শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু পরিস্থিতি কার্যত হাতের বাইরে

সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থায় ঘাটতি, পর্যাপ্ত নজরদারির অভাব এবং সর্বোপরি ভারত সরকারকে প্রয়োজনীয় তথ্য ও পরিসংখ্যান সরবরাহে অনীহা—সব মিলিয়ে ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গের ডেঙ্গু পরিস্থিতি কার্যত হাতের বাইরে চলে গেছে বললে অত্যুক্তি করা হয় না।

ডেঙ্গুতে পশ্চিমবঙ্গে মৃত্যুর হার একই জায়গায় রয়েছে। সাম্প্রতিক সময় এমনই পর্যবেক্ষণ এই রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তাদের। তাদেরই প্রশ্ন, তাহলে কি স্বাস্থ্য ভবনের জারি করা প্রটোকল মেনে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া চিকিৎসায় ঘাটতি থেকে যাচ্ছে? সেই সংশয় থেকেই সরকারি স্তরে ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া চিকিৎসায় যুক্ত চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতালের কর্তাদের নিয়ে গত বৃহস্পতিবার অনলাইনে বৈঠক করেছে পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতর।

ডেঙ্গু প্রতিরোধ কর্মসূচির বিষয়ে বিভিন্ন পৌরসভার কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন পৌরসভা ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বৈঠকে তার নির্দেশ, ওয়ার্ডের সাফাইকর্মীদের নিয়ে সপ্তাহে অন্তত একদিন এলাকা পরিদর্শন করবেন স্থানীয় কাউন্সিলার। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিও জোরদার করতে হবে। সমস্ত জলাশয় ও এলাকার সর্বত্র নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে।

চিকিৎসকদের মত, ডেঙ্গু মোকাবিলায় কোথাও পরিকাঠামোগত ফাঁক থেকে যাচ্ছে। নাহলে নভেম্বর মাস শেষ হতে চলল, এখনো মশবাহিত রোগ কমার লক্ষণ দেখা যাবে না, তা হতে পারে না। এদিকে চলতি সপ্তাহেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কলকাতা পৌরসভার ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে পৌরভবনের কাছে মেয়রের পদত্যাগের দাবিতে মশারি টাঙিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে কংগ্রেস।

প্রসঙ্গত, এই রাজ্যে এখনো পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা সরকারিভাবে ৮৪। আক্রান্ত প্রায় পঞ্চাশ হাজার মানুষ।

ভারতে পশ্চিমবঙ্গই একমাত্র রাজ্য, যারা ডেঙ্গু সংক্রান্ত কোনো তথ্য বা পরিসংখ্যান দিল্লির সরকারকে (কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক) দিচ্ছে না। এই অভিযোগ তুলেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার। পশ্চিমবঙ্গের বুকে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু, প্রতিদিনই আক্রান্তের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এরই মাঝে ডেঙ্গু নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের বিরোধ মাথা চাড়া দিয়েছে।

সম্প্রতি ডায়রিয়াজনিত রোগ ও পুষ্টি বিষয়ক ১৬তম এশিয়া সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় ভারতী প্রবীণ পাওয়ার বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যে পোর্টাল প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া বাকি সব রাজ্যের আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা দেওয়া হয়েছে। বারংবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও আক্রান্ত ও মৃতের কোনো পরিসংখ্যান পাঠায়নি রাজ্য সরকার। অবিলম্বে তাদের উচিত কেন্দ্রকে এই সংক্রান্ত সর্বশেষ রিপোর্ট বিশদে পাঠানো।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে একটি সতর্কবার্তা জারি করে তিনি বলেছেন, ডেঙ্গুর মতো একটি ভেক্টর বাহিত রোগ মোকাবিলা করার জন্য প্রতিটি রাজ্যকে সহায়তা করতে প্রস্তুত দিল্লির সরকার। কিন্তু তারপরেও যদি পশ্চিমবঙ্গ সরকার ডেঙ্গুর তথ্য ও পরিসংখ্যান না পাঠায়, সেক্ষেত্রে দিল্লির পক্ষে আর এ ব্যাপারে সাহায্য করা সম্ভব হবে না।

এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সংসদ বিষয়ক ও কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, কেন্দ্র যদি তথ্য চায়, তাহলে আমরা তা অবশ্যই দেব। কিন্তু ডেঙ্গু সংক্রান্ত কোনও তথ্য বা পরিসংখ্যান কেন্দ্রের কাছে স্বেচ্ছায় পাঠাতে বাধ্য নয় রাজ্য সরকার।

অন্যদিকে রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে বারবার সরব হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, সরকারি তথ্য অনুযায়ী কম করে ৫৫ হাজার মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত। মারা গিয়েছেন অন্তত ৮৫ জন। কিন্তু কোভিডের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা জানি, এই রাজ্যের সরকার দায়িত্ব নিয়ে তথ্য গোপন করে থাকে। ফলে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। গত কয়েকদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ছে। এবার তড়িঘড়ি ১৪ দফা নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর।

স্বাস্থ্য দফতরের ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, হাসপাতালগুলোতে ফিভার ক্লিনিক পুরোদমে চালু রাখতে হবে। যাঁরা জ্বর নিয়ে চিকিৎসার জন্য আসবেন তাদের তথ্য সংগ্রহ করে রাখতে হবে। পরে যাতে তাদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করা যায়। হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীদের জন্য ২৪ ঘণ্টা ল্যাব পরিষেবা চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। রোগীদের শারীরিক পরীক্ষার পর ওই দিনই রিপোর্ট দিতে হবে ল্যাব কর্তৃপক্ষকে। ডেঙ্গু আক্রান্ত বা ডেঙ্গু সন্দেহে যে কোনো রোগীকে পরীক্ষার দিনই রিপোর্ট দিতে হবে।

সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য দফতরে বিশেষজ্ঞ দলের পর্যবেক্ষণ, অনেক হাসপাতালে রোগীকে অতিরিক্ত ফ্লুইড বা স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। তাতে ক্ষতিই হচ্ছে। কয়েকটি মৃত্যুর নথি পরীক্ষা করে দেখা গেছে, রোগী সুস্থ হতে শুরু করলেও তাকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণে ফের বোঝানো হয়, দিনে দু’বার পিসিভি (রক্তে প্যাকড সেল মাত্রা) পরীক্ষা করে স্যালাইনের ব্যবস্থা করতে হবে। কখন প্লাটিলেট দিতে হবে, কোন পরিস্থিতিতে স্যালাইনের মাত্রা বাড়াতে-কমাতে হবে তাও নতুন করে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

আরএ/

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিটের মতো ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় একবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক