সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

পলাতক জঙ্গিদের খোঁজ নেই, বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদীনের (জেএমবি) ১৪ শীর্ষ নেতা এখনো পলাতক। এরমধ্যেই আবার আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় নতুন করে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।

আইনশৃঙ্খলা রাক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কিছু সূত্র বলছে, জঙ্গিদের সক্ষমতা আগেরে চেয়ে বেড়েছে। জামিনে বের হওয়ার পর পলাতক জঙ্গিদের বিষয়ে খোঁজখবর রাখেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরকম অন্তত ৩২ জন জঙ্গি জামিনে রয়েছেন যাদের খোঁজ রাখেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, আনসার আল ইসলামের মূল নেতা মেজর (বরখাস্ত) জিয়াকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। এ কারণেই হয়ত আদালতের মতো জনবহুল প্রাঙ্গণ থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের সাহস দেখিয়েছে জঙ্গিরা।

জঙ্গি নিয়ে কাজ করেন এমন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক সময় দেখা গেছে জঙ্গিরা জামিনে বের হওয়ার পর তারা হারিয়ে যায়। তাদেরও গোয়েন্দা মনিটরিং করতে হয়। ওই সব জঙ্গিদের মনিটিরিং এর মধ্যে না রাখার কারণে ছোট ছোট কিছু ঘটনার মোকাবিলা করতে হয় পুলিশকে। যেটা হলো আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা। গোয়েন্দা বাহিনীর তথ্যের উপর ভিত্তি করে অনেক কিছু করা হয়। তাদের আগাম সতর্কতা দিতে হয়, অন্যথায় হামলার আশঙ্কা থেকে যায়।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেখা গেছে জঙ্গিরা ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ত্রিশাল ও ভালুকার মাঝামাঝি সাইনবোর্ড এলাকায় পুলিশের প্রিজন ভ্যানে ঝটিকা আক্রমণ চালায়। এ সময় এক পুলিশকে হত্যা করে জেএমবির দণ্ডপ্রাপ্ত তিন নেতাকে ছিনিয়ে নেয়। তাদেরই একজন জঙ্গি নেতা সালাউদ্দিন সালেহীন এখনো পুলিশের ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে। পুলিশ কেনো তাদের এখনো গ্রেপ্তার করেনি নাকি গ্রেপ্তার করতে পারেনি? জঙ্গিদের তদারকি না করে গোয়েন্দা সংস্থা ভুল করেছে তারা জামিনে বের হয়ে যাওয়ার পর তাদের খোঁজ-খবর নেওয়া উচিত ছিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

গোয়েন্দা তথ্য মতে, আসামি ছিনতাই বা আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা অনেক বার ঘটেছে। চলতি বছরের ১১ মাসে সারাদেশে এমন ২৯টি ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে পুলিশকে। মোট ৩২ জন আসামি পালিয়ে গেছে। মার্চ, অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসে এ সব ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে। এরমধ্যে চারটি ঘটনা আলোচনায় এসেছে। সবচেয়ে কম ঘটেছে জুন ও আগস্ট মাসে।

গত ২০ নভেম্বর ঢাকার আদালত পাড়া থেকে ছিনিয়ে নেওয়া দুই জনই নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের (সাবেক আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) সদস্য। তারা জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন এবং লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। জঙ্গি সংগঠনটির পরিকল্পনায় ২০১৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত একাধিক লেখক, প্রকাশক, ব্লগার, সমকামী ও অধিকারকর্মীকে হত্যা করা হয়। স্বাভাবিকভাবে ওই দিন আদালতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার দরকার ছিল। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সেরকম কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।

২০১৬ সালে হলি আর্টিজানে হামলার ঘটনার পর থেকে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানের মধ্য দিয়ে জঙ্গি দমনে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাফল্য পেয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি আদালত থেকে জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনাটি গোয়েন্দা সংস্থার দুর্বলতা হিসেবে দেখছেন অনেকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রথম বড় ধরনের জঙ্গিবাদের ঘটনা ঘটেছিল ১৯৮৯ সালে মুসলিম মিল্লাত বাহিনীর নেতৃত্বে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় হামলা। ওই সময় গ্রেপ্তার হলেও পরে ছাড়া পাওয়ার পর মিল্লাত বাহিনীর প্রধান চাকরিচ্যুত মেজর মতিউর রহমানকে আর কখনো খুঁজে পায়নি বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

বিশ বছরের বেশি সময় পার হলেও এখনো রমনা বোমা হামলার সব আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, রমনা বোমা হামলার প্রথম চার্জশিটভুক্ত ১৬ আসামি কোনো না কোনোভাবে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল। কিন্তু এই ঘটনায় চলতি বছরে বোমা হামলার আসামি মুফতি শফিকুর রহমানকে র্যাব গ্রেপ্তার করলেও অনেক প্রশ্নের জবাব মিলেনি। ১৯৯৬ সালে উখিয়া-টেকনাফে গ্রেপ্তার হওয়া ৪১ জন জঙ্গি জামিন পাওয়ার পর আর কখনই তাদের খোঁজ রাখেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালে জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর থেকে পলাতক আছে উত্তরবঙ্গের ১৪ জন জঙ্গি, যাদের কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি। এর মধ্যে সালেহীনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও জঙ্গিরা তাকে ছিনিয়ে নিয়েছিল। পরবর্তীতে প্রত্যেকটি জঙ্গিবাদের ঘটনায় এই ১৪ জঙ্গির সম্পৃক্ততার কথা কোনো না কোনোভাবে সামনে আসে।

ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেছেন, ঢাকার আদালতের সামনে থেকে দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তাদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত বিভিন্ন হামলার আশঙ্কা ও ঝুঁকি থেকেই যায়। তারা আমাদের নজরদারিতে রয়েছে।

জানতে চাইলে কাউন্টার টেরোরিজম ক্রাইম (সিটিটিসি) প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা যদি আগে থেকে গোয়েন্দা তথ্য পেতাম তাহলে হয়ত এমন ঘটনার জন্ম হতো না। আশা করি জঙ্গিদের তৎপরতা দমন করতে আমরা সক্ষম হব।

পলাতক জঙ্গিদের গ্রেপ্তার করতে না পারা, সম্প্রতি ঢাকার আদালত থেকে দুই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ারসহ সার্বিক জঙ্গি তৎপরতার বিষয়ে জানতে চাইলে নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মো. আব্দুর রশীদ বলেন, জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনাটি হলো সার্বিক অবহেলা। কীভাবে এই ঘটনাটি ঘটেছে সেটা জানতে হলে দরকার সঠিক তদন্ত। এর সঙ্গে কে বা কারা জড়িত রয়েছে বা ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে সেই বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে ঘটনাটির আসল রহস্য বের করতে হবে।

তিনি বলেন, অনেক সময় দেখা গেছে জঙ্গিরা জামিনে বের হওয়ার পর তারা হারিয়ে যায়। তাদেরও গোয়েন্দা মনিটরিং করতে হয়। ওই সব জঙ্গিদের মনিটরিং এর মধ্যে না রাখার কারণে ছোট ছোট কিছু ঘটনার মোকাবিলা করতে হয় পুলিশকে। যেটা হলো আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা।

এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলেন, আমরা অনেকদিন পর জঙ্গিদের এই তৎপরতা দেখলাম, হয়ত তারা ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে শুরু করেছে।

তিনি বলেন, জঙ্গিরা বাংলাদেশে সংঘটিত হয় রাজনীতিকে প্রভাবিত করার জন্য। হয়ত তারা বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে সংকটগুলো দেখতে পায় বা আছে সেই সংকট সুযোগ মতো কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন হামলার সিদ্ধান্ত নেয় বা করার চেষ্টা করে।

তিনি বলেন, জঙ্গি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সাধারণ মানুষ সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। তাহলে এ সব হামলা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে তবে হামলার আশঙ্কা এখনো এমন পর্যায়ে যায়নি যে নিরাপত্তার হুমকি রয়েছে।

নির্বাচনের আগে জঙ্গিদের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এ সময় পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার জন্য জঙ্গি সংগঠনগুলো ঐক্যবদ্ধ হয় এবং অনেক সময় তারা বিভিন্ন দলের হয়ে ব্যবহৃত হয়। দেখা গেছে, যে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি বা দল তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে হয়ত, সেই সুযোগটা তারা কাজে লাগায়। জঙ্গিদের দমন না করে যদি ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে তো অবশ্যই জঙ্গি হামলার আশঙ্কা থাকবে। জঙ্গিদের অনেকে ব্যবহার করে এবং তাদের রাজনৈতিক সুরক্ষা দেয় এবং তারা পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কাজ করে। রাজনৈতিক মহলে এই সুরক্ষার একটি প্রতিযোগিতা আছে। এখন গোয়েন্দা সংস্থা বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি জঙ্গিদের মাঠে ছেড়ে দেয় তাহলে তো রাজনৈতিক মহলের কিছু অসৎ মানুষ তাদের ব্যবহার করার চেষ্টা করবে এবং সেই সুযোগটা জঙ্গিরা কাজে লাগাতে পারে। জঙ্গিদের ছেড়ে দিলে বাংলাদেশে জঙ্গি বাড়তেই থাকবে এবং নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকবে।

আব্দুর রশীদ আরও বলেন, জঙ্গি দমনে একটি কৌশল হচ্ছে শক্ত প্রতিরোধের মধ্যে রাখা। তাদের দৌড়ের উপরে রাখা। যদি গোয়েন্দারা জঙ্গি বিরোধী অভিযান হালকা করে ফেলে তাহলে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা বেড়ে যাবে, কোনো বিষয়ে অবহেলা করা যাবে না। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে জঙ্গিদের যদি তদারকিতে এবং নিয়ন্ত্রণ ও দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্ষম না হয়, তাহলে শুধু নির্বাচনের আগে নয়, যেকোনো সময় জঙ্গি হামলার আশঙ্কা থাকতে পারে।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad
Header Ad

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট গণঅভুত্থানে গণহত্যার মামলায় আগামী মাসের শুরুতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে-আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যম আলজাজিরার বৈশ্বিক নেতাদের সাক্ষাৎকারমূলক অনুষ্ঠান ‘টক টু আল–জাজিরা’য় এ কথা বলেন তিনি।
আগামী ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে বলে ফের জানিয়েছেন তিনি

এ সময় তিনি আরও বলেন, শুধু মানবিক সহায়তা নয়, নিরাপদ প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান।

বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন উপহার দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নির্বাচনের আগে সংস্কারের তালিকা ছোট হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং তালিকা বড় হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা এখনও তুঙ্গে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান।

আলজাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি।

আলজাজিরার উপস্থাপক ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করেন, এটা কি বলা ঠিক যে, শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অনেকে রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে।

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক, বাংলাদেশের মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সরাসরি চলে যেতে এখনও বলছে না। বরং একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সরকারই নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে। জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা এখনও বলছে না।

লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারবে?

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। তারা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া যাতে তৈরি হয়।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়া হবে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন,
এ প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে–তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কিনা। তারা এখনও কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ নানা বিষয় সামনে আসতে পারে।

তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তা নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে, যারা বলতে পারে যে, এ আইনের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের প্রসঙ্গ ওঠে। ড. ইউনূস জানান,
তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। জবাবে মোদি বলেছিলেন, এটা তার জন্য সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে, সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, একসঙ্গে কাজ করার নীতি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আমরা একসঙ্গেই পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিতে চাই।

Header Ad
Header Ad

ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এর পাশাপাশি কমতে পারে দিনের তাপমাত্রা। এছাড়া আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সোমবার সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮২ শতাংশ।

সারাদেশের সকাল ৬ টা থেকে পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে সারাদেশে দিনের তাপামাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

আরও বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুরের ডিমলাতে সর্বোচ্চ ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

Header Ad
Header Ad

সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ছবি: সংগৃহীত

ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার অংশ হিসেবে আলোচনা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আলী রীয়াজ বলেন, চর্চা, ঐক্যে এবং সম্মিলিতভাবে জাতীয় সনদ তৈরি করতে সবার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ তৈরি করা। যাতে করে ক্ষমতার বিন্যাসে পরিবর্তন ঘটে। বাংলাদেশ যাতে সমস্ত সম্ভাবনা নিয়ে জাগ্রত হতে পারে। গত ৫৩ বছর মানুষ যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করছে, সেই আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করা যায়, পথ উন্মুক্ত করা যায়, যেন সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি। তারাই অংশ হিসেবে এ আলোচনা।

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন, মতামত ও সুপারিশই যথেষ্ট নয়। সব রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর জনমানুষের ঐক্যের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশকে নতুন বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর করতে পারব। কাজে কি লিখছি তা নয়, চর্চার মধ্য দিয়ে, অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে, প্রতিশ্রুতির মধ্য দিয়ে আমাদের এ কাজে অগ্রসর হতে হবে। আমরা সেই প্রচেষ্টায় আছি।

ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তরুণদের নেতৃত্বে প্রাণ দিয়ে যে সম্ভাবনা তৈরি করেছে, সবাই মিলে সে সম্ভাবনাকে বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হতে হবে। সেই পথ ও প্রচেষ্টায় সবাই একত্রিত আছি, থাকব। একত্রিত থাকার তাগিদ জারি রাখব।

রাষ্ট্র সংস্কারের বিষয়ে স্প্রেডশিট আকারে ৩৯টি দলের কাছে মতামত চেয়েছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর মধ্যে ৩৫টি দল মতামত জমা দিয়েছে বলে জানান আলী রীয়াজ। রোববার পর্যন্ত কমিশন ১৯টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে। ২০তম দল হিসেবে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে কমিশন সংলাপ করছে বলে জানান আলী রীয়াজ।

২০১৮ সালে বর্তমান গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত কোটা সংস্কার আন্দোলনের কথা তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, তাদের অকুতোভয় সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের নতুন পর্যায় সূচনা হয়েছিল। যার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও পরবর্তী পর্যায়ে একটি অভূতপূর্ব ও অভাবনীয় গণঅভ্যুত্থান হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মে মাসে শেখ হাসিনার বিচার শুরু হচ্ছে: প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকাসহ সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে
সবাই মিলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই লক্ষ্য: আলী রীয়াজ
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের ফের গোলাগুলি
টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে ৩ পরিবর্তন
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা
টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু