বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পলাতক জঙ্গিদের খোঁজ নেই, বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদীনের (জেএমবি) ১৪ শীর্ষ নেতা এখনো পলাতক। এরমধ্যেই আবার আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় নতুন করে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা রাক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কিছু সূত্র বলছে, জঙ্গিদের সক্ষমতা আগেরে চেয়ে বেড়েছে। জামিনে বের হওয়ার পর পলাতক জঙ্গিদের বিষয়ে খোঁজখবর রাখেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরকম অন্তত ৩২ জন জঙ্গি জামিনে রয়েছেন যাদের খোঁজ রাখেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, আনসার আল ইসলামের মূল নেতা মেজর (বরখাস্ত) জিয়াকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। এ কারণেই হয়ত আদালতের মতো জনবহুল প্রাঙ্গণ থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের সাহস দেখিয়েছে জঙ্গিরা।

জঙ্গি নিয়ে কাজ করেন এমন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক সময় দেখা গেছে জঙ্গিরা জামিনে বের হওয়ার পর তারা হারিয়ে যায়। তাদেরও গোয়েন্দা মনিটরিং করতে হয়। ওই সব জঙ্গিদের মনিটিরিং এর মধ্যে না রাখার কারণে ছোট ছোট কিছু ঘটনার মোকাবিলা করতে হয় পুলিশকে। যেটা হলো আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা। গোয়েন্দা বাহিনীর তথ্যের উপর ভিত্তি করে অনেক কিছু করা হয়। তাদের আগাম সতর্কতা দিতে হয়, অন্যথায় হামলার আশঙ্কা থেকে যায়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেখা গেছে জঙ্গিরা ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ত্রিশাল ও ভালুকার মাঝামাঝি সাইনবোর্ড এলাকায় পুলিশের প্রিজন ভ্যানে ঝটিকা আক্রমণ চালায়। এ সময় এক পুলিশকে হত্যা করে জেএমবির দণ্ডপ্রাপ্ত তিন নেতাকে ছিনিয়ে নেয়। তাদেরই একজন জঙ্গি নেতা সালাউদ্দিন সালেহীন এখনো পুলিশের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে। পুলিশ কেনো তাদের এখনো গ্রেপ্তার করেনি নাকি গ্রেপ্তার করতে পারেনি? জঙ্গিদের তদারকি না করে গোয়েন্দা সংস্থা ভুল করেছে তারা জামিনে বের হয়ে যাওয়ার পর তাদের খোঁজ-খবর নেওয়া উচিত ছিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

গোয়েন্দা তথ্য মতে, আসামি ছিনতাই বা আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা অনেক বার ঘটেছে। চলতি বছরের ১১ মাসে সারাদেশে এমন ২৯টি ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে পুলিশকে। মোট ৩২ জন আসামি পালিয়ে গেছে। মার্চ, অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসে এ সব ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে। এরমধ্যে চারটি ঘটনা আলোচনায় এসেছে। সবচেয়ে কম ঘটেছে জুন ও আগস্ট মাসে।

গত ২০ নভেম্বর ঢাকার আদালত পাড়া থেকে ছিনিয়ে নেওয়া দুই জনই নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের (সাবেক আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) সদস্য। তারা জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন এবং লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। জঙ্গি সংগঠনটির পরিকল্পনায় ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত একাধিক লেখক, প্রকাশক, ব্লগার, সমকামী ও অধিকারকর্মীকে হত্যা করা হয়। স্বাভাবিকভাবে ওই দিন আদালতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দরকার ছিল। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সেরকম কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।

২০১৬ সালে হলি আর্টিজানে হামলার ঘটনার পর থেকে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানের মধ্য দিয়ে জঙ্গি দমনে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাফল্য পেয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি আদালত থেকে জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি গোয়েন্দা সংস্থার দুর্বলতা হিসেবে দেখছেন অনেকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রথম বড় ধরনের জঙ্গিবাদের ঘটনা ঘটেছিল ১৯৮৯ সালে মুসলিম মিল্লাত বাহিনীর নেতৃত্বে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় হামলা। ওই সময় গ্রেপ্তার হলেও পরে ছাড়া পাওয়ার পর মিল্লাত বাহিনীর প্রধান চাকরিচ্যুত মেজর মতিউর রহমানকে আর কখনো খুঁজে পায়নি বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

বিশ বছরের বেশি সময় পার হলেও এখনো রমনা বোমা হামলার সব আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, রমনা বোমা হামলার প্রথম চার্জশিটভুক্ত ১৬ আসামি কোনো না কোনোভাবে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল। কিন্তু এই ঘটনায় চলতি বছরে বোমা হামলার আসামি মুফতি শফিকুর রহমানকে র্যাব গ্রেপ্তার করলেও অনেক প্রশ্নের জবাব মিলেনি। ১৯৯৬ সালে উখিয়া-টেকনাফে গ্রেপ্তার হওয়া ৪১ জন জঙ্গি জামিন পাওয়ার পর আর কখনই তাদের খোঁজ রাখেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালে জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর থেকে পলাতক আছে উত্তরবঙ্গের ১৪ জন জঙ্গি, যাদের কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি। এর মধ্যে সালেহীনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও জঙ্গিরা তাকে ছিনিয়ে নিয়েছিল। পরবর্তীতে প্রত্যেকটি জঙ্গিবাদের ঘটনায় এই ১৪ জঙ্গির সম্পৃক্ততার কথা কোনো না কোনোভাবে সামনে আসে।

ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেছেন, ঢাকার আদালতের সামনে থেকে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তাদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত বিভিন্ন হামলার আশঙ্কা ও ঝুঁকি থেকেই যায়। তারা আমাদের নজরদারিতে রয়েছে।

জানতে চাইলে কাউন্টার টেরোরিজম ক্রাইম (সিটিটিসি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা যদি আগে থেকে গোয়েন্দা তথ্য পেতাম তাহলে হয়ত এমন ঘটনার জন্ম হতো না। আশা করি জঙ্গিদের তৎপরতা দমন করতে আমরা সক্ষম হব।

পলাতক জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করতে না পারা, সম্প্রতি ঢাকার আদালত থেকে দুই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ারসহ সার্বিক জঙ্গি তৎপরতার বিষয়ে জানতে চাইলে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মো. আব্দুর রশীদ বলেন, জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনাটি হলো সার্বিক অবহেলা। কীভাবে এই ঘটনাটি ঘটেছে সেটা জানতে হলে দরকার সঠিক তদন্ত। এর সঙ্গে কে বা কারা জড়িত রয়েছে বা ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে সেই বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে ঘটনাটির আসল রহস্য বের করতে হবে।

তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা গেছে জঙ্গিরা জামিনে বের হওয়ার পর তারা হারিয়ে যায়। তাদেরও গোয়েন্দা মনিটরিং করতে হয়। ওই সব জঙ্গিদের মনিটরিং এর মধ্যে না রাখার কারণে ছোট ছোট কিছু ঘটনার মোকাবিলা করতে হয় পুলিশকে। যেটা হলো আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা।

এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলেন, আমরা অনেকদিন পর জঙ্গিদের এই তৎপরতা দেখলাম, হয়ত তারা ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে শুরু করেছে।

তিনি বলেন, জঙ্গিরা বাংলাদেশে সংঘটিত হয় রাজনীতিকে প্রভাবিত করার জন্য। হয়ত তারা বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে সংকটগুলো দেখতে পায় বা আছে সেই সংকট সুযোগ মতো কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন হামলার সিদ্ধান্ত নেয় বা করার চেষ্টা করে।

তিনি বলেন, জঙ্গি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সাধারণ মানুষ সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। তাহলে এ সব হামলা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে তবে হামলার আশঙ্কা এখনো এমন পর্যায়ে যায়নি যে নিরাপত্তার হুমকি রয়েছে।

নির্বাচনের আগে জঙ্গিদের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এ সময় পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার জন্য জঙ্গি সংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধ হয় এবং অনেক সময় তারা বিভিন্ন দলের হয়ে ব্যবহৃত হয়। দেখা গেছে, যে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি বা দল তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে হয়ত, সেই সুযোগটা তারা কাজে লাগায়। জঙ্গিদের দমন না করে যদি ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে তো অবশ্যই জঙ্গি হামলার আশঙ্কা থাকবে। জঙ্গিদের অনেকে ব্যবহার করে এবং তাদের রাজনৈতিক সুরক্ষা দেয় এবং তারা পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কাজ করে। রাজনৈতিক মহলে এই সুরক্ষার একটি প্রতিযোগিতা আছে। এখন গোয়েন্দা সংস্থা বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি জঙ্গিদের মাঠে ছেড়ে দেয় তাহলে তো রাজনৈতিক মহলের কিছু অসৎ মানুষ তাদের ব্যবহার করার চেষ্টা করবে এবং সেই সুযোগটা জঙ্গিরা কাজে লাগাতে পারে। জঙ্গিদের ছেড়ে দিলে বাংলাদেশে জঙ্গি বাড়তেই থাকবে এবং নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকবে।

আব্দুর রশীদ আরও বলেন, জঙ্গি দমনে একটি কৌশল হচ্ছে শক্ত প্রতিরোধের মধ্যে রাখা। তাদের দৌড়ের উপরে রাখা। যদি গোয়েন্দারা জঙ্গি বিরোধী অভিযান হালকা করে ফেলে তাহলে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা বেড়ে যাবে, কোনো বিষয়ে অবহেলা করা যাবে না। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে জঙ্গিদের যদি তদারকিতে এবং নিয়ন্ত্রণ ও দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্ষম না হয়, তাহলে শুধু নির্বাচনের আগে নয়, যেকোনো সময় জঙ্গি হামলার আশঙ্কা থাকতে পারে।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad
Header Ad

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি মির্জা ফখরুলের

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পাশাপাশি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে শাস্তির জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান।

বুধবার মধ্যরাতে সচিবালয়ের মতো নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তামূলক স্থানে আগুন লাগা এবং ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মীর মৃত্যু ও দুই-তিনজন আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ এবং হতাহতদের জন্য শোক ও সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সচিবালয়ের মতো স্পর্শকাতর ভবনে ভয়াবহ আগুন, ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মীর মৃত্যু ও দুই-তিনজনের আহত হওয়ার ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে ভস্মীভূত হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এ ধরণের অগ্নিকাণ্ডে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়া অস্বাভাবিক নয়।’

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তির জোর দাবি করছি। নিহতের পরিবারসহ আহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের জোর আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

Header Ad
Header Ad

বিপিএলে সাকিব না থাকায় হতাশ সুজন

ছবি: সংগৃহীত

দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বাংলাদেশে খেলতে পারছেন না সাকিব আল হাসান। নিজের ক্যারিয়ারে প্রথমবার মিস করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজনের কাছে যা দেশের ক্রিকেটের জন্য বড় ব্যর্থতা।

বৃহস্পতিবার ( ২৬ ডিসেম্বর) মিরপুরে ঢাকা ক্যাপিটালসের অনুশীলন শেষে খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছেন, ‘সাকিব বাংলাদেশে খেলতে পারছে না এটা আমাদের সবার জন্য ব্যর্থতা। সেখানে যদি আমরা একটু বিচক্ষণ হতাম তাহলে ভালো হতো। দেশের সবচেয়ে বড় ক্রিকেটার সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টে খেলতে পারবে না, এটাতে ক্রিকেটাররা সবাই হতাশ। ওর না থাকা সবারই খারাপ লেগেছে।’

সাকিবের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে আলোচনা থাকলেও সুজন মনে করেন, ‘ক্যারিয়ারের শেষ দিকে এসে সাকিব রাজনীতি করেছে। তবে সারা বাংলাদেশ ওকে চেনে ক্রিকেটার হিসেবে। ওর উত্থান ক্রিকেটার হিসেবে। সারা বিশ্বে পরিচিতি ক্রিকেটার হিসেবে। রাজনীতি করেছে, কতটা অন্যায় করেছে সেটা আমি বলতে পারবো না। তবে ওই ৭-৮ মাস সময়টা ওর এত লম্বা ক্যারিয়ারের সঙ্গে মিলিয়ে ফেললাম এটাই আমার কাছে সবচেয়ে অবাক লাগে। সেখানে আমরা যদি একটু বিচক্ষণতার পরিচয় দিতাম... দেশের একটা ক্রিকেটার, দেশের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট খেলতে পারবে না। ক্রিকেটাররাও সবাই হতাশ আমার মনে হয়। সবাই হয়তো মাইকের সামনে বলতে পারে না। কিন্তু ক্রিকেটাররাও হতাশ। কারণ সাকিবের সব ক্রিকেটারের সঙ্গেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। সবাইকে সবভাবে সহযোগিতা করে সে। তো খারাপ লাগছে, এটাই।’

শাকিব খানের দল ঢাকা ক্যাপিটালসের প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। যদিও এখনও মালিকের সাথে কোন কথা হয়নি তার, ‘ভেরি আনফরচুনেটলি এখনও আমার সঙ্গে দেখা হয়নি। ডেফিনিটলি হয়তো বা হবে। দুই একদিনের মধ্যে হয়তো হবে। আমি ব্যস্ত ছিলাম, উনিও ব্যস্ত থাকেন অবশ্যই। ডেফিনিটলি ঢাকা টিম বানিয়েছে, প্রত্যেকটা টিম তো বানায় ভালো কিছুর আশায়, ফাইনাল খেলার আশায়, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশায়। এই ফরম্যাটটায় তো অবশ্যই লাক লাগে, যদি লাক ফেভার করে তাহলে হোয়াই নট? কথা হলে বুঝতে পারবো, ওনার প্রত্যাশাটা কী।’

বৃহস্পতিবার প্রথম বারের মতো অনুশীলন করেছে ঢাকা। যদিও অনুশীলনে কোন প্রাণ ছিল না। কেননা বিদেশি ক্রিকেটাররা দলের সাথে যুক্ত হন না। এই কারণে দেখা যায় অনুশীলনে সেভাবে প্রাণ থাকে না। প্রথম দিনের অনুশীলন নিয়ে সুজন সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘যেটা হয় বিপিএলের ফার্স্ট ডেতে অনুশীলন খুব একটা ভালো হয় না। ফরেইন প্লেয়াররা আসে না, লোকাল প্লেয়াররা অনেকে রেস্টে থাকে। একটা টুর্নামেন্ট শেষ হলো, অবশ্যই তাদের একটা রেস্ট দরকার, ফাস্ট বোলার যারা আছে বা যারা ন্যাশন্যাল প্লেয়ার আছে তারাও উইন্ডিজ থেকে একটা লম্বা ট্যুর করে এসেছে। তাদের বিশ্রাম দরকার। তারপরও মোস্তাফিজ এসেছে, লিটন আসেনি, মুগ্ধকে পাইনি, তামিম ছিল না। বাট অ্যাগেইন একটা গেট টুগেদার। ইনফ্যাক্ট তাদের ট্রেনিংয়ের থেকে ছেলেরা খেলার মধ্যেই ছিল, তবে যখন সম্পূর্ণ টিম আসবে, তখন ভালো লাগবে।’

আগামী ৩০ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে বিপিএল। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে উইকেটের আচরণ নিয়ে জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছে। এবারের আসরে ভালো উইকেটের প্রত্যাশা সুজনের, ‘টি-টোয়েন্টির উইকেট যে রকম হয় ওই রকম প্রত্যাশা থাকবে। আশা করি, কিউরেটররা সেভাবেই বানাবে। অবশ্যই তারা চেষ্টা করে ভালো কিছু দিতে। আশা করি, এবারও ভালো দিতে পারবে। যদি ফ্ল্যাট উইকেট হয়, রানের খেলা হয়, যেখানে বোলারদের স্কিলের ব্যাপার থাকে। ভালো উইকেটে অবশ্যই বোলারদের স্কিলের প্রয়োজন ব্যাটারদের ডিফেন্ড করার জন্য। আমি বিশ্বাস করি বেশি রানের খেলা হলে সাপোর্টাররাও মজা পায়। দর্শকরা আনন্দ পায়। আমি চাই যে রানের খেলা হোক, ভালো উইকেট থাকুক সেটা আমি চাই।’

Header Ad
Header Ad

বুধবার রাতে আগুন লেগেছিল ইস্কাটনের সচিব নিবাসেও

ছবি: সংগৃহীত

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে দেশের প্রশাসনিক প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এটি নাশকতা হতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

এদিকে ওই রাতেই আরেকটি আগুনের ঘটনা ঘটে। সেটি রাজধানীর ইস্কাটন এলাকার সচিব নিবাসে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

একই রাতে আরেকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে রাজধানীর ইস্কাটনের সচিব নিবাসে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন জানান, রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে ইস্কাটন গার্ডেন রোডে অবস্থিত সচিব নিবাসের ২০ তলা ভবনের ৪ তলার একটি বাসার রান্নাঘরে আগুন লাগে।

সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে কেউ হতাহত হয়নি।প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় নাশকতার সম্ভাবনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হচ্ছে। একই রাতে দুটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটায় এ বিষয়ে যথাযথ তদন্তের দাবি উঠেছে।
ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ উভয় ঘটনাস্থলে তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

এই ধরনের অগ্নিকাণ্ডের পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র বা নাশকতা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সক্রিয় ভূমিকার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি মির্জা ফখরুলের
বিপিএলে সাকিব না থাকায় হতাশ সুজন
বুধবার রাতে আগুন লেগেছিল ইস্কাটনের সচিব নিবাসেও
পূর্বাচলে হাসিনা পরিবারের প্লট নিয়ে দুদকের অনুসন্ধান শুরু  
চোখের জলে এক বীরকে বিদায় দিল ফায়ার সার্ভিস, পরিবারে শোকের মাতম
বিডা’র আমন্ত্রণে ঢাকায় আসছেন ইলন মাস্ক
সচিবালয়ে আগুন: কারণ খুঁজতে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
সরকার হাসিনা আমলের নথি চাওয়ার পরই সচিবালয়ে আগুন: রিজভী
ময়মনসিংহে ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষ, একই পরিবারের ৪ জন নিহত
হাসিনার দালালেরা বিভিন্ন অপকর্মের ফাইল পুড়িয়ে দিয়েছে: সারজিস
লামায় ত্রিপুরাদের পাড়ায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা
সচিবালয়ে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করলেন উপদেষ্টারা
সচিবালয়ের আগুন পরিকল্পিত হতে পারে: নৌবাহিনী কর্মকর্তা
বগুড়া কারাগারে সাবেক এমপি রিপুর ‘হার্ট অ্যাটাক’, আনা হয়েছে ঢাকায়
নিখোঁজের ৪২ ঘণ্টা পর কর্ণফুলী নদীতে মিলল ২ পর্যটকের লাশ
ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় নারী-শিশুসহ আটক ১৬
রাফসানের সঙ্গে প্রেম নিয়ে মুখ খুললেন জেফার
সংবাদমাধ্যমের গাড়িতে বোমা হামলায় ৫ সাংবাদিক নিহত
সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা