বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

চাল-আটায় ভোক্তার পকেট কাটা বন্ধ করেনি সিটি গ্রুপ

চাল, ডাল, সাবান, ডিটারজেন্টসহ নিত্যপণ্যে ভোক্তার পকেট কাটা বন্ধ হয়নি। অথচ নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টির অভিযোগে সিটি গ্রুপ, ইউনিলিভারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে ভোক্তা অধিদপ্তর। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। তারপরও থেমে নেই ভোক্তাদের পকেট কাটা।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী এবং ভোক্তাদের অভিযোগ, আগের লটের পণ্য শেষ না হতেই বেশি দামের পণ্য নিয়ে হাজির হচ্ছে সিটি গ্রুপ। শুধু তাই নয়, মিনিকেট নামে কোনো চাল না থাকলেও সিটি গ্রুপ মোটা ধান পলিশ করে ‘তীর মিনিকেট’ নামে সবচেয়ে বেশি দামে চাল বিক্রি করছে। আটাও বেশি দামে বিক্রি করছে। তাদের চিনিও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। বড় বড় মার্কেট থেকে শুরু করে পাড়া মহাল্লার ছোট ছোট দোকানে সরেজমিন ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপার্সন প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমাদের অনুসন্ধানেও সিটি গ্রুপসহ বিভিন্ন কোম্পানি বেশি দামে চাল, আটা, চিনি ও ডিটারজেন্ট বিক্রির সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই স্বপ্রণোদিত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। শুনানির জন্য তাদের ডাকা হয়েছে। তারা জবাবও দিয়েছে। তদন্ত করার জন্য কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। তদন্ত শেষে দোষী প্রমাণিত হলে অবশ্যই সিটি গ্রুপসহ অন্যদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মামলা করার পরও সিটি গ্রুপসহ অন্যরা বেশি দামে পণ্য বিক্রি করলে আইনের আওতায় যেটুকু ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তা করা হবে। তবে এ ব্যাপারে কাজ করার জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ অন্য প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। আমি ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলব।

তিনি বলেন, আসলে মিনিকেট নামে কোনো ধানের জাত আছে কি না তা জানতে চাওয়া হয়েছিল কৃষি মন্ত্রণালয়ে। তারা জানিয়েছে মোটা থেকে মাঝারি চিকন, বিআর-২৮, ২৯, জিরাশাইল ও স্বর্ণা জাতের ধান একাধিকবার পলিশ করে চিকন করে তা বস্তার উপর মিনিকেট নামে বেশি দামে বিক্রি করছে। এতে ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছেন। চালের পুষ্টিগুণ থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, মিনিকেটের নামে বেশি দামে চাল, আটা ও চিনি বিক্রি করায় সিটি গ্রুপসহ বড় বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তাদের অনিয়ম ধরা হচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে মিনিকেট আছে কি না তা খাদ্য মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয় বলবে। সরকার এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। আমার দেখার বিষয় উৎপাদনের পরে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে কেউ অতি মুনাফা করছে কি না। যদি ধরা পড়ে তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারও গত ১৩ সেপ্টেম্বর বলেছেন, ‘দেশে মিনিকেট বলে কোনো চাল নেই। তবু ব্যবসায়ীরা মিনিকেট নামে চাল বাজারজাত করছেন। যারা মিনিকেটের নামে চাল বাজারজাত করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইন করা হচ্ছে।

তীর মিনিকেট সর্বোচ্চ ৭৫ টাকা কেজি

গত সেপ্টেম্বরে বেশি দাম রাখায় মামলা হয়েছে। তখন মিনিকেট চাল ৭০ টাকা কেজি বিক্রি করা হত। কিন্তু মামলার নিস্পত্তি না হলেও রাজধানীর কৃষিমার্কেট, কারওয়ান বাজারসহ অলিগলিতে বেশি দামে সিটি গ্রুপের তীর ব্রান্ডের চাল বিক্রি করতে দেখা গেছে। সরেজমিনে গেলে কৃষিমার্কেটের সাপলা রাইস এজেন্সির শিপন, চৌধুরী রাইস এজেন্সির গোলাম রসুলসহ অন্যন্য চাল ব্যবসায়ীরা ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, কর্পোরেটের দখলে চলে গেছে চালের বাজার। তাইতো রশিদ, মোজ্জামেলের চেয়ে কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বেশি দামে তীরের মিনিকেট সর্বোচ্চ বেশি দামে বিক্রি করছে। তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। মোহাম্মদপুরের ফিউচার টাউন হাউজিং আল আমিন এন্টারপ্রাইজের আনোয়ার বলেন, আগে অন্য মিনিকেট চাল বিক্রি করা হলেও তীরের মিনিকেট চাল সবচেয়ে বেশি ৭৫ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকারের দেখা উচিত।

মামলার শুনানির পর তদন্ত শুরু

ধানের ভরা মৌসুমেও চালের দাম কমছে না। আটা, সয়াবিন তেল, ডিম,মুরগিও বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ, ডলারের অজুহাতে ইউনিলিভারসহ বিভিন্ন কোম্পানি সাবান, পাউডার বেশি দামে বিক্রি করছে।

এ নিয়ে দেশে হই-চই পড়লে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যন্ত প্রশ্ন করেন এতো দাম বাড়ছে কেন? তারপর থেকেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নড়েচড়ে বসে। বাধ্য হয়ে ভোক্তা অধিদপ্তর সারাদেশে বাজারে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় তারা দেখতে পায় বিভিন্ন নামীদামি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য বেশি দামে বিক্রি করছে। এর কারণ জানতে চাল, তেল, আটাসহ বিভিন্ন খাতের উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজনও করে ভোক্তা অধিদপ্তর। সেখানে দাম বেশি নেওয়ার কারণ স্পষ্টভাবে জানতে চাওয়া হয়। অনেকে সঠিক উত্তর দিতে পারেনি। বাধ্য হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের কাছে সুপারিশ করা হয়। সুপারিশ আমলে নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন সিটিগ্রুপসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৪৪টি মামলা করে।

প্রতিযোগিতা কমিশন বলছে, সরকারের লাইসেন্স নিয়ে যে কেউ বৈধপথে ব্যবসা করতে পারবে। নিয়ম মেনেই তা করতে হবে। কিন্তু সম্প্রতি দেখা গেছে, বোরো ধানের ভরা মৌসুমেও কমেনি চালের দাম। বরং সিটি গ্রুপসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ইচ্ছামতো মিনিকেট নামে বেশি দামে চাল, সয়াবিন তেল ও আটা বিক্রি করছে। বাধ্য হয়ে সিটি গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে বেশি দামে চাল বিক্রি করার অপরাধে গত ২৬ সেপ্টেম্বর (২৪/২০২২) ও আট-ময়দা বেশি দামে বিক্রির অভিযোগে (৩৮/২০২২ নং) মামলা করে।

শুনানীতে কমিশন থেকে বলা হয়, মিনিকেট নামে কোনো ধান নেই। বিআর-২৮, জিরাসাইল, নাজিরসাইল থেকেই পলিশ (চিকন) করে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে ভোক্তারা শুধু বিভ্রান্তি নয়, প্রতারিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের মামলার শুনানির আদালত তাদের কাছে জানতে হয়েছে কেন বেশি দামে চাল, সয়াবিন তেল আটা বিক্রি করা হচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠান প্রথম শুনানিতে বেশি দামে পণ্য বিক্রির জবাব দিতে না পারায় দ্বিতীয় বার শুনানি হয়েছে। এ সব ব্যাপারে তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে, তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনের আওতায় দোষী সাব্যস্ত হলে জরিমানা করা হবে। ১৫ ও ১৬ ধারায় অর্থাৎ ক্রয় ও বিক্রয় মূল্য অস্বাভাবিকভাবে নির্ধারণ ও কর্তৃত্বময় অবস্থানের অপব্যবহারে অভিযোগে এ সব মামলা হয়েছে।

মামলার পরও বেশি দামে আটা বিক্রি, চিনি ছাড়া বাজার

সিটিসহ বিভিন্ন কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করার সময় ২ কেজি আটা ১৩৫ টাকা বিক্রি করা হতো। সরকার চিনির দাম ৯৫ থেকে ১০৭ টাকা কেজি ঘোষণা করেছে গত ১৭ নভেম্বর। তারপরও সহজে মিলছে না আটা ও চিনি। এ ব্যাপারে কারওয়ান বাজারের লক্ষীপুর স্টোর, ইউসুফ জেনারেল স্টোর, আব্দুর রব স্টোরসহ অনেক খুচরা ব্যবসায়ীরা অভিযোগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, চিনি ৯৫ থেকে ১০৭ টাকা কেজি করেছে মিল থেকে। তারপরও চাহিদা মতো পাওয়া যাচ্ছে না। এই মার্কেটের তৃতীয় তলায় সিটি গ্রুপের ডিলারের লোক শুধু দিব দিচ্ছি বলেও চিনি দিচ্ছে না। তাই আমরা বিক্রি করতে পারছি না।

খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, সরকার দাম বেধে দেওয়ার পর থেকেই তারা চিনি পাচ্ছেন না। মাঝে মধ্যে পাওয়া গেলেও দাম বেশি চায়। তাই জরিমানা খাওয়ার ভয়ে কিনি না। তাদের অভিযোগ মিল থেকে কি কোনো চিনি উৎপাদন হয় না। তাহলে সেগুলো যাচ্ছে কোথায়?

এদিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষিমার্কেটেও একই দশা। বিক্রমপুর এন্টারপ্রাইজ, সিটি এন্টারপ্রাইজসহ বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, চিনি নেই। বেশি দাম না দিলে পাওয়া যায় না। আবার বেশি দামে কিনে জরিমানা খেতে হচ্ছে। তাই চিনি রাখি না। নেই কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, কিছু জানতে হলে সিটিগ্রুপের ডিলার খালেক এন্টারপ্রাইজে যান। তাদের কথা মোতাবেক খালেক এন্টারপ্রাইজে গেলে দেখা যায়, সারি সারি তীর মিনিকেট চালে বস্তা। চিনির ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির মালিক খালেক জানান, চিনি নেই। চাইলেও পাওয়া যায় না। মিল থেকে শুধু দিব দিব বলে দিচ্ছে না। তাই আমরাও বিক্রি করতে পারছি না।

একই মার্কেটের সিটি এন্টারপ্রাইজের আবু তাহের বলেন, ‘চিনি না থাকায় ব্যবসার লোকসান হচ্ছে । কোম্পানির সিন্টিকেটের কারণে ভোক্তারা চিনি পাচ্ছেন না। দুই তিন মাস আগে সিটি গ্রুপের ২ কেজি আটা ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা ছিল। কিন্তু সিটির গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর সেই আটা ১৫০ করেছে। বর্তমানে কমিয়ে সেই আটা ১৩৫ টাকা ঘোষণা দিলেও তা পাওয়া যাচ্ছে না।

সিটি গ্রুপের বক্তব্য

এ সব বিষয়ে জানতে চাইলে রবিবার (৮ জানুয়ারি) সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘মামলা হয়েছে। এগুলোর ব্যাপারে এখনো কিছু হয়নি। প্রতিযোগিতা কমিশন শুধু কাগজপত্র চেয়েছে।

অন্য কোম্পানির চেয়ে বেশি দামে মিনিকেট চাল বিক্রি করা হচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কস্টিং (খরচ) বেশির কারণে দাম বেশি হবে, এটাই স্বভাবিক।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া