শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

১৮ রুটে মানবপাচার

দালালের খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত অনেকেই

অন্তত ১৮ রুট দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মানবপাচার হচ্ছে। পাচারের শিকার এসব বাংলাদেশিদের অনেকেই নানামুখী অত্যাচার ও নির্যাতনের কারণে দেশে ফিরছেন মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে। ইউরোপে যাওয়ার সুযোগ না পেলেও অনেককেই মাসের পর মাস বন্দি থাকতে হচ্ছে অপরাধীদের হাতে। সম্প্রতি পাচার হওয়া বেশ কয়েকজন দেশে ফিরে এলে তাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা।

গোয়েন্দারা বলছেন, মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত দালাল চক্রের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাফিয়ারা জড়িত রয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, জীবিকার তাগিদে ছুটে চলা মানুষদের সর্বশান্ত করছে পাচার চক্র। মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে নিরীহ মানুষদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। লোভনীয় চাকরি এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধার ফাঁদে পা দিয়ে অনেকেই সর্বস্বান্ত হয়েছেন। কেউ কেউ জীবনও হারিয়েছেন।

গোয়েন্দারা বলছেন, পুলিশ, র‌্যাব, সিআইডি ও ডিবি মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত যাদের ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, কয়েকটি ধাপে মানবপাচারের কাজ করেন তারা। এ সব অপরাধীরা প্রথমে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধভাবে বিদেশে যেতে ইচ্ছুকদের বাছাই করে। এরপর তাদের পাসপোর্ট, ভিসা, টিকিট কেনার কথা বলে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা নেয়। পরে প্রাথমিক কাজ শেষ করে মানবপাচার চক্রটি রুট চিহ্নিত করে।

অপরাধীরা মানবপাচারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে তুরস্কের ইস্তানবুল হয়ে লিবিয়া একটি রুট, বাংলাদেশ থেকে ভারত-শ্রীলঙ্কা হয়ে লিবিয়া এবং দুবাই-জর্ডান হয়ে লিবিয়া-এই ৩টি রুট ব্যবহার করে বেশি। যে রুটই ব্যবহার করা হোক না কেন, লিবিয়ার ত্রিপলিতে নেওয়ার পর সেখান থেকে ইউরোপের দিকে পাঠানো হয়।

সম্প্রতি জাল ভিসা তৈরি করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে মানব পাচারকারী এবং জাল ভিসা তৈরি চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর সিআইডি বলছে, গ্রেপ্তারকৃত আসামি মোহাম্মদ ফয়েজুল্লাহ কানাডাসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ভুয়া এবং জাল পাসর্পোট তৈরি করে সাধারণ মানুষদের উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে। সে অনেক মানুষের জীবন নষ্ট করেছে।

বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় ও দেশি- বিদেশি মুদ্রা পাচারকারী চক্রের মূল হোতা সাইফুর আকন ওরফে নাসিরকে গ্রেপ্তারের পর সিআইডি জানায়, এই প্রতারক ভিকটিমকে বিদেশে আটকে রেখে আত্মীয় স্বজনদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এভাবে মুক্তিপণ হিসেবে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে মোট ২৬ লাখ ৫১ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সাইফুর।

সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান বলেন, মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যরা আমাদের দেশের দালালদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কানাডাসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ভুয়া এবং জাল পাসর্পোট তৈরি করে সাধারণ মানুষদের উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে। চলতি মাসে দালালচক্রের বেশ কয়েকজন সদস্যকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত চক্রের বেশ কিছু সদস্যের সন্ধান পেয়েছি। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানবপাচারের সঙ্গে রাজধানীসহ ১৫ জেলার অন্তত ৮টি গ্রুপ জড়িত। মানবপাচার চক্রের এইচ আটটি গ্রুপের সন্ধানে মাঠে নেমেছে র্যাব, সিআইডি ও গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম। লিবিয়ায় কর্মী পাঠানো বন্ধ থাকায় পাচারকারী সিন্ডিকেট ভ্রমণ ভিসায় বিদেশগামীদের ভারত, নেপাল, দুবাই, মিসর ও জর্ডান ঘুরিয়ে বিভিন্ন দেশের মাধ্যমে বাংলাদেশিদের পাচার করছে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, মানবপাচারের মামলায় দেশের দালাল ও সহযোগীদের গ্রেপ্তার করলেও লিবিয়া, দুবাই ও ইতালিতে থাকা মূলহোতাদের গ্রেপ্তার করা যায়নি। আন্ত:দেশীয় তদন্ত না হওয়ায় লিবিয়ার ফার্ম হাউসে সক্রিয় পাচারকারী পর্যন্ত পৌঁছায়নি তদন্ত কার্যক্রম। অবশ্য সিআইডির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, আমাদের একটি গোয়েন্দা তথ্যে বেশ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে। তারা দেশের বাইরে রয়েছে।

সম্প্রতি দুবাইয়ে ১৯ মাস মানবেতর জীবনযাপন করে দেশে ফিরে আসেন মিজানুর রহমান ওরফে শাওন আহমেদ নামের এক ভুক্তভোগী। তার ভাই দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের মতো মানুষ স্বপ্নের দেশে পৌঁছাতে গিয়ে পড়ছেন বিভিন্ন সংকটে। মিথ্যা আশ্বাসে দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হতে হচ্ছে আমাদের। তিনি বলেন, বিদেশে গিয়ে উন্নত জীবনযাপন করবে এমন আশায় জমানো কিছু টাকার পাশাপাশি ঋণ করেও টাকা যোগাড় করি। কিন্তু এর বদলে কোনো ভাবে জীবন নিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে তার ভাই দেশে ফিরে এসেছে।

শাওনের পরিবার জানায়, ২০১৯ সালে মো. আবু বক্কর সিদ্দিক নামে একজন দালালের মাধ্যমে ইউরোপে যেতে ১৫ লাখ টাকা প্রদান করেন তারা। এরপর দালাল আবু বক্কর ভিকটিম শাওনকে প্রথমে দুবাই পাঠান। সেখানে ২ মাস থাকতে হবে বলে জানায় চক্রটি। সেখান থেকে ভিসা নিয়ে ইউরোপে পাঠানোর কথা বলা হলেও এরপর আর ইউরোপে পাঠানো হয়নি। বরং তাকে আটকে রেখে মুক্তিপণ চাওয়া হয়। পরে তারা বুঝতে পারে যে শাওন দালালের খপ্পরে পড়েছে। এরপর ভুক্তভুগী মিজানুর রহমান দুবাইতে ১৯ মাস মানবেতর জীবনযাপন করে নিজ খরচে আবার দেশে ফিরে আসে।

এই ঘটনায় আবু বক্করের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় চলতি বছরের ১২ নভেম্বর একটি ডায়েরি করেছে শাওনের চাচাতো ভাই দেলোয়ার হোসেন। পরে এই অভিযোগটি ১৩ নভেম্বর র্যাব-১ এর হাতে আসে এবং দালাল চক্রের মূল হোতা আবু বক্করকে গ্রেপ্তার হয়।

জানতে চাইলে কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের থানায় প্রায় মানবপাচার নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ আসছে। সেগুলো নিয়ে আমাদের থানা পুলিশ কাজ করছে। তবে যেসব ঘটনায় সাধারণ ডাইরি হয় সেসব বিষয়ে জোরালো তদন্ত করে আমাদের তদন্তকারী কর্মকর্তারা এবং আমরা আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।

গোয়েন্দা তথ্য বলছে, লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি হত্যার অভিযোগে দেশে ২৯টি মামলা হয়েছে। মামলাগুলোর ২৫টি তদন্ত করে ২৩টির অভিযোগপত্র দিয়েছে সিআইডি। একটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। অন্যটি তদন্তাধীন। তদন্তে পাচারচক্রের ২৯৯ জনের নাম উঠে এসেছে। এর মধ্যে ১৭১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি, পুলিশ ও র্যাব। এদের ৪২ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। বাকি ১২৮ জন অধরা।

জানতে চাইলে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, মানবপাচার রোধে আমরা নিয়মিত বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করছি। এসব ঘটনায় ভিকটিমদের অভিযোগগুলো আমলে নিয়েই আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকি। তা ছাড়া সম্প্রতি আমরা মানবপাচার চক্রের অনেক সদস্যকে আইনের আওতায় এনেছি। ইতোমধ্যে মানব পাচারকারী চক্রের মূল
হোতাদের অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, মানবপাচারকারী চক্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে সকলকে সচেতন হতে হবে। দালাল চক্রের সদস্যরা আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। চক্রের মূল হোতারা দেশের বাইরে বসে অনলাইন ভিসা ও বিমানের টিকিটের ব্যবস্থা করে। যার কারণে অনেক সময় তাদের ধরা বা আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়ে উঠে না।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত

অ্যন্টিগার পেস সহায়ক উইকেটে নতুন বলের বাড়তি সুবিধা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছিল বাংলাদেশ। দিনের প্রথম সেশনে দ্রুত দুই উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে ফেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সময় গড়াতেই বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার মিকাইল লুইস ও আলিক অ্যাথানেজকে। জুটি গড়ে দুজনের ছুটতে থাকেন শতকের পথে। কিন্তু দুজনের কারও প্রত্যাশা পূরণ হতে দেয়নি বাংলাদেশ। দিনের শেষভাগে নার্ভাস নাইন্টিতে দুজনকে মাঠ ছাড়া করে প্রথম দিনের ইতি টানে বাংলাদেশ।

টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন শেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ দিকে বৃষ্টি হানা দেয় ম্যাচে। বৃষ্টি থামার পর আলোক স্বল্পতায় ৮৪ ওভার হওয়ার পরই দিনের খেলা শেষ করেন আম্পায়াররা।

টস জিতে বোলিংয়ে নেমে মেডেন ওভারে শুরুটা ভালো করেন হাসান মাহমুদ। অন্যপ্রান্তে আরেক পেসার শরিফুল ইসলামও মেডেন ওভার নেন। উইকেটের দেখা না পেলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার কার্লোস ব্রাথওয়েট ও লুইসকে বেশ কয়েকবার পরাস্ত করেন বাংলাদেশের দুই পেসার।

ইনিংসের অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আনা হয় তাসকিন আহমেদকে। এই পেসারই প্রথম ব্রেকথ্রু দেন দলকে। ১৪তম ওভারে তাসকিনের অফ স্টাম্পে পড়ে একটু ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে ডিফেন্স করেছিলেন ব্রাথওয়েট। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কের ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত হানে পায়ে। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেন। যদিও তৎক্ষণাৎ রিভিউ নেন ব্রাথওয়েট। তবে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়নি।

তিনে নেমে টিকতে পারেননি কেসি কার্টি। ডানহাতি ব্যাটারকেও ফিরিয়েছেন তাসকিন। উইকেটে আসার পর থেকেই তাড়াহুড়ো করছিলেন তিনি। তাসকিনের মিডল এবং লেগ স্টাম্পের লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করার চেষ্টায় লিডিং এজ হয়ে মিড অনে থাকা তাইজুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়েছেন কার্টি।

২৫ রানে দুই উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলকে পথ দেখান লুইস ও কেভম হজ। তবে হজ ২৫ রান করে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৫৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।

এরপর বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছে লুইস ও আথানজে জুটি। দুজনেই সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। তবে সম্ভাবনা জাগিয়েও কেউই মাইলফলক ছুঁতে পারেননি।

ইনিংসের ৭৫তম ওভারে মিরাজের বলে বেরিয়ে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে ভুল করেন লুইস। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় স্লিপে। ক্যাচ নিতে ভুল করেননি শাহাদাত হোসেন দিপু। নব্বইয়ের ঘরে ২৬ বল আটকে থেকে আউট হন লুইস। ফলে ভেঙে যায় ২২১ বলে ১৪০ রানের জুটি। ২১৮ বলে এক ছক্কা ও নয় চারে ৯৭ রান করেন এই ওপেনার।

এর কিছুক্ষণ পরই ফিরেছেন আথানজেও। তাইজুলের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি স্কুপের মতো খেলেছিলেন আথানজে। যদিও তেমন গতি না থাকায় তার ব্যাটে লেগে বল উপরে উঠে যায়। সহজ ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক লিটন। দশটি চার ও একটি ছক্কায় ১৩০ বলে ৯০ রান আসে বাঁহাতি এই ব্যাটারের ব্যাটে। তিন রানের মধ্যে দুই সেট ব্যাটারকে ফিরিয়ে লড়াইয়ে ফেরার সম্ভাবনা জাগায় বাংলাদেশ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি