বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১১ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সাড়ে ৫ বছরেও শেষ হয়নি ৩২ কারাগারে সিসিটিভি কক্ষ স্থাপনের কাজ!

সাড়ে ৫ বছরেও দেশের ৩২টি কারাগারে সিসিটিভি কক্ষ স্থাপনের কাজ শেষ হয়নি। বরং চার দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে সাড়ে পাঁচ বছর। কিন্তু কাজ শেষ হয়নি। অথচ প্রকল্পের মেয়াদ ছিল মাত্র দুই বছর। এই অবস্থায় প্রকল্পের কাজ শেষ করতে আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের(একনেক) সভায় পঞ্চমবারের মতো প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হলো। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, কারাগারে থাকা বন্দীদের নিরাপত্তা, তাদের গতিবিধি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ ও বন্দীদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আসা দর্শনার্থীদের তল্লাশি, অবৈধ মালামাল কারা অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ রোধে সরকার ২০১৬ সালে একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়।

‘কারা নিরাপত্তা আধুনিকায়ন, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও চট্রগ্রাম বিভাগ’ নামের এই প্রকল্পের আওতায় দুই বছরের মধ্যে দেশের ৮টি কেন্দ্রীয় কারাগারসহ ৩২টি কারাগারের নিরাপত্তার জন্য ৩২টি সিসিটিভি কক্ষ নির্মাণ ও ১৩০টি নেটওয়ার্ক জ্যামার কিনে স্থাপন করার কথার ছিল। প্রথমে ৩২ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিলেও পরবর্তীতে সংশোধন করে করা হয় ৫০ কোটি টাকা। এতে ব্যয় বাড়ানো হয়েছে ৫৬ শতাংশ। অর্থাৎ ৩২ কোটি থেকে ৫০ কোটি টাকা।

জানা গেছে, কারা অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পে গত জুন পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ৬০ শতাংশ। চার দফায় প্রকল্প সংশোধন করে কাজের মেয়াদ বাড়ানো হলেও শেষ না হওয়ায় পঞ্চমবারের মতো সংশোধন করে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার সময় বেঁধে দিয়েছে সরকার।

পরিকল্পনা কমিশন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ঢাকা, চট্রগ্রাম, ও ময়মনসিংহ বিভাগের ৩২টি কারাগারের মধ্যে ৮টি বিভাগীয় ও ২৪টি জেলা পর্যায়ে কারাগারের নিরাপত্তার বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও স্থাপনের লক্ষ্যে সরকার ২০১৬ সালের ২৪ মে একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়। ৫০ কোটি টাকার নিচে হওয়ায় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রকল্পটি অনুমোদন দেন। ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছিল ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর।

প্রকল্পের প্রধান প্রধান কাজ ধরা হয়েছিল বিদ্যমান ৩২টি কারাগারের মধ্যে ৮টি কেন্দ্রীয় কারাগারে একতলা ভিত বিশিষ্ট ২০ বাই ১৫ ফুট এবং ২৪টি জেলা কারাগারে ১৫ বাই ১৫ ফুট আয়তনের সিসিটিভি কক্ষ নির্মাণ ও ১৩০টি মোবাইল ফোন জ্যামার স্থাপন। এ ছাড়া ২ সেট বডি/ পারসোনাল/ ভিউ স্ক্যানার, ৭৪ সেট নেটওয়ার্ক ভিডিও রেকর্ডার (এনভিআর), ১ হাজার ১৪২টি আইপি বুলেট ক্যামেরা, ৪৩টি ডেস্কটপ কম্পিউটার, ৬ সেট লাগেজ স্ক্যানার, ৩২ সেট সিকিউরিটি সাইরেন সিস্টেম কেনার কথা ছিল। একইসঙ্গে ৩৪টি আর্চওয়ে মেটাল ডিটেক্টর, ৮০টি হ্যান্ডমেটাল ডিটেক্টর ও ৩২সেট টেনয় সিস্টেম কেনারও সিদ্ধান্ত দিয়েছিল সরকার।

সূত্র আরও জানায়, ৮ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কারাবন্দীদের নিরাপদ কারাবাস নিশ্চিতকরণ ও কঠোর শৃঙ্খলা বজায় রাখার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

তাই সরকার কারা নিরাপত্তার জন্য ও অপরাধীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজের অগ্রগতি না হওয়ায় চার বার সংশোধন করে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। তাতেও কাজে অগ্রগতি হয়নি। ফলে জুন পর্যন্ত আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ২৭ কোটি ৩২ লাখ টাকা ও বাস্তব অগ্রগতি হয়েছে ৬০ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে এ প্রকল্পের জন্য এডিপিতে এক লাখ টাকা বরাদ্দও রাখা হয়েছে।

বারবার সংশোধন করেও কাজ শেষ না হওয়ায় আইএমইডি সংশোধনের ব্যাপারে ২০২২ সালের মধ্যে কর্মপরিকল্পনা অনুসারে কাজ সমাপ্ত করতে সুপারিশ করে।

ছোট প্রকল্প হলেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্পের সময় বারবার বৃদ্ধি বিষয়ে জানতে চাইলে আইএমইডি সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আসলে সবকিছু জেনে শুনে প্রকল্পে মেয়াদ বৃদ্ধি করে বাস্তবায়নকারী সংস্থা। কিন্তু বিভিন্ন কারণে তারা বাস্তবায়ন করতে পারে না। তবে প্রধানমন্ত্রীও বারবার বলছেন প্রকল্প যেন সঠিক সময়ে বাস্তবায়িত হয়।

পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) সত্যজিত কর্মকার প্রকল্পের কাজের সময় আরও ছয় মাস বৃদ্ধি করে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত সুপারিশ করেছেন। এই সময়ের মধ্যে কর্মপরিকল্পনা ও ক্রয় পরিকল্পনা প্রণয়ন করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার জন্য মতামত দিয়েছেন।

প্রকল্প প্রণয়ন, অনুমোদন ও সংশোধন গাইডলাইনে ৫০ কোটি টাকার প্রকল্প পরিকল্পনামন্ত্রী অনুমোদন করতে পারেন। কিন্তু কোনো প্রকল্প চারবারের বেশি সংশোধন করতে হলে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় উপস্থাপন করতে হয়। এ কারণে মঙ্গলবার একনেক সভায় উপস্থাপন করা হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাতে অনুমোদন দেন।

প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতির ব্যাপারে জানতে তথ্য অধিকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য প্রদানকারী ও সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মো. মাইন উদ্দিন ভূঁইয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, এ ব্যাপারে জানতে হলে এআইজি (উন্নয়ন) মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি সব বলতে পারবেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রকল্প পরিচালক ও ঢাকা কারা উপ মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। কিন্তু একাধিকবার চেষ্টা করে তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এনএইচবি/এসজি

Header Ad
Header Ad

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  

ছবি: সংগৃহীত

ইয়েমেনের রাজধানী সানার বিমানবন্দর, সেনাবাহিনীর ঘাঁটি ও অন্য একটি শহরের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। সানা ছাড়াও দেশটির বন্দরনগরী হুদাইদাহতেও বিমান হামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিদের ও ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি পরিচালিত আল-মাসিরাহ টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সানা বিমানবন্দর ও এর পার্শ্ববর্তী আল-দাইলামি সেনা ঘাঁটি এবং হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করেছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। ইসরায়েলি এই হামলার জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, রাজধানী সানা ও হুদাইদাহ শহরে হামলার ঘটনাকে ‘‘ইসরায়েলি আগ্রাসন’’ বলে অভিহিত করেছে আল-মাসিরাহ টেলিভিশন। এই হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ইসরায়েল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হুথি বিদ্রোহীরা বলেছেন, রাজধানী সানার একটি বিমানবন্দর ও সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এছাড়া পশ্চিমাঞ্চলীয় বন্দরনগরী হুদাইদাহর একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রেও হামলা করা হয়েছে।

তবে ইসরায়েলি হামলায় ইয়েমেনে কোনও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। কয়েকদিন আগে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের বিভিন্ন স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এরপর থেকেই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে।

গত বছরের অক্টোবরে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধের প্রথম মাস থেকেই ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে আসছে ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। গত সপ্তাহে হুথিদের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে এক ডজনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলও হুথিদের বিরুদ্ধে দফায় দফায় হামলা করছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেছিলেন, হুথিদের বিরুদ্ধে ‘‘কঠোর আঘাত’’ হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই গোষ্ঠীর শীর্ষ নেতৃত্বকে নির্মুল করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

ছবি: সংগৃহীত

 

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ, প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা এবং অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমেদের সই করা একটি সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়।

সার্কুলারে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়ে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দেশের বিচার অঙ্গনের সর্বোচ্চ স্থান। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি মহোদয় এবং সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে বিচারকার্য পরিচালনা করে থাকেন। এ ছাড়া দেশের বহুল আলোচিত ও গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মামলার নথিসহ কয়েক লাখ মামলার নথি অত্র কোর্টে রক্ষিত আছে।

আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বিচারপ্রার্থী জনগণকে বিচারিকসেবা প্রদান করা এবং বিভিন্ন মামলার নথি সংরক্ষণের নিশ্চয়তা প্রদানের নিমিত্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেরের কার্যালয়, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা অতীব জরুরি।

এ অবস্থায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট কম্পাউন্ড, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বিচারপতি ভবন, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের মাননীয় বিচারপতি মহোদয়গণের বাসভবন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সু্প্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন ভবন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারকরণের নিমিত্ত জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েনপূর্বক সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ এ বিষয়ে আনুষঙ্গিক কার্য সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

Header Ad
Header Ad

তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  

ছবি: সংগৃহীত

তিব্বতে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ বাঁধ নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে চীন। তিব্বত মালভূমির পূর্ব পাশে এই প্রকল্প শুরু হতে যাচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নিম্নপ্রবাহে ভারত ও বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ইয়ারলুং জাংপো নদীর নিম্নপ্রবাহে এই বাঁধ তৈরি হবে বলে। চীনের পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশনের ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী, এ প্রকল্প থেকে বার্ষিক ৩০ হাজার কোটি কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প চীনের মধ্যাঞ্চলীয় থ্রি গর্জেস বাঁধ। এই প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা বার্ষিক ৮ হাজার ৮২০ কিলোওয়াট-ঘণ্টা।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রকল্পটি চীনের শূন্য কার্বন লক্ষ্য পূরণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। আর প্রকৌশল সংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোকে উজ্জীবিত করবে এবং তিব্বতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র প্রসারিত হবে।

প্রকৌশলগত খরচসহ এই বাঁধ নির্মাণের সার্বিক ব্যয় থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পে ব্যয় হয়েছিল ৩ হাজার ৪৮৩ কোটি ডলার। এই প্রকল্পের কারণে বাস্তুচ্যুত ১৪ লাখ মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। ফলে এই প্রকল্পের মোট ব্যয় বাজেটের চারগুণের বেশি ছিল।

তিব্বতের প্রকল্পের কারণে কত মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে আর এটি স্থানীয় আবাসনকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করবে কর্তৃপক্ষ তার কোনো ইঙ্গিত দেয়নি। তবে চীনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিব্বতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো পরিবেশের ওপর বা নিম্নপ্রবাহে পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলবে না।

চীন এমন দাবি করলেও ভারত ও বাংলাদেশ এ বাঁধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই প্রকল্পের সম্ভাব্য প্রভাবে স্থানীয় আবাসনের পাশাপাশি নিম্নপ্রবাহের নদীগুলোর পানি প্রবাহ ও গতিপথকেও প্রভাবিত করবে। এতে দুই দেশের লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইয়েমেনের বিমানবন্দর-বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলা  
সুপ্রিম কোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
তিব্বতে ‘বিশ্বের বৃহত্তম’ জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চীন  
ফায়ার ফাইটার নয়ন এর বাড়ীতে শোকের মাতম চলছে
চট্টগ্রামের এক ইঞ্চি মাটিতে হাত দিলে কারও চোখ থাকবে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ  
সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে নষ্ট জাহাজ, মাঝপথে আটকা ৭১ যাত্রী
তিতাসের ১৬ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
দর্শনা চেকপোস্টে ভারতীয় মদসহ এক ভুয়া পুলিশ আটক
আগুনে পুড়ল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, যেখানে অফিস করবেন আসিফ মাহমুদ
অবৈধ বালু ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, পালিয়ে গেল বালুখেকোরা  
নসরুল হামিদের ৯৮ ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন: দুদকের মামলা
ত্রিপুরা পল্লীতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার
সচিবালয় কিভাবে আওয়ামী মুক্ত করতে হয় সেটা ছাত্র জনতা জানে: হাসনাত আব্দুল্লাহ
অবৈধ বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ৩১ জানুয়ারির পর
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের নতুন কমিটি
টাঙ্গাইলে ২৭ মামলার আসামিসহ ডাকাতচক্রের ৪ সদস্য গ্রেফতার  
তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে সাদ অনুসারীদের অনুরোধ
দেশের অবস্থা ভালো না, শেখ হাসিনা আবারও আসবে: সোলায়মান সেলিম
রেলের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক হলেন মোঃ সুবক্তগীন
সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি মির্জা ফখরুলের