শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

অর্থের অপচয়: প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বারবার উপেক্ষিত

অর্থের অপচয় ঠেকাতে সরকার প্রধানের তাগিদ বারবার উপেক্ষিত হচ্ছে। অপ্রয়োজনীয় ও জরুরি ছাড়া কোনো প্রকল্প না নেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও সেটি কার্যকর হচ্ছে না। বরং সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তর এমন সব উন্নয়ন প্রকল্প নিচ্ছে যেগুলো ভুলে ভরা। ফলে সঠিক সময়ে এ সব প্রকল্পের কোনোটিই বাস্তবায়ন হচ্ছে না। কাজ শুরুর আগেই করতে হচ্ছে সংশোধন। তাতে একদিকে সরকারের অর্থের অপচয় হচ্ছে। অন্যদিকে জনগণও প্রকৃত সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

অথচ প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে সবদিক বিবেচনায় নিয়ে পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালের পর থেকে গত ১৪ বছরে বহু অনুশাসন বা নির্দেশনা দিয়েছেন।

গত ১৪ বছরে দেশের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনে সরকার নানা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে মোটা দাগে বলতে গেলে পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল, মেট্রোরেল, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র,পায়রা সমুদ্রবন্দর, শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর থার্ড টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পসহ বহু মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। যেগুলোর কোনো কোনোটি শেষ হয়েছে, আবার কোনো কোনোটি শেষ পর্যায়ে। এ সব উন্নয়ন কাজ দেশের দেশের চেহারা পাল্টে দিচ্ছে।

এ সব প্রকল্পের বাইরেও আরও অসংখ্য প্রকল্প নিচ্ছে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তর। কিন্তু এ সব প্রকল্প অনুমোদন প্রক্রিয়াতেও বিভিন্ন রকম গলদ থাকায় সেগুলো ফেরতও দেওয়া হচ্ছে। এতে সরকারের বিপুল অর্থের অপচয় হচ্ছে। পরিকল্পনা কমিশনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলায় চার হাজার ৯০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন শেখ হাসিনা সেনানিবাসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রকল্প এলাকাকে বরিশাল জেলার কারখানা, বিঘাই ও পায়রা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা, শীর্ষক প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন তৈরি করা হয় ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে। ওই প্রতিবেদন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যাচাই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী প্রকল্পটি তৈরি করে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। তাতে ব্যয় ধরা হয় ৮৫২ কোটি টাকা।

পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্প প্রস্তাবটি যাচাই করতে ২০২০ সালের অক্টোবরে প্রকল্প মূল্যায়ন যাচাই (পিইসি) সভা করে। তাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসঙ্গতি ধরা পড়ায় সংশোধন করতে বলা হয়। সংশোধন করে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হলে তাতে ব্যয় বাড়িয়ে ৯৫২ কোটি টাকা ধরা হয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ও আইডব্লিউএম ২০২২ সালে জুনে এর সম্ভাব্যতা যাচাই করে। তার উপর ভিত্তি করে সাড়ে আট কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণমূলক কাজ করার সুপারিশ করা হয়েছে। সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) ১০০ কোটি টাকা বেশি প্রাক্কলন করে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৫২ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী কৃচ্ছ্রসাধন কথা বলার পরও এ প্রকল্পে সাত হাজার ২৫৪ লিটার পেট্রোল ও লুব্রিকেন্ট কেনার প্রস্তাব করা হয়েছে। দুই সেট আসবাসপত্র কেনারও প্রস্তাব করা হয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশন গত ২৪ অক্টোবর আবারও পিইসি সভা করে। তাতে ব্যয় ২৭৫ কোটি টাকা কমিয়ে ৬৭৬ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে ২০২৩ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত। অন্যান্য কাজ শেষে একনেক সভায় প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে। এভাবেই গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পটিতে অনুমোদন পেতে ছয় বছর লেগে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা উপেক্ষিত

আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন প্রকল্প অনুমোদনের সময় অর্থের অপচয় ঠেকাতে ও কাজের কোয়ালিটি নিশ্চিত করতে হাজার খানেক অনুশাসন বা নির্দেশনা দিয়েছেন। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও সংস্থা প্রধানমন্ত্রীর এ সব অনুশাসন মানতে বাধ্য। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন।

২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর নির্দেশনা দেওয়া হয় একনেক সভার অনুশাসনগুলো আবশ্যিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এ লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর ও সংস্থাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একই সভায় প্রকল্প বাস্তবায়নে পরিবীক্ষণ কার্যক্রম জোরদার করতে বিভাগীয় পর্যায়ে আইএমইডি অফিস স্থাপনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু চার বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও ফাইলবন্দি হয়ে আছে অফিস স্থাপনের কাজ।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমরা ফাইল পাঠিয়েছি। অর্থমন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ঘুরছে। কতো দিন লাগবে, বলা যাবে না। তিনি বলেন, আমিও চাই দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশটি কার্যকর হোক।

এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আসলে প্রকল্প বাস্তবায়ন জটিল প্রক্রিয়া। বিভিন্ন কারণে সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন হয় না। তবে বারবার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। আইএমইডি থেকে মনিটরিং করা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে ত্রুটি কোথায়। ধরা পড়লে তা সংশোধনের ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বাদ দেওয়ার ব্যাপারেও বলা হচ্ছে। কারণ স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী কৃচ্ছ্রসাধনের কথা বলছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা প্রায় মন্ত্রণালয় মানে না। ফলে প্রকল্প অনুমোদনে বিভিন্ন ত্রুটি দেখা যাচ্ছে। বাস্তবায়নও ঠিকমতো হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে সাবেক পরিকল্পনা বিভাগ প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাগুলো বই আকারে প্রকাশ করে যথাযথভাবে বাস্তবায়নে জরুরিভাবে পদক্ষেপ নিতে বলে। কিন্তু তাতেও তেমন কাজ হচ্ছে না।

সূত্র মতে, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর যমুনা নদীতে টানেল নির্মাণের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই করতে বলা হয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়কে। কিন্তু সেতু বিভাগ ৫ বছরেও সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের সেই কাজ করতে পারেনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন ঢাকাপ্রকাশ-কে ‘মাস্টার প্লান করা হচ্ছে। তবে এখনো সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ হয়নি।’

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৩ সেপ্টেম্বর একনেক সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়কে দেশে উৎপাদিত আলুর বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। বিশেষ করে স্কুল ফিডিং এ বিস্কুটের পাশাপাশি আলুর তৈরি খাদ্য সংযোজন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের একটি প্রকল্প অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দেন প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই, ব্যয় প্রাক্কলন ও যাচাই প্রক্রিয়ায় মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর ও সংস্থাকে সতর্কতা অবলম্বন ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

যানজট সৃষ্টি হয় বা দুর্গন্ধ ছড়াই এমন কোনো বর্জ্য সড়কে রাখা যাবে না। এ ব্যাপারে ২০২০ সালের ৩ মার্চ ঢাকার ২ সিটি করপোরেশনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। ২০২০ সালের ১৮ আগস্ট মহাসড়ক বিভাগের প্রকল্প অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেন ‘কাজের গুণগতমান বজায় রাখতে হবে।’

শুধু এটি নয়, ৫৬টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রায় প্রকল্প অনুমোদনের আগে বিভিন্ন ভুল-ভ্রান্তির কারণে বছরের পর বছর চলে যাচ্ছে। তারপরও অনুমোদন পাচ্ছে না। অথচ সরকারি প্রকল্প প্রণয়ন, অনুমোদন ও সংশোধনের জন্য সরকার একটি গাইডলাইন করে দিয়েছে। সে অনুযায়ী কাজ করা হলে অতি অল্প সময়ের মধ্যে প্রকল্প তৈরি করে একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে সরকার তা পাস করবে। কিন্তু সেই গাইডলাইনও অনুসরণ করা হচ্ছে না।

করোনা ধকলসহ ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে সংকট দেখা দিয়েছে। তাই ব্যয় কমাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি-বেসরকারি পর্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের কথা বলেছেন। বাধ্য হয়ে অর্থমন্ত্রণালয় থেকে ২০২২ সালে ৩ জুলাই বিদেশ ভ্রমণ, প্রশিক্ষণ, জ্বালানি ও সম্মানী ব্যয় কমানোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। তারপরও প্রায় মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পে ডিপিপিতে তা মানা হচ্ছে না।

জানা গেছে, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় ‘কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত রক্ষা ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়। কিন্তু ডিপিপিতে বিভিন্ন ভুল বা অসঙ্গতি ধরা পড়ায় পিইসি সভায় উপস্থাপন করা সম্ভব নয় জানিয়ে গত ৬ নভেম্বর ডিপিপিটি ফেরত দেওয়া হয়। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত প্রকল্পে ২০১৯-২০ অর্থবছরের রেট সিডিউল অনুযায়ী ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে।

আবার কোনো কোনো প্রকল্প একনেক সভায় পাস হলেও বিভিন্ন অজুহাতে ঠিক মতো বাস্তবায়ন হচ্ছে না। দেখা গেছে, দুই বছরের প্রকল্প সাত বছরেও বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এ রকম একটি প্রকল্প হচ্ছে ‘কারা নিরাপত্তা আধুনিকায়ন, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও চট্রগ্রাম বিভাগ’ প্রকল্প। ২০১৬ সালে অনুমোদন দেওয়া এই প্রকল্পের কাজ দুই বছরে শেষ করার কথা। কিন্তু চার বার সংশোধন করেও সাড়ে পাঁচ বছরেও শেষ করা যায়নি।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad
Header Ad

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  

ছবি: সংগৃহীত

ইয়েমেনের রাজধানী সানার বিমানবন্দর, সেনাবাহিনীর ঘাঁটি ও অন্য একটি শহরের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। সানা ছাড়াও দেশটির বন্দরনগরী হুদাইদাহতেও বিমান হামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিদের ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সানা বিমানবন্দর ও এর পার্শ্ববর্তী আল-দাইলামি সেনা ঘাঁটি এবং হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। ইসরায়েলি এই হামলার জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, রাজধানী সানা ও হুদাইদাহ শহরে হামলার ঘটনাকে ‘‘ইসরায়েলি আগ্রাসন’’ বলে অভিহিত করেছে আল-মাসিরাহ টেলিভিশন। এই হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হুথি বিদ্রোহীরা বলেছেন, রাজধানী সানার একটি বিমানবন্দর ও সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দরনগরী হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও হামলা করা হয়েছে।

তবে ইসরায়েলি হামলায় ইয়েমেনে কোনও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। কয়েকদিন আগে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের বিভিন্ন স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এরপর থেকেই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে।

গত বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের প্রথম মাস থেকেই ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। গত সপ্তাহে হুথিদের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলও হুথিদের বিরুদ্ধে দফায় দফায় হামলা করছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছিলেন, হুথিদের বিরুদ্ধে ‘‘কঠোর আঘাত’’ হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতৃত্বকে নির্মুল করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

 

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমেদের সই করা একটি সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়।

সার্কুলারে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের সর্বোচ্চ স্থান। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোদয় এবং সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে বিচারকার্য পরিচালনা করে থাকেন। এ ছাড়া দেশের বহুল আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মামলার নথিসহ কয়েক লাখ মামলার নথি অত্র কোর্টে রক্ষিত আছে।

আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বিচারপ্রার্থী জনগণকে বিচারিকসেবা প্রদান করা এবং বিভিন্ন মামলার নথি সংরক্ষণের নিশ্চয়তা প্রদানের নিমিত্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেরের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা অতীব জরুরি।

এ অবস্থায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সু্প্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারকরণের নিমিত্ত জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েনপূর্বক সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ এ বিষয়ে আনুষঙ্গিক কার্য সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

Header Ad
Header Ad

তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  

ছবি: সংগৃহীত

তিব্বতে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে চীন। তিব্বত মালভূমির পূর্ব পাশে এই প্রকল্প শুরু হতে যাচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নিম্নপ্রবাহে ভারত ও বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইয়ারলুং জাংপো নদীর নিম্নপ্রবাহে এই বাঁধ তৈরি হবে বলে। চীনের পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশনের ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী, এ প্রকল্প থেকে বার্ষিক ৩০ হাজার কোটি কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চীনের মধ্যাঞ্চলীয় থ্রি গর্জেস বাঁধ। এই প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা বার্ষিক ৮ হাজার ৮২০ কিলোওয়াট-ঘণ্টা।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রকল্পটি চীনের শূন্য কার্বন লক্ষ্য পূরণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। আর প্রকৌশল সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোকে উজ্জীবিত করবে এবং তিব্বতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র প্রসারিত হবে।

প্রকৌশলগত খরচসহ এই বাঁধ নির্মাণের সার্বিক ব্যয় থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছিল ৩ হাজার ৪৮৩ কোটি ডলার। এই প্রকল্পের কারণে বাস্তুচ্যুত ১৪ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। ফলে এই প্রকল্পের মোট ব্যয় বাজেটের চারগুণের বেশি ছিল।

তিব্বতের প্রকল্পের কারণে কত মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে আর এটি স্থানীয় আবাসনকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করবে কর্তৃপক্ষ তার কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। তবে চীনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিব্বতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো পরিবেশের ওপর বা নিম্নপ্রবাহে পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলবে না।

চীন এমন দাবি করলেও ভারত ও বাংলাদেশ এ বাঁধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই প্রকল্পের সম্ভাব্য প্রভাবে স্থানীয় আবাসনের পাশাপাশি নিম্নপ্রবাহের নদীগুলোর পানি প্রবাহ ও গতিপথকেও প্রভাবিত করবে। এতে দুই দেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  
সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  
ফায়ার ফাইটার নয়ন এর বাড়ীতে শোকের মাতম চলছে
চট্টগ্রামের এক ইঞ্চি মাটিতে হাত দিলে কারও চোখ থাকবে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ  
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে নষ্ট জাহাজ, মাঝপথে আটকা ৭১ যাত্রী
তিতাসের ১৬ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
দর্শনা চেকপোস্টে ভারতীয় মদসহ এক ভুয়া পুলিশ আটক
আগুনে পুড়ল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যেখানে অফিস করবেন আসিফ মাহমুদ
অবৈধ বালু ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, পালিয়ে গেল বালুখেকোরা  
নসরুল হামিদের ৯৮ ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন: দুদকের মামলা
ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার
সচিবালয় কিভাবে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতা জানে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ৩১ জানুয়ারির পর
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি
টাঙ্গাইলে ২৭ মামলার আসামিসহ ডাকাতচক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার  
তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে সাদ অনুসারীদের অনুরোধ
দেশের অবস্থা ভালো না, শেখ হাসিনা আবারও আসবে: সোলায়মান সেলিম
রেলের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক হলেন মোঃ সুবক্তগীন
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি মির্জা ফখরুলের