বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আসন্ন সংসদ নির্বাচন

নিজেদের মধ্যে ঐক্য গড়তে পারেনি ইসলামী দলগুলো

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক মাস বাকি। নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলো ইতোমধ্যেই অনানুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। প্রায় প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলই এখন নির্বাচনমুখী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে বেশকয়েকটি জনসভায় নৌকার পক্ষে ভোট চেয়েছেন। জাতীয় পার্টিও ব্যস্ত দল গোছানোর কাজে। ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা করছে দলটি।

অন্যদিকে, সরকারবিরোধী প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো নির্দলীয় সরকার দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে। তবে তারা নির্বাচনের জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাদের পুরনো শরীক ১৪ দলীয় জোটকে নিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। অন্যদিকে বিএনপিসহ সরকারবিরোধী সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোকে এক প্ল্যাটফর্মে একত্রিত করার চেষ্টা করছে।

নির্বাচনী এই আগাম ডামাঢোলে যেন পিছিয়ে আছে দেশের ইসলামী ধারার রাজনৈতিক দলগুলো। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কোনো ঐক্য গড়ে উঠেনি। এক প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলন কিংবা নির্বাচন করা নিয়ে তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন একাধিক ইসলামী দলের নেতা।

অপরদিকে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলই চাচ্ছে ইসলামী দলগুলোকে নিজেদের দিকে ভেড়াতে। উভয় দলের নেতারা চাচ্ছেন ইসলামী দলগুলোর সমর্থন আদায়ে ছাড় দিয়ে হলেও নিজেদের দিকে নেওয়ার।

দেশের রাজনীতিতে ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ভোট আছে বা ভোটের রাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে এমন দলগুলোর কদর বাড়ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী বিএনপির মধ্যে। তবে ইসলামী দলগুলোও নিজেদের তৎপরতা বাড়াচ্ছে। নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে কোনোরকম সিদ্ধান্ত না হলেও নতুন জোট গঠন কিংবা বড় দলগুলোর জোটে যুক্ত হতে আলোচনা শুরু করেছে দলগুলো। পৃথক জোট গড়ারও চেষ্টা করছে কয়েকটি দল।

ইসলামী দলগুলোর নেতারা বলছেন, ইসলামী ধারার রাজনীতি বিপর্যয়ের মুখে। ক্রমেই শেকড়হীন হয়ে পড়ছে। ইসলামী ধারার দলগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (চরমোনাই পীর) ও ইসলামী ঐক্যজোট (আমিনী) দলই ভোটের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তাদের ব্যর্থতা হচ্ছে অভ্যন্তরীণ সমন্বয়হীনতা ও বিশ্বাস-অবিশ্বাস। এ কারণে এখন পর্যন্ত ইসলামী দলগুলো ঐক্যবদ্ধ একটি প্ল্যাটফর্মে পৌঁছতে পারেনি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নেতৃত্বের অভাবেই ইসলামী ধারার রাজনৈতিক দলগুলোর এলোমেলো অবস্থা। এরমধ্যে নির্বাচনে যেতে হলে এখনই নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করা জরুরি। কিন্তু সেটি এখনো হয়ে উঠেনি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বাচনী মাঠ তৈরিতে প্রতিটি ইসলামী দলকে কিছুটা কৌশলে পথ হাটঁতে হবে।

জানা গেছে, ২০ দলীয় জোট থেকে বের হয়ে যাওয়া ইসলামী দলগুলো নিজেদের মধ্যে একটি জোট গড়ার চেষ্টা করছে। দলগুলো হলো— বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী ঐক্যজোট, খেলাফত মজলিস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুর রহমান হেলাল ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আগামী নির্বাচনকে ঘিরে এই মুহূর্তে জোটগত কোনো বিষয়ে আলোচনা নেই। নির্বাচন নিয়ে কোনো কার্যকর সিদ্ধান্ত হয়নি। আপাতত নিজেদের দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে ব্যস্ত আছি। তবে অন্যান্য ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ইসলামি ধারার দলের সংখ্যা ১০টি। পাশাপাশি নাম-সর্বস্ব ইসলামি দলও গজিয়ে উঠেছে। এ ছাড়াও ইসলামি দলগুলোর নেতারা সুযোগ-সুবিধার রাজনীতিতে বেশি মনোযোগী হয়ে উঠায় আলোচনা-সমালোচনা আছে।

ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে ২০১৩ সালে মাঠে নেমেছিল হেফাজতে ইসলাম। কিন্তু অরাজনৈতিক এই সংগঠনটির নেতারা আদর্শের চেয়ে সুবিধার পেছনে হেঁটে কখনো সরকারের পক্ষে আবার কখনো সরকারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। ফলে আগে হেফাজতে ইসলামীর উপর কিছুটা বিশ্বাস থাকলেও বতর্মানে দেশের সাধারণ মানুষ তাদের আর বিশ্বাস করতে পারছে না।

খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল জলিল ঢাকাপ্রকাশ কে বলেন, খেলাফত মজলিস একটি নির্বাচনমুখী দল। অতীতেও নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, আগামী নির্বাচনের অংশ নেবে। তবে সেই নির্বাচনের পরিবেশটা কেমন হয় সেটাও দেখার বিষয়। আমরা নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা ও নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছি। আমরা ইসলামী ঐক্যের পথে হাটঁছি। নির্বাচন কিংবা জোট কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। ইসলামী দলগুলোকে একটা প্ল্যাটফর্মে দাঁড় করাতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন সরকারি দল কিংবা বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ার চেয়ে আপাতত নিজস্ব কর্মসূচিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নির্দলীয় সরকারের দাবিতে সমাবেশ কর্মসূচি আছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘আমরা ঐক্যেবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছি। চেষ্টা করছি সমঝোতার ভিত্তিতে ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো যেন ঐক্যেবদ্ধ হতে পারি। সমঝোতা মানে হলো আমরা ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে ইসলামী সমঝোতা করতে চাই। জোটবদ্ধ না হলেও অনন্ত সমঝোতা হয়েও যেন নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায় করে নির্বাচনে অংশ নেওয়া যায়। আমাদের দলের আমির সাহেব ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায়ে ঐক্যেবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা সেই লক্ষ্যে দলের কার্যক্রম অব্যাহত রাখছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হেফাজত ইসলামীর একজন দায়িত্বশীল নেতা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, রাজনীতিতে ইসলামী ধারার দলগুলোর বিগত দিনের অতি উৎসাহী কিছু নেতার ভূমিকা নিয়ে জনমনে কিছুটা সন্দেহ তৈরি হয়েছে। তবে আশার কথা হচ্ছে সমমনা ইসলামী দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলোচনা শুরু করেছে। কিছুটা বিলম্ব হলেও এবার বোধদয় হয়েছে দলগুলোর নেতাদের। নেতারা বলছেন, ইসলামী দলগুলোর একলা চল নীতির ফল ভালো হয়নি। আর সঙ্গত কারণেই বড় রাজনৈতিক দলগুলো ইসলামী দলগুলোর সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করবে। তাই আগামীতে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনী মাঠে নিজেদের জানান দিতে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মা’ছুম বলেন, ‘বর্তমানে নির্দলীয় সরকারের দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের প্রক্রিয়া চলছে। এর মাধ্যমে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হলে আমরা নির্বাচনে যাব। দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হয়নি। নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে।’

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া