তের মাধ্যমে দুর্নীতির চিত্র প্রকাশ।
- অপ্রয়োজনীয় সক্ষমতা বন্ধ এবং বিদ্যুতের চাহিদা অনুযায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ।

বিদ্যুৎ খাতের এই সংকট উত্তরণে জনসাধারণ, বিশেষজ্ঞ এবং গণমাধ্যমের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

Header Ad
Header Ad

সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় নাগরিক আটক

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগে মো. নাজির উদ্দিন কার্তিক (২৫) আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে নওগাঁ ব্যাটালিয়নের (১৬ বিজিবি) বিজিবি সদস্যরা গোমস্তাপুর উপজেলার কেতাব বাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন।

আজ মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ১৬ বিজিবির গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

নওগাঁ ব্যাটালিয়নের (১৬ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার বাংগাবাড়ি বিজিবির নিয়মিত টহল দল মঙ্গলবার সকালে সীমান্ত পিলার ২০৪/এমপি হতে আনুমানিক ১ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যান্তরে কেতাব বাজার এলাকায় টহল পরিচালনা করছিলেন। টহল দেওয়ার সময় একজন ব্যক্তির গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে বিজিবির সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি অসংলগ্ন বক্তব্য দিতে থাকেন। পরে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি স্বীকার করেন তিনি ভারতীয় নাগরিক। ওই ব্যক্তির ভাষ্যমতে তাঁর নাম, নাজির উদ্দিন কার্তিক। তিনি ভারতের বিহার রাজ্যের কাঠিয়ার জেলার আবাদপুর থানার গাবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা। তল্লাশী করে ওই ব্যক্তির কাছ ভারতীয় ১০ রুপি এবং বাংলাদেশী ২৫০ টাকা পাওয়া গেছে। তাঁর কাছ থেকে কোনো পাসপোর্ট বা বৈধ ডকুমেন্ট পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে আটক পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ কার্যক্রম চলমান আছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Header Ad
Header Ad

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশি জানলেই হয়রানি

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় ভ্রমণ ও চিকিৎসার কাজে যাওয়া বাংলাদেশিরা সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি এবং বিজেপি সমর্থকদের লংমার্চ কর্মসূচি ঘিরে এই হয়রানির মাত্রা বেড়ে গেছে।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) থেকে আগরতলায় হোটেল ভাড়া না পেয়ে বাংলাদেশি পর্যটকরা চরম বিপাকে পড়েছেন। কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার বাসিন্দা ফরিদ মিয়া জানান, হোটেল ভাড়া নেওয়ার পর মুসলিম এবং বাংলাদেশি হওয়ায় তাকে এক ঘণ্টার মধ্যেই হোটেল থেকে বের করে দেওয়া হয়। টাকা ফেরত না পেয়ে তিনি বাধ্য হয়ে শহরের বাইরে আত্মীয়ের বাড়িতে রাত কাটান এবং পরদিন দেশে ফিরে আসেন।

আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টে বাঁশের বেড়া দিয়ে চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সীমান্ত পারাপারের সময় বাংলাদেশিদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করা হচ্ছে। আখাউড়া স্থলবন্দরে ফিরে আসা যাত্রীরা জানিয়েছেন, সীমান্তে বাংলাদেশিদের হুমকি ও হয়রানির মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ব্যবসায়ী মুজিবুর রহমান শিলচরে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড ফেয়ারে জামদানি শাড়ির একটি স্টল দিয়েছিলেন। সেখানে একদল যুবক "জয় শ্রী রাম" স্লোগান দিয়ে তার দোকানে হামলা চালায়। হামলাকারীরা দোকান ভাঙচুর করে এবং সমস্ত টাকা-পয়সা লুটপাট করে নিয়ে যায়।

এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবি অতিরিক্ত সতর্ক অবস্থান নিয়েছে। বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জাবের বিন জব্বার জানিয়েছেন, সীমান্তে কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশিরা এমন হয়রানি ও বৈষম্যমূলক আচরণের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে এর সমাধানের জন্য দুই দেশের সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা নিরসনে কূটনৈতিক পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিদ্যুৎ খাতে ১৫ বছরে ৭২ হাজার কোটি টাকার লুটপাট
সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় নাগরিক আটক
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশি জানলেই হয়রানি
প্রতিবেশী রাষ্ট্রের গোলামি করতে স্বাধীনতা অর্জন করিনি: সোহেল তাজ
মাইক্রোসফটের সমীক্ষায় ভুয়া খবর ছড়ানোর শীর্ষে ভারত
আগরতলার বাংলাদেশ হাইকমিশনে কনস্যুলার সেবা বন্ধ
একটি ইস্যু দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক মূল্যায়ন করা যাবে না : ভারতীয় হাইকমিশনার
জাতীয় ঐক্যের ডাক দেবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ
শান্তিরক্ষী বাহিনীর ভূমিকা মমতা বোঝেন কিনা, নিশ্চিত নই: শশী থারুর
যমুনার চর কেটে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ
২০২৩ সালে সর্বোচ্চ দুর্নীতি পাসপোর্ট, বিআরটিএ ও আইনশৃঙ্খলায়
শেখ হাসিনার পতন কোনোভাবেই মানতে পারছেন না ভারত : রিজভী
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে জরুরি তলব
সেনাবাহিনীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, এসএসসি পাসেই আবেদনের সুযোগ
এস আলম পরিবারের ৩৫০ ব্যাংক হিসাবের সন্ধান
২৮ বিয়ে প্রসঙ্গে যা বললেন নায়িকা রোমানা
বাংলাদেশিদের সেবা দেবে না ত্রিপুরার কোনো হোটেল–রেস্তোরাঁ
ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন
‘বাংলাদেশি কনস্যুলেটে হামলা প্রতিবেশীদের মধ্যে বিবাদের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে’
বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলায় ৩ পুলিশ বরখাস্ত, গ্রেপ্তার ৭