বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

অর্থের অপচয়: প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বারবার উপেক্ষিত

অর্থের অপচয় ঠেকাতে সরকার প্রধানের তাগিদ বারবার উপেক্ষিত হচ্ছে। অপ্রয়োজনীয় ও জরুরি ছাড়া কোনো প্রকল্প না নেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও সেটি কার্যকর হচ্ছে না। বরং সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তর এমন সব উন্নয়ন প্রকল্প নিচ্ছে যেগুলো ভুলে ভরা। ফলে সঠিক সময়ে এ সব প্রকল্পের কোনোটিই বাস্তবায়ন হচ্ছে না। কাজ শুরুর আগেই করতে হচ্ছে সংশোধন। তাতে একদিকে সরকারের অর্থের অপচয় হচ্ছে। অন্যদিকে জনগণও প্রকৃত সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

অথচ প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে সবদিক বিবেচনায় নিয়ে পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালের পর থেকে গত ১৪ বছরে বহু অনুশাসন বা নির্দেশনা দিয়েছেন।

গত ১৪ বছরে দেশের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনে সরকার নানা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে মোটা দাগে বলতে গেলে পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল, মেট্রোরেল, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র,পায়রা সমুদ্রবন্দর, শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পসহ বহু মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। যেগুলোর কোনো কোনোটি শেষ হয়েছে, আবার কোনো কোনোটি শেষ পর্যায়ে। এ সব উন্নয়ন কাজ দেশের দেশের চেহারা পাল্টে দিচ্ছে।

এ সব প্রকল্পের বাইরেও আরও অসংখ্য প্রকল্প নিচ্ছে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তর। কিন্তু এ সব প্রকল্প অনুমোদন প্রক্রিয়াতেও বিভিন্ন রকম গলদ থাকায় সেগুলো ফেরতও দেওয়া হচ্ছে। এতে সরকারের বিপুল অর্থের অপচয় হচ্ছে। পরিকল্পনা কমিশনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলায় চার হাজার ৯০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন শেখ হাসিনা সেনানিবাসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রকল্প এলাকাকে বরিশাল জেলার কারখানা, বিঘাই ও পায়রা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা, শীর্ষক প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন তৈরি করা হয় ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে। ওই প্রতিবেদন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যাচাই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী প্রকল্পটি তৈরি করে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। তাতে ব্যয় ধরা হয় ৮৫২ কোটি টাকা।

পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্প প্রস্তাবটি যাচাই করতে ২০২০ সালের অক্টোবরে প্রকল্প মূল্যায়ন যাচাই (পিইসি) সভা করে। তাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসঙ্গতি ধরা পড়ায় সংশোধন করতে বলা হয়। সংশোধন করে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হলে তাতে ব্যয় বাড়িয়ে ৯৫২ কোটি টাকা ধরা হয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ও আইডব্লিউএম ২০২২ সালে জুনে এর সম্ভাব্যতা যাচাই করে। তার উপর ভিত্তি করে সাড়ে আট কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণমূলক কাজ করার সুপারিশ করা হয়েছে। সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) ১০০ কোটি টাকা বেশি প্রাক্কলন করে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৫২ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী কৃচ্ছ্রসাধন কথা বলার পরও এ প্রকল্পে সাত হাজার ২৫৪ লিটার পেট্রোল ও লুব্রিকেন্ট কেনার প্রস্তাব করা হয়েছে। দুই সেট আসবাসপত্র কেনারও প্রস্তাব করা হয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশন গত ২৪ অক্টোবর আবারও পিইসি সভা করে। তাতে ব্যয় ২৭৫ কোটি টাকা কমিয়ে ৬৭৬ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে ২০২৩ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত। অন্যান্য কাজ শেষে একনেক সভায় প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে। এভাবেই গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পটিতে অনুমোদন পেতে ছয় বছর লেগে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা উপেক্ষিত

আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন প্রকল্প অনুমোদনের সময় অর্থের অপচয় ঠেকাতে ও কাজের কোয়ালিটি নিশ্চিত করতে হাজার খানেক অনুশাসন বা নির্দেশনা দিয়েছেন। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও সংস্থা প্রধানমন্ত্রীর এ সব অনুশাসন মানতে বাধ্য। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন।

২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর নির্দেশনা দেওয়া হয় একনেক সভার অনুশাসনগুলো আবশ্যিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এ লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর ও সংস্থাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একই সভায় প্রকল্প বাস্তবায়নে পরিবীক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করতে বিভাগীয় পর্যায়ে আইএমইডি অফিস স্থাপনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু চার বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও ফাইলবন্দি হয়ে আছে অফিস স্থাপনের কাজ।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমরা ফাইল পাঠিয়েছি। অর্থমন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ঘুরছে। কতো দিন লাগবে, বলা যাবে না। তিনি বলেন, আমিও চাই দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশটি কার্যকর হোক।

এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আসলে প্রকল্প বাস্তবায়ন জটিল প্রক্রিয়া। বিভিন্ন কারণে সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন হয় না। তবে বারবার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। আইএমইডি থেকে মনিটরিং করা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে ত্রুটি কোথায়। ধরা পড়লে তা সংশোধনের ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বাদ দেওয়ার ব্যাপারেও বলা হচ্ছে। কারণ স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী কৃচ্ছ্রসাধনের কথা বলছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা প্রায় মন্ত্রণালয় মানে না। ফলে প্রকল্প অনুমোদনে বিভিন্ন ত্রুটি দেখা যাচ্ছে। বাস্তবায়নও ঠিকমতো হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে সাবেক পরিকল্পনা বিভাগ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাগুলো বই আকারে প্রকাশ করে যথাযথভাবে বাস্তবায়নে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নিতে বলে। কিন্তু তাতেও তেমন কাজ হচ্ছে না।

সূত্র মতে, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর যমুনা নদীতে টানেল নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই করতে বলা হয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়কে। কিন্তু সেতু বিভাগ ৫ বছরেও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের সেই কাজ করতে পারেনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে ‘মাস্টার প্লান করা হচ্ছে। তবে এখনো সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ হয়নি।’

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর একনেক সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়কে দেশে উৎপাদিত আলুর বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। বিশেষ করে স্কুল ফিডিং এ বিস্কুটের পাশাপাশি আলুর তৈরি খাদ্য সংযোজন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের একটি প্রকল্প অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দেন প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই, ব্যয় প্রাক্কলন ও যাচাই প্রক্রিয়ায় মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর ও সংস্থাকে সতর্কতা অবলম্বন ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

যানজট সৃষ্টি হয় বা দুর্গন্ধ ছড়াই এমন কোনো বর্জ্য সড়কে রাখা যাবে না। এ ব্যাপারে ২০২০ সালের ৩ মার্চ ঢাকার ২ সিটি করপোরেশনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। ২০২০ সালের ১৮ আগস্ট মহাসড়ক বিভাগের প্রকল্প অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেন ‘কাজের গুণগতমান বজায় রাখতে হবে।’

শুধু এটি নয়, ৫৬টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রায় প্রকল্প অনুমোদনের আগে বিভিন্ন ভুল-ভ্রান্তির কারণে বছরের পর বছর চলে যাচ্ছে। তারপরও অনুমোদন পাচ্ছে না। অথচ সরকারি প্রকল্প প্রণয়ন, অনুমোদন ও সংশোধনের জন্য সরকার একটি গাইডলাইন করে দিয়েছে। সে অনুযায়ী কাজ করা হলে অতি অল্প সময়ের মধ্যে প্রকল্প তৈরি করে একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে সরকার তা পাস করবে। কিন্তু সেই গাইডলাইনও অনুসরণ করা হচ্ছে না।

করোনা ধকলসহ ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে সংকট দেখা দিয়েছে। তাই ব্যয় কমাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি-বেসরকারি পর্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের কথা বলেছেন। বাধ্য হয়ে অর্থমন্ত্রণালয় থেকে ২০২২ সালে ৩ জুলাই বিদেশ ভ্রমণ, প্রশিক্ষণ, জ্বালানি ও সম্মানী ব্যয় কমানোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। তারপরও প্রায় মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পে ডিপিপিতে তা মানা হচ্ছে না।

জানা গেছে, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় ‘কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত রক্ষা ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। কিন্তু ডিপিপিতে বিভিন্ন ভুল বা অসঙ্গতি ধরা পড়ায় পিইসি সভায় উপস্থাপন করা সম্ভব নয় জানিয়ে গত ৬ নভেম্বর ডিপিপিটি ফেরত দেওয়া হয়। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত প্রকল্পে ২০১৯-২০ অর্থবছরের রেট সিডিউল অনুযায়ী ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে।

আবার কোনো কোনো প্রকল্প একনেক সভায় পাস হলেও বিভিন্ন অজুহাতে ঠিক মতো বাস্তবায়ন হচ্ছে না। দেখা গেছে, দুই বছরের প্রকল্প সাত বছরেও বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এ রকম একটি প্রকল্প হচ্ছে ‘কারা নিরাপত্তা আধুনিকায়ন, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও চট্রগ্রাম বিভাগ’ প্রকল্প। ২০১৬ সালে অনুমোদন দেওয়া এই প্রকল্পের কাজ দুই বছরে শেষ করার কথা। কিন্তু চার বার সংশোধন করেও সাড়ে পাঁচ বছরেও শেষ করা যায়নি।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা

ফাইল ছবি

জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সকল মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। কেউ কারো উপরে না, আবার কেউ কারো নিচেও না, এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।

তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ ছাত্র-জনতার সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে সম্প্রতি আমরা অর্জন করেছি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী ভবিষ্যৎ গড়তে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ, আহত এবং জীবিত ছাত্র-জনতার কাছে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে চাই। যে সুযোগ তারা আমাদের দিয়েছে, তার মাধ্যমে আমাদের দেশকে পৃথিবীর সামনে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করতে আমরা শপথ নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করে যারা দেশ গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে জাতি তাদের সারা জীবন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বক্তব্য শেষে সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

Header Ad

নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁ শহরে যানযট নিরসন ও শৃঙ্খলা ফেরাতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক-শ্রমিকদের যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। এতে শহরে শৃঙ্খলা ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) অভিযানের উদ্বোধন করেন নওগাঁ পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক টি.এম.এ মমিন। এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিয়া উদ্দিন, নওগাঁ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন, নওগাঁ জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আফজাল হোসেন ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অভিযান শুরুর পর থেকেই শহরের বরুনকান্দি, মশরপুর, তাজের মোড় ও কালীতলাসহ মোট ৮ টি প্রবেশদ্বারে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। চেক পোষ্টগুলোতে ২ জন পুলিশ সদস্য, ২ জন ছাত্র সমন্বয়ক, ৪ জন রোভার স্কাউট সদস্য ও ২ জন রিকশা মালিক শ্রমিক প্রতিনিধিসহ মোট ১২ জন করে কাজ করছেন।

পৌর প্রশাসক জানান, নওগাঁ শহরে বৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৪ হাজার। কিন্তু প্রতিদিন পার্শবতী বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ১০ হাজার রিকশা, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও ইজিবাইক শহরে প্রবেশ করে। এতে তীব্র যানযট ও জন মানুষের ভোগান্তি তৈরী হয়। এই দূর্ভোগ লাঘোবে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল ও পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনের দিক নির্দেশনায় যানবাহন নিয়ন্ত্রনসহ বিশেষ অভিযানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বৈধ চালকদের চিহ্নিত করতে তাদের মাঝে পরিধেয় বিশেষ ধরনের জ্যাকেট প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন বলেন, নওগাঁ শহরের যানযট দীর্ঘদিনের সমস্যা। পরিকল্পিত ভাবে এই সমস্যা দূর করতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের উদ্যোগে পৌর কর্তৃপক্ষ ও রিকশা মালিক শ্রমিক নেতৃবৃন্দদের সমন্বয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন ষ্টেক হোল্ডারদের পরামর্শ নিয়ে একটি কর্ম পরিকল্পনা গ্রহক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, অভিযান সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে শহরে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। জনগন এর সুফল পাবেন। সকলকে এই কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত
সাবেক এমপি শাহজাহান ওমরের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর
১২ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া