বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জ্বালানিতে ভর্তুকি কমাতে সরকারের যত উদ্যোগ, নানা আশঙ্কা

তেলসহ সব ধরনের জ্বালানির উপর থেকে ভর্তুকি তুলে নিতে নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। তিন মাস পর পর দাম সমন্বয়, আমদানি ও বিপণনে বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করা এবং নিজস্ব গ্যাসের সর্বোচ্চ উৎপাদন বাড়ানোর মতো পদক্ষেপের কথা চিন্তা করছে সরকার।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ইচ্ছামতো দাম বাড়াতে চাইবে অধিক মুনাফার জন্য। সরকারি নিয়ন্ত্রণ সেই মাত্রায় নাম থাকলে সাধারণ মানুষ অসুবিধায় পড়বে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ে মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত এক বৈঠকেও অন্যান্য এজেন্ডার পাশাপাশি জ্বালানিতে ভর্তুকির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে অভিমত দেওয়া হয় যে, জ্বালানিতে বিশাল ভর্তুকি পরিমাপ করতে আগামী তিন মাসের মধ্যে বিশ্ব বাজারের সঙ্গে দাম সমন্বয় করা উচিত।

বৈঠকে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জ্বালানি তেলের দাম এখন থেকে প্রতি তিন মাস পর পর বাড়বে বা কমবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে জ্বালানি তেলে ভর্তুকির বোঝা কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জ্বালানি তেল আমদানি করতে পারবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান

বর্তমানে জ্বালানি তেল আমদানি করে রাষ্ট্রায়াত্ব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। কিন্তু সম্প্রতি সরকার পরিকল্পনা করছে আমদানিতে বেসরকারি খাতকে অন্তর্ভূক্ত করার। এটি বাস্তবে রূপ নিলে জ্বালানি তেল আমদানি করে ভোক্তার কাছে বিক্রি করতে পারবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও।

বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দর বৃদ্ধি আর বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের কারণে বহুদিন ধরেই জ্বালানি তেলের আমদানি ও বিক্রিতে বেসরকারি খাতকে যুক্ত করার বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে আসছেন অর্থনীতিবিদরা। আইএমএফের ঋণ পেতে যেসব শর্ত দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম জ্বালানি তেলের উপর ভর্তুকি কমিয়ে আনা। জ্বালানির মূল্য-নির্ধারণ পদ্ধতি বাজারের উপর ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ।

এ প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলছেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম খোলাবাজারের উপর ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিশ্ববাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এ দাম সমন্বয় হবে। যেমনটা আমরা এখন এলপিজির দাম প্রতি মাসে সমন্বয় করি।

বেসরকারি খাতকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারা নিয়ে সংশয়

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখন বিপিসি আমদানি করছে। তারা ভর্তুকি দিচ্ছে। লাভ করছে না বেশিরভাগ সময়েই। কিন্তু বেসরকারি খাতে দিয়ে দিলে তারা তো আর মানুষের সুবিধা-অসুবিধা দেখবে না। তারা চাইবে মুনাফা করতে।

এখন সরকার এ সব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উপর কতটুকু নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে পারবে সেটা দেখার বিষয়।এই নিয়ন্ত্রণ আলগা হয়ে গেলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নানাভাবে দাম বাড়াতে চাইবে। ফলে সাধারণ মানুষ অসুবিধায় পড়বে।

বর্তমানে লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপি গ্যাসের দাম সরকারিভাবে বেঁধে দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক বাজারের দর, আমদানি ও পরিবহন খরচ, মুনাফা ইত্যাদি বিবেচনায় রেখে প্রতিমাসে একবার এলপি গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে দেয় নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

জ্বালানি তেল আমদানি ও বিক্রিতে বেসরকারি খাত যুক্ত করা হলেও দাম নির্ধারণে এ ধরনের পদ্ধতি অনুসরণ করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলছেন, প্রাইভেট সেক্টরে গেলেও দামটা যেন তাদের ইচ্ছামতো নির্ধারণ করা না হয়, সেখানে যেন নিয়মনীতি ও নজরদারি থাকে।

গ্যাসের সর্বোচ্চ উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, নরওয়ে এবং অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় বাংলাদেশ তার মজুদ খুঁজে বের করতে এবং ট্যাপ করার ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। শুধু তাই নয় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের তুলনায়ও বাংলাদেশ অনুসন্ধান কূপ খনন করেছে কম। ত্রিপুরার মতো ছোট্ট একটি রাজ্য যেখানে ১৫০টি অনুসন্ধান কূপ খনন করেছে সেখানে বাংলাদেশ এ পর্যন্ত প্রায় ১০০টি অনুসন্ধান কূপ খনন করেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে কম অনুসন্ধানকারী দেশের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের মাত্র এক তৃতীয়াংশ গ্যাস অনুসন্ধান করা হয়েছে। গ্যাস আবিষ্কারের সাফল্য যদিও এখানে বৈশ্বিক গড় থেকে অনেক বেশি, তারপরও এখানে অনুসন্ধান কমই হয়েছে।

এ ছাড়া, গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য বাংলাদেশের বিশাল সমুদ্রসীমা রয়েছে যেটা ২৬টি ব্লকে বিভক্ত। এর মধ্যে ২৩টিই এখনো উন্মুক্ত। মাত্র তিনটি ব্লকে ভারত ও সিঙ্গাপুরের তেল কোম্পানি অনুসন্ধান চালাচ্ছে।

অথচ ২০১২ সালে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্র বিরোধ মিটে যাওয়ার পর দুটি দেশই তাদের সমুদ্রসীমা দ্রুত অনুসন্ধান চালিয়ে গ্যাস আবিষ্কারও করেছে। মিয়ানমার তার আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন ইতোমধ্যে শুরু করেছে। ভারত ২০২৩ সাল থেকে উত্তোলন শুরু করবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমান সংকটকে রাশিয়াা-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলাফল হিসেবে দাবি করা হলেও তা আংশিক সত্য। মাটির নিচ থেকে গ্যাস উত্তোলনে কাজ না করা এই সংকটের অন্যতম কারণ।

পরিস্থিতি জটিল হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে অবশেষে সরকার নিজস্ব অনুসন্ধানে মনোযোগ বাড়িয়েছে। সম্প্রতি ৪৬টি কূপ খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগ বলছে, এখান থেকে জাতীয় গ্রিডে ভালো পরিমাণে গ্যাস যুক্ত করা সম্ভব হবে।

সম্প্রতি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এক বিবৃতিতে জানান, নিজস্ব জ্বালানির অনুসন্ধান, উৎপাদন বৃদ্ধি ও কূপগুলোর আরও গভীরে খনন করার জন্য গ্যাসের অনুসন্ধান কাজ চালাচ্ছে সরকার। আগামী তিন বছরের জন্য একটা আপগ্রেডেশন, ওয়ার্কওভারের স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ৪৬টি কূপ থেকে দৈনিক ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

আরইউ/আরএ/

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া