চিকিৎসকদের কক্ষ দখলের দ্বন্দ্ব, পরীক্ষাগার তালাবদ্ধ
রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের চিকিৎসকদের কক্ষ দখলকে কেন্দ্র করে প্রায় সাত দিন ধরে রেসপিরেটরি বিভাগে রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে হাসপাতালে আসা রোগীরা বিপাকে পড়েছেন। হাসপাতালটির মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিভাগের চিকিৎসকদের ‘দ্বন্দ্বে’ এই অবস্থা।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, হাসপাতালের ৩ নম্বর পুরোনো ভবনের দ্বিতীয় তলার রেসপিরেটরি বিভাগের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মিটফোর্ডের রেসপিরেটরি বিভাগের প্রধান ডা. মেসবাহ উল হক জানান, মেডিসিন বিভাগ থেকে এই কক্ষটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সাতদিন ধরে আমরা শুধুমাত্র রোগীদের আউটডোর সেবা দিতে পারছি। রোগীদের পরীক্ষা যেমন ব্রঙ্কোস্কোপি, ফ্লুরোস্কপি, স্পাইরোমেট্রি এবং রোগী দেখা ছাড়া অন্য কোনো প্রসিডিউর, যেমন ভর্তি করানো যাচ্ছে না। আর এসব পরীক্ষা শুধুমাত্র বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ছাড়া অন্য কোথাও হয় না। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বক্ষব্যাধির রোগীরা।
এ বিষয়ে বিভাগ থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কিছু জানানো হয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তো তালা ভেঙে প্রবেশ করতে পারি না, সব কিছুরই একটা প্রক্রিয়া আছে। আমরা মেডিসিন বিভাগের প্রধানসহ পরিচালককে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। পরিচালক থেকে বারবার কল দিয়ে খুলে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেসপিরেটরি বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের অ্যান্ডোসকপিসহ কয়েকটি পরীক্ষা করা হয় ওই রুমে। এসব রুম বরাদ্দ দেওয়ার জন্য কমিটি আছে। কিন্তু কমিটির কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত দেওয়ার আগেই মেডিসিন বিভাগ থেকে এই রুমে তালা দেওয়া হয়েছে। ফলে এখানে রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যাচ্ছে না।
মিটফোর্ডের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আহমেদ হোসেন বলেন, বিষয়টি (রুম বরাদ্দ) নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে তালা বন্ধের বিষয়টি আমার জানা নেই।
মিটফোর্ড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী রশীদ উন নবীর কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাসপাতালের কক্ষ বণ্টনে কমিটির কাজ চলছে। এর মাঝে হয়তো কোনো বিভাগের চাহিদা থাকতে পারে রুমটা তারা নেবে। এর মাঝে তালা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
তবে বিষয়টি হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ বলে আর কোনো কথা বলতে রাজী হননি মিটফোর্ড হাসপাতালের পরিচালক।
এসএন