রাষ্ট্র সংস্কার করতে বিএনপির রূপরেখা!
‘জাতীয় সমঝোতা কমিশন’ গঠন; সংবিধান সংশোধন করে স্থায়ীভাবে ‘নির্বাচনকালীন দল-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ব্যবস্থা প্রবর্তন; বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় গঠন; শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির ৫ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ; ভিন্ন দলের জনপ্রতিনিধিদের নির্বাহী আদেশ বলে অপসারণ না করাসহ আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরিবর্তন আনার জাতীয় সরকার গঠনের রূপরেখা চূড়ান্ত করছে বিএনপি।
‘রাষ্ট্র রূপান্তরমূলক সংস্কার’ শিরোনামে এই রূপরেখার একটি খসড়া ইতোমধ্যে তৈরি করছে বিএনপি। সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির সঙ্গে যেসব রাজনৈতিক দল অংশ নেবে তাদের নিয়ে নির্বাচনে জয়ী হতে পারলে ‘জাতীয় সরকার’ গঠনের মাধ্যমে রূপরেখায় তুলে আনা বিষয়গুলো সংস্কার করবে বিএনপি।
তবে এই মুহূর্তেই তড়িগড়ি করে রূপরেখা ঘোষণা করা হবে না বলে ঢাকাপ্রকাশ-কে নিশ্চিত করেছেন রূপরেখা তৈরিতে সম্পৃক্ত থাকা দায়িত্বশীল দুই নেতা।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। খসড়া থেকে কার্যকর একটি চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরিতে চেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে। একটি যৌক্তিক সময়ে রূপরেখা প্রকাশ করা হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে চূড়ান্ত রূপরেখায় অনেক কিছু সংযোজন-বিয়োজন করা হবে।
জানা গেছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করেছে রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। বিশেষ করে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায়ে এবং সরকারবিরোধী গণআন্দোলন গড়ে তুলতে বিরোধী দলগুলোকে পাশে চায় দলটি। ন্যূনতম ইস্যুতেও যাদের সঙ্গে চিন্তার মিল আছে তাদেরকে নিয়ে জোট কিংবা পৃথকভাবে যুগপৎ আন্দোলনের পরিকল্পনা করছেন বিএনপি নেতারা। এজন্য সরকারের বাইরে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করছেন নেতারা। অনানুষ্ঠানিক এসব বৈঠকে দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের কথা শুনছেন বিএনপি নেতারা। জোট কিংবা যুগপৎ আন্দোলন কীভাবে হবে, আন্দোলনের প্রাথমিক রূপরেখাও তুলে ধরছেন তারা। পাশাপাশি এসব বৈঠকে দলগুলোও বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরছেন। প্রত্যেক দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির হাইকমান্ড এসব প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করবেন।
রূপরেখায় যা থাকতে পারে
বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার বাংলাদেশ রাষ্ট্র কাঠামোকে ভেঙে চুরমার করেছে। এই রাষ্ট্রকে মেরামত ও পুনর্গঠন করতে হবে। দেশের জনগণের হাতেই দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে জয় লাভের পর বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার হটানোর আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে একটি ‘জনকল্যাণমূলক জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকার’ প্রতিষ্ঠা করা হবে। উক্ত ‘জাতীয় সরকার’ অন্তত ২৫টিরও বেশি সংস্কারমূলক ব্যবস্থা নেবে। এসব সংস্কারের মধ্যে রয়েছে-
প্রথমত, একটি ‘সংবিধান সংস্কার কমিশন’ গঠন করে সব বিতর্কিত ও অগণতান্ত্রিক সাংবিধানিক সংশোধনী ও পরিবর্তনগুলো পর্যালোচনা করে সেগুলো রহিত/সংশোধন করে এবং অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় সাংবিধানিক সংস্কার করবে। সংবিধানে গণভোট ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃস্থাপন করা হবে।
দ্বিতীয়ত, প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধের রাজনীতির বিপরীতে সব মত ও পথের সমন্বয়ে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈষম্যহীন ও সম্প্রীতিমূলক রেইনবো জাতি (Rainbow-Nation) প্রতিষ্ঠা করা হবে। এজন্য অব্যাহত আলোচনা, মতবিনিময় ও পারস্পারিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে ভবিষ্যৎমুখী এক নতুন ধারার সামাজিক চুক্তিতে পৌঁছাতে হবে। এই জন্য একটি ‘জাতীয় সমঝোতা কমিশন’ গঠন করা হবে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় এবং স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে স্থায়ী সাংবিধানিক ও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার লক্ষ্যে একটি ‘নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ ব্যবস্থা প্রবর্তন করার কথা থাকছে রূপরেখায়।
চতুর্থত, অর্থবিল, আস্থা ভোট, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন এবং সংবিধান সংশোধনী বিল ব্যতীত অন্যসব বিষয়ে সংসদ সদস্যদের মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করার প্রস্তাবও থাকছে।
পঞ্চমত, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি ও সরকারের প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনয়ন করা হবে। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ভারসাম্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগের ক্ষমতা, দায়িত্ব ও কর্তব্যের সুসমন্বয় করা হবে।
ষষ্ঠত, বিদ্যমান সংসদীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ জ্ঞানের সমন্বয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার লক্ষ্যে দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, পেশাজীবী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা প্রবর্তন করা হবে।
সপ্তমত, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত এবং বিশিষ্টজনের অভিমতের ভিত্তিতে স্বাধীন, দক্ষ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও দৃঢ়চিত্ত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠন করার লক্ষ্যে বর্তমান ‘নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন’ সংশোধন করার কথা থাকছে রূপরেখায়। ইভিএম নয়, সব কেন্দ্রে পেপার-ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করা হবে। আরপিও, ডিলিমিটেশন অর্ডার এবং রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনও সংস্কার করা হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার বাতিল করা হবে।
অষ্টমত, সংকীর্ণ রাজনৈতিক দলীয়করণের ঊর্ধ্বে উঠে সকল রাষ্ট্রীয়, সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে এসব প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন করা হবে। শুনানির মাধ্যমে সংসদীয় কমিটির ভেটিং সাপেক্ষে এই সব প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ প্রদান করা হবে।
নবমত, বাংলাদেশের সংবিধান ও মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে বিচার বিভাগের কার্যকর স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে। বর্তমান বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য একটি ‘জুডিশিয়াল কমিশন’ গঠন করা হবে। বিচার বিভাগের জন্য সুপ্রিম কোর্টের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি পৃথক সচিবালয় থাকবে। সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের অভিশংসন প্রশ্নে সংবিধানে বর্ণিত ইতিপূর্বেকার ‘সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল’ ব্যবস্থা পুনঃস্থাপন করা হবে। এজন্য সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হবে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগের লক্ষ্যে সংবিধানের ৯৫(গ) অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট যোগ্যতা ও মানদণ্ড সম্বলিত ‘বিচারপতি নিয়োগ আইন’ প্রণয়ন করা হবে।
দশমত, যোগ্য ও প্রাজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি ‘প্রশাসনিক সংস্কার কমিশন’ গঠন করে প্রশাসন পুনর্গঠন করা হবে। মেধা, সততা, সৃজনশীলতা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণ বেসামরিক ও সামরিক প্রশাসনে নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতিতে যোগ্যতার একমাত্র মাপকাঠি হিসাবে বিবেচনা করা হবে।
একাদশ প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের একজন সাবেক বিচারপতির নেতৃত্বে সার্বিক সংস্কারের লক্ষ্যে একটি ‘মিডিয়া কমিশন’ গঠন করা হবে। সৎ সাংবাদিকতার পরিবেশ পুনরুদ্ধার করা হবে এবং চাঞ্চল্যকর সাগর-রুনি হত্যাসহ সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যার বিচার নিশ্চিত করা হবে।
রূপরেখার দ্বাদশ প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, দুর্নীতির ক্ষেত্রে কোনো আপস করা হবে না। বিগত দেড় দশকে সংগঠিত অর্থ-পাচার ও দুর্নীতির অনুসন্ধান করে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা এবং শ্বেতপত্রে চিহ্নিত দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংবিধান অনুযায়ী ‘ন্যায়পাল’ নিয়োগ করা হবে।
ত্রয়োদশ প্রস্তাবনায় সর্বস্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানবিক মূল্যবোধ ও মানুষের মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং গুম, খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং অমানবিক নিষ্ঠুর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অবসান ঘটানো হবে। গত দেড় দশক সংগঠিত সব বিচারবহির্ভূত হত্যা, ক্রসফায়ারের নামে নির্বিচারে হত্যা, গুম, অপহরণ, ধর্ষণ, নির্মম শারীরিক নির্যাতন, নিষ্ঠুর ও অমানবিক অপরাধের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের নিশ্চিত করা হবে।
এ ছাড়া বিএনপির প্রস্তাবিত রূপরেখায় অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞ অর্থনীতিবিদ, অভিজ্ঞ ব্যাংকার, কর্পোরেট নেতা, প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি সমন্বয়ে একটি ‘অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন’ গঠন করা হবে।
সব কালাকানুন বাতিল এবং অপ্রয়োজনীয় কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় বন্ধ করা হবে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে অধিকতর স্বাধীন, শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান করা হবে। এসব প্রতিষ্ঠানকে এমনভাবে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে যেন তারা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন পরিষেবা প্রদান ও উন্নয়ন কার্যক্রমে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে সরকারি প্রশাসক নিয়োগ বন্ধ করা হবে। আদালত কর্তৃক দণ্ডপ্রাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নির্বাহী আদেশে বরখাস্ত করা হবে না।
বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাজমান নৈরাজ্য দূর করে নিম্ন ও মধ্য পর্যায়ে চাহিদাভিত্তিক শিক্ষা এবং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা-কারিকুলামকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। গবেষণায় বিশেষ গুরুত্ব প্রদান ও জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে জিডিপির ৫ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ করা হবে।
একইভাবে জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির ৫ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে হলেও শস্য বীমা, পশু বীমা, মৎস্য বীমা এবং পোল্ট্রি বীমা চালু করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে চূড়ান্ত রূপরেখার খসড়ায়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পরিষ্কার করে বলেছেন, একটি নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে তারপর তাদের অধীন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আন্দোলন যারা করেছে, তাদের সবাইকে নিয়ে সবার মতামতের ভিত্তিতেই ভবিষ্যতে দেশ পরিচালনা করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রূপরেখা সময়মতো জানবেন। যুগপৎ আন্দোলন শুরু করলে আপনারা জানতে পারবেন। আমাদের রূপরেখায় থাকবে সংবিধানের ৫৮(খ), (গ), যেটা সংবিধানের (দ্বাদশ সংশোধনী) ছিল। তারই আলোকে এই রূপরেখা হবে। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নিরঙ্কুশ আসনে বিজয়ী হয়ে ১৯৯৬ সালের ২৭ মার্চ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে ত্রয়োদশ সংশোধনী পাস করে। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করা হয়।’
এনএইচবি/এসজি