সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় ‘ভয়ংকর’ কিশোর গ্যাং

রাজধানীতে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা থামছেই না। বরং কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য সংখ্যা বাড়ছে। এরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বড় বড় অপরাধ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য মতে, রাজধানীতে বেপরোয়া হয়ে উঠা কিশোর গ্যাংয়ের সংখ্যা তিন হাজারেরও বেশি। তারা নানা অপরাধে যুক্ত হয়ে পড়ছে।

গোয়েন্দারা বলছেন, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা যেভাবে বেপরোয়া হয়ে উঠছে তাতে রাজধানীর পাড়া-মহল্লায় সচেতন মহলসহ সবাই তৎপর না হলে এই গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। এদের অপরাধের বিস্তার এতোটায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে যে, আগামীতে কিশোর গ্যাংই হবে নগরবাসীর দুশ্চিন্তার বড় কারণ।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুত্র বলছে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে গড়ে উঠছে এ সব কিশোর গ্যাং। তারা বিভিন্ন অপরাধ সংগঠনের পাশাপাশি নিজেদের একটা জগত তৈরি করেছে ।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র বলছে, পাড়া-মহল্লায় তৈরি হওয়া কিশোর গ্যাং নিজেদের তৈরি করা সাংকেতিক ভাষায় নিজেদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করে। বিগবস, নাইন এমএম, নাইন স্টার, ডিসকো বয়েজ ইত্যাদি নামে পরিচিত ‘কিশোর গ্যাং’ আধিপত্য বিস্তার, ছিনতাই, চুরি, পাড়া বা মহল্লার রাস্তায় মোটরসাইকেলের ভয়ংকর মহড়া, মাদক এবং ইয়াবা সেবন ও বিক্রি, চাঁদাবাজি, মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা এমনকি বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়ছে।

পুলিশের তালিকা অনুযায়ী রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি কিশোর গ্যাং রয়েছে মিরপুর এলাকায়। এ ছাড়া তেজগাঁও, উত্তরা, গুলশান, ওয়ারী, সায়দাবাদ, মতিঝিলে, রমনায়, লালবাগ, গাবতলী, মহাখালী, বাড্ডা, রামপুরা, আজিমপুর, হাতিরঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় তারা মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে।

এদের পাশাপাশি পৃষ্ঠপোষক বা রাজনৈতিক গডফাদারদের নামও তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সেগুলো রাজনৈতিক ভাবে দেখা হচ্ছে। পুলিশের তালিকায় কিশোর গ্যাংয়ের রাজনৈতিক শেলটারদাতা বা পৃষ্ঠপোষক হিসেবে অর্ধশত ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। কেউ কেউ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে সুবিধার জন্য সরকারি দলের সাইনবোর্ড এবং পদ-পদবিও নিয়েছেন।

গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, গত কয়েক বছরে ঢাকায় কিশোর অপরাধীদের কারণে খুন, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, অপহরণের অনেক ঘটনা ঘটেছে। একটি ঘটনার পর পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান শুরু হলে কিছু দিন ভাটা পড়ে, পরে আবারও সক্রিয় হয়ে ওঠে কিশোর গ্যাং।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রাপ্তবয়স্ক অপরাধীরা কিশোরদের ব্যবহার করে অপরাধ করায়। তারা মারামারি, জমি দখল, প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে দল বড় করা, হিরোইজম দেখানো, ভয়ভীতি এবং এদের কেউ কেউ আবার মাদকের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেও এই কিশোর গ্যাংয়ের জন্ম দিয়েছে। তা ছাড়া টিকটক ও নাটক-সিনেমার আড়ালে অপরাধ করার জন্যও এই গ্যাং তৈরি হয়।

গোয়েন্দা তথ্য মতে, দিনে দিনে বাংলাদেশে কিশোর অপরাধ বেড়েই চলেছে। ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকাসহ সারাদেশে বিস্তার ঘটেছে কিশোর অপরাধের। তাদের দাবি, আজ থেকে কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশের চিত্র এমন ছিল না। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষালাভ থেকে সরে এসে কিশোররা নানা অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে।

কিশোর গ্যাং এর বিভিন্ন অপরাধ বিশ্লেষণের পর গোয়েন্দারা বলছেন, অনেক সময় অভিভাবকরা তাদের সন্তানের খোঁজ নেয় না। তারা কোথায় যাচ্ছে, কী করছে তার খোঁজও নিচ্ছেন না। যার কারণে এমন অপরাধ দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে।

পুলিশি তথ্য মতে, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। আবার কিশোর অপরাধ আইন ও ধারা অনুযায়ী বড় অন্যায় করেও পার পেয়ে যাচ্ছে অনেকেই। ছাড়া পেয়ে আবার যুক্ত হচ্ছে নতুন অপরাধে। আর ওই কিশোরের অপরাধের দায় ভোগ করতে হচ্ছে পরিবারকে।

অনেক সময় সংবাদমাধ্যমে যাদের কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয় পরবর্তীতে দেখা যায়, তারা কেউ মাদক চোরাচালান, কেউ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার ও বহনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। মূলত অল্প বয়সে তারা ধ্বংস হচ্ছে। পুলিশের দাবি, অবিলম্বে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ ও অভিভাবকদের এই বিষয়ে সতচেতন হতে হবে। অন্যথায় এর দায়ভার সমাজের সবাইকে বহন করতে হবে।

অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক বলেন, কিশোর গ্যাং ভয়াবহভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। এই গ্যাং বৃদ্ধির পেছনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পাতি নেতা থেকে শুরু করে স্থানীয় কাউন্সিলরসহ অনেক নেতা-কর্মীরা জড়িত। কিশোররা না বুঝে অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। কিশোর অপরাধ দমন করতে হলে আইনি, সামাজিক ও পারিবারিকভাবে বিভিন্ন স্তরের মানুষকে সচেতন হতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন খন্দকার ফারজানা রহমান বলেন, 'কিশোর অপরাধ অনেক আগে থেকেই চলে আসছে। তবে কিশোর গ্যাংয়ের বিষয়টি আলোচনায় আসে ২০১৭ সালের শুরুতে। স্কুল ছাত্র আদনান কবীর হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে। কিশোর গ্যাং বিস্তারের অন্যতম কারণ হলো সামাজিকভাবে তাদের প্রতিহত করার জায়গাটি অনেক দুর্বল। সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলো দ্বায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে পারছে না। এজন্য এর প্রভাব বেড়েই চলেছে।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, মসজিদ কমিটি থেকে স্কুল কমিটি, রাজনীতি, পরিবার সব জায়গায় দ্বন্দ্ব, মারামারি, কলহ। আমাদের শিশু-কিশোররা এ সব সংস্কৃতির মধ্যে বড় হচ্ছে। তাই তারাও নানাভাবে অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। কিশোর অপরাধ কমাতে যারা দ্বায়িত্বপূর্ণ জায়গায় আছে তাদের আগে ঠিক করতে হবে।

মহানগর পুলিশ জানায়, কিশোর অপরাধ দমনে সচেতন নাগরিকদের এ সম্পর্কিত তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে। সঠিক তথ্য পেলে হয়ত কিশোর অপরাধ কমে আসবে।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, কিশোর অপরাধ ঠেকাতে কঠোর হচ্ছে সরকারের বিভিন্ন বাহিনী। ইতোমধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সব থানায় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। থানা পুলিশের পাশাপাশি এ বিষয়ে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশও কাজ করবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, লেখাপড়া ছেড়ে দেওয়া বিশেষ করে উঠতি বয়সি ছেলেরা নানাবিধ অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে। তাদের পুলিশের পক্ষ থেকে কাউন্সেলিং করা হচ্ছে। এই ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে শুধু মেট্রাপলিটন পুলিশ নয় সারা দেশের পুলিশ কাজ করছে। তিনি বলেন, কিশোর গ্যাং হলো আমাদের সামজের একটি মারাত্মক ব্যাধি। ছোটখাটো ছিনতাই থেকে শুরু করে মাদক সেবন, মেয়েদের ইভটিজিং করা এমনকি নিজেদের মহল্লায় জুনিয়র-সিনিয়র সংঘাতের কারণে খুনের ঘটনাও ঘটছে। সব কিছু বিবেচনায় নিয়ে আমরা কাজ করছি।

র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, 'কিশোর অপরাধ বাড়ার পেছনে সব স্টেকহোল্ডারদের ভূমিকা আছে। মূলত সমাজের বিভিন্ন ছোটো ছোটো অপরাধ করতে করতেই কিশোররা বড় ধরনের অপরাধ করে থাকে। নৈতিক শিক্ষার অভাবে কিশোর অপরাধ বাড়ছে। তা ছাড়া পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সঠিকভাবে ভূমিকা রাখতে পারছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও কিছু ঘাটতি আছে।

তিনি বলেন, সমাজে যারা আধিপত্য বিস্তার করতে চায় তারা কিশোরদের নানাভাবে মদদ দেয় এবং তাদের দিয়ে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অন্যায় কাজ করায়।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad
Header Ad

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট গণঅভুত্থানে গণহত্যার মামলায় আগামী মাসের শুরুতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে-আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আলজাজিরার বৈশ্বিক নেতাদের সাক্ষাৎকারমূলক অনুষ্ঠান ‘টক টু আল–জাজিরা’য় এ কথা বলেন তিনি।
আগামী ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে ফের জানিয়েছেন তিনি

এ সময় তিনি আরও বলেন, শুধু মানবিক সহায়তা নয়, নিরাপদ প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান।

বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন উপহার দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচনের আগে সংস্কারের তালিকা ছোট হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং তালিকা বড় হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা এখনও তুঙ্গে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান।

আলজাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।

আলজাজিরার উপস্থাপক ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করেন, এটা কি বলা ঠিক যে, শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অনেকে রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে।

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক, বাংলাদেশের মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সরাসরি চলে যেতে এখনও বলছে না। বরং একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সরকারই নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে। জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা এখনও বলছে না।

লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারবে?

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। তারা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া যাতে তৈরি হয়।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হবে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন,
এ প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে–তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কিনা। তারা এখনও কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ নানা বিষয় সামনে আসতে পারে।

তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তা নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে, যারা বলতে পারে যে, এ আইনের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের প্রসঙ্গ ওঠে। ড. ইউনূস জানান,
তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। জবাবে মোদি বলেছিলেন, এটা তার জন্য সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে, সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, একসঙ্গে কাজ করার নীতি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা একসঙ্গেই পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিতে চাই।

Header Ad
Header Ad

ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর পাশাপাশি কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা। এছাড়া আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ।

সারাদেশের সকাল ৬ টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপামাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

আরও বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুরের ডিমলাতে সর্বোচ্চ ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার অংশ হিসেবে আলোচনা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আলী রীয়াজ বলেন, চর্চা, ঐক্যে এবং সম্মিলিতভাবে জাতীয় সনদ তৈরি করতে সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। যাতে করে ক্ষমতার বিন্যাসে পরিবর্তন ঘটে। বাংলাদেশ যাতে সমস্ত সম্ভাবনা নিয়ে জাগ্রত হতে পারে। গত ৫৩ বছর মানুষ যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করছে, সেই আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করা যায়, পথ উন্মুক্ত করা যায়, যেন সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি। তারাই অংশ হিসেবে এ আলোচনা।

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন, মতামত ও সুপারিশই যথেষ্ট নয়। সব রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর জনমানুষের ঐক্যের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে নতুন বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর করতে পারব। কাজে কি লিখছি তা নয়, চর্চার মধ্য দিয়ে, অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে, প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে আমাদের এ কাজে অগ্রসর হতে হবে। আমরা সেই প্রচেষ্টায় আছি।

ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তরুণদের নেতৃত্বে প্রাণ দিয়ে যে সম্ভাবনা তৈরি করেছে, সবাই মিলে সে সম্ভাবনাকে বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হতে হবে। সেই পথ ও প্রচেষ্টায় সবাই একত্রিত আছি, থাকব। একত্রিত থাকার তাগিদ জারি রাখব।

রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি দলের কাছে মতামত চেয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর মধ্যে ৩৫টি দল মতামত জমা দিয়েছে বলে জানান আলী রীয়াজ। রোববার পর্যন্ত কমিশন ১৯টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে। ২০তম দল হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে কমিশন সংলাপ করছে বলে জানান আলী রীয়াজ।

২০১৮ সালে বর্তমান গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কোটা সংস্কার আন্দোলনের কথা তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, তাদের অকুতোভয় সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের নতুন পর্যায় সূচনা হয়েছিল। যার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী পর্যায়ে একটি অভূতপূর্ব ও অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু