সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

আসন্ন সংসদ নির্বাচন

নিজেদের মধ্যে ঐক্য গড়তে পারেনি ইসলামী দলগুলো

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলো ইতোমধ্যেই অনানুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। প্রায় প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলই এখন নির্বাচনমুখী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে বেশকয়েকটি জনসভায় নৌকার পক্ষে ভোট চেয়েছেন। জাতীয় পার্টিও ব্যস্ত দল গোছানোর কাজে। ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা করছে দলটি।

অন্যদিকে, সরকারবিরোধী প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো নির্দলীয় সরকার দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে। তবে তারা নির্বাচনের জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাদের পুরনো শরীক ১৪ দলীয় জোটকে নিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। অন্যদিকে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোকে এক প্ল্যাটফর্মে একত্রিত করার চেষ্টা করছে।

নির্বাচনী এই আগাম ডামাঢোলে যেন পিছিয়ে আছে দেশের ইসলামী ধারার রাজনৈতিক দলগুলো। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কোনো ঐক্য গড়ে উঠেনি। এক প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলন কিংবা নির্বাচন করা নিয়ে তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন একাধিক ইসলামী দলের নেতা।

অপরদিকে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলই চাচ্ছে ইসলামী দলগুলোকে নিজেদের দিকে ভেড়াতে। উভয় দলের নেতারা চাচ্ছেন ইসলামী দলগুলোর সমর্থন আদায়ে ছাড় দিয়ে হলেও নিজেদের দিকে নেওয়ার।

দেশের রাজনীতিতে ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ভোট আছে বা ভোটের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে এমন দলগুলোর কদর বাড়ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী বিএনপির মধ্যে। তবে ইসলামী দলগুলোও নিজেদের তৎপরতা বাড়াচ্ছে। নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে কোনোরকম সিদ্ধান্ত না হলেও নতুন জোট গঠন কিংবা বড় দলগুলোর জোটে যুক্ত হতে আলোচনা শুরু করেছে দলগুলো। পৃথক জোট গড়ারও চেষ্টা করছে কয়েকটি দল।

ইসলামী দলগুলোর নেতারা বলছেন, ইসলামী ধারার রাজনীতি বিপর্যয়ের মুখে। ক্রমেই শেকড়হীন হয়ে পড়ছে। ইসলামী ধারার দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (চরমোনাই পীর) ও ইসলামী ঐক্যজোট (আমিনী) দলই ভোটের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তাদের ব্যর্থতা হচ্ছে অভ্যন্তরীণ সমন্বয়হীনতা ও বিশ্বাস-অবিশ্বাস। এ কারণে এখন পর্যন্ত ইসলামী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ একটি প্ল্যাটফর্মে পৌঁছতে পারেনি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নেতৃত্বের অভাবেই ইসলামী ধারার রাজনৈতিক দলগুলোর এলোমেলো অবস্থা। এরমধ্যে নির্বাচনে যেতে হলে এখনই নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করা জরুরি। কিন্তু সেটি এখনো হয়ে উঠেনি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বাচনী মাঠ তৈরিতে প্রতিটি ইসলামী দলকে কিছুটা কৌশলে পথ হাটঁতে হবে।

জানা গেছে, ২০ দলীয় জোট থেকে বের হয়ে যাওয়া ইসলামী দলগুলো নিজেদের মধ্যে একটি জোট গড়ার চেষ্টা করছে। দলগুলো হলো— বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুর রহমান হেলাল ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আগামী নির্বাচনকে ঘিরে এই মুহূর্তে জোটগত কোনো বিষয়ে আলোচনা নেই। নির্বাচন নিয়ে কোনো কার্যকর সিদ্ধান্ত হয়নি। আপাতত নিজেদের দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে ব্যস্ত আছি। তবে অন্যান্য ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ইসলামি ধারার দলের সংখ্যা ১০টি। পাশাপাশি নাম-সর্বস্ব ইসলামি দলও গজিয়ে উঠেছে। এ ছাড়াও ইসলামি দলগুলোর নেতারা সুযোগ-সুবিধার রাজনীতিতে বেশি মনোযোগী হয়ে উঠায় আলোচনা-সমালোচনা আছে।

ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে ২০১৩ সালে মাঠে নেমেছিল হেফাজতে ইসলাম। কিন্তু অরাজনৈতিক এই সংগঠনটির নেতারা আদর্শের চেয়ে সুবিধার পেছনে হেঁটে কখনো সরকারের পক্ষে আবার কখনো সরকারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। ফলে আগে হেফাজতে ইসলামীর উপর কিছুটা বিশ্বাস থাকলেও বতর্মানে দেশের সাধারণ মানুষ তাদের আর বিশ্বাস করতে পারছে না।

খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল জলিল ঢাকাপ্রকাশ কে বলেন, খেলাফত মজলিস একটি নির্বাচনমুখী দল। অতীতেও নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, আগামী নির্বাচনের অংশ নেবে। তবে সেই নির্বাচনের পরিবেশটা কেমন হয় সেটাও দেখার বিষয়। আমরা নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা ও নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছি। আমরা ইসলামী ঐক্যের পথে হাটঁছি। নির্বাচন কিংবা জোট কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। ইসলামী দলগুলোকে একটা প্ল্যাটফর্মে দাঁড় করাতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন সরকারি দল কিংবা বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার চেয়ে আপাতত নিজস্ব কর্মসূচিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নির্দলীয় সরকারের দাবিতে সমাবেশ কর্মসূচি আছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আমরা ঐক্যেবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছি। চেষ্টা করছি সমঝোতার ভিত্তিতে ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো যেন ঐক্যেবদ্ধ হতে পারি। সমঝোতা মানে হলো আমরা ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে ইসলামী সমঝোতা করতে চাই। জোটবদ্ধ না হলেও অনন্ত সমঝোতা হয়েও যেন নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায় করে নির্বাচনে অংশ নেওয়া যায়। আমাদের দলের আমির সাহেব ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায়ে ঐক্যেবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা সেই লক্ষ্যে দলের কার্যক্রম অব্যাহত রাখছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হেফাজত ইসলামীর একজন দায়িত্বশীল নেতা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, রাজনীতিতে ইসলামী ধারার দলগুলোর বিগত দিনের অতি উৎসাহী কিছু নেতার ভূমিকা নিয়ে জনমনে কিছুটা সন্দেহ তৈরি হয়েছে। তবে আশার কথা হচ্ছে সমমনা ইসলামী দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলোচনা শুরু করেছে। কিছুটা বিলম্ব হলেও এবার বোধদয় হয়েছে দলগুলোর নেতাদের। নেতারা বলছেন, ইসলামী দলগুলোর একলা চল নীতির ফল ভালো হয়নি। আর সঙ্গত কারণেই বড় রাজনৈতিক দলগুলো ইসলামী দলগুলোর সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করবে। তাই আগামীতে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনী মাঠে নিজেদের জানান দিতে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মা’ছুম বলেন, ‘বর্তমানে নির্দলীয় সরকারের দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের প্রক্রিয়া চলছে। এর মাধ্যমে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হলে আমরা নির্বাচনে যাব। দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হয়নি। নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে।’

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad
Header Ad

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট গণঅভুত্থানে গণহত্যার মামলায় আগামী মাসের শুরুতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে-আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আলজাজিরার বৈশ্বিক নেতাদের সাক্ষাৎকারমূলক অনুষ্ঠান ‘টক টু আল–জাজিরা’য় এ কথা বলেন তিনি।
আগামী ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে ফের জানিয়েছেন তিনি

এ সময় তিনি আরও বলেন, শুধু মানবিক সহায়তা নয়, নিরাপদ প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান।

বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন উপহার দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচনের আগে সংস্কারের তালিকা ছোট হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং তালিকা বড় হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা এখনও তুঙ্গে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান।

আলজাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।

আলজাজিরার উপস্থাপক ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করেন, এটা কি বলা ঠিক যে, শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অনেকে রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে।

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক, বাংলাদেশের মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সরাসরি চলে যেতে এখনও বলছে না। বরং একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সরকারই নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে। জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা এখনও বলছে না।

লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারবে?

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। তারা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া যাতে তৈরি হয়।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হবে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন,
এ প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে–তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কিনা। তারা এখনও কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ নানা বিষয় সামনে আসতে পারে।

তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তা নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে, যারা বলতে পারে যে, এ আইনের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের প্রসঙ্গ ওঠে। ড. ইউনূস জানান,
তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। জবাবে মোদি বলেছিলেন, এটা তার জন্য সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে, সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, একসঙ্গে কাজ করার নীতি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা একসঙ্গেই পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিতে চাই।

Header Ad
Header Ad

ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর পাশাপাশি কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা। এছাড়া আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ।

সারাদেশের সকাল ৬ টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপামাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

আরও বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুরের ডিমলাতে সর্বোচ্চ ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার অংশ হিসেবে আলোচনা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আলী রীয়াজ বলেন, চর্চা, ঐক্যে এবং সম্মিলিতভাবে জাতীয় সনদ তৈরি করতে সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। যাতে করে ক্ষমতার বিন্যাসে পরিবর্তন ঘটে। বাংলাদেশ যাতে সমস্ত সম্ভাবনা নিয়ে জাগ্রত হতে পারে। গত ৫৩ বছর মানুষ যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করছে, সেই আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করা যায়, পথ উন্মুক্ত করা যায়, যেন সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি। তারাই অংশ হিসেবে এ আলোচনা।

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন, মতামত ও সুপারিশই যথেষ্ট নয়। সব রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর জনমানুষের ঐক্যের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে নতুন বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর করতে পারব। কাজে কি লিখছি তা নয়, চর্চার মধ্য দিয়ে, অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে, প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে আমাদের এ কাজে অগ্রসর হতে হবে। আমরা সেই প্রচেষ্টায় আছি।

ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তরুণদের নেতৃত্বে প্রাণ দিয়ে যে সম্ভাবনা তৈরি করেছে, সবাই মিলে সে সম্ভাবনাকে বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হতে হবে। সেই পথ ও প্রচেষ্টায় সবাই একত্রিত আছি, থাকব। একত্রিত থাকার তাগিদ জারি রাখব।

রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি দলের কাছে মতামত চেয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর মধ্যে ৩৫টি দল মতামত জমা দিয়েছে বলে জানান আলী রীয়াজ। রোববার পর্যন্ত কমিশন ১৯টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে। ২০তম দল হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে কমিশন সংলাপ করছে বলে জানান আলী রীয়াজ।

২০১৮ সালে বর্তমান গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কোটা সংস্কার আন্দোলনের কথা তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, তাদের অকুতোভয় সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের নতুন পর্যায় সূচনা হয়েছিল। যার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী পর্যায়ে একটি অভূতপূর্ব ও অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু