আনুষ্ঠানিক প্রার্থিতা নেই, তবু পদে আসতে দৌড়ঝাঁপ!
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মনোযোগ এখন জাতীয় সম্মেলনকে ঘিরেই। চলতি মাসের ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন।
এই কর্মযজ্ঞ সফল করতে রাত-দিন পরিশ্রম করছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। ইতিমধ্যে কাউন্সিলকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের নেতারা কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। সারা দেশে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্বকে সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে।
জেলা পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দল ছিল। সেই কোন্দল নিরসনে দফায় দফায় বৈঠক করছেন দায়িত্বশীল আওয়ামী লীগ নেতারা। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করারও নির্দেশও দেওয়া হচ্ছে। যদিও আওয়ামী লীগ টানা ক্ষমতায় থাকার পরও প্রতিবারই নেতৃত্ব নির্বাচন হয়ে আসছে সমঝোতার ভিত্তিতে: গোপন ভোটে নয়।
সম্মেলনের আগে কোনো পদে কেউ আনুষ্ঠানিক প্রার্থিতা ঘোষণা দেননি, প্রচারেও নামেননি কেউ। অথচ ভেতরে ভেতরে কাঙ্ক্ষিত পদ পেতে দৌড়ঝাঁপ করেছেন নেতারা।
দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের একাধিক নেতারা ঢাকাপ্রকাশ-কে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন নিয়ে দেশের সব মানুষের আগ্রহ থাকে। এই সম্মেলন শুধু একটি রাজনৈতিক দলের সম্মেলন নয়, এই সম্মেলনের মাধ্যমে দেশবাসীকে স্বপ্নও দেখায় আওয়ামী লীগ। এবারও সেই স্বপ্নের কথা থাকবে ঘোষণাপত্রে। স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে আওয়ামী লীগের করণীয় এবং অর্থনীতির চাকা সচল রাখার অঙ্গীকার থাকবে ঘোষণাপত্রে। সেভাবেই কাজ চলছে।
সংশ্লিষ্ট নেতারা জানান, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় তুলে ধরা হবে। সে কারণে দলের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের স্লোগান ‘উন্নয়ন অভিযাত্রায় দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়’ ঠিক করা হয়েছে। স্লোগান টিক করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পদ্মা সেতুর ওপরে নৌকার আদলে তৈরি ৮০ ফুট বনাম ৪৪ ফুট মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। মূল মঞ্চের উচ্চতা হবে ৭ ফুট। সাংস্কৃতিক পর্বের জন্য তৈরি হচ্ছে আলাদা মঞ্চ। মূলমঞ্চে চার লেয়ারে চেয়ার সাজানো হবে। প্রথমে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বসবেন। দ্বিতীয়টিতে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সিনিয়র নেতারা, বাকি দুটোতে কেন্দ্রীয় নেতারা। মোট ১২০টি চেয়ার রাখা হবে।
২০১৯ সালে সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০ ও ২১ ডিসেম্বর। সর্বশেষ সম্মেলনের বাজেট ছিল ৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এবারের সম্মেলনের জন্য বাজেট ৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা অনুমোদন করেছে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি। এবার আলোকসজ্জা খুব একটা থাকছে না। আগের মতো বিশাল তোরণও হবে না। সাদামাটা কিছু তোরণ হতে পারে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের যে মঞ্চটিতে সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সম্মেলন হয়েছে, সেখানেই আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে। ২৪ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভার কাজ শুরু হবে। সভাপতির ভাষণের মধ্য দিয়ে অধিবেশন শেষ হবে। পরে দ্বিতীয় অধিবেশনে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে নেতা নির্বাচন করা হবে। এ লক্ষ্যে তিন সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন পরিচালনা কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
সাদামাটা আয়োজন
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক গোছানোর প্রথম পর্ব হবে কাউন্সিল অধিবেশনের মাধ্যমে দলকে সুশৃঙ্খল করা। আর দ্বিতীয় ধাপ হবে নির্বাচনের প্রস্তুতি করা। তবে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেছেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং সংগঠন গোছানোর দুটি একই সূত্রে গাঁথা। একটি আরেকটির পরিপূরক। আওয়ামী লীগ মনে করে যে, শক্তিশালী সংগঠন থাকলে বিরোধী দল আন্দোলন করুক বা নির্বাচন আসুক, দুটিই মোকাবিলা করা সম্ভব। কিন্তু সংগঠন যদি দুর্বল হয় তাহলে সব ক্ষেত্রেই সমস্যা হতে পারে। এ কারণেই আওয়ামী লীগ এখন কাউন্সিলের দিকেই বেশি মনোযোগী। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কারণে কিছুটা কৃচ্ছ্র সাধনের লক্ষ্যে সম্মেলনে সাদামাটা আয়োজন থাকছে এবার। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণ এলিডি মনিটর থাকবে, যেখানে সম্মেলনের কার্যক্রম দেখা যাবে।
এই বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এবারের সম্মেলন সাদামাটা হলেও নেতা-কর্মী কমবে না। সম্মেলনে নেতা-কর্মীদের ঢল নামবে। দেশের মানুষ কষ্টে আছে ভেবেই এবার সম্মেলনে সাজসজ্জা করা হয়নি। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে নিয়ে ভাবেন। দেশের মানুষের কথা ভেবেই এবারের সম্মেলনে সাদামাটা করা হচ্ছে।
সোহরাওয়ার্দীর আয়োজনে যারা থাকছেন
২৪ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে সারাদেশ থেকে কাউন্সিলর ও প্রতিনিধি হিসেবে প্রায় ১৫ হাজার নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। এর বাইরে রাজনীতিক, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, পেশাজীবী এবং বিদেশি কূটনীতিকদের বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হবে। সব মিলিয়ে ৫০ হাজার মানুষের দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে ১২টি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রথা অনুযায়ী সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির চেয়ারম্যান দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও সদস্য সচিব সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। রীতি অনুযায়ী সম্মেলনস্থলে দলীয় সভানেত্রী আসার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। এবারও তাই হবে। কিন্তু জেলা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের জন্য পৃথক পৃথক চেয়ারে নাম লেখা থাকবে যাতে তারা পতাকা উত্তোলন শেষে এসে নিজের নির্ধারিত চেয়ারে বসতে পারেন।
সম্মেলনে দাওয়াত পাচ্ছেন না বিদেশিরা
আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল ঢাকাপ্রকাশ কে বলেন, এবার বিদেশি কোনো অতিথিকেও আমন্ত্রণ জানাবে না আওয়ামী লীগ। তবে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি কূটনীতিকদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। এছাড়া বরাবরের মতো বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলের নেতারা আমন্ত্রণ পাবেন। ইতোমধ্যে দাওয়াতপত্র বিতরণ শুরু হয়েছে। আগামী ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে তা শেষ হয়ে যাবে।
নির্বাচন কমিটি গঠন
আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলের জন্য তিন সদস্যের নির্বাচন কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভায় এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা হলেন, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ও মশিউর রহমান।
দলীয় কার্যালয় নেতা-কর্মীদের পদচারণ
আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক জাতীয় সম্মেলন ঘিরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের চেয়ে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার ধানমন্ডির কার্যালয় নেতা-কর্মীদের পদচারণে এখন মুখরিত হয়ে উঠেছে। পদ-পদবি টিকিয়ে রাখতে এবং নতুন করে পদ-পদবি প্রত্যাশীদের পদচারণে প্রতিদিন সরগরম হয়ে উৎসবের আমেজ তৈরি হচ্ছে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর এ রাজনৈতিক কার্যালয়টি। দিনে আনাগোনা কিছুটা কম থাকলেও বিকাল থেকে ভিড় শুরু হয়। সন্ধ্যা হতেই আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয় নেতা-কর্মীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা-কর্মীরা আসার পরই জমে ওঠে কার্যালয়। নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে কেউ কেউ কার্যালয়ের সামনের সড়কে শোডাউনও দিচ্ছেন।
বিবেচনায় নির্বাচন
২০২৩ সালের শেষে কিংবা ২০২৪–এর শুরুতে জাতীয় নির্বাচন। সম্মেলন হলে নতুন কমিটি নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে আওয়ামী লীগ। ফলে আগামী নির্বাচনটা কেমন হবে? দলের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে কাকে বসানো হবে? এসব নিয়ে দলের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এবারের সম্মেলন খুব গুরুত্বপূর্ণ। সম্মেলন থেকেই নির্বাচনের হাওয়া শুরু হবে এমনটাই মনে করছেন দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সূত্র জানায়, সভাপতি পদে শেখ হাসিনাই থাকছেন, এটা নিশ্চিত। এর বাইরে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কেউ কেউ দলের নেতৃত্বে আসতে পারেন এমন আলোচনায়ও আছে। যদিও অতীতের সম্মেলনগুলোতেও একই আলোচনা ছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেউ আসেননি।
কিন্তু আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতীয় রাজনীতি ঘটনাবহুল হতে পারে বিবেচনায় রেখেই দলের সাধারণ সম্পাদক ও গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে নির্বাচনকালীন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মতো নেতারা বিবেচনায় থাকবেন বলে সংশ্লিষ্ট নেতারা মনে করছেন।
সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির একজন প্রভাবশালী প্রেসিডিয়াম সদস্য ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব মনে করছেন, আগামী নির্বাচনকে ঘিরে সংগঠনকে শক্তিশালী করা অত্যন্ত জরুরি। সেক্ষেত্রে বড় পদের নেতৃত্বে পরিবর্তন ও অপরিবর্তনের সম্ভাবনা উভয়ই থাকছে। দলে দায়িত্ব পেতে নেতৃত্বের অভাব নেই; আছে প্রতিযোগিতা। সভানেত্রী হিসেবে এবারও থাকবেন শেখ হাসিনা। তাই হয়তো শেষ পর্যন্ত দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরেই আস্থা রাখছেন শেখ হাসিনা। ওবায়দুল কাদের দলের জন্য সরকার ও বিরোধীদলে উভয় ক্ষেত্রেই পরীক্ষিত নেতা। তিনিই যদি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে থেকে যান সেটাও আওয়ামী লীগের জন্য নতুন চমক হবে। প্রতিযোগিতার যুগে নেতৃত্ব ধরে রাখাটাও এক ধরনের বীরত্ব ও বিরল নেতৃত্বের অধিকারীর সামিল।
তিনি বলেন, সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন কিংবা একই পদে বহাল রাখার একমাত্র এখতিয়ার শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাই নির্ধারণ করে থাকেন। তিনি (শেখ হাসিনা) দলের জন্য যাকে যোগ্য বিবেচনায় মনে করেন তাকেই সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এই বিষয়টি খুব একটা কারও কাছে শেয়ার করা হয় না, শেয়ার করার বিষয়ও না। এ ছাড়া, তিনি (শেখ হাসিনা) নিজের রানিংমেট হিসেবে যাকে যোগ্য বলে মনে করেন তিনিই সাধারণ সম্পাদক হবেন; হয়ে আসছেন। কারণ, দল ক্ষমতাসীন থাকলে যে কেউ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতে পারেন; এতে খুব একটা অসুবিধা হয় না। বিরোধী দলে থাকলে সেটা ভিন্ন কথা।
সাধারণ সম্পাদকের পদে আগ্রহী
২০০৯ সালে দলের সাধারণ সম্পাদক হন প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সৈয়দ আশরাফ দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালনের পর ওবায়দুল কাদের এই পদে আসেন ২০১৬ সালে। এখন তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের এবারও সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় ওবায়দুল কাদের, আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ, নূর ই আলম চৌধুরী প্রমুখ।
২২ ডিসেম্বর শেষ কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক
আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির শেষ বৈঠক ডাকা হয়েছে আগামী ২২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায়। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় দলের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের আগে হতে যাচ্ছে শেষ কার্যনির্বাহী কমিটির সভা। সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে দলের গঠনতন্ত্র সংশোধনীর খসড়া। অবহিত করা হবে কাউন্সিলের আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতির সর্বশেষ অবস্থা। অনুমোদন দেওয়া হবে সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষের প্রতিবেদন। দলের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকরা নিজ নিজ দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভাগের সাংগঠনিক প্রতিবেদন তুলে ধরবেন সভায়। এ ছাড়া, সভায় সম্মেলন উপলক্ষে গঠিত ১১টি সম্মেলন প্রস্তুতি উপ-কমিটির নেতারা তাদের প্রতিবেদন পেশ করবেন। নোট-এর বেশি তথ্য আমার জানা নাই।
এমএইচ/এমএমএ/